অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এই পদক্ষেপ শুধু মধ্যপ্রাচ্যের শক্তির ভারসাম্যকেই নাড়িয়ে দেয়নি, বরং এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব রাজনীতিতেও। মস্কো থেকে এর প্রতিক্রিয়া এসেছে দ্রুত ও তীব্রভাবে। রুশ রাজনীতিক ও বিশ্লেষকেরা এই হামলাকে একটি গুরুতর মোড় হিসেবেই দেখছেন। কেউ এটিকে ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু’ বলছেন, আবার কেউ বলছেন, ‘ইরানের পতন হলে, রাশিয়া তার পরই’।
উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে রাশিয়া ইন গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের সম্পাদক ফিয়োদর লুকিয়ানভের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ইরান সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য না করেই ইসরায়েলের ওপর হামলা বাড়াতে পারে। কারণ, আমেরিকার সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে গেলে তা একটি দীর্ঘ যুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে। এই সুযোগে ইসরায়েল ট্রাম্পকে আরও চাপ দিতে পারে, যেন ইরানে শাসন পরিবর্তন নিশ্চিত হয়।
রুশ রাজনীতি বিশ্লেষক তিগরান মেলোইয়ান বলছেন, ইরান কিছু না করলে তা দুর্বলতার বার্তা দেবে। তাই তারা হয়তো প্রতিশোধ নেবে। তবে তা হবে মেপে। আরেকটি সম্ভাবনা হলো, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার প্রতিরোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকে সরে যেতে পারে। তবে তাতে চীন-রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার ঝুঁকি আছে।
রাশিয়ার ফেডারেশন কাউন্সিলের ভাইস স্পিকার কনস্টান্টিন কোসাচেভ স্পষ্ট করে বলেছেন—ইরাক, লিবিয়া ও ইরানের মতো দেশগুলো পারমাণবিক শক্তি না থাকায় সহজে হামলার শিকার হয়েছে। কিন্তু ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া ও ইসরায়েলের মতো অস্ত্রধারী দেশগুলোকে কেউ ছুঁয়ে দেখে না। এ থেকেই স্পষ্ট, আত্মরক্ষার জন্য পারমাণবিক শক্তি অর্জনই নিরাপত্তার একমাত্র ভরসা হয়ে উঠছে।
এদিকে প্রভাবশালী রুশ দার্শনিক আলেকজান্ডার দুগিন মত দিয়েছেন, ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র যখন ইরানকে আক্রমণ করতে পারে, তখন রাশিয়াকেও রেহাই দেবে না। এই আশঙ্কা থেকে তিনি বলেন, ‘আমরা (রাশিয়া) যুদ্ধের মধ্যেই আছি। প্রশ্ন হচ্ছে, লড়ব কীভাবে।’
সের্গেই মার্কভ মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র এত দিন ইরানে হামলা করেনি হিজবুল্লাহ বা ইরানের অনুগত ছায়া যোদ্ধাদের ভয়ে। কিন্তু লেবাননে ইসরায়েল তাদের কোণঠাসা করায় ইরানে হামলার পথ সুগম হয়েছে। তাঁর মতে, বেশি বেশি ‘শান্তির চর্চা’ ইরানকে যুদ্ধের মুখে ফেলেছে।
এই পরিস্থিতিতে রুশ কর্তৃপক্ষ তথা মস্কো মনে করছে, শুধু নিন্দা বা জাতিসংঘের পথে কিছু হবে না; বরং এখন প্রশ্ন, রাশিয়া কীভাবে নিজেদের ভবিষ্যৎ রক্ষা করবে। রুশ বিশ্লেষকদের মতে, যদি ইরান টিকে না থাকে, তাহলে রাশিয়াও নিরাপদ নয়। তাই তাঁদের মতে, এখন সময় নতুনভাবে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার।
ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এই পদক্ষেপ শুধু মধ্যপ্রাচ্যের শক্তির ভারসাম্যকেই নাড়িয়ে দেয়নি, বরং এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব রাজনীতিতেও। মস্কো থেকে এর প্রতিক্রিয়া এসেছে দ্রুত ও তীব্রভাবে। রুশ রাজনীতিক ও বিশ্লেষকেরা এই হামলাকে একটি গুরুতর মোড় হিসেবেই দেখছেন। কেউ এটিকে ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু’ বলছেন, আবার কেউ বলছেন, ‘ইরানের পতন হলে, রাশিয়া তার পরই’।
উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে রাশিয়া ইন গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের সম্পাদক ফিয়োদর লুকিয়ানভের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ইরান সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য না করেই ইসরায়েলের ওপর হামলা বাড়াতে পারে। কারণ, আমেরিকার সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে গেলে তা একটি দীর্ঘ যুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে। এই সুযোগে ইসরায়েল ট্রাম্পকে আরও চাপ দিতে পারে, যেন ইরানে শাসন পরিবর্তন নিশ্চিত হয়।
রুশ রাজনীতি বিশ্লেষক তিগরান মেলোইয়ান বলছেন, ইরান কিছু না করলে তা দুর্বলতার বার্তা দেবে। তাই তারা হয়তো প্রতিশোধ নেবে। তবে তা হবে মেপে। আরেকটি সম্ভাবনা হলো, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার প্রতিরোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকে সরে যেতে পারে। তবে তাতে চীন-রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার ঝুঁকি আছে।
রাশিয়ার ফেডারেশন কাউন্সিলের ভাইস স্পিকার কনস্টান্টিন কোসাচেভ স্পষ্ট করে বলেছেন—ইরাক, লিবিয়া ও ইরানের মতো দেশগুলো পারমাণবিক শক্তি না থাকায় সহজে হামলার শিকার হয়েছে। কিন্তু ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া ও ইসরায়েলের মতো অস্ত্রধারী দেশগুলোকে কেউ ছুঁয়ে দেখে না। এ থেকেই স্পষ্ট, আত্মরক্ষার জন্য পারমাণবিক শক্তি অর্জনই নিরাপত্তার একমাত্র ভরসা হয়ে উঠছে।
এদিকে প্রভাবশালী রুশ দার্শনিক আলেকজান্ডার দুগিন মত দিয়েছেন, ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র যখন ইরানকে আক্রমণ করতে পারে, তখন রাশিয়াকেও রেহাই দেবে না। এই আশঙ্কা থেকে তিনি বলেন, ‘আমরা (রাশিয়া) যুদ্ধের মধ্যেই আছি। প্রশ্ন হচ্ছে, লড়ব কীভাবে।’
সের্গেই মার্কভ মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র এত দিন ইরানে হামলা করেনি হিজবুল্লাহ বা ইরানের অনুগত ছায়া যোদ্ধাদের ভয়ে। কিন্তু লেবাননে ইসরায়েল তাদের কোণঠাসা করায় ইরানে হামলার পথ সুগম হয়েছে। তাঁর মতে, বেশি বেশি ‘শান্তির চর্চা’ ইরানকে যুদ্ধের মুখে ফেলেছে।
এই পরিস্থিতিতে রুশ কর্তৃপক্ষ তথা মস্কো মনে করছে, শুধু নিন্দা বা জাতিসংঘের পথে কিছু হবে না; বরং এখন প্রশ্ন, রাশিয়া কীভাবে নিজেদের ভবিষ্যৎ রক্ষা করবে। রুশ বিশ্লেষকদের মতে, যদি ইরান টিকে না থাকে, তাহলে রাশিয়াও নিরাপদ নয়। তাই তাঁদের মতে, এখন সময় নতুনভাবে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার।
‘এই লোক বলেন এক কথা, করেন ঠিক আরেকটা’—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে বাংকার বাস্টার বোমা ফেলবেন কি না, তা নিয়ে যখন ব্যাপক গুঞ্জন; তখনই এ মন্তব্য করেন এক রাজনৈতিক ভাষ্যকার। ট্রাম্পের কাজকর্মের ধরন সম্পর্কে তাঁর এ কথায় একমত লোকের অভাব হবে না, তা ভরসা নিয়েই বলা যায়। আর জনমনের সেই ধারণা সত্যি
২১ মিনিট আগেইরানের ফোরদো পরমাণু স্থাপনার মূল কার্যক্রম চলত পাহাড়ের ৮০ থেকে ৯০ মিটার নিচে। ইরানের কোম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এই স্থাপনার অবস্থান। বলা হয়ে থাকে, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মূল কার্যক্রম চলত এ কেন্দ্রে। এটি ছাড়াও শনিবার দিবাগত রাতে আরও দুটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।
২৮ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি ইরানে গিয়ে হামলা চালাল বি-টু বোমারু বিমান। দেশটির মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে গত শনিবার দিবাগত রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় এই বিমান। এর মধ্য দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বহরে থাকা অন্যতম সেরা বোমারু বিমানটি।
৩২ মিনিট আগেইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে গত শনিবার দিবাগত রাতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, খুব সফলভাবে অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে। তবে ইরানের দাবি, মার্কিন বোমায় পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৩৭ মিনিট আগে