Ajker Patrika

যুক্তরাষ্ট্রে ফের বিমান দুর্ঘটনা, নিহত ৬

অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগোতে একটি ব্যক্তিগত বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছে। ছবি: এএফপি
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগোতে একটি ব্যক্তিগত বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছে। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান ডিয়েগোতে স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার সকালে একটি ছোট বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে এখন পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কর্তৃপক্ষ তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে এবং দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত চালাচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি) এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, নিহতদের নাম প্রকাশের দায়িত্ব স্থানীয় কর্তৃপক্ষের। এনটিএসবি-এর সিনিয়র এয়ার সেফটি ইনভেস্টিগেটর ড্যান বেকার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পাইলট ও যাত্রীরা সবাই নিহত হয়েছেন। ভূমিতে কেউ হতাহত হননি বা গুরুতর আঘাত পাননি।’

বেকার জানান, মাটিতে আছড়ে পড়ার সময় সৃষ্ট ঘর্ষণে তৈরি হওয়া আগুনে বিমানটি পুড়ে যায় এবং আশপাশের বাড়িঘর ও গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আগামী এক বছর ধরে কর্মকর্তারা সেসনা-৫৫০ সাইটেশন মডেলের বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করবেন। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার ঠিক আগে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানটিতে একটি সংগীত পরিচালনা গোষ্ঠীর নির্বাহী ও আরও পাঁচ যাত্রী ছিলেন।

সাম ফোরটি ওয়ান এবং ভ্যানেসা কার্লটনের মতো শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করা সাউন্ড ট্যালেন্ট গ্রুপ নিশ্চিত করেছে যে, তাদের তিন কর্মী এই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডেভ শাপিরো ছিলেন। মার্কিন ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তথ্য অনুসারে শাপিরোই বিমানটি মালিক এবং তাঁর পাইলটের লাইসেন্সও ছিল। এ ছাড়া, নিহত হয়েছেন ২৪ বছর বয়সী কেন্ডাল ফর্টনার এবং ২৫ বছর বয়সী এমা হুক। দুজনেই দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা এবং সংস্থাটির বুকিং সহযোগী ছিলেন।

বৃহস্পতিবার ভোর ৩টা ৪৭ মিনিটের দিকে মন্টগোমারি-গিবস এক্সিকিউটিভ বিমানবন্দরের কাছে মারফি ক্যানিয়ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভোরের অন্ধকার ও কুয়াশার মধ্যে বিমানটি আছড়ে গিয়ে অন্তত একটি বাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে বাড়িটি পুড়ে যায় এবং ছাদ ধসে পড়ে। বেশ কয়েকটি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় প্রায় ১০টি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে এবং জেট ফুয়েল ছড়িয়ে পড়েছে চারপাশে।

মার্কিন নৌবাহিনীর আবাসনের ওই এলাকায় কেউ মারা না গেলেও, ৮ জনকে ধোঁয়া শ্বাস নেওয়ার জন্য এবং সামান্য আঘাতের জন্য চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ এখনো নির্ণয় করা যায়নি। তদন্তকারীরা যে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছেন তার মধ্যে একটি হলো—পাইলট মন্টগোমারি-গিবস বিমানবন্দরের রানওয়ে এবং গ্লাইড-পাথ লাইটিং বন্ধ থাকার নোটিশ সম্পর্কে অবগত ছিলেন কিনা।

বেকার জানিয়েছেন, পাইলট এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম বা নিয়ন্ত্রণ কক্ষকে কোনো সমস্যার কথা জানাননি বা জরুরি অবস্থা (মে ডে সিগন্যাল) ঘোষণা করেননি। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আজই ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের কাজ শুরু হবে এবং আমাদের দল আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ঘটনাস্থলে তদন্ত শেষ করবে।’

এর আগে, গত জানুয়ারিতে ওয়াশিংটন ডিসির পটোম্যাক নদীতে এক যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৬৭ জন মারা যায়। এর এক মাস পরেই অ্যারিজোনায় আরেক বিমান দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত হন। সর্বশেষ, এই দুর্ঘটনা ঘটল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি বাসভবনে একাই থাকতেন শরীয়তপুরের ডিসি, পরিবার থাকত ঢাকায়

স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে ফাঁস দিলেন স্ত্রী

‘তোরা তো পুলিশ মারছিস, ফাঁড়ি জ্বালাইছিস’ বলেই জুলাই যোদ্ধাকে মারধর

বুশেহরে হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যে ‘ফুকুশিমা’ ঘটতে পারে, বিশ্লেষকদের হুঁশিয়ারি

‘ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যায় নয়, গুণে বিশ্বাসী ইরান, ইসরায়েল এবার আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব দেখবে’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত