Ajker Patrika

শুল্কের ক্ষমতা আছে বলেই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারছি: ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ২৫
মস্কোর সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে লক্ষ্য করে ট্রাম্প ভারতের প্রতি সমালোচনা বাড়িয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত
মস্কোর সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে লক্ষ্য করে ট্রাম্প ভারতের প্রতি সমালোচনা বাড়িয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র ‘শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী’ দেশ—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন দাবি নতুন নয়। আবারও সেই শান্তির সুর তুললেন তিনি। ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আসলে একটি ‘শান্তিরক্ষক’ দেশ। আর সেই শান্তি এসেছে শুল্কের শক্তি থেকে। তাঁর আরোপিত শুল্কের কারণেই দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশ ভারত-পাকিস্তান এই বছরের শুরুতে সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিল।

ট্রাম্প আরও বলেন, আরোপিত এই শুল্ক থেকে ওয়াশিংটনও আয় করছে শত শত বিলিয়ন ডলার।

ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, শুল্কনীতি নিয়ে তাঁর অবস্থান বদলাবেন কি না। জবাবে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি আমার হাতে শুল্কের ক্ষমতা না থাকত, তাহলে এখন চলমান সাতটির মধ্যে অন্তত চারটি যুদ্ধ চলত।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের দিকে তাকান, তারা যুদ্ধের মুখে ছিল। সাতটি বিমান গুলি করে নামানো হয়েছিল...আমি ঠিক কী বলেছিলাম তা বলতে চাই না, কিন্তু যা বলেছিলাম, তা খুবই কার্যকর হয়েছিল।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা শুধু শত শত বিলিয়ন ডলারই উপার্জন করি না, বরং শুল্কের কারণেই আমরা শান্তিরক্ষকের ভূমিকায় আছি।’

এর আগেও ট্রাম্প দাবি করেছেন, তাঁর হস্তক্ষেপে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। গত ১০ মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় রাতভর আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান একটি ‘সম্পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক’ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। সে সময় থেকে তিনি বহুবার দাবি করেছেন, নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে সহায়তা করেছে ওয়াশিংটন।

গত আগস্ট মাসে ট্রাম্প দাবি করেন, এই দুই এশীয় প্রতিবেশীর মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাণিজ্য বন্ধ রাখা এবং ভারী শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন।

ট্রাম্পের ভাষায়, ‘আমি বলেছিলাম, আমি আপনার সঙ্গে কোনো বাণিজ্য চুক্তি করতে চাই না...আপনারা তো প্রায় পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে যাচ্ছিলেন। আমি বলেছিলাম, আমাকে আগামীকাল ফোন করুন, কিন্তু আমরা আপনাদের সঙ্গে কোনো চুক্তি করব না, অথবা আমরা এমন উচ্চ শুল্ক আরোপ করব যে আপনাদের মাথা ঘুরে যাবে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আলোচনার পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ শান্তিচুক্তিতে পৌঁছেছিল।

তবে ভারত তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে। তারা বলেছিল, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশন্স (ডিজিএমও) ভারতের সমকক্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করার পর যুদ্ধবিরতি নিয়ে সমঝোতা হয়।

যদিও পাকিস্তান প্রথমে ট্রাম্পের দাবি অস্বীকার করেছিল, পরে তারা তা স্বীকার করে নেয় এবং ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে। তারা জানায়, সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংকটে ‘ট্রাম্পের দৃঢ় কূটনৈতিক ভূমিকা ও নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসেবে’ ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হলো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত