ইরাকে মার্কিন বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন কুখ্যাত বন্দিশালা আবু গারিবে নির্যাতনের শিকার তিন ইরাকিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালত মার্কিন প্রতিরক্ষা ঠিকাদার কোম্পানি সিএসিআই প্রিমিয়ার টেকনোলজিকে ৪২ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবু গারিবে নির্যাতনের শিকার ও তিন ইরাকি হলেন ইরাকের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুহাইল আল শিমারি, ফল বিক্রেতা আসাদ জুবাই এবং সাংবাদিক সালাহ আল-ইজাইলি। তাঁদের প্রত্যেককে প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডলার করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
এই মামলার অন্যতম বাদীপক্ষ মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটস জানিয়েছে, এই তিনজন ২০০৮ সালে ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনে অবস্থিত বেসরকারি কোম্পানি সিএসিআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। ২০০৩-০৪ সালে কুখ্যাত আবু গারিব কারাগারে ওই তিনজনের নির্যাতনের বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে চলা বিচারের শেষে সিএসিআই প্রিমিয়ার টেকনোলজি ইনকর্পোরেটেডকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
বাগদাদের পশ্চিম দিকে অবস্থিত আবু গারিব কারাগার ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের দখলদারত্বের এক জঘন্য প্রতীকে পরিণত হয়েছিল, কারাগারটিতে আটক বন্দীদের ওপর মার্কিন সেনাদের নির্মম নির্যাতনের প্রমাণ প্রকাশ পাওয়ার পর। মামলায় অভিযোগ করা হয়, বেশির ভাগ নির্যাতনই ২০০৩ সালের শেষ দিকে হয়। আর ঠিক সেই সময়টাতেই সিএসিআইয়ের কর্মীরা ওই কারাগারে কাজ করছিলেন।
এই কোম্পানির বেসামরিক কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাঁরা মার্কিন সেনাদের বন্দীদের ওপর নির্যাতনে উসকে দিয়েছেন। এই মামলায় নিম্নপদস্থ ১১ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়। যার মধ্যে ছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা লিন্ডি ইংল্যান্ড অন্যতম। তাঁকে নগ্ন বন্দীদের পাশে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে ছবি তোলা অবস্থায় দেখা গেছে।
সিএসিআইয়ের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করা হয়েছিল মার্কিন আইনের ধারা ‘অ্যালিয়েন টর্ট স্ট্যাটিউটের’ আওতায়। এই ধারা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ঘটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে অ-মার্কিন নাগরিকদের মামলা করার সুযোগ দেয়।
তবে, সিএসিআই দাবি করেছে—অভিযোগ করা বেশির ভাগ নির্যাতন তৎকালীন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডোনাল্ড রামসফেল্ড অনুমোদন করেছিলেন এবং কারাগারের সামরিক কমান্ডাররা তা নিয়মাবলিতে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।
মামলার রায়ের পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সাংবাদিক সালাহ আল-ইজাইলি বলেন, ‘আজ আমার জন্য এবং ন্যায়বিচারের জন্য একটি বড় দিন। এই বিজয় প্রতিটি নিপীড়িত মানুষের জন্য একটি আলোকবর্তিকা এবং যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা ঠিকাদার যারা বিভিন্নভাবে নির্যাতন ও নির্দয় আচরণ করছে তাদের জন্য একটি শক্তিশালী সতর্কবার্তা।’
সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটসের অ্যাটর্নি ক্যাথরিন গ্যালাঘার এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘এই রায় স্পষ্ট করেছে যে, এই কলঙ্কজনক অধ্যায়ে সিএসিআইয়ের ভূমিকা রয়েছে। বেসরকারি সামরিক ও নিরাপত্তা ঠিকাদারদের সতর্ক করা হয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক সুরক্ষাগুলো লঙ্ঘন করলে তাদের দায়বদ্ধ করা হবে। ২০ বছর ধরে সিএসিআই আবু গারিবে নির্যাতনে তাদের ভূমিকা অস্বীকার করে আসছে।’
ইরাকে মার্কিন বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন কুখ্যাত বন্দিশালা আবু গারিবে নির্যাতনের শিকার তিন ইরাকিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালত মার্কিন প্রতিরক্ষা ঠিকাদার কোম্পানি সিএসিআই প্রিমিয়ার টেকনোলজিকে ৪২ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবু গারিবে নির্যাতনের শিকার ও তিন ইরাকি হলেন ইরাকের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুহাইল আল শিমারি, ফল বিক্রেতা আসাদ জুবাই এবং সাংবাদিক সালাহ আল-ইজাইলি। তাঁদের প্রত্যেককে প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডলার করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
এই মামলার অন্যতম বাদীপক্ষ মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটস জানিয়েছে, এই তিনজন ২০০৮ সালে ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনে অবস্থিত বেসরকারি কোম্পানি সিএসিআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। ২০০৩-০৪ সালে কুখ্যাত আবু গারিব কারাগারে ওই তিনজনের নির্যাতনের বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে চলা বিচারের শেষে সিএসিআই প্রিমিয়ার টেকনোলজি ইনকর্পোরেটেডকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
বাগদাদের পশ্চিম দিকে অবস্থিত আবু গারিব কারাগার ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের দখলদারত্বের এক জঘন্য প্রতীকে পরিণত হয়েছিল, কারাগারটিতে আটক বন্দীদের ওপর মার্কিন সেনাদের নির্মম নির্যাতনের প্রমাণ প্রকাশ পাওয়ার পর। মামলায় অভিযোগ করা হয়, বেশির ভাগ নির্যাতনই ২০০৩ সালের শেষ দিকে হয়। আর ঠিক সেই সময়টাতেই সিএসিআইয়ের কর্মীরা ওই কারাগারে কাজ করছিলেন।
এই কোম্পানির বেসামরিক কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাঁরা মার্কিন সেনাদের বন্দীদের ওপর নির্যাতনে উসকে দিয়েছেন। এই মামলায় নিম্নপদস্থ ১১ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়। যার মধ্যে ছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা লিন্ডি ইংল্যান্ড অন্যতম। তাঁকে নগ্ন বন্দীদের পাশে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে ছবি তোলা অবস্থায় দেখা গেছে।
সিএসিআইয়ের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করা হয়েছিল মার্কিন আইনের ধারা ‘অ্যালিয়েন টর্ট স্ট্যাটিউটের’ আওতায়। এই ধারা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ঘটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে অ-মার্কিন নাগরিকদের মামলা করার সুযোগ দেয়।
তবে, সিএসিআই দাবি করেছে—অভিযোগ করা বেশির ভাগ নির্যাতন তৎকালীন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডোনাল্ড রামসফেল্ড অনুমোদন করেছিলেন এবং কারাগারের সামরিক কমান্ডাররা তা নিয়মাবলিতে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।
মামলার রায়ের পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সাংবাদিক সালাহ আল-ইজাইলি বলেন, ‘আজ আমার জন্য এবং ন্যায়বিচারের জন্য একটি বড় দিন। এই বিজয় প্রতিটি নিপীড়িত মানুষের জন্য একটি আলোকবর্তিকা এবং যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা ঠিকাদার যারা বিভিন্নভাবে নির্যাতন ও নির্দয় আচরণ করছে তাদের জন্য একটি শক্তিশালী সতর্কবার্তা।’
সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটসের অ্যাটর্নি ক্যাথরিন গ্যালাঘার এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘এই রায় স্পষ্ট করেছে যে, এই কলঙ্কজনক অধ্যায়ে সিএসিআইয়ের ভূমিকা রয়েছে। বেসরকারি সামরিক ও নিরাপত্তা ঠিকাদারদের সতর্ক করা হয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক সুরক্ষাগুলো লঙ্ঘন করলে তাদের দায়বদ্ধ করা হবে। ২০ বছর ধরে সিএসিআই আবু গারিবে নির্যাতনে তাদের ভূমিকা অস্বীকার করে আসছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
২২ মিনিট আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
৩৫ মিনিট আগেইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তিনি এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) গুরুতর লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—এই
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন হামলার পর এবার সবার চোখ ইরানের দিকে। এই হামলার পাল্টা আঘাত হিসেবে কী করতে যাচ্ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের এই দেশটি। ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ নেতাদের হারানো এবং নতুন করে দায়িত্ব সমর্পণ করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া খামেনি এবার মার্কিন আঘাতের পাল্টা জবাব কীভাবে দেবেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় সবাই।
১ ঘণ্টা আগে