সারা বিশ্বে প্রতিদিনই গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করছেন লাখ লাখ মানুষ। বিশ্ববাসী গাজায় যুদ্ধবিরতি দাবি তুললেও তা আমলে নিচ্ছে না ইসরায়েল ও তাদের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে তেল আবিবকে অস্ত্র-অর্থ—সব দিয়েই সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এমন প্রচেষ্টা রুখে দিতে এবার এক দুঃসাহসিক কাজ করেছেন ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা।
গত শুক্রবার (৩ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের টাকোমা বন্দরে একটি মার্কিন সামরিক জাহাজ ভিড়লে খবর ছড়িয়ে পড়ে, ওই জাহাজে করে ইসরায়েলে অস্ত্রসহায়তা পাঠাবে বাইডেন প্রশাসন। এরপরই দুই শতাধিক ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী ওকল্যান্ড বন্দরে ঢুকে বিক্ষোভ করেন। এমনকি ইসরায়েলকে দেওয়া অস্ত্রসহায়তা আটকে দিতে বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন জাহাজের ওপরে উঠে পড়েন। তাঁদের বাধার মুখে সামরিক রণতরি আর ছাড়তে পারেনি নির্দিষ্ট সময়ে। খবর আল জাজিরার।
শুক্রবারের বিক্ষোভের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরব রিসোর্স অ্যান্ড অর্গানাইজিং সেন্টার। সংগঠনটির গণমাধ্যমবিষয়ক সমন্বয়ক ওয়াসিম হেজ বলেছেন, ‘মার্কিন সরকার এসব অস্ত্র ইসরায়েলে পাঠাচ্ছে, আমরা এই সতর্কবার্তা দিতে এখানে এসেছি। আমরা মানুষকে জানাতে চাই যে গাজার ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলি গণহত্যায় সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার আমাদের বন্দর ব্যবহার করে চলেছে। আমরা গাজায় যুদ্ধবিরতি চাই, সেখানে বেসরকারি নাগরিকদের হত্যা বন্ধ করা হোক, আমরা সেটা চাই।’
বিক্ষোভকারীদের আশঙ্কা, এসব অস্ত্র দিয়ে ইসরায়েল গাজায় হামলা চালাবে। যদিও সেখানে হামলায় এরই মধ্যে ১০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
তবে ওই সামরিক জাহাজ আসলে অস্ত্র পরিবহন করছিল কি না বা সেটি আদৌ ইসরায়েলে যাচ্ছিল কি না, তা জানাতে পারেনি নিউইয়র্ক পোস্ট ও আল জাজিরা।
অবশ্য বিক্ষোভকারীদের বাধা সত্ত্বেও কয়েক ঘণ্টা পর ওয়াশিংটনের টাকোমা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে যায় জাহাজটি। গতকাল সোমবার সেখানে পৌঁছালে একই ধরনের বাধার মুখে পড়ে এই জাহাজ।
পেন্টাগনের একজন মুখপাত্র জেফ জারজেসেন এক ই-মেইল বার্তায় আল জাজিরাকে জানান, ওই জাহাজ মার্কিন সামরিক বাহিনীর কার্গো নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এর বেশি তথ্য দিতে তিনি অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল ব্রায়ন জে ম্যাকগ্যারি বলেছেন, জাহাজটি মার্কিন নৌবাহিনীর। এটি মার্কিন সামরিক বাহিনীর মালপত্র পরিবহন করে। তবে নিরাপত্তার কারণে এই জাহাজ ঠিক কোথায় যাবে, তা জানাননি ম্যাকগ্যারি।
গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১০ হাজার ২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ১০৪ জন শিশু রয়েছে।
হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত এবং ২০০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করার পর গাজায় বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, ঘন জনবসতিপূর্ণ গাজা ক্রমশ শিশুদের কবরস্থানে পরিণত হচ্ছে। আরও একবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গাজা স্ট্রিপের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, এটি একটি সার্বিক মানবিক সংকটে পরিণত হয়েছে। গোটা বিশ্বের উচিত এই পরিস্থিতি থামানোর জন্য আবেদন করা।
সারা বিশ্বে প্রতিদিনই গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করছেন লাখ লাখ মানুষ। বিশ্ববাসী গাজায় যুদ্ধবিরতি দাবি তুললেও তা আমলে নিচ্ছে না ইসরায়েল ও তাদের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে তেল আবিবকে অস্ত্র-অর্থ—সব দিয়েই সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এমন প্রচেষ্টা রুখে দিতে এবার এক দুঃসাহসিক কাজ করেছেন ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা।
গত শুক্রবার (৩ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের টাকোমা বন্দরে একটি মার্কিন সামরিক জাহাজ ভিড়লে খবর ছড়িয়ে পড়ে, ওই জাহাজে করে ইসরায়েলে অস্ত্রসহায়তা পাঠাবে বাইডেন প্রশাসন। এরপরই দুই শতাধিক ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী ওকল্যান্ড বন্দরে ঢুকে বিক্ষোভ করেন। এমনকি ইসরায়েলকে দেওয়া অস্ত্রসহায়তা আটকে দিতে বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন জাহাজের ওপরে উঠে পড়েন। তাঁদের বাধার মুখে সামরিক রণতরি আর ছাড়তে পারেনি নির্দিষ্ট সময়ে। খবর আল জাজিরার।
শুক্রবারের বিক্ষোভের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরব রিসোর্স অ্যান্ড অর্গানাইজিং সেন্টার। সংগঠনটির গণমাধ্যমবিষয়ক সমন্বয়ক ওয়াসিম হেজ বলেছেন, ‘মার্কিন সরকার এসব অস্ত্র ইসরায়েলে পাঠাচ্ছে, আমরা এই সতর্কবার্তা দিতে এখানে এসেছি। আমরা মানুষকে জানাতে চাই যে গাজার ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলি গণহত্যায় সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার আমাদের বন্দর ব্যবহার করে চলেছে। আমরা গাজায় যুদ্ধবিরতি চাই, সেখানে বেসরকারি নাগরিকদের হত্যা বন্ধ করা হোক, আমরা সেটা চাই।’
বিক্ষোভকারীদের আশঙ্কা, এসব অস্ত্র দিয়ে ইসরায়েল গাজায় হামলা চালাবে। যদিও সেখানে হামলায় এরই মধ্যে ১০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
তবে ওই সামরিক জাহাজ আসলে অস্ত্র পরিবহন করছিল কি না বা সেটি আদৌ ইসরায়েলে যাচ্ছিল কি না, তা জানাতে পারেনি নিউইয়র্ক পোস্ট ও আল জাজিরা।
অবশ্য বিক্ষোভকারীদের বাধা সত্ত্বেও কয়েক ঘণ্টা পর ওয়াশিংটনের টাকোমা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে যায় জাহাজটি। গতকাল সোমবার সেখানে পৌঁছালে একই ধরনের বাধার মুখে পড়ে এই জাহাজ।
পেন্টাগনের একজন মুখপাত্র জেফ জারজেসেন এক ই-মেইল বার্তায় আল জাজিরাকে জানান, ওই জাহাজ মার্কিন সামরিক বাহিনীর কার্গো নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এর বেশি তথ্য দিতে তিনি অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল ব্রায়ন জে ম্যাকগ্যারি বলেছেন, জাহাজটি মার্কিন নৌবাহিনীর। এটি মার্কিন সামরিক বাহিনীর মালপত্র পরিবহন করে। তবে নিরাপত্তার কারণে এই জাহাজ ঠিক কোথায় যাবে, তা জানাননি ম্যাকগ্যারি।
গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১০ হাজার ২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ১০৪ জন শিশু রয়েছে।
হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত এবং ২০০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করার পর গাজায় বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, ঘন জনবসতিপূর্ণ গাজা ক্রমশ শিশুদের কবরস্থানে পরিণত হচ্ছে। আরও একবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গাজা স্ট্রিপের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, এটি একটি সার্বিক মানবিক সংকটে পরিণত হয়েছে। গোটা বিশ্বের উচিত এই পরিস্থিতি থামানোর জন্য আবেদন করা।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন করা হচ্ছে এবং এই কর্মসূচি পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পারমাণবিক সংস্থা প্রধান মোহাম্মদ ইসলামি। ইরানের আধা-সরকারি সংবাদমাধ্যম মেহের নিউজের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
২৩ মিনিট আগেইসরায়েল দাবি করেছে, ইরান যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। অবশ্য, এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেয়নি দেশটি। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এই বিষয়টি দাবি করেছেন। পাশাপাশি, তিনি ইরানের এই তথাকথিত হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেউভয় পক্ষে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানির পর অবশেষে ইরান-ইসরায়েলের ১২ দিনের যুদ্ধ শেষ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ও কাতারের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে এই যুদ্ধবিরতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি দীর্ঘ ২০ মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ চলতে থাকা গাজাকে।
২ ঘণ্টা আগেএরই মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির মধ্যে। এই যুদ্ধবিরতির তীব্র বিরোধিতা করেছেন পার্টির সদস্য ড্যান ইলাউজ। ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘ইসরায়েল কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারে না। একমাত্র যে চুক্তিতে ইসরায়েল স্বাক্ষর করতে পারে
২ ঘণ্টা আগে