কাউসার লাবীব
সুখী সংসার গঠনে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হয়। বিশেষ করে স্বামীকে হতে হয় খুব সচেতন, দায়িত্ববান এবং চিন্তাশীল। ঘরে ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে তাকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করা সচেতন পুরুষের পরিচয়। এটি নবী করিম (সা.)-এর সুন্নত। এতে অত্যন্ত সওয়াবও পাওয়া যায়।
আমাদের নবী করিম (সা.) বাইরের যাবতীয় দায়িত্ব সুচারুভাবে আঞ্জাম দেওয়ার পাশাপাশি ঘরের কাজে সহযোগিতা করতেন। নিজের অনেক কাজ নিজেই করতেন।
উম্মুল মোমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) নিজের কাপড় নিজে সেলাই করতেন, জুতা মেরামত এবং সাংসারিক যাবতীয় কাজ করতেন।’ (ফাতহুল বারি: ১৩/৭০, মুসনাদে আহমদ: ২৩৭৫৬)
একবার আয়েশা সিদ্দিকা (রা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘আল্লাহর রাসুল কি পরিবারের লোকদের ঘরোয়া কাজে সহযোগিতা করতেন?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, আল্লাহর রাসুল ঘরের লোকদের তাদের কাজে সহযোগিতা করতেন এবং নামাজের সময় হলে নামাজের জন্য যেতেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৭৬)
উম্মুল মোমিনিন হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে এসেছে, আল্লাহর রাসুল (সা.) নিজের কাপড়ের উকুন পরিষ্কার করতেন, বকরির দুধ দোহন করতেন এবং নিজের কাজ নিজেই করতেন।’ (মুসনাদ আহমদ: ২৬১৯৪)
ঘরের কাজে সহায়তা কোনো ছোট কাজ নয়; এটি ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ ও সমতার প্রতীক। এমন সহযোগিতা শান্তিপূর্ণ দাম্পত্য জীবনের অন্যতম চাবিকাঠি। এসব হাদিস থেকে বোঝা যায়, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজ হাতে ঘরের কাজ করতেন। এটি আমাদের সমাজের পুরুষদের জন্য শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।
স্ত্রী রান্না করার সময় তার সঙ্গ দেওয়া, স্ত্রী ঘরের কাজ করার সময় সন্তানদের আগলে রাখা, ছুটির দিনে ঘরের কাজে নিজে অংশ নেওয়া—পরিবার-পরিজন ও সংসারের প্রতি ভালোবাসার পরিচয় বহন করে। পরিবার-পরিজনের জন্য হৃদয়ে মায়া-দয়া লালন করা প্রিয় নবী (সা.)-এর বৈশিষ্ট্য।
সাহাবি হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, ‘পরিবার পরিজনের প্রতি রাসুল (সা.)-এর মতো দয়াবান আমি আর কাউকে দেখিনি।’ (সহিহ্ ইবনে হিব্বান: ৫৯৫০)
এ ছাড়া অফিস বা বাইরের কাজ শেষে দ্রুত বাসায় ফিরে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, ছুটির দিনগুলোতে পরিবারকে সময় দেওয়ার প্রতি নবী করিম (সা.) খুব গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এতে রয়েছে দুনিয়া ও পরকালের মুক্তির পথ।
হজরত উকবা ইবনে আমির (রা.) বলেন, আমি একবার আল্লাহর রাসুলের কাছে জানতে চাইলাম—‘উভয় জাহানের মুক্তির পথ কী?’ উত্তরে তিনি আমাকে তিনটি উপদেশ দিয়েছেন। এর মধ্যে একটি ছিল—‘তুমি পরিবারের সঙ্গে তোমার অবস্থান দীর্ঘ করবে।’ (জামে তিরমিজি: ২৪০৬)
সুখী সংসার গঠনে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হয়। বিশেষ করে স্বামীকে হতে হয় খুব সচেতন, দায়িত্ববান এবং চিন্তাশীল। ঘরে ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে তাকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করা সচেতন পুরুষের পরিচয়। এটি নবী করিম (সা.)-এর সুন্নত। এতে অত্যন্ত সওয়াবও পাওয়া যায়।
আমাদের নবী করিম (সা.) বাইরের যাবতীয় দায়িত্ব সুচারুভাবে আঞ্জাম দেওয়ার পাশাপাশি ঘরের কাজে সহযোগিতা করতেন। নিজের অনেক কাজ নিজেই করতেন।
উম্মুল মোমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) নিজের কাপড় নিজে সেলাই করতেন, জুতা মেরামত এবং সাংসারিক যাবতীয় কাজ করতেন।’ (ফাতহুল বারি: ১৩/৭০, মুসনাদে আহমদ: ২৩৭৫৬)
একবার আয়েশা সিদ্দিকা (রা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘আল্লাহর রাসুল কি পরিবারের লোকদের ঘরোয়া কাজে সহযোগিতা করতেন?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, আল্লাহর রাসুল ঘরের লোকদের তাদের কাজে সহযোগিতা করতেন এবং নামাজের সময় হলে নামাজের জন্য যেতেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৭৬)
উম্মুল মোমিনিন হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে এসেছে, আল্লাহর রাসুল (সা.) নিজের কাপড়ের উকুন পরিষ্কার করতেন, বকরির দুধ দোহন করতেন এবং নিজের কাজ নিজেই করতেন।’ (মুসনাদ আহমদ: ২৬১৯৪)
ঘরের কাজে সহায়তা কোনো ছোট কাজ নয়; এটি ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ ও সমতার প্রতীক। এমন সহযোগিতা শান্তিপূর্ণ দাম্পত্য জীবনের অন্যতম চাবিকাঠি। এসব হাদিস থেকে বোঝা যায়, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজ হাতে ঘরের কাজ করতেন। এটি আমাদের সমাজের পুরুষদের জন্য শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।
স্ত্রী রান্না করার সময় তার সঙ্গ দেওয়া, স্ত্রী ঘরের কাজ করার সময় সন্তানদের আগলে রাখা, ছুটির দিনে ঘরের কাজে নিজে অংশ নেওয়া—পরিবার-পরিজন ও সংসারের প্রতি ভালোবাসার পরিচয় বহন করে। পরিবার-পরিজনের জন্য হৃদয়ে মায়া-দয়া লালন করা প্রিয় নবী (সা.)-এর বৈশিষ্ট্য।
সাহাবি হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, ‘পরিবার পরিজনের প্রতি রাসুল (সা.)-এর মতো দয়াবান আমি আর কাউকে দেখিনি।’ (সহিহ্ ইবনে হিব্বান: ৫৯৫০)
এ ছাড়া অফিস বা বাইরের কাজ শেষে দ্রুত বাসায় ফিরে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, ছুটির দিনগুলোতে পরিবারকে সময় দেওয়ার প্রতি নবী করিম (সা.) খুব গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এতে রয়েছে দুনিয়া ও পরকালের মুক্তির পথ।
হজরত উকবা ইবনে আমির (রা.) বলেন, আমি একবার আল্লাহর রাসুলের কাছে জানতে চাইলাম—‘উভয় জাহানের মুক্তির পথ কী?’ উত্তরে তিনি আমাকে তিনটি উপদেশ দিয়েছেন। এর মধ্যে একটি ছিল—‘তুমি পরিবারের সঙ্গে তোমার অবস্থান দীর্ঘ করবে।’ (জামে তিরমিজি: ২৪০৬)
পবিত্র কোরআন—যে গ্রন্থের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে মুমিন হৃদয়। দিশেহারা মানুষ পায় সঠিক পথের দিশা। এ গ্রন্থে রয়েছে উপদেশ গ্রহণে আগ্রহীদের জন্য অনন্য উপদেশ। আর যারা মুখ ফিরিয়ে নেয় কোরআন থেকে, তাদের জন্য এতে বর্ণিত হয়েছে সতর্কবার্তা।
২ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগেইসলামের বিচারব্যবস্থায় বৈষম্যের কোনো স্থান নেই। বিচারের রায় কার্যকরে বিশ্বনবী (সা.) আপনজন-ভিন্নজন, স্বজাতি-বিজাতি এবং দেশি-বিদেশি কারও মাঝেই কোনো ধরনের ভেদাভেদকে প্রশ্রয় দিতেন না। মক্কা বিজয়ের সময় আরবের সবচেয়ে কুলীন বংশ কুরাইশ গোত্রের এক মহিলা চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত হন।
১৬ ঘণ্টা আগেমানুষের মুখের ভাষা তার অন্তরের প্রতিচ্ছবি। একজন মুমিনের মুখের ভাষা শুধু তার ব্যক্তিগত আচরণ নয়; বরং তার ইমান, চরিত্র এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের পরিচায়ক। ইসলাম এমন একটি জীবনব্যবস্থা, যা মানুষের প্রতিটি দিককে শুদ্ধ ও সুন্দর করার শিক্ষা দেয়। মুখের ভাষা তার অন্যতম।
১ দিন আগে