মুফতি আবু দারদা
ইসলামে শাবান মাসের ১৪ তারিখের রাতটি শবে বরাত হিসেবে পরিচিত। এই রাতের বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদা ইসলামে স্বীকৃত। শবে বরাতের কয়েকটি আমল সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো—
এক. ক্ষমাপ্রার্থনা: এই রাতে মহান আল্লাহ বান্দাদের প্রতি বিশেষভাবে মনোযোগী হন এবং ক্ষমা করেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘এই দিন সূর্যাস্তের পরই আল্লাহ দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন, ‘কে আছো ক্ষমা প্রার্থনাকারী, আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। কে আছো রিজিকপ্রার্থী, আমি তাকে রিজিক দেব। কে আছ বিপদগ্রস্ত, আমি তাকে বিপদমুক্ত করব। ফজর হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা এ কথা বলতে থাকেন।’ (ইবন মাজাহ: ১৩৮৮)
দুই. নফল নামাজ ও নফল রোজা: এই রাতে বেশি পরিমাণে নফল নামাজ আদায় করা সুন্নত। বিশেষভাবে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা উচিত। তবে শবে বরাতের নির্দিষ্ট কোনো নামাজের কথা হাদিসে উল্লেখ নেই। আর পরদিন নফল রোজা রাখাও সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন শাবান মাসের মধ্যবর্তী রাত আসবে, তখন তোমরা এ রাতে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করবে এবং দিনে রোজা পালন করবে।’ (ইবন মাজাহ: ১৩৮৮)
তিন. কবর জিয়ারত করা: এই রাতে মহানবী (সা.) মদিনার জান্নাতুল বাকিতে গিয়ে কবর জিয়ারত করেছেন। তাই কবর জিয়ারত করা সুন্নত। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘একবার রাতে আমি মহানবী (সা.)-কে না পেয়ে খুঁজতে থাকি। এরপর আমি তাঁকে জান্নাতুল বাকিতে দুই হাত তোলা অবস্থায় পেলাম।’ (ইবন মাজাহ: ১৩৮৯)
চার. দান-সদকা করা: এ রাতে ভালো খাবার খেলে ভাগ্য ভালো হবে—এই বিশ্বাসের কোনো ভিত্তি নেই। তাই নিজেদের জন্য আয়েশি খাবারের আয়োজন না করে অসহায় মানুষকে দান-সদকা করা এবং তাদের জন্য ভালো খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করা উত্তম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘সদকা গুনাহকে সেভাবে মিটিয়ে দেয়, যেভাবে পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয়।’ (মুসনাদ আহমাদ: ২২১৩৩)
মুফতি আবু দারদা, ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলামে শাবান মাসের ১৪ তারিখের রাতটি শবে বরাত হিসেবে পরিচিত। এই রাতের বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদা ইসলামে স্বীকৃত। শবে বরাতের কয়েকটি আমল সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো—
এক. ক্ষমাপ্রার্থনা: এই রাতে মহান আল্লাহ বান্দাদের প্রতি বিশেষভাবে মনোযোগী হন এবং ক্ষমা করেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘এই দিন সূর্যাস্তের পরই আল্লাহ দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন, ‘কে আছো ক্ষমা প্রার্থনাকারী, আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। কে আছো রিজিকপ্রার্থী, আমি তাকে রিজিক দেব। কে আছ বিপদগ্রস্ত, আমি তাকে বিপদমুক্ত করব। ফজর হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা এ কথা বলতে থাকেন।’ (ইবন মাজাহ: ১৩৮৮)
দুই. নফল নামাজ ও নফল রোজা: এই রাতে বেশি পরিমাণে নফল নামাজ আদায় করা সুন্নত। বিশেষভাবে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা উচিত। তবে শবে বরাতের নির্দিষ্ট কোনো নামাজের কথা হাদিসে উল্লেখ নেই। আর পরদিন নফল রোজা রাখাও সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন শাবান মাসের মধ্যবর্তী রাত আসবে, তখন তোমরা এ রাতে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করবে এবং দিনে রোজা পালন করবে।’ (ইবন মাজাহ: ১৩৮৮)
তিন. কবর জিয়ারত করা: এই রাতে মহানবী (সা.) মদিনার জান্নাতুল বাকিতে গিয়ে কবর জিয়ারত করেছেন। তাই কবর জিয়ারত করা সুন্নত। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘একবার রাতে আমি মহানবী (সা.)-কে না পেয়ে খুঁজতে থাকি। এরপর আমি তাঁকে জান্নাতুল বাকিতে দুই হাত তোলা অবস্থায় পেলাম।’ (ইবন মাজাহ: ১৩৮৯)
চার. দান-সদকা করা: এ রাতে ভালো খাবার খেলে ভাগ্য ভালো হবে—এই বিশ্বাসের কোনো ভিত্তি নেই। তাই নিজেদের জন্য আয়েশি খাবারের আয়োজন না করে অসহায় মানুষকে দান-সদকা করা এবং তাদের জন্য ভালো খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করা উত্তম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘সদকা গুনাহকে সেভাবে মিটিয়ে দেয়, যেভাবে পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয়।’ (মুসনাদ আহমাদ: ২২১৩৩)
মুফতি আবু দারদা, ইসলামবিষয়ক গবেষক
কোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
১২ ঘণ্টা আগেআল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
১ দিন আগেমুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা...
১ দিন আগে