ইসলাম ডেস্ক
কারবালার যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসের হাজারো করুণ ও হূদয়বিদারক ঘটনার একটি। ৬১ হিজরির ১০ মহররম কারবালার ময়দানে ইমাম হোসাইন (রা.) ও ইয়াজিদ বাহিনীর মধ্যে এক অসম যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই ঘটনার নেপথ্যে যারা কাজ করছে তারা ইতিহাসের পাতায় ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে পরিচিত হয়ে আছে।
ইয়াজিদ শাসনভার গ্রহণের পর উমাইয়া শাসনের অধীনে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে পৌঁছেছিল। তখন ইমাম হুসাইন (রা.) খেলাফতের পুনর্জীবন এবং নৈতিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের লক্ষ্যে মক্কা থেকে কুফার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। এর পেছনে ছিল কুফাবাসীর আহ্বান।
কারবালার ঘটনার পেছনে অন্যতম কারণ ছিল কুফাবাসীর বিশ্বাসঘাতকতা। কুফাবাসী ইয়াজিদের শাসনের বিরুদ্ধে হজরত ইমাম হুসাইন (রা.)-কে নেতা হিসেবে আহ্বান জানায়। তবে পরে তারা ভীত হয়ে তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে। পথিমধ্যে ইয়াজিদ ইমাম হুসাইনকে আটকে ফেলার নির্দেশ দেয়। কারবালা নামক স্থানে হুসাইনি কাফেলাকে অবরোধ করা হয়। তখন ইমাম হুসাইন (রা.) ইয়াজিদ বাহিনীকে তিনটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ১. তাঁকে মদিনায় ফিরে যেতে দেওয়া হোক। ২. সীমান্তে গিয়ে জীবন কাটাতে দেওয়া হোক। ৩. এ দুটোর একটিও না হলে ইয়াজিদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার সুযোগ দেওয়া হোক। কিন্তু নিষ্ঠুর ওবায়দুল্লাহ ইবনে জিয়াদ নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের আহ্বান থেকে এক চুলও সরে আসেনি।
ঐতিহাসিকেরা লেখেন, ১০ মহররম, ফজরের নামাজের পর ইয়াজিদের চার হাজার সৈন্য ইমাম হুসাইন (রা.) ও তাঁর পরিবারকে পানি সরবরাহ বন্ধ রেখে ঘিরে ফেলে। এ দিন দুপুর পর্যন্ত এক অসম যুদ্ধ চলে। ইমাম হুসাইন (রা.) একে একে তাঁর পরিবার ও অনুচরদের শাহাদত প্রত্যক্ষ করেন। শেষে তিনি নিজেও শাহাদত বরণ করেন। হজরত হুসাইন (রা.)-এর শাহাদত এতটাই নির্মম ছিল যে, শরীরে ৩৩টি বর্শা, ৩৪টি তরবারির আঘাত এবং অসংখ্য তীরের ক্ষত চিহ্ন পাওয়া যায়।
কুফার গভর্নর উবায়দুল্লাহ ইবনে জিয়াদের নেতৃত্বে ইমাম হুসাইন (রা.)-এর ওপর আক্রমণ হয়েছিল। শিমার নামক এক পাপিষ্ঠ নবীজির আদরের ফুল, হজরত ফাতেমার আদরের দুলাল, জান্নাতের যুবকদের সরদার হজরত হুসাইন (রা.)-এর গলায় ছুরি চালিয়েছিল। হত্যাকারী ছিল সিনান ইবনে আনাস নাখায়ি, এবং সহযোগী হিসেবে ছিল খাওলি ইবনে ইয়াজিদ। ইমাম হুসাইনের মাথা দেহ থেকে আলাদা করে দামেস্কে ইয়াজিদের দরবারে পাঠানো হয়েছিল।
ইমাম হুসাইন (রা.)-এর শাহাদত ইয়াজিদের জন্য এক ভয়ংকর পরিণতি ডেকে আনে। ইসলামি ইতিহাসে ইয়াজিদের মৃত্যু রহস্যজনকভাবে ঘটে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কেউ বলেন, বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে, কেউ বলেন পানির পিপাসায় বা দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। সব মতেই এটি একটি করুণ ও অপমানজনক মৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর তাঁর পুত্র দ্বিতীয় মুআবিয়া মাত্র তিন মাসেই মৃত্যুবরণ করেন এবং উমাইয়া শাসনের এই অযাচিত অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটে।
এ ছাড়া কারবালার এ মর্মান্তিক হত্যায় জড়িত প্রতিটি ব্যক্তি কয়েক বছরের মধ্যেই মুখতার সাকাফির বাহিনীর হাতে লজ্জাজনকভাবে নিহত হয়।
কারবালার যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসের হাজারো করুণ ও হূদয়বিদারক ঘটনার একটি। ৬১ হিজরির ১০ মহররম কারবালার ময়দানে ইমাম হোসাইন (রা.) ও ইয়াজিদ বাহিনীর মধ্যে এক অসম যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই ঘটনার নেপথ্যে যারা কাজ করছে তারা ইতিহাসের পাতায় ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে পরিচিত হয়ে আছে।
ইয়াজিদ শাসনভার গ্রহণের পর উমাইয়া শাসনের অধীনে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে পৌঁছেছিল। তখন ইমাম হুসাইন (রা.) খেলাফতের পুনর্জীবন এবং নৈতিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের লক্ষ্যে মক্কা থেকে কুফার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। এর পেছনে ছিল কুফাবাসীর আহ্বান।
কারবালার ঘটনার পেছনে অন্যতম কারণ ছিল কুফাবাসীর বিশ্বাসঘাতকতা। কুফাবাসী ইয়াজিদের শাসনের বিরুদ্ধে হজরত ইমাম হুসাইন (রা.)-কে নেতা হিসেবে আহ্বান জানায়। তবে পরে তারা ভীত হয়ে তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে। পথিমধ্যে ইয়াজিদ ইমাম হুসাইনকে আটকে ফেলার নির্দেশ দেয়। কারবালা নামক স্থানে হুসাইনি কাফেলাকে অবরোধ করা হয়। তখন ইমাম হুসাইন (রা.) ইয়াজিদ বাহিনীকে তিনটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ১. তাঁকে মদিনায় ফিরে যেতে দেওয়া হোক। ২. সীমান্তে গিয়ে জীবন কাটাতে দেওয়া হোক। ৩. এ দুটোর একটিও না হলে ইয়াজিদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার সুযোগ দেওয়া হোক। কিন্তু নিষ্ঠুর ওবায়দুল্লাহ ইবনে জিয়াদ নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের আহ্বান থেকে এক চুলও সরে আসেনি।
ঐতিহাসিকেরা লেখেন, ১০ মহররম, ফজরের নামাজের পর ইয়াজিদের চার হাজার সৈন্য ইমাম হুসাইন (রা.) ও তাঁর পরিবারকে পানি সরবরাহ বন্ধ রেখে ঘিরে ফেলে। এ দিন দুপুর পর্যন্ত এক অসম যুদ্ধ চলে। ইমাম হুসাইন (রা.) একে একে তাঁর পরিবার ও অনুচরদের শাহাদত প্রত্যক্ষ করেন। শেষে তিনি নিজেও শাহাদত বরণ করেন। হজরত হুসাইন (রা.)-এর শাহাদত এতটাই নির্মম ছিল যে, শরীরে ৩৩টি বর্শা, ৩৪টি তরবারির আঘাত এবং অসংখ্য তীরের ক্ষত চিহ্ন পাওয়া যায়।
কুফার গভর্নর উবায়দুল্লাহ ইবনে জিয়াদের নেতৃত্বে ইমাম হুসাইন (রা.)-এর ওপর আক্রমণ হয়েছিল। শিমার নামক এক পাপিষ্ঠ নবীজির আদরের ফুল, হজরত ফাতেমার আদরের দুলাল, জান্নাতের যুবকদের সরদার হজরত হুসাইন (রা.)-এর গলায় ছুরি চালিয়েছিল। হত্যাকারী ছিল সিনান ইবনে আনাস নাখায়ি, এবং সহযোগী হিসেবে ছিল খাওলি ইবনে ইয়াজিদ। ইমাম হুসাইনের মাথা দেহ থেকে আলাদা করে দামেস্কে ইয়াজিদের দরবারে পাঠানো হয়েছিল।
ইমাম হুসাইন (রা.)-এর শাহাদত ইয়াজিদের জন্য এক ভয়ংকর পরিণতি ডেকে আনে। ইসলামি ইতিহাসে ইয়াজিদের মৃত্যু রহস্যজনকভাবে ঘটে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কেউ বলেন, বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে, কেউ বলেন পানির পিপাসায় বা দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। সব মতেই এটি একটি করুণ ও অপমানজনক মৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর তাঁর পুত্র দ্বিতীয় মুআবিয়া মাত্র তিন মাসেই মৃত্যুবরণ করেন এবং উমাইয়া শাসনের এই অযাচিত অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটে।
এ ছাড়া কারবালার এ মর্মান্তিক হত্যায় জড়িত প্রতিটি ব্যক্তি কয়েক বছরের মধ্যেই মুখতার সাকাফির বাহিনীর হাতে লজ্জাজনকভাবে নিহত হয়।
ইসলামি ইতিহাসে এমন অনেক ঘটনা রয়েছে, যা মুসলিম উম্মাহর চিন্তা, চেতনা ও মূল্যবোধের ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেদনাবিধুর, হৃদয়বিদারক ও চিরন্তন শিক্ষা বহনকারী ঘটনা হলো কারবালা ট্র্যাজেডি।
১১ ঘণ্টা আগেআজ ১০ মহররম। বিশ্বজুড়ে মুসলিম উম্মাহর জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ একটি দিন আজ। প্রতিবছর ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা মহান আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা পাওয়ার আশায় নফল রোজা, নামাজ, দান-খয়রাত ও জিকির- আজকারের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেন।
১৫ ঘণ্টা আগেমহররম মাসের দশম দিনকে বলা হয় আশুরা। মহান আল্লাহ তাআলার কৃতজ্ঞতা হিসেবে এই দিনে রোজা রাখা হয়। কারণ, মহান আল্লাহ তাআলা এই দিনে তাঁর নবী মুসা (আ.) এবং তাঁর সম্প্রদায়কে ফেরাউন ও তার দলবল থেকে রক্ষা করেছিলেন।
১৫ ঘণ্টা আগেবর্ষের হিসাবের জন্য পৃথিবীতে অনেকগুলো সন চালু আছে। আমাদের বাংলাদেশে সাধারণত তিনটি সন প্রচলিত—খ্রিষ্টাব্দ, বঙ্গাব্দ এবং হিজরি।
১ দিন আগে