মুফতি হাসান আরিফ
প্রশ্ন: আকাশপথে সফরের সময় ফরজ নামাজ কীভাবে আদায় করতে হয়? এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
আজিজুল ইসলাম, ফরিদপুর
উত্তর: নামাজ ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ বিধান। নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করে নেওয়া আবশ্যক। আকাশপথে সফরের সময় ফরজ নামাজ সম্ভব হলে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে রুকু-সিজদাসহ আদায় করবেন। দাঁড়ানো সম্ভব না হলে বসে স্বাভাবিকভাবে কিবলামুখী হয়ে রুকু-সিজদা করে আদায় করবেন। এভাবে নামাজ আদায় করতে পারলে পরবর্তী সময়ে তা পুনরায় আদায় করতে হবে না।
যদি কিবলার দিকে মুখ করে রুকু-সিজদার সঙ্গে নামাজ আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে যেভাবে সম্ভব বসে বা ইশারায় নামাজ আদায় করে নেবেন। তবে সতর্কতামূলক এ নামাজ সফরের পরে কিবলামুখী হয়ে পুনরায় আদায় করতে হবে।
চলন্ত লঞ্চ, জাহাজ, ট্রেনেও নামাজ আদায়ের বিধান এমন। তবে বাস সফরের ক্ষেত্রে কাছাকাছি যাতায়াতের সময় ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগে গন্তব্যে পৌঁছে নামাজ আদায় সম্ভব হলে, তা-ই করবেন। আর গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে, পথিমধ্যে নেমে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ অথবা অসুবিধাজনক না হলে, নেমে ফরজ নামাজ আদায় করে নেবেন। এ ছাড়া দূরপাল্লার যাত্রা হলে অথবা বাস থেকে নেমে গেলে ঝুঁকি অথবা সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা থাকলে, নামাজের জন্য বাস না থামলে—সে ক্ষেত্রে সিটেই যেভাবে সম্ভব বসে বা ইশারায় নামাজ আদায় করে নেবেন এবং সতর্কতামূলক পরে এর কাজা করে নেবেন।
সূত্র: ইলাউস সুনান ৭ / ২১২, মাআরিফুস সুনান: ৩ / ৩৯৪, আদ্দুররুল মুখতার: ২ / ১০১
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি হাসান আরিফ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশ্ন: আকাশপথে সফরের সময় ফরজ নামাজ কীভাবে আদায় করতে হয়? এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
আজিজুল ইসলাম, ফরিদপুর
উত্তর: নামাজ ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ বিধান। নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করে নেওয়া আবশ্যক। আকাশপথে সফরের সময় ফরজ নামাজ সম্ভব হলে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে রুকু-সিজদাসহ আদায় করবেন। দাঁড়ানো সম্ভব না হলে বসে স্বাভাবিকভাবে কিবলামুখী হয়ে রুকু-সিজদা করে আদায় করবেন। এভাবে নামাজ আদায় করতে পারলে পরবর্তী সময়ে তা পুনরায় আদায় করতে হবে না।
যদি কিবলার দিকে মুখ করে রুকু-সিজদার সঙ্গে নামাজ আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে যেভাবে সম্ভব বসে বা ইশারায় নামাজ আদায় করে নেবেন। তবে সতর্কতামূলক এ নামাজ সফরের পরে কিবলামুখী হয়ে পুনরায় আদায় করতে হবে।
চলন্ত লঞ্চ, জাহাজ, ট্রেনেও নামাজ আদায়ের বিধান এমন। তবে বাস সফরের ক্ষেত্রে কাছাকাছি যাতায়াতের সময় ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগে গন্তব্যে পৌঁছে নামাজ আদায় সম্ভব হলে, তা-ই করবেন। আর গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে, পথিমধ্যে নেমে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ অথবা অসুবিধাজনক না হলে, নেমে ফরজ নামাজ আদায় করে নেবেন। এ ছাড়া দূরপাল্লার যাত্রা হলে অথবা বাস থেকে নেমে গেলে ঝুঁকি অথবা সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা থাকলে, নামাজের জন্য বাস না থামলে—সে ক্ষেত্রে সিটেই যেভাবে সম্ভব বসে বা ইশারায় নামাজ আদায় করে নেবেন এবং সতর্কতামূলক পরে এর কাজা করে নেবেন।
সূত্র: ইলাউস সুনান ৭ / ২১২, মাআরিফুস সুনান: ৩ / ৩৯৪, আদ্দুররুল মুখতার: ২ / ১০১
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি হাসান আরিফ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ ঘণ্টা আগেআল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১৩ ঘণ্টা আগেমহান আল্লাহ আমাদের একমাত্র রিজিকদাতা। সমগ্র সৃষ্টিকুলের রিজিকের ব্যবস্থা তিনিই করে থাকেন। তাই রিজিকের সন্ধানে দিশেহারা নয়, বরং আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকা জরুরি। কোরআন ও হাদিসের আলোকে ৪টি আমল করলে রিজিক বৃদ্ধি হবে বলে আশা করা যায়।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
২১ ঘণ্টা আগে