কাউসার লাবীব
বিশ্বাসভঙ্গের এক নির্মম রূপ বিশ্বাসঘাতকতা বা গাদ্দারি। এটি বিশ্বাসের বন্ধন ছিন্ন করে দেয়। বিশ্বাস মানুষের মনে-প্রাণে আস্থার দেয়াল গড়ে তোলে। আর বিশ্বাসঘাতকতা সেই দেয়ালে আঘাত করে ভেঙে ফেলে সবকিছু। বিশ্বাসঘাতক শুধু একজন মানুষকে ঠকায় না—বরং বিশ্বাসের পুরো ভিত্তিকে নষ্ট করে দেয়। বিশ্বাসঘাতকতা মানবিক সম্পর্কের জন্য এক ভয়ংকর বিপর্যয়। একজন প্রকৃত মুমিনের বৈশিষ্ট্য হলো, প্রতিশ্রুতি ভেঙে সে কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করে না। মানুষের আস্থা নষ্ট করে না। যখন যে প্রতিশ্রুতি করে, তা রক্ষা করে। কেননা, পরকালে মানুষ প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করো, নিশ্চয় প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৩৪)। বিশ্বাসঘাতকতা না করা এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা নবীদের বৈশিষ্ট্য। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘এ কিতাবে উল্লেখিত ইসমাইলের কথা স্মরণ করো, সে ছিল প্রতিশ্রুতি রক্ষায় (দৃঢ়) সত্যবাদী, আর ছিল একজন রাসুল ও নবী।’ (সুরা মারিয়াম: ৫৪)
অপর দিকে প্রতিশ্রুতি ভাঙা, বিশ্বাসঘাতকতা করা মুনাফিকের চরিত্র। মুনাফিক বিশ্বাস ভেঙে গাদ্দারি করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মুনাফিকের চিহ্ন হলো তিনটি—১. কথা বললে মিথ্যা বলে। ২. প্রতিশ্রুতি করলে তা রক্ষা করে না। এবং ৩. আমানত রাখা হলে তাতে খিয়ানত করে। (সহিহ্ বুখারি: ২৬৮২)
বিশ্বাসঘাতকতা মারাত্মক পাপ। দুনিয়া এবং পরকাল উভয় জায়গাতেই বিশ্বাসঘাতকের জন্য লাঞ্ছনা। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের জন্য একটি করে (বিশেষ) পতাকা নির্দিষ্ট হবে। বলা হবে—এটা অমুক ব্যক্তির (বিশ্বাসঘাতকের) প্রতীক।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬১৭৮)।
যদি কারও সঙ্গে কোনো চুক্তি থাকে, তাহলে তা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে। বিশ্বাসঘাতকতা করা যাবে না। এমনকি অমুসলিমের সঙ্গে করা চুক্তিও বিশ্বাসঘাতকতা করে ভাঙা যাবে না—যদি সেই অমুসলিম চুক্তিভঙ্গের কোনো কাজ না করে। আবু বাকরা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অকারণে কোনো চুক্তিবদ্ধ ব্যক্তিকে হত্যা করবে, তার জন্য আল্লাহ তাআলা জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৭৬০)
বিশ্বাসভঙ্গের এক নির্মম রূপ বিশ্বাসঘাতকতা বা গাদ্দারি। এটি বিশ্বাসের বন্ধন ছিন্ন করে দেয়। বিশ্বাস মানুষের মনে-প্রাণে আস্থার দেয়াল গড়ে তোলে। আর বিশ্বাসঘাতকতা সেই দেয়ালে আঘাত করে ভেঙে ফেলে সবকিছু। বিশ্বাসঘাতক শুধু একজন মানুষকে ঠকায় না—বরং বিশ্বাসের পুরো ভিত্তিকে নষ্ট করে দেয়। বিশ্বাসঘাতকতা মানবিক সম্পর্কের জন্য এক ভয়ংকর বিপর্যয়। একজন প্রকৃত মুমিনের বৈশিষ্ট্য হলো, প্রতিশ্রুতি ভেঙে সে কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করে না। মানুষের আস্থা নষ্ট করে না। যখন যে প্রতিশ্রুতি করে, তা রক্ষা করে। কেননা, পরকালে মানুষ প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করো, নিশ্চয় প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৩৪)। বিশ্বাসঘাতকতা না করা এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা নবীদের বৈশিষ্ট্য। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘এ কিতাবে উল্লেখিত ইসমাইলের কথা স্মরণ করো, সে ছিল প্রতিশ্রুতি রক্ষায় (দৃঢ়) সত্যবাদী, আর ছিল একজন রাসুল ও নবী।’ (সুরা মারিয়াম: ৫৪)
অপর দিকে প্রতিশ্রুতি ভাঙা, বিশ্বাসঘাতকতা করা মুনাফিকের চরিত্র। মুনাফিক বিশ্বাস ভেঙে গাদ্দারি করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মুনাফিকের চিহ্ন হলো তিনটি—১. কথা বললে মিথ্যা বলে। ২. প্রতিশ্রুতি করলে তা রক্ষা করে না। এবং ৩. আমানত রাখা হলে তাতে খিয়ানত করে। (সহিহ্ বুখারি: ২৬৮২)
বিশ্বাসঘাতকতা মারাত্মক পাপ। দুনিয়া এবং পরকাল উভয় জায়গাতেই বিশ্বাসঘাতকের জন্য লাঞ্ছনা। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের জন্য একটি করে (বিশেষ) পতাকা নির্দিষ্ট হবে। বলা হবে—এটা অমুক ব্যক্তির (বিশ্বাসঘাতকের) প্রতীক।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬১৭৮)।
যদি কারও সঙ্গে কোনো চুক্তি থাকে, তাহলে তা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে। বিশ্বাসঘাতকতা করা যাবে না। এমনকি অমুসলিমের সঙ্গে করা চুক্তিও বিশ্বাসঘাতকতা করে ভাঙা যাবে না—যদি সেই অমুসলিম চুক্তিভঙ্গের কোনো কাজ না করে। আবু বাকরা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অকারণে কোনো চুক্তিবদ্ধ ব্যক্তিকে হত্যা করবে, তার জন্য আল্লাহ তাআলা জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৭৬০)
সময়ের এক গাঢ় দুপুরে, জ্ঞান ভুবনের দরজায় এক সন্ন্যাসী দাঁড়িয়ে ছিলেন—নীরব, দীপ্ত, অদ্ভুত নিরাসক্ত। তাঁর হাতে ছিল না কোনো তরবারি, ছিল কেবল এক কলম। তাঁর কণ্ঠে ছিল না কোনো উচ্চারণ, কিন্তু তাঁর লেখা যুগে যুগে উচ্চারিত হয়েছে পৃথিবীর সকল ভাষায়। তিনি ইবনে সিনা। মৃত্যু তাঁকে কেড়ে নেয় ১০৩৭ সালের ২২ জুন...
১৬ ঘণ্টা আগেঘুম জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। শরীরের ক্লান্তি আর অবসাদ দূর হয় ঘুমে। ঘুমোলেই ভেসে ওঠে নানা স্বপ্ন। কখনো ভয়ের, কখনো আসার কখনোবা আনন্দের। কোন স্বপ্ন দেখলে করণীয় কী—সে বিষয়ে রয়েছে ইসলামের নির্দেশনা।
১ দিন আগেজান্নাত লাভের বহু পথ-পদ্ধতি কোরআন-হাদিসে বর্ণিত আছে। এমন চারটি আমল রয়েছে; যা করলে নির্বিঘ্নে জান্নাত যাওয়া যাবে। হজরত আবু ইউসুফ আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, হে লোক সকল—
১ দিন আগেসন্তানকে ইবাদতে উৎসাহ দেওয়া মা-বাবার মহান দায়িত্ব। ছোটবেলা থেকেই নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে তারা পরবর্তী জীবনে নীতিমান ও ধার্মিক হয়ে বেড়ে ওঠে। খেলার ছলে নামাজের ভঙ্গি শেখানো, দোয়া মুখস্থ করানো, পরিবারের সঙ্গে ইবাদতে অংশ নিতে বলা—এগুলো তাদের মনে ধর্মীয় চেতনা গড়ে তোলে।
১ দিন আগে