Ajker Patrika

ভুলে এল সালভাদরে পাঠিয়ে দেওয়া গার্সিয়া যুক্তরাষ্ট্রে আবারও আটক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বাল্টিমোরের আইসিই অফিসে সমর্থক বেষ্টিত কিলমার আব্রেগো গার্সিয়া। ছবি: বিবিসি
বাল্টিমোরের আইসিই অফিসে সমর্থক বেষ্টিত কিলমার আব্রেগো গার্সিয়া। ছবি: বিবিসি

মার্কিন অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগকারী সংস্থার (আইসিই) হাতে আবারও আটক হয়েছেন কিলমার আব্রেগো গার্সিয়া। স্থানীয় সময় আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে বাল্টিমোরের আইসিই অফিসে হাজির হওয়ার পরই তাঁকে আটক করা হয়। এবার তাঁকে উগান্ডা পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিবিসি জানিয়েছে, এর আগে চলতি বছরের মার্চে গার্সিয়াকে ভুলবশত এল সালভাদরের কুখ্যাত সেকট কারাগারে নির্বাসিত করা হয়েছিল। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে আবারও যুক্তরাষ্ট্রে ফেরানো হয়। তবে এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগও আনা হয়েছে।

গার্সিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বলা যায়, চাপ দিলেও দোষ স্বীকারে তিনি রাজি হননি। তাঁর আইনজীবীরা দাবি করেছেন—গার্সিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই সরকার তাঁকে আবারও নির্বাসিত করার হুমকি দিচ্ছে।

গার্সিয়ার আইনজীবী সায়মন স্যান্ডোভাল-মোশেনবার্গ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গার্সিয়া নতুন করে ফেডারেল আদালতে মামলা করেছেন, যাতে তাঁর বর্তমান আটক ও সম্ভাব্য উগান্ডা নির্বাসন স্থগিত করা যায়। আদালত আপাতত বুধবার বিকেল চারটা পর্যন্ত গার্সিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে পাঠানো বা তাঁর আইনি অবস্থান পরিবর্তন নিষিদ্ধ করেছে।

গার্সিয়ার আইনজীবীরা আরও জানিয়েছেন, তিনি ইতিপূর্বে মানব পাচারের দায় স্বীকার করলে তাঁকে কোস্টারিকায় পাঠানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। সোমবার নিয়মিত হাজিরা দিতে গেলে আইসিই কর্মকর্তারা তাঁকে হঠাৎ আটক করেন। কোথায় নেওয়া হবে সে সম্পর্কেও কোনো তথ্য দেননি। আইনজীবীদের অভিযোগ, গার্সিয়া আগে থেকেই অ্যাঙ্কল মনিটরিংয়ের (গোড়ালিতে নজরদারি ট্যাগ) অধীনে ছিলেন। কার্যত তিনি গৃহবন্দী অবস্থায় আছেন। তাই আবার আটক করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।

গার্সিয়ার সমর্থকেরা বাল্টিমোর অফিসের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন। তাঁদের আশঙ্কা, এবার তাঁকে উগান্ডায় নির্বাসিত করা হতে পারে—যে দেশের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সচিব ক্রিস্টি নোম নিশ্চিত করেছেন, গার্সিয়াকে ফেরত পাঠানোর জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এক বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করেছেন, গার্সিয়া মানব পাচার ও গার্হস্থ্য নির্যাতনের অপরাধী। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর কোনোভাবেই তাঁকে মার্কিন নাগরিকদের আতঙ্কিত করতে দেবেন না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত