Ajker Patrika

৬ বছর কানাডায় বাস, সীমান্তে আটক বাংলাদেশিকে নিয়ে বিপাকে মার্কিন কর্তৃপক্ষ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মাহিন শাহরিয়ার। ছবি: সংগৃহীত
মাহিন শাহরিয়ার। ছবি: সংগৃহীত

অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অভিযোগে কানাডায় আশ্রয়প্রার্থী এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ (আইসিই)। কানাডিয়ান প্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডায় আশ্রয়প্রার্থী ওই তরুণের নাম মাহিন শাহরিয়ার। মাহিন ২০১৯ সাল থেকে কানাডায় বসবাস করছেন। তবে, যুক্তরাষ্ট্রে আটকের পর তাঁকে ফেরত নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে কানাডা।

কানাডিয়ান প্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটে যুক্তরাষ্ট্রের বাফেলো সীমান্ত এলাকায়। মাহিন জানান, তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। তাই কিছুদিন বাড়ির বাইরে থাকতে চেয়েছিলেন। তখন এক বন্ধু তাঁকে কোথাও ঘুরতে যেতে বলেন, যেখানে তিনি নিজের মতো করে কিছুদিন থাকতে পারতেন। এরপরই বেরিয়ে পড়েন মাহিন। কিন্তু তিনি যে স্থানটিতে যান, সেটি ছিল কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তের খুব কাছাকাছি। পরে মাহিন বুঝতে পারেন, তিনি সীমান্ত অতিক্রম করে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে চলে গেছেন।

মাহিন বলেন, ‘আমি শুধু বন্ধুর দেওয়া দিকনির্দেশনা অনুসরণ করছিলাম। হঠাৎ দেখি আমি যুক্তরাষ্ট্রে। এটা আমার উদ্দেশ্য ছিল না।’

মাহিন জানান, সীমান্তে প্রবেশের পর তিনি নিজেই মার্কিন সীমান্তরক্ষীদের কাছে গিয়ে বিষয়টি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কর্মকর্তারা তাঁকে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অভিযোগে আটক করেন।

আইসিই কর্মকর্তারা মাহিনের আইনজীবী ওয়াসিম আহমেদকে জানিয়েছেন, তাঁরা মাহিনকে ফেরত নিতে কানাডাকে বাধ্য করবে না। একই সঙ্গে, মাহিনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোও সম্ভব নয়। কারণ, তাঁর কাছে কোনো বৈধ নথিপত্র নেই।

মাহিনের আইনজীবী ওয়াসিম আহমেদ জানিয়েছেন, তিনি এখন জরুরি ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্টে শুনানির আবেদন করছেন, যাতে মানবিক কারণে কানাডা সীমান্ত সেবা সংস্থা (সিবিএসএ) মাহিনকে ফেরত নিতে রাজি হয়। তিনি বলেন, ‘কানাডা ছাড়ার আগে মাহিন সেখানে বৈধভাবে বসবাস করছিলেন। তাঁর মা ও বোন দুজনেই কানাডায় বৈধ অবস্থায় আছেন এবং তিনিও সেখানে পরিবারের সদস্য হিসেবে বসবাস করছিলেন।’

কানাডিয়ান প্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৪ সেপ্টেম্বর মাহিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নথিতে স্বাক্ষর করেছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চান না। কারণ, তাঁর পরিবার ইতিমধ্যেই কানাডায় আশ্রয় পেয়েছে এবং তাঁর নিজের আবেদনও এখন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মাহিন আসলে কোথায় যাবেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

মাহিন জানান, তাঁর মা-বাবার বিচ্ছেদ হওয়ার পর তিনি, তাঁর মা ও বোন কানাডায় পালিয়ে আসেন। তিনি তাঁর মা এবং ছোট বোনের ভরণপোষণের জন্য উবার চালাতেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র থাকছে জুলাই সনদে, স্পষ্ট হলো নোট অব ডিসেন্ট

৬ বছর কানাডায় বাস, সীমান্তে আটক বাংলাদেশিকে নিয়ে বিপাকে মার্কিন কর্তৃপক্ষ

নির্বাচন কীভাবে হবে, তা রাজনৈতিক নেতারা ঠিক করবেন: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে যা যা আছে

পীরগাছায় বিএনপি নেতার ওপর হামলার জেরে সড়ক অবরোধ, চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যৌন কেলেঙ্কারিতে ডিউক অব ইয়র্ক উপাধি ত্যাগ করলেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রিন্স অ্যান্ড্রু। ছবি: দ্য টাইমস
প্রিন্স অ্যান্ড্রু। ছবি: দ্য টাইমস

ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রু তাঁর ডিউক অব ইয়র্কসহ সব রাজকীয় উপাধি ত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন। ব্যক্তিগত এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন—দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বিরুদ্ধে চলা অভিযোগ রাজপরিবারের ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলছে, তাই তিনি নিজেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময় শুক্রবার মধ্যরাতে বিবিসি জানিয়েছে, অ্যান্ড্রু দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন যৌন অপরাধী জেফরি অ্যাপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে তীব্র সমালোচনার মুখে ছিলেন। রাজপ্রাসাদের ভেতর থেকেও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে। অবশেষে রাজা তৃতীয় চার্লস এবং পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি উপাধি ও সম্মাননা ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।

বিবৃতিতে প্রিন্স অ্যান্ড্রু বলেন, ‘রাজা এবং পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পর আমরা মনে করেছি, আমার বিষয়ে চলমান অভিযোগগুলো রাজপরিবারের কাজের পথে বাধা সৃষ্টি করছে। আমি সব সময় পরিবারের ও দেশের দায়িত্বকেই অগ্রাধিকার দিয়েছি। সেই কারণেই আমি এখন উপাধি ও সম্মাননা ব্যবহার বন্ধ করছি। তবে আমি আগের মতোই আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ অস্বীকার করছি।’

প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে মার্কিন নাগরিক ভার্জিনিয়া জিউফরের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের মামলা, যা তিনি আদালতের বাইরে মিটিয়ে ফেলেছিলেন। এ ছাড়া তাঁর আর্থিক লেনদেন এবং এক চীনা গুপ্তচরের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

তিনি এখন থেকে আর ‘ডিউক অব ইয়র্ক’ উপাধি ব্যবহার করবেন না, যদিও তাঁর ‘প্রিন্স’ পরিচয় বহাল থাকবে। এই উপাধি তিনি পেয়েছিলেন প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে। এর আগে তিনি ‘ওয়ার্কিং রয়্যাল’ বা সক্রিয় রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন বন্ধ করেছিলেন এবং ‘এইচআরএইচ’ খেতাবও হারান।

এদিকে অ্যান্ড্রুর প্রাক্তন স্ত্রী সারাহ ফার্গুসনও আর ‘ডাচেস অব ইয়র্ক’ নামে পরিচিত থাকবেন না। তবে তাঁদের দুই কন্যা—প্রিন্সেস বিট্রিস ও ইউজেনির রাজকন্যার মর্যাদা বজায় থাকবে।

উল্লেখ্য, আগামী সপ্তাহে ভার্জিনিয়া জিউফরের একটি স্মৃতিকথা প্রকাশ পেতে যাচ্ছে, যা আবারও প্রিন্স অ্যান্ড্রুর অতীত ও তাঁর অ্যাপস্টেইন–যোগ নিয়ে আলোচনার ঝড় তুলতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র থাকছে জুলাই সনদে, স্পষ্ট হলো নোট অব ডিসেন্ট

৬ বছর কানাডায় বাস, সীমান্তে আটক বাংলাদেশিকে নিয়ে বিপাকে মার্কিন কর্তৃপক্ষ

নির্বাচন কীভাবে হবে, তা রাজনৈতিক নেতারা ঠিক করবেন: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে যা যা আছে

পীরগাছায় বিএনপি নেতার ওপর হামলার জেরে সড়ক অবরোধ, চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভেনেজুয়েলার উপকূলে হঠাৎ মার্কিন বি-৫২ বোমারু বিমান!

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বোয়িং বি-৫২ বোমারু বিমান। ছবি: বিবিসি
বোয়িং বি-৫২ বোমারু বিমান। ছবি: বিবিসি

মার্কিন বিমানবাহিনীর একাধিক বোয়িং বি-৫২ বোমারু বিমান গত বুধবার লুইজিয়ানার ঘাঁটি থেকে উড়ে ক্যারিবীয় সাগর অতিক্রম করে ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছাকাছি আকাশে চক্কর দিয়েছে। এয়ারলাইন ট্র্যাকিং ডেটায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে বলে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জানিয়েছে বিবিসি।

বিষয়টি নিয়ে বিবিসিকে সামরিক গোয়েন্দা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষণের আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘জেইনস ডিফেন্স ইনসাইট’ এর পরিচালক নিক ব্রাউন বলেছেন, এই ধরনের বিমান ওই অঞ্চলে পরিচালিত হওয়া ‘খুবই অস্বাভাবিক’।

ব্রাউন জানান, মার্কিন বিমানবাহিনী দীর্ঘ পাল্লার ও দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ মিশন নিয়মিতই পরিচালনা করে, যাতে ক্রু ও বিমানগুলো সব সময় মিশনের উপযোগী থাকে। তবে ব্রাউনের মতে, এবারের ঘটনাটি স্পষ্টভাবে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে বার্তা দেওয়ার উদ্দেশে পরিচালিত হয়েছে। এটা ওই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর অংশ।

বিমানগুলোর গতিবিধি নিয়ে ব্রাউন বলেন, ‘তারা বেশির ভাগ সময় ট্রান্সপনডার চালু রেখেছিল, যাতে তাদের অবস্থান বিমান ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটে দেখা যায়। এটি যেমন নিরাপদ বিমান চলাচলের নিয়ম মেনে করা হয়েছে, তেমনি তারা চেয়েছে যেন তাদের উপস্থিতি সবাই দেখে।’

তিনি জানান, বি-৫২ বিমানগুলো গ্লাইড বোমা থেকে শুরু করে ক্রুজ মিসাইল ও পারমাণবিক অস্ত্র পর্যন্ত বিপুল পরিসরের অস্ত্র বহনে সক্ষম। তবে বেশির ভাগ অস্ত্র ভেতরে বহন করা হয় বলে নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না ভেনেজুয়েলার উপকূলে বিমানগুলো তখন অস্ত্রে সজ্জিত ছিল কি না।

গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, তিনি ভেনেজুয়েলায় স্থল হামলা চালানোর কথা বিবেচনা করছেন। এতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।

এদিকে মার্কিন গ্লোবাল স্ট্রাইক কমান্ডের এক মুখপাত্র বিবিসির সহযোগী মাধ্যম সিবিএস-কে নিশ্চিত করেছেন, অন্তত তিনটি বিমান ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি উড়েছে। তবে এই মিশনের প্রকৃতি সম্পর্কে তিনি কিছু জানাননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র থাকছে জুলাই সনদে, স্পষ্ট হলো নোট অব ডিসেন্ট

৬ বছর কানাডায় বাস, সীমান্তে আটক বাংলাদেশিকে নিয়ে বিপাকে মার্কিন কর্তৃপক্ষ

নির্বাচন কীভাবে হবে, তা রাজনৈতিক নেতারা ঠিক করবেন: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে যা যা আছে

পীরগাছায় বিএনপি নেতার ওপর হামলার জেরে সড়ক অবরোধ, চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দ. কোরিয়ায় অবিবাহিত বাবা-মায়ের সন্তানের হার ৫ শতাংশ ছাড়াল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার সমাজে প্রচলিত ঐতিহ্যবাহী পারিবারিক মূল্যবোধ দ্রুত বদলাচ্ছে। সেই পরিবর্তনেরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে জন্মহার সংক্রান্ত নতুন পরিসংখ্যানে। নিক্কেই এশিয়া জানিয়েছে, দেশটিতে প্রথমবারের মতো অবিবাহিত বাবা-মায়ের সন্তানের হার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।

সরকারি সংস্থা স্ট্যাটিসটিকস কোরিয়ার সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে দেশটিতে প্রায় ১৪ হাজার শিশু জন্ম নিয়েছে বিবাহবন্ধনের বাইরে, যা মোট জন্মের ৫.৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে এই হার ছিল ৪.৭ শতাংশ। ২০১৬ সালে তা ছিল মাত্র ১.৯ শতাংশ। অর্থাৎ আট বছরের ব্যবধানে এই হার তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিয়ের আগে সন্তান নেওয়ার বিষয়ে ধারণা দ্রুত বদলাচ্ছে। এখন অনেকেই মনে করেন, সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য বিয়ে বাধ্যতামূলক নয়। এই মানসিকতার পরিবর্তনই প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

দেশটির জনপ্রিয় অভিনেতা জুং উ-সুং ও মডেল মুন গা-বির সম্পর্ক এই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করে। বিয়ে না করেই সন্তান জন্মের খবর প্রকাশের পর কোরীয় সমাজে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। কেউ কেউ সমালোচনা করলেও প্রগতিশীল অংশের মানুষেরা এটিকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখেছেন। তাঁরা বলছেন, এটি দক্ষিণ কোরিয়ার সামাজিক মানসিকতায় একটি নতুন পরিবর্তনের প্রতিফলন।

কোরিয়ান উইমেন’স ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, বিয়ের বাইরে সন্তান নেওয়ার ধারণা এখন তরুণদের মধ্যে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। ২০০৮ সালে ২০–৩০ বছর বয়সী পুরুষদের মধ্যে এই ধারণাকে সমর্থন করতেন ৩২.৪ শতাংশ; ২০২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৩.১ শতাংশ। একই বয়সী নারীদের মধ্যে সমর্থনের হার আরও বেড়ে ৪২.৪ শতাংশে পৌঁছেছে।

কোরিয়ান পেনিনসুলা পপুলেশন ইনস্টিটিউট ফর ফিউচার-এর পরিচালক লি ইন-সিল বলেন, ‘সমাজের আবহ অনেক বদলে গেছে। সিঙ্গেল মায়েদের জন্য সরকারি সহায়তাও এখন অনেক বেশি। ফলে নারীরা মনে করছেন, বিয়ে ছাড়াই সন্তান লালন-পালন সম্ভব।’

জনসংখ্যা হ্রাসে ভুগতে থাকা দেশটি ২০০৮ সালে পুরোনো পারিবারিক নিবন্ধন ব্যবস্থা বাতিল করে যেন অবিবাহিত মায়েরা তাঁদের সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করতে পারেন। এই পরিবর্তন একক মাতৃত্বের পথে বড় বাধা দূর করেছে।

অন্যদিকে সামাজিক কাঠামোতেও পরিবর্তন আসছে। অনেক তরুণী এখন প্রশ্ন তুলছেন, কেন বিয়ের পর নারীদেরই স্বামীর পরিবারে থেকে গৃহস্থালি ও বৃদ্ধ সেবার দায়িত্ব নিতে হবে। দেশটিতে পশ্চিমা জীবনধারার প্রভাব ও অর্থনৈতিক চাপে, বিশেষ করে বাড়ির দামের ঊর্ধ্বগতিতে তরুণেরা এখন আগের মতো বিয়েতে আগ্রহী হচ্ছেন না।

২০২৪ সালের জনগণনা অনুসারে, দেশটির ৩০-এর কোঠার ৫৩.৪ শতাংশ মানুষ অবিবাহিত, যা দুই বছর আগের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি। একই বয়সী শুধু পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার ৬১.৬ শতাংশ।

এমন সামাজিক পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার বর্তমান আইন ও নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করছে, যাতে অবিবাহিত বাবা-মায়েদের সমস্যাগুলো আরও আরও ভালো করে বোঝা যায়।

তারপরও দক্ষিণ কোরিয়ায় অবিবাহিত জন্মের হার উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। ওইসিডির তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এই হার ২০২০ সালে ছিল ৪০.৫ শতাংশ, তুরস্কে ২.৮ এবং জাপানে ২.৪ শতাংশ।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়াই বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে কম জন্মহারবিশিষ্ট দেশ, যেখানে প্রত্যেক নারী গড়ে মাত্র ০.৭৫টি সন্তান জন্ম দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র থাকছে জুলাই সনদে, স্পষ্ট হলো নোট অব ডিসেন্ট

৬ বছর কানাডায় বাস, সীমান্তে আটক বাংলাদেশিকে নিয়ে বিপাকে মার্কিন কর্তৃপক্ষ

নির্বাচন কীভাবে হবে, তা রাজনৈতিক নেতারা ঠিক করবেন: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে যা যা আছে

পীরগাছায় বিএনপি নেতার ওপর হামলার জেরে সড়ক অবরোধ, চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লেবাননে ১৩৪ কোটি টাকা জামিনে গাদ্দাফিপুত্র হান্নিবালকে মুক্তির নির্দেশ, নেই সামর্থ্য

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ১৫
হান্নিবাল গাদ্দাফি। ছবি: সংগৃহীত
হান্নিবাল গাদ্দাফি। ছবি: সংগৃহীত

লিবিয়ার প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে হান্নিবাল গাদ্দাফি প্রায় এক দশক ধরে লেবাননে বন্দী। এবার লেবাননের আদালত ১ কোটি ১০ লাখ ডলারে (প্রায় ১৩৪ কোটি টাকা) জামিনে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তাঁর আইনজীবীরা জানিয়েছেন, হান্নিবালের কাছে এই অর্থ পরিশোধের সামর্থ্য নেই।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ছাড়াই লেবাননে বন্দী আছেন হান্নিবাল গাদ্দাফি। এবার বিচারক জাহের হামাদার স্বাক্ষরিত নির্দেশে তাঁর মুক্তির পাশাপাশি লেবানন ত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে।

সম্প্রতি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর হান্নিবালের আইনজীবীরা আদালতের কাছে তাঁর মুক্তির আবেদন করেন। ২০১৫ সাল থেকে তিনি বৈরুতের পুলিশ সদর দপ্তরে আটক রয়েছেন। আটক অবস্থায় এর আগে বহুবার তিনি অনশন করেছেন। এভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে বেশ কয়েকবার তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

লেবানন সরকারের অভিযোগ, হান্নিবাল গাদ্দাফি ১৯৭৮ সালে লিবিয়া সফরের সময় নিখোঁজ হওয়া শিয়াপন্থী ধর্মগুরু ইমাম মুসা আল-সাদরের বিষয়ে তথ্য গোপন করেছেন। তবে হান্নিবাল দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ এবং অন্যায়ের শিকার। ইমাম মুসা আল-সাদরের লিবিয়া সফরের সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র দুই বছর। তাই এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

২০২৩ সালে লিবিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল সিদ্দিক আল সউর আনুষ্ঠানিকভাবে লেবাননের কাছে তাঁর মুক্তির অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

হান্নিবাল গাদ্দাফি ২০১১ সালে লিবিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় দেশ ছাড়েন, যখন তাঁর পিতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি বিদ্রোহীদের হাতে সিরতে শহরে নিহত হন। পরে তিনি তাঁর লেবানিজ স্ত্রী আলিন স্কাফ ও সন্তানদের নিয়ে সিরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু একসময় তাঁকে অপহরণ করে লেবাননে নিয়ে যায় একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং তাঁকে লেবানন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়।

উল্লেখ্য, হান্নিবাল গাদ্দাফি মুয়াম্মার গাদ্দাফির পঞ্চম পুত্র। গাদ্দাফির মোট সাতজন পুত্র ও এক কন্যা ছিল। গাদ্দাফির পরিবারের সদস্যদের ভাগ্য ২০১১ সালের লিবিয়া বিপ্লবের পর নানা দিকে ছড়িয়ে যায়। তাঁর অন্য সন্তানদের মধ্যে সবার বড় মুহাম্মদ গাদ্দাফি ২০১১ সালে ত্রিপোলি দখলের সময় আত্মসমর্পণ করেন এবং পরে ওমানে আশ্রয় পান। বর্তমানে সেখানে তিনি শান্ত জীবন যাপন করছেন বলে জানা যায়।

দ্বিতীয় পুত্র সাইফ আল-ইসলামকে একসময় লিবিয়ার রাজনীতিতে গাদ্দাফির উত্তরসূরি হিসেবে দেখা হতো। বিপ্লবের পর তিনি গ্রেপ্তার হন ও লিবিয়ার জিনতান শহরে বন্দী ছিলেন। পরে তিনি মুক্তি পান এবং বর্তমানে লিবিয়ার রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন। এমনকি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছেন।

তৃতী১য় পুত্র আল-সাদি ছিলেন ফুটবলার। তিনি ইতালির সিরি আ’ লিগেও খেলেছেন। বিপ্লবের পর তিনি নাইজারে পালিয়ে গিয়েছিলেন, পরে তাঁকে লিবিয়ায় প্রত্যর্পণ করা হয়। দীর্ঘদিন লিবিয়ার কারাগারে থাকার পর ২০২১ সালে তিনি মুক্তি পান। বর্তমানে শান্ত জীবন যাপন করছেন বলে ধারণা করা হয়।

চতুর্থ পুত্র মুতাসিম বিল্লাহ গাদ্দাফি লিবিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন। বাবার মতোই ২০১১ সালে সিরতে শহরে বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হন তিনি।

ষষ্ঠ পুত্র সাইফ আল-আরব গাদ্দাফি রাজনীতিতে তেমন সক্রিয় ছিলেন না। তারপরও ২০১১ সালে ন্যাটো বাহিনীর বিমান হামলায় তিনি নিহত হন।

সপ্তম পুত্র খামিস গাদ্দাফি লিবিয়ার সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ ব্রিগেডের কমান্ডার ছিলেন। ২০১১ সালের গৃহযুদ্ধ চলাকালে যুদ্ধক্ষেত্রে তিনি নিহত হন।

গাদ্দাফির একমাত্র কন্যা আইশা গাদ্দাফি একজন আইনজীবী এবং জাতিসংঘ দূত ছিলেন। ২০১১ সালে তিনি আলজেরিয়ায় আশ্রয় নেন, পরে ওমানে চলে যান। বর্তমানে সেখানেই পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র থাকছে জুলাই সনদে, স্পষ্ট হলো নোট অব ডিসেন্ট

৬ বছর কানাডায় বাস, সীমান্তে আটক বাংলাদেশিকে নিয়ে বিপাকে মার্কিন কর্তৃপক্ষ

নির্বাচন কীভাবে হবে, তা রাজনৈতিক নেতারা ঠিক করবেন: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে যা যা আছে

পীরগাছায় বিএনপি নেতার ওপর হামলার জেরে সড়ক অবরোধ, চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত