ইজাজুল হক, ঢাকা
ইসলাম সম্প্রীতি-সৌহার্দ্য, পরমতসহিষ্ণুতা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ধর্ম। মুসলিম রাষ্ট্রের নিরাপত্তা-ছায়ায় বসবাসরত ভিন্ন ধর্মের মানুষের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ এসেছে কোরআন-হাদিসে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সমাজে তাদেরও রয়েছে ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার। তাদের প্রতি কোনো ধরনের জুলুম ইসলাম অনুমোদন করে না।
পৃথিবীর সব মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী হোক এটি আল্লাহর ইচ্ছা নয়। অন্য সবকিছুর মতো ধর্মবিশ্বাসেও বৈচিত্র্য থাকবেই। মুসলমানদের দায়িত্ব হলো আল্লাহর বাণী মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। মুসলমান হওয়া-না হওয়া সম্পূর্ণ ব্যক্তি অধিকার। ব্যক্তি নিজের পছন্দ অনুযায়ী ধর্ম বেছে নিতে পারেন। জোর করে কাউকে ইসলাম গ্রহণ করানো ইসলাম সমর্থন করে না। আল্লাহ বলেন, ‘ধর্ম গ্রহণে কোনো জোরজবরদস্তি নেই।’ (সুরা বাকারা ২: ২৫৬)
মুসলিম সমাজে অমুসলিমেরা নিরাপদে বসবাস করবে। রাষ্ট্র তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তাদের প্রতি সদ্ভাব বজায় রাখা, সুন্দর আচরণ ও উত্তম আদর্শ উপহার দেওয়া প্রতিটি মোমিনের কর্তব্য। আল্লাহ বলেন, ‘ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদের দেশ থেকে বহিষ্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা মুমতাহিনা ৬০: ৯)
হ্যাঁ, তাদের কেউ কোনো অপরাধ করলে আইনানুযায়ী তার বিচার চাইতে কোনো বাধা নেই। তবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া, একজনের অপরাধের অভিযোগে পুরো সম্প্রদায়কে দোষারোপ করা, তাদের ঘরবাড়ি-উপাসনালয়ে হামলা-ভাঙচুর করা কিংবা সমাজে হিংসার আগুন জ্বালানো কোনোভাবেই বৈধ নয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘কোনো বোঝা বহনকারী অন্যের বোঝা (দায়) বহন করবে না।’ (সুরা ফাতির ৩৫ : ১৮) মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে নিরাপত্তাপ্রাপ্ত কোনো অমুসলিমকে হত্যা করে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ (বুখারি: ৩১৬৬)
তাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে কোনো ধরনের নিপীড়নমূলক আচরণ করা যাবে না। তাদের অধিকার খর্ব করা যাবে না। রাসুল (স.) তা কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। এমনকি কেয়ামতের দিন রাসুল (স.) নিজেই নির্যাতিত অমুসলিমদের পক্ষে দাঁড়াবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিমকে নির্যাতন করে, তার অধিকার খর্ব করে, তাকে সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেয় বা তাদের অসম্মতিতে ধন-সম্পদ হরণ করে নেয়, কেয়ামতের দিন আমিই সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়ব।’ (আবু দাউদ: ২৫০৩)
যুদ্ধক্ষেত্রেও যেখানে অমুসলিমদের ঘরবাড়ি ও উপাসনালয় সুরক্ষিত রাখার কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেখানে স্বাভাবিক অবস্থায় কীভাবে তাদের বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে হামলা বৈধ হয়? এটি কোনোভাবেই প্রকৃত মোমিনের কাজ হতে পারে না। আল্লাহ মোমিনদের সতর্ক করে বলেন, ‘কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদের কোনোভাবে প্ররোচিত না করে যে, তোমরা ইনসাফ করবে না। তোমরা ইনসাফ করো—তা তাকওয়ার নিকটতর এবং আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই তোমাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আল্লাহ সবিশেষ অবগত।’ (সুরা মায়িদা ৫: ৮)
ইসলামের সঠিক শিক্ষা, আল্লাহর ভয়, গণসচেতনতা এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাবেই এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। তাই বিশৃঙ্খলা রোধে আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি সাধারণ মুসলমানদের সম্প্রীতি-সৌহার্দ্য, পরমতসহিষ্ণুতা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঠ শিখতে হবে। উসকানিমূলক বক্তব্য, ধর্মীয় আবেগের অপব্যবহার, স্বার্থসিদ্ধির রাজনীতি এবং ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মনোভাব বর্জন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ইসলামি চিন্তাবিদ এবং সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারেন। সবার সতর্ক অবস্থান, সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ এবং আন্তরিক মনোভাবই পারে হিংসা ও অসহিষ্ণুতার এ অধ্যায়ের ইতি টানতে।
ইসলাম সম্প্রীতি-সৌহার্দ্য, পরমতসহিষ্ণুতা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ধর্ম। মুসলিম রাষ্ট্রের নিরাপত্তা-ছায়ায় বসবাসরত ভিন্ন ধর্মের মানুষের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ এসেছে কোরআন-হাদিসে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সমাজে তাদেরও রয়েছে ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার। তাদের প্রতি কোনো ধরনের জুলুম ইসলাম অনুমোদন করে না।
পৃথিবীর সব মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী হোক এটি আল্লাহর ইচ্ছা নয়। অন্য সবকিছুর মতো ধর্মবিশ্বাসেও বৈচিত্র্য থাকবেই। মুসলমানদের দায়িত্ব হলো আল্লাহর বাণী মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। মুসলমান হওয়া-না হওয়া সম্পূর্ণ ব্যক্তি অধিকার। ব্যক্তি নিজের পছন্দ অনুযায়ী ধর্ম বেছে নিতে পারেন। জোর করে কাউকে ইসলাম গ্রহণ করানো ইসলাম সমর্থন করে না। আল্লাহ বলেন, ‘ধর্ম গ্রহণে কোনো জোরজবরদস্তি নেই।’ (সুরা বাকারা ২: ২৫৬)
মুসলিম সমাজে অমুসলিমেরা নিরাপদে বসবাস করবে। রাষ্ট্র তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তাদের প্রতি সদ্ভাব বজায় রাখা, সুন্দর আচরণ ও উত্তম আদর্শ উপহার দেওয়া প্রতিটি মোমিনের কর্তব্য। আল্লাহ বলেন, ‘ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদের দেশ থেকে বহিষ্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা মুমতাহিনা ৬০: ৯)
হ্যাঁ, তাদের কেউ কোনো অপরাধ করলে আইনানুযায়ী তার বিচার চাইতে কোনো বাধা নেই। তবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া, একজনের অপরাধের অভিযোগে পুরো সম্প্রদায়কে দোষারোপ করা, তাদের ঘরবাড়ি-উপাসনালয়ে হামলা-ভাঙচুর করা কিংবা সমাজে হিংসার আগুন জ্বালানো কোনোভাবেই বৈধ নয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘কোনো বোঝা বহনকারী অন্যের বোঝা (দায়) বহন করবে না।’ (সুরা ফাতির ৩৫ : ১৮) মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে নিরাপত্তাপ্রাপ্ত কোনো অমুসলিমকে হত্যা করে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ (বুখারি: ৩১৬৬)
তাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে কোনো ধরনের নিপীড়নমূলক আচরণ করা যাবে না। তাদের অধিকার খর্ব করা যাবে না। রাসুল (স.) তা কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। এমনকি কেয়ামতের দিন রাসুল (স.) নিজেই নির্যাতিত অমুসলিমদের পক্ষে দাঁড়াবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিমকে নির্যাতন করে, তার অধিকার খর্ব করে, তাকে সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেয় বা তাদের অসম্মতিতে ধন-সম্পদ হরণ করে নেয়, কেয়ামতের দিন আমিই সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়ব।’ (আবু দাউদ: ২৫০৩)
যুদ্ধক্ষেত্রেও যেখানে অমুসলিমদের ঘরবাড়ি ও উপাসনালয় সুরক্ষিত রাখার কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেখানে স্বাভাবিক অবস্থায় কীভাবে তাদের বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে হামলা বৈধ হয়? এটি কোনোভাবেই প্রকৃত মোমিনের কাজ হতে পারে না। আল্লাহ মোমিনদের সতর্ক করে বলেন, ‘কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদের কোনোভাবে প্ররোচিত না করে যে, তোমরা ইনসাফ করবে না। তোমরা ইনসাফ করো—তা তাকওয়ার নিকটতর এবং আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই তোমাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আল্লাহ সবিশেষ অবগত।’ (সুরা মায়িদা ৫: ৮)
ইসলামের সঠিক শিক্ষা, আল্লাহর ভয়, গণসচেতনতা এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাবেই এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। তাই বিশৃঙ্খলা রোধে আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি সাধারণ মুসলমানদের সম্প্রীতি-সৌহার্দ্য, পরমতসহিষ্ণুতা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঠ শিখতে হবে। উসকানিমূলক বক্তব্য, ধর্মীয় আবেগের অপব্যবহার, স্বার্থসিদ্ধির রাজনীতি এবং ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মনোভাব বর্জন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ইসলামি চিন্তাবিদ এবং সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারেন। সবার সতর্ক অবস্থান, সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ এবং আন্তরিক মনোভাবই পারে হিংসা ও অসহিষ্ণুতার এ অধ্যায়ের ইতি টানতে।
মহান আল্লাহ আমাদের একমাত্র রিজিকদাতা। সমগ্র সৃষ্টিকুলের রিজিকের ব্যবস্থা তিনিই করে থাকেন। তাই রিজিকের সন্ধানে দিশেহারা নয়, বরং আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকা জরুরি। কোরআন ও হাদিসের আলোকে ৪টি আমল করলে রিজিক বৃদ্ধি হবে বলে আশা করা যায়।
৩১ মিনিট আগেইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৮ ঘণ্টা আগেআত্মীয়তার বন্ধন আছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর। পারস্পরিক সম্পর্কের এ বন্ধন না থাকলে হয়তো পৃথিবীর রূপ ভিন্ন থাকত। মা তার সন্তানের প্রতি, ভাই তার ভাইয়ের প্রতি, স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার যে রূপ আমরা দেখতে পাই—তা হয়তো থাকত না। কোরআন ও হাদিসে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেজুলুম আরবি শব্দ। জুলুমের অর্থ ব্যাপক এবং অনেক বিস্তৃত। সাধারণত জুলুম অর্থ নির্যাতন, নিপীড়ন। শরিয়তের পরিভাষায় জুলুম বলা হয়—কোনো উপযুক্ত জিনিসকে উপযুক্ত স্থানে না রেখে অনুপযুক্ত স্থানে রাখা। যে জুলুম করে তাকে জালিম বলা হয়। মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে একজন অন্যজনের ওপর জুলুম করে।
১ দিন আগে