মাহমুদ হাসান ফাহিম
প্রত্যেক মানুষ তার কৃতকর্মের ফল ভোগ করবে। আমল ভালো হলে সে হবে জান্নাতের মেহমান। আর আমল মন্দ হলে হতে হবে জাহান্নামে কয়েদি। পাপ মানুষকে জাহান্নামি বানায়। কিন্তু ইবাদত-বন্দেগি তথা নামাজ, রোজা ইত্যাদি না করার কারণে যে পরিমাণে মানুষ জাহান্নামে যাবে, তার চেয়ে বেশি মানুষ জাহান্নামে যাবে দুটি পাপের শাস্তিস্বরূপ। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘কোন আমলের কারণে মানুষ বেশি জান্নাতে প্রবেশ করবে?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহর ভয় ও উত্তম আখলাক।’ আবার জিজ্ঞেস করা হলো, ‘কোন কাজের ফলে মানুষ বেশি জাহান্নামে যাবে?’ তিনি বললেন, ‘মুখ ও লজ্জাস্থানের গুনাহের কারণে।’ (সুনানে তিরমিজি: ২০০৪)
মুখ ও লজ্জাস্থান মারাত্মক দুই অঙ্গ। এ দুই অঙ্গ এমন, যা মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনে। সমাজে নানা অপরাধের জন্ম হয় এ দুটির কারণে। এর অপরাধ কতটা মারাত্মক তা নবীজি (সা.)-এর বর্ণিত বাণী থেকে সুস্পষ্ট বোঝা যায়। যদি অস্বাভাবিক ক্ষতির কারণ না হতো, স্বাভাবিক গুনাহের মতোই হতো, তাহলে নবীজি (সা.) এত গুরুত্ব দিয়ে সতর্ক করতেন! ইমাম কুরতুবি (রহ.) তাঁর তাফসিরে লেখেন, দুটি অভ্যাস থেকে যে ব্যক্তি বেঁচে থাকবে প্রিয় নবী (সা.) তার জান্নাতে যাওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। এ সম্পর্কে নবীজি (সা.) নিজেই বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী (জিহ্বা) এবং দুই রানের মাঝখানের (লজ্জাস্থান) হেফাজত করার জিম্মাদারি নেবে, আমি তার জান্নাতের দায়িত্ব নেব।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৩০; তাফসিরে কুরতুবি: ৯ / ৩২৭)
হাদিসে রাসুল (সা.) বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে এই দুই অঙ্গের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার কথা বলেছেন এবং যে ব্যক্তি এই গুনাহ থেকে নিজেকে বিরত রাখবে, তার জান্নাতের দায়িত্বও গ্রহণ করেছেন। তাই আমাদের এখন থেকেই সতর্ক হয়ে এই দুই অঙ্গের যাবতীয় গুনাহ থেকে দূরে থাকা উচিত।
প্রত্যেক মানুষ তার কৃতকর্মের ফল ভোগ করবে। আমল ভালো হলে সে হবে জান্নাতের মেহমান। আর আমল মন্দ হলে হতে হবে জাহান্নামে কয়েদি। পাপ মানুষকে জাহান্নামি বানায়। কিন্তু ইবাদত-বন্দেগি তথা নামাজ, রোজা ইত্যাদি না করার কারণে যে পরিমাণে মানুষ জাহান্নামে যাবে, তার চেয়ে বেশি মানুষ জাহান্নামে যাবে দুটি পাপের শাস্তিস্বরূপ। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘কোন আমলের কারণে মানুষ বেশি জান্নাতে প্রবেশ করবে?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহর ভয় ও উত্তম আখলাক।’ আবার জিজ্ঞেস করা হলো, ‘কোন কাজের ফলে মানুষ বেশি জাহান্নামে যাবে?’ তিনি বললেন, ‘মুখ ও লজ্জাস্থানের গুনাহের কারণে।’ (সুনানে তিরমিজি: ২০০৪)
মুখ ও লজ্জাস্থান মারাত্মক দুই অঙ্গ। এ দুই অঙ্গ এমন, যা মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনে। সমাজে নানা অপরাধের জন্ম হয় এ দুটির কারণে। এর অপরাধ কতটা মারাত্মক তা নবীজি (সা.)-এর বর্ণিত বাণী থেকে সুস্পষ্ট বোঝা যায়। যদি অস্বাভাবিক ক্ষতির কারণ না হতো, স্বাভাবিক গুনাহের মতোই হতো, তাহলে নবীজি (সা.) এত গুরুত্ব দিয়ে সতর্ক করতেন! ইমাম কুরতুবি (রহ.) তাঁর তাফসিরে লেখেন, দুটি অভ্যাস থেকে যে ব্যক্তি বেঁচে থাকবে প্রিয় নবী (সা.) তার জান্নাতে যাওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। এ সম্পর্কে নবীজি (সা.) নিজেই বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী (জিহ্বা) এবং দুই রানের মাঝখানের (লজ্জাস্থান) হেফাজত করার জিম্মাদারি নেবে, আমি তার জান্নাতের দায়িত্ব নেব।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৩০; তাফসিরে কুরতুবি: ৯ / ৩২৭)
হাদিসে রাসুল (সা.) বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে এই দুই অঙ্গের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার কথা বলেছেন এবং যে ব্যক্তি এই গুনাহ থেকে নিজেকে বিরত রাখবে, তার জান্নাতের দায়িত্বও গ্রহণ করেছেন। তাই আমাদের এখন থেকেই সতর্ক হয়ে এই দুই অঙ্গের যাবতীয় গুনাহ থেকে দূরে থাকা উচিত।
মানুষ হিসেবে আমাদের একটি স্বভাবজাত চাহিদা হলো, আমরা নিজেদের প্রশংসা শুনতে খুব পছন্দ করি। প্রশংসা মিথ্যা হলেও বলতে বারণ করি না, শুনতেই থাকি। বরং আরও বেশি কামনা করি। এর বিপরীতে নিন্দা বা সমালোচনা একদমই সহ্য করতে পারি না। চরম বাস্তব ও সত্য হলেও সমালোচককে থামিয়ে দিই। ক্ষমতা থাকলে নিন্দুককে দমিয়ে দিই...
১ ঘণ্টা আগেসুখী সংসার গঠনে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হয়। বিশেষ করে স্বামীকে হতে হয় খুব সচেতন, দায়িত্ববান এবং চিন্তাশীল। ঘরে ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে তাকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করা সচেতন পুরুষের পরিচয়। এটি নবী করিম (সা.)-এর সুন্নত। এতে অত্যন্ত সওয়াবও পাওয়া যায়।
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্বাসভঙ্গের এক নির্মম রূপ বিশ্বাসঘাতকতা বা গাদ্দারি। এটি বিশ্বাসের বন্ধন ছিন্ন করে দেয়। বিশ্বাস মানুষের মনে-প্রাণে আস্থার দেয়াল গড়ে তোলে। আর বিশ্বাসঘাতকতা সেই দেয়ালে আঘাত করে ভেঙে ফেলে সবকিছু।
১০ ঘণ্টা আগেসময়ের এক গাঢ় দুপুরে, জ্ঞান ভুবনের দরজায় এক সন্ন্যাসী দাঁড়িয়ে ছিলেন—নীরব, দীপ্ত, অদ্ভুত নিরাসক্ত। তাঁর হাতে ছিল না কোনো তরবারি, ছিল কেবল এক কলম। তাঁর কণ্ঠে ছিল না কোনো উচ্চারণ, কিন্তু তাঁর লেখা যুগে যুগে উচ্চারিত হয়েছে পৃথিবীর সকল ভাষায়। তিনি ইবনে সিনা। মৃত্যু তাঁকে কেড়ে নেয় ১০৩৭ সালের ২২ জুন...
১ দিন আগে