আজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনার সাভানা রিভার সাইটে পারমাণবিক বর্জ্যের ট্যাংকের পাশে একটি বোলতার বাসা থেকে বিপজ্জনক মাত্রার তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত করা হয়েছে। মার্কিন জ্বালানি দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাসাটি সরকারনির্ধারিত নিরাপদ মাত্রার চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি তেজস্ক্রিয়তা ছড়াচ্ছিল। কর্মকর্তাদের দাবি, বাসাটি যথাযথভাবে অপসারণ করা হয়েছে এবং এতে জনগণের জন্য কোনো বিপদের আশঙ্কা নেই।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৩ জুলাই পারমাণবিক বর্জ্য সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা নিয়মিত রেডিয়েশন পর্যবেক্ষণের সময় একটি খুঁটির গায়ে অস্বাভাবিক মাত্রার রেডিওঅ্যাকটিভিটি শনাক্ত করেন। পরে সেখানে একটি পরিত্যক্ত বোলতার বাসা পাওয়া যায়, যেটি কীটনাশক ছিটিয়ে ধ্বংস করা হয় এবং পারমাণবিক বর্জ্য হিসেবে নিষ্পত্তি করা হয়। বাসাটিতে কোনো জীবন্ত বোলতা ছিল না বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
জ্বালানি দপ্তর জানায়, পারমাণবিক বর্জ্যের ট্যাংক থেকে কোনো ধরনের লিকেজ বা ফুটো হয়নি। বাসাটি সম্ভবত অতীতে সাইটে পারমাণবিক উৎপাদন চলাকালে সৃষ্ট তেজস্ক্রিয় ধুলাবালির সংস্পর্শে এসে দূষিত হয়েছে। এ ধরনের ঘটনাকে ‘লিগ্যাসি কন্টামিনেশন’ বলা হয়।
তবে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংগঠন সাভান্নাথ রিভার সাইট ওয়াচ। সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক টম ক্লেমেন্টস বলেন, ঘটনাটি নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ। তিনি বলেন, বাসাটি কীভাবে তেজস্ক্রিয় হলো, কোথা থেকে দূষণ এল কিংবা আশপাশে এ ধরনের আরও বাসা রয়েছে কি না—এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়নি। তাঁর মতে, বাসাটি কোন প্রজাতির বোলতার ছিল, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ; কারণ, মাটির তৈরি বাসা হলে দূষণের উৎস ট্যাংকের আশপাশেই হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
বর্তমানে এই স্থাপনার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা সাভানা রিভার মিশন কমপ্লিশন জানিয়েছে, ঘটনাস্থলটি সাইটের ভেতরে এবং জনসাধারণের নাগালের বাইরে। সাধারণত বোলতা তাদের বাসার কয়েক শ গজের বেশি দূরে উড়ে যায় না, তাই বাইরে ছড়ানোর ঝুঁকি নেই। এমনকি বোলতা বাসায় থাকলেও তাদের দেহে বাসার তুলনায় অনেক কম তেজস্ক্রিয়তা থাকার কথা বলেও জানায় তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৯৫০-এর দশকে স্থাপিত হয় সাভানা রিভার সাইটটি। সে সময় এখানে প্লুটোনিয়াম পিট উৎপাদন করা হতো, যা পারমাণবিক বোমার কেন্দ্রীয় অংশ। বর্তমানে স্থাপনাটি মূলত পারমাণবিক বর্জ্য পরিশোধন, সংরক্ষণ ও পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এ পর্যন্ত এই স্থাপনায় ১৬৫ মিলিয়ন গ্যালনের বেশি তরল পারমাণবিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে। পরিশোধনের মাধ্যমে তা প্রায় ৩৪ মিলিয়ন গ্যালনে কমিয়ে আনতে সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে এখানে ৪৩টি ভূগর্ভস্থ ট্যাংকে বর্জ্য সংরক্ষিত রয়েছে এবং আটটি ট্যাংক স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো রকম স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই। তবে তেজস্ক্রিয় বস্তুর সংস্পর্শে কীভাবে একটি পতঙ্গের বাসা এতটা দূষিত হয়ে উঠল, তা নিয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনার সাভানা রিভার সাইটে পারমাণবিক বর্জ্যের ট্যাংকের পাশে একটি বোলতার বাসা থেকে বিপজ্জনক মাত্রার তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত করা হয়েছে। মার্কিন জ্বালানি দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাসাটি সরকারনির্ধারিত নিরাপদ মাত্রার চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি তেজস্ক্রিয়তা ছড়াচ্ছিল। কর্মকর্তাদের দাবি, বাসাটি যথাযথভাবে অপসারণ করা হয়েছে এবং এতে জনগণের জন্য কোনো বিপদের আশঙ্কা নেই।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৩ জুলাই পারমাণবিক বর্জ্য সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা নিয়মিত রেডিয়েশন পর্যবেক্ষণের সময় একটি খুঁটির গায়ে অস্বাভাবিক মাত্রার রেডিওঅ্যাকটিভিটি শনাক্ত করেন। পরে সেখানে একটি পরিত্যক্ত বোলতার বাসা পাওয়া যায়, যেটি কীটনাশক ছিটিয়ে ধ্বংস করা হয় এবং পারমাণবিক বর্জ্য হিসেবে নিষ্পত্তি করা হয়। বাসাটিতে কোনো জীবন্ত বোলতা ছিল না বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
জ্বালানি দপ্তর জানায়, পারমাণবিক বর্জ্যের ট্যাংক থেকে কোনো ধরনের লিকেজ বা ফুটো হয়নি। বাসাটি সম্ভবত অতীতে সাইটে পারমাণবিক উৎপাদন চলাকালে সৃষ্ট তেজস্ক্রিয় ধুলাবালির সংস্পর্শে এসে দূষিত হয়েছে। এ ধরনের ঘটনাকে ‘লিগ্যাসি কন্টামিনেশন’ বলা হয়।
তবে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংগঠন সাভান্নাথ রিভার সাইট ওয়াচ। সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক টম ক্লেমেন্টস বলেন, ঘটনাটি নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ। তিনি বলেন, বাসাটি কীভাবে তেজস্ক্রিয় হলো, কোথা থেকে দূষণ এল কিংবা আশপাশে এ ধরনের আরও বাসা রয়েছে কি না—এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়নি। তাঁর মতে, বাসাটি কোন প্রজাতির বোলতার ছিল, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ; কারণ, মাটির তৈরি বাসা হলে দূষণের উৎস ট্যাংকের আশপাশেই হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
বর্তমানে এই স্থাপনার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা সাভানা রিভার মিশন কমপ্লিশন জানিয়েছে, ঘটনাস্থলটি সাইটের ভেতরে এবং জনসাধারণের নাগালের বাইরে। সাধারণত বোলতা তাদের বাসার কয়েক শ গজের বেশি দূরে উড়ে যায় না, তাই বাইরে ছড়ানোর ঝুঁকি নেই। এমনকি বোলতা বাসায় থাকলেও তাদের দেহে বাসার তুলনায় অনেক কম তেজস্ক্রিয়তা থাকার কথা বলেও জানায় তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৯৫০-এর দশকে স্থাপিত হয় সাভানা রিভার সাইটটি। সে সময় এখানে প্লুটোনিয়াম পিট উৎপাদন করা হতো, যা পারমাণবিক বোমার কেন্দ্রীয় অংশ। বর্তমানে স্থাপনাটি মূলত পারমাণবিক বর্জ্য পরিশোধন, সংরক্ষণ ও পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এ পর্যন্ত এই স্থাপনায় ১৬৫ মিলিয়ন গ্যালনের বেশি তরল পারমাণবিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে। পরিশোধনের মাধ্যমে তা প্রায় ৩৪ মিলিয়ন গ্যালনে কমিয়ে আনতে সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে এখানে ৪৩টি ভূগর্ভস্থ ট্যাংকে বর্জ্য সংরক্ষিত রয়েছে এবং আটটি ট্যাংক স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো রকম স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই। তবে তেজস্ক্রিয় বস্তুর সংস্পর্শে কীভাবে একটি পতঙ্গের বাসা এতটা দূষিত হয়ে উঠল, তা নিয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
ব্রিজিতের জন্ম পুরুষ হিসেবে হয়েছিল—এমন তথ্য প্রচার করেন ডানপন্থী ইনফ্লুয়েন্সার ক্যান্ডেস ওয়েন্স। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন মাখোঁ দম্পতি। তাঁদের আইনজীবী জানিয়েছেন, এ মামলায় তাঁরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আদালতে উপস্থাপন করবেন। এদিকে ওয়েন্সের আইনজীবীরা মামলাটি খারিজ করার জন্য একটি আবেদন করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগেনেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশটির মার্কস ও লেনিন পন্থী কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিএন–ইউএমএল) চেয়ারম্যান কেপি শর্মা অলি অবশেষে সেনাবাহিনীর সুরক্ষা থেকে বেরিয়ে এসেছেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি শিবপুরীতে অবস্থিত নেপাল আর্মির স্টাফ কলেজে অবস্থান করছিলেন।
৫ ঘণ্টা আগেট্রাম্প স্বীকার করেন, তিনি ভেবেছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধান করা ‘সহজ’ হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, তিনি শেষ পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান করবেন।
৬ ঘণ্টা আগেনেপালের খ্যাতনামা চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. সন্দুক রুইত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি তাঁর রোগীদের ছেড়ে মন্ত্রী হতে চান না। মঙ্গলবার সকালে নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি কাঠমান্ডুর তিলগঙ্গা চক্ষু ইনস্টিটিউটে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
৭ ঘণ্টা আগে