মুফতি হাসান আরিফ
মুসলমানদের কাছে সপ্তাহের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমাবার। দিনটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ—এর অন্যতম কারণ জুমার নামাজ। জুমার নামাজ আদায় করা পুরুষের ওপর আবশ্যক। জুমার নামাজ আদায় করলেই কেবল এই দিনের বরকত, ফজিলত লাভের আশা করা যায়।
জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, যে দিনগুলোতে সূর্য উদিত হয়—ওই দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এই দিন হজরত আদম (আ.)কে সৃষ্টি করা হয়েছে, তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং এই দিনই তাঁকে জান্নাত থেকে দুনিয়ায় পাঠানো হয়েছে। আর জুমার দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে। (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)
মহানবী (সা.) আরও বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)
এ ছাড়া কোরআন ও হাদিসের বহু জায়গায় এই দিনের বিশেষ সম্মান ও মর্যাদার কথা উল্লেখ রয়েছে। তাই জুমার দিন আগেভাগেই মসজিদে উপস্থিত হওয়া উচিত। কেননা, এতে রয়েছে বিশেষ নেকি পাওয়ার সম্ভাবনা।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘ফেরেশতারা জুমার দিনে মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকেন। তারা প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমে আগন্তুকদের নাম লেখেন। সবার আগে যে আসে, তার নামে একটি উট সদকা করার সওয়াব লেখা হয়। তারপর যে আসে ওই ব্যক্তির আমলনামায় একটি গাভি, তারপর আগমনকারীর নামে একটি মুরগি, তারপর আগমনকারীর নামে একটি ডিম সদকা করার সওয়াব লেখা হয়। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে আসেন—তখন ফেরেশতারা আমল লেখার খাতা বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৮৮২)
এখন বৃষ্টির মৌসুম। যখন-তখন বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। বৃষ্টির কারণে কখনো ঘর থেকে বের হওয়ায় কঠিন হয়ে পড়ে। ঝড়-বৃষ্টি, কাদা-ময়লার কারণে কোনো কোনো এলাকায় চলাচলও কষ্ট হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিকূল এই পরিস্থিতির কারণে সব ধরনের চেষ্টার পরও কেউ যদি অপ্রত্যাশিতভাবে জুমার নামাজের জন্য মসজিদে যেতে না পারেন তাহলে করণীয় কী?
ইসলাম মানবিক ধর্ম। অসম্ভব কোনো কিছুই ইসলাম কারও ওপর চাপিয়ে দেয় না। মনে প্রবল ইচ্ছা এবং সামর্থ্য অনুযায়ী সব প্রচেষ্টার পরও যদি ঝড়-বৃষ্টির কারণে কেউ জুমার নামাজে যেতে না পারে, তাহলে ইসলামে এ বিষয়ে শিথিলতা দেখিয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি তার মুয়াজ্জিনকে এক বৃষ্টির দিনে বললেন, যখন তুমি (আজানে) ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ’ বলবে, এরপর ‘হাইয়া আলাস সালাহ’ বলবে না। বলবে—‘সাল্লু ফি বুয়ুতিকুম’- (অর্থাৎ তোমরা নিজ নিজ ঘরে নামাজ আদায় করো।) আজানে এই শব্দ বলাটা লোকেরা অপছন্দ করল।
তখন ইবনে আব্বাস (রা.) বললেন, আমার চাইতে উত্তম ব্যক্তিই (আল্লাহর রাসুল) তা করেছেন। জুমা নিঃসন্দেহে জরুরি। আমি অপছন্দ করি যে—তোমাদের মাটি ও কাদার মধ্য দিয়ে যাতায়াত করার অসুবিধায় ফেলি। (সহিহ্ বুখারি: ৮৫৫)
তাই প্রবল বৃষ্টির কারণে কেউ জুমার নামাজে যেতে না পারলে ওই ব্যক্তি জোহরের চার রাকাত নামাজ পড়ে নেবে। কারণ জামাত ছাড়া একাকী জুমার নামাজ আদায় করা যায় না।
আরও পড়ুন:
মুসলমানদের কাছে সপ্তাহের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমাবার। দিনটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ—এর অন্যতম কারণ জুমার নামাজ। জুমার নামাজ আদায় করা পুরুষের ওপর আবশ্যক। জুমার নামাজ আদায় করলেই কেবল এই দিনের বরকত, ফজিলত লাভের আশা করা যায়।
জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, যে দিনগুলোতে সূর্য উদিত হয়—ওই দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এই দিন হজরত আদম (আ.)কে সৃষ্টি করা হয়েছে, তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং এই দিনই তাঁকে জান্নাত থেকে দুনিয়ায় পাঠানো হয়েছে। আর জুমার দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে। (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)
মহানবী (সা.) আরও বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)
এ ছাড়া কোরআন ও হাদিসের বহু জায়গায় এই দিনের বিশেষ সম্মান ও মর্যাদার কথা উল্লেখ রয়েছে। তাই জুমার দিন আগেভাগেই মসজিদে উপস্থিত হওয়া উচিত। কেননা, এতে রয়েছে বিশেষ নেকি পাওয়ার সম্ভাবনা।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘ফেরেশতারা জুমার দিনে মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকেন। তারা প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমে আগন্তুকদের নাম লেখেন। সবার আগে যে আসে, তার নামে একটি উট সদকা করার সওয়াব লেখা হয়। তারপর যে আসে ওই ব্যক্তির আমলনামায় একটি গাভি, তারপর আগমনকারীর নামে একটি মুরগি, তারপর আগমনকারীর নামে একটি ডিম সদকা করার সওয়াব লেখা হয়। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে আসেন—তখন ফেরেশতারা আমল লেখার খাতা বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৮৮২)
এখন বৃষ্টির মৌসুম। যখন-তখন বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। বৃষ্টির কারণে কখনো ঘর থেকে বের হওয়ায় কঠিন হয়ে পড়ে। ঝড়-বৃষ্টি, কাদা-ময়লার কারণে কোনো কোনো এলাকায় চলাচলও কষ্ট হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিকূল এই পরিস্থিতির কারণে সব ধরনের চেষ্টার পরও কেউ যদি অপ্রত্যাশিতভাবে জুমার নামাজের জন্য মসজিদে যেতে না পারেন তাহলে করণীয় কী?
ইসলাম মানবিক ধর্ম। অসম্ভব কোনো কিছুই ইসলাম কারও ওপর চাপিয়ে দেয় না। মনে প্রবল ইচ্ছা এবং সামর্থ্য অনুযায়ী সব প্রচেষ্টার পরও যদি ঝড়-বৃষ্টির কারণে কেউ জুমার নামাজে যেতে না পারে, তাহলে ইসলামে এ বিষয়ে শিথিলতা দেখিয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি তার মুয়াজ্জিনকে এক বৃষ্টির দিনে বললেন, যখন তুমি (আজানে) ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ’ বলবে, এরপর ‘হাইয়া আলাস সালাহ’ বলবে না। বলবে—‘সাল্লু ফি বুয়ুতিকুম’- (অর্থাৎ তোমরা নিজ নিজ ঘরে নামাজ আদায় করো।) আজানে এই শব্দ বলাটা লোকেরা অপছন্দ করল।
তখন ইবনে আব্বাস (রা.) বললেন, আমার চাইতে উত্তম ব্যক্তিই (আল্লাহর রাসুল) তা করেছেন। জুমা নিঃসন্দেহে জরুরি। আমি অপছন্দ করি যে—তোমাদের মাটি ও কাদার মধ্য দিয়ে যাতায়াত করার অসুবিধায় ফেলি। (সহিহ্ বুখারি: ৮৫৫)
তাই প্রবল বৃষ্টির কারণে কেউ জুমার নামাজে যেতে না পারলে ওই ব্যক্তি জোহরের চার রাকাত নামাজ পড়ে নেবে। কারণ জামাত ছাড়া একাকী জুমার নামাজ আদায় করা যায় না।
আরও পড়ুন:
মানুষের জীবনের প্রতিটি কাজের মধ্যে মহানবী (সা.)-এর উত্তম আদর্শ বিদ্যমান। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি অধ্যায় তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করে সাজানো উচিত। খাবার গ্রহণ জীবনের একটি অপরিহার্য কাজ। যদি এ খাবার গ্রহণও মহানবী (সা.)-এর সুন্নাহ অনুযায়ী করা হয়, তাহলে ক্ষুধার নিবারণ হওয়ার পাশাপাশি এর মাধ্যমে...
১ দিন আগেজুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
২ দিন আগেজুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের...
২ দিন আগেজুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
২ দিন আগে