নাঈমুল হাসান তানযীম
পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কিছু নফল নামাজ রয়েছে। কোরআন-হাদিসে সেসব নামাজের ব্যাপারে অনেক ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত ও আওয়াবিন সেসব নফল নামাজের মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
তাহাজ্জুদ: তাহাজ্জুদ হচ্ছে শেষ রাতের নামাজ। এ নামাজের ব্যাপারে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ প্রতি রাতেই নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন। যখন রাতের শেষ তৃতীয় ভাগ অবশিষ্ট থাকে, তখন তিনি বলতে থাকেন—কে আছো যে আমায় ডাকবে, আর আমি তার ডাকে সাড়া দেব? কে আছো যে আমার কাছে কিছু চাইবে, আর আমি তাকে তা দান করব? কে আছো যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আর আমি তাকে ক্ষমা করব?’ (বুখারি: ১১৪৫)
ইশরাক: ইশরাকের নামাজ ফজরের পরে পড়তে হয়। সূর্যোদয়ের ২০ মিনিট পর থেকে এ নামাজ আদায় করা যায়। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ইশরাকের নামাজ পড়ে, তার সারা দিনের সব প্রয়োজনের জন্য আল্লাহ তাআলা যথেষ্ট হয়ে যান।’ (আত তারগিব ওয়াত তারহিব: ১০০৯)
চাশত: চাশতের নামাজ ফজর ও জোহরের নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে পড়া হয়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে তিনটি বিষয়ে অসিয়ত করেছেন, যা আমি মৃত্যু পর্যন্ত কখনো ছাড়ব না—১. প্রতি মাসের তিনটি রোজা, ২. চাশতের নামাজ ও ৩. ঘুমাতে যাওয়ার আগে বিতর নামাজ আদায় করা।’ (বুখারি: ১৩৭৫)
আওয়াবিন: আওয়াবিন হচ্ছে মাগরিবের নামাজ-পরবর্তী নফল নামাজ। মাগরিবের নামাজের পর কমপক্ষে ৬ রাকাত এবং সর্বোচ্চ ২০ রাকাত আওয়াবিন নামাজ আদায় করা যায়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মাগরিবের পর ছয় রাকাত নামাজ পড়ে এবং কোনো মন্দ কথা না বলে; তাহলে সে ১২ বছরের ইবাদতের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে।’ (তিরমিজি: ৪৩৫)
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক
পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কিছু নফল নামাজ রয়েছে। কোরআন-হাদিসে সেসব নামাজের ব্যাপারে অনেক ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত ও আওয়াবিন সেসব নফল নামাজের মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
তাহাজ্জুদ: তাহাজ্জুদ হচ্ছে শেষ রাতের নামাজ। এ নামাজের ব্যাপারে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ প্রতি রাতেই নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন। যখন রাতের শেষ তৃতীয় ভাগ অবশিষ্ট থাকে, তখন তিনি বলতে থাকেন—কে আছো যে আমায় ডাকবে, আর আমি তার ডাকে সাড়া দেব? কে আছো যে আমার কাছে কিছু চাইবে, আর আমি তাকে তা দান করব? কে আছো যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আর আমি তাকে ক্ষমা করব?’ (বুখারি: ১১৪৫)
ইশরাক: ইশরাকের নামাজ ফজরের পরে পড়তে হয়। সূর্যোদয়ের ২০ মিনিট পর থেকে এ নামাজ আদায় করা যায়। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ইশরাকের নামাজ পড়ে, তার সারা দিনের সব প্রয়োজনের জন্য আল্লাহ তাআলা যথেষ্ট হয়ে যান।’ (আত তারগিব ওয়াত তারহিব: ১০০৯)
চাশত: চাশতের নামাজ ফজর ও জোহরের নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে পড়া হয়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে তিনটি বিষয়ে অসিয়ত করেছেন, যা আমি মৃত্যু পর্যন্ত কখনো ছাড়ব না—১. প্রতি মাসের তিনটি রোজা, ২. চাশতের নামাজ ও ৩. ঘুমাতে যাওয়ার আগে বিতর নামাজ আদায় করা।’ (বুখারি: ১৩৭৫)
আওয়াবিন: আওয়াবিন হচ্ছে মাগরিবের নামাজ-পরবর্তী নফল নামাজ। মাগরিবের নামাজের পর কমপক্ষে ৬ রাকাত এবং সর্বোচ্চ ২০ রাকাত আওয়াবিন নামাজ আদায় করা যায়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মাগরিবের পর ছয় রাকাত নামাজ পড়ে এবং কোনো মন্দ কথা না বলে; তাহলে সে ১২ বছরের ইবাদতের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে।’ (তিরমিজি: ৪৩৫)
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক
সময়ের এক গাঢ় দুপুরে, জ্ঞান ভুবনের দরজায় এক সন্ন্যাসী দাঁড়িয়ে ছিলেন—নীরব, দীপ্ত, অদ্ভুত নিরাসক্ত। তাঁর হাতে ছিল না কোনো তরবারি, ছিল কেবল এক কলম। তাঁর কণ্ঠে ছিল না কোনো উচ্চারণ, কিন্তু তাঁর লেখা যুগে যুগে উচ্চারিত হয়েছে পৃথিবীর সকল ভাষায়। তিনি ইবনে সিনা। মৃত্যু তাঁকে কেড়ে নেয় ১০৩৭ সালের ২২ জুন...
২৯ মিনিট আগেঘুম জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। শরীরের ক্লান্তি আর অবসাদ দূর হয় ঘুমে। ঘুমোলেই ভেসে ওঠে নানা স্বপ্ন। কখনো ভয়ের, কখনো আসার কখনোবা আনন্দের। কোন স্বপ্ন দেখলে করণীয় কী—সে বিষয়ে রয়েছে ইসলামের নির্দেশনা।
৬ ঘণ্টা আগেজান্নাত লাভের বহু পথ-পদ্ধতি কোরআন-হাদিসে বর্ণিত আছে। এমন চারটি আমল রয়েছে; যা করলে নির্বিঘ্নে জান্নাত যাওয়া যাবে। হজরত আবু ইউসুফ আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, হে লোক সকল—
৭ ঘণ্টা আগেসন্তানকে ইবাদতে উৎসাহ দেওয়া মা-বাবার মহান দায়িত্ব। ছোটবেলা থেকেই নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে তারা পরবর্তী জীবনে নীতিমান ও ধার্মিক হয়ে বেড়ে ওঠে। খেলার ছলে নামাজের ভঙ্গি শেখানো, দোয়া মুখস্থ করানো, পরিবারের সঙ্গে ইবাদতে অংশ নিতে বলা—এগুলো তাদের মনে ধর্মীয় চেতনা গড়ে তোলে।
১২ ঘণ্টা আগে