ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
মানুষের একটি ভালো কথা যেমন একজনের মন জয় করে নিতে পারে, তেমনি একটু খারাপ বা অশোভন আচরণ মনে কষ্ট দিতে পারে। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হিসেবে আমাদের উচিত সর্বদা মানুষের সঙ্গে ভালো ও সুন্দরভাবে কথা বলা।
আর ব্যবহার মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য উপাদান। ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ হিসেবে জগতের সব মানুষ পারস্পরিক সর্বোত্তম ব্যবহার পাওয়ার অধিকার রাখে। সুন্দর ব্যবহার ইসলামে অত্যাবশ্যকীয় ইবাদত হিসেবে গণ্য করা হয়। সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে অন্যের কাছে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারে।
সব মানুষেরই নিজের ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করার জন্য তার ব্যবহার অমায়িক করে গড়ে তোলা দরকার। কেননা, আচার-ব্যবহারের মধ্য দিয়েই মনুষ্যত্বের প্রকৃত পরিচয় ফুটে ওঠে। মানুষ ভালো কথাবার্তা ও আচার-ব্যবহার গঠনের মাধ্যমে নিজেকে শোভন, সুন্দর আর পরিশীলিত করে অন্যের প্রীতিভাজন হয়ে উঠতে পারে।
সবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন, ‘তোমরা পিতা-মাতা, আত্মীয়স্বজন, এতিম, অভাবগ্রস্ত, নিকটতম প্রতিবেশী, দূরবর্তী প্রতিবেশী, সঙ্গী, পথচারী এবং তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করবে।’ (সুরা নিসা: ৩৬)
মানুষের সঙ্গে উত্তম ব্যবহার ও ইসলামি শরিয়া পরিপালন পরস্পর সহধর্মী। তাই পরস্পরের প্রতি ভালো ব্যবহার মানবজীবনের অন্যতম ব্রত হওয়া উচিত। মানুষের শোভন ও সুন্দর হয়ে ওঠার জন্য জীবন চলার পথে সুন্দর আচার-ব্যবহারের মানসিকতা চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে।
একে অন্যের সঙ্গে সব সময় হাসিমুখে কথা বলা উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) সব সময় মানুষের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলতেন এবং সর্বোত্তম পন্থায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘অশোভন-অশ্লীল কথা ও আচরণের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। আর যার আচরণ যত সুন্দর তার ইসলাম তত সুন্দর।’ (মুসনাদে আহমদ)
হাসিমুখে কথা বলা বড় পুণ্যের কাজ। সামান্য হাসি দিয়ে সহজেই মানুষকে আপন করা যায়। পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে আপন করে নেওয়া যায়।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।
মানুষের একটি ভালো কথা যেমন একজনের মন জয় করে নিতে পারে, তেমনি একটু খারাপ বা অশোভন আচরণ মনে কষ্ট দিতে পারে। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হিসেবে আমাদের উচিত সর্বদা মানুষের সঙ্গে ভালো ও সুন্দরভাবে কথা বলা।
আর ব্যবহার মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য উপাদান। ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ হিসেবে জগতের সব মানুষ পারস্পরিক সর্বোত্তম ব্যবহার পাওয়ার অধিকার রাখে। সুন্দর ব্যবহার ইসলামে অত্যাবশ্যকীয় ইবাদত হিসেবে গণ্য করা হয়। সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে অন্যের কাছে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারে।
সব মানুষেরই নিজের ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করার জন্য তার ব্যবহার অমায়িক করে গড়ে তোলা দরকার। কেননা, আচার-ব্যবহারের মধ্য দিয়েই মনুষ্যত্বের প্রকৃত পরিচয় ফুটে ওঠে। মানুষ ভালো কথাবার্তা ও আচার-ব্যবহার গঠনের মাধ্যমে নিজেকে শোভন, সুন্দর আর পরিশীলিত করে অন্যের প্রীতিভাজন হয়ে উঠতে পারে।
সবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন, ‘তোমরা পিতা-মাতা, আত্মীয়স্বজন, এতিম, অভাবগ্রস্ত, নিকটতম প্রতিবেশী, দূরবর্তী প্রতিবেশী, সঙ্গী, পথচারী এবং তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করবে।’ (সুরা নিসা: ৩৬)
মানুষের সঙ্গে উত্তম ব্যবহার ও ইসলামি শরিয়া পরিপালন পরস্পর সহধর্মী। তাই পরস্পরের প্রতি ভালো ব্যবহার মানবজীবনের অন্যতম ব্রত হওয়া উচিত। মানুষের শোভন ও সুন্দর হয়ে ওঠার জন্য জীবন চলার পথে সুন্দর আচার-ব্যবহারের মানসিকতা চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে।
একে অন্যের সঙ্গে সব সময় হাসিমুখে কথা বলা উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) সব সময় মানুষের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলতেন এবং সর্বোত্তম পন্থায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘অশোভন-অশ্লীল কথা ও আচরণের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। আর যার আচরণ যত সুন্দর তার ইসলাম তত সুন্দর।’ (মুসনাদে আহমদ)
হাসিমুখে কথা বলা বড় পুণ্যের কাজ। সামান্য হাসি দিয়ে সহজেই মানুষকে আপন করা যায়। পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে আপন করে নেওয়া যায়।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।
কোরআন তিলাওয়াত মোমিনের হৃদয়ের প্রশান্তি ও আত্মার খোরাক। এর প্রতিটি আয়াতে রয়েছে অসীম জ্ঞান, দিকনির্দেশনা ও রহমতের বাণী। কোরআন তিলাওয়াতের মুগ্ধতা অন্তর বিগলিত করে, মনে প্রশান্তি আনে, আত্মা আলোকিত করে। নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত মোমিন জীবনে সার্থকতা এনে দিতে পারে।
১৫ ঘণ্টা আগেমানুষের প্রতি সম্মান একটি মৌলিক মানবিক গুণ, যা সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ভিত্তি গড়ে তোলে। প্রত্যেক মানুষ তার মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, এবং একে অপরকে সম্মান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ধর্ম, বর্ণ, জাতি কিংবা পেশা ভেদে কাউকে ছোট করা মানবতার পরিপন্থী। সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে পারস্পরিক...
২ দিন আগেসপ্তাহের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমাবার। জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ এই দিন অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ—এর অন্যতম কারণ জুমার নামাজ। জুমার নামাজ আদায় করলেই কেবল এই দিনের বরকত, ফজিলত লাভের আশা করা যায়।
২ দিন আগেএক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি।
২ দিন আগে