নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সিপিবি-বাসদসহ চারটি বামপন্থী দলের আপত্তির পর জুলাই জাতীয় সনদ–২০২৫-এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর ফলে সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাদ পড়ছে না। স্বাক্ষর শেষে রাজনৈতিক দল ও আমন্ত্রিত অতিথিদের দেওয়া জুলাই সনদে বিষয়টি উল্লেখ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
একই সঙ্গে সনদে প্রতিটি প্রস্তাবের পাশে দলগুলোর আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) স্পষ্ট করে দিয়ে বলা হয়েছে—দলগুলো নির্বাচনে বিজয়ী হলে নির্বাচনী ইশতেহার উল্লেখপূর্বক ব্যবস্থা নিতে পারবে।
আজ শুক্রবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে চূড়ান্ত জুলাই জাতীয় সনদের বই রাজনৈতিক নেতা ও আমন্ত্রিত অতিথিদের দেয় কমিশন। অন্যদিকে অঙ্গীকারনামার পঞ্চম ধারা পরিবর্তনের কথা জানানো হয়। সেটির পিডিএফ কপি দলগুলোর নেতাদের দেওয়া হয়েছে।
১৪ অক্টোবর সনদের যে অনুলিপি কমিশন দিয়েছিল, সেখানে বলা ছিল, বিদ্যমান সংবিধানের ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানসংক্রান্ত ১৫০(২) অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হবে এবং এ সংশ্লিষ্ট পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তফসিল সংবিধানে রাখা হবে না। এ সিদ্ধান্তে নয়টি দল একমত ছিল না। সংবিধানের পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তফসিল যুক্ত করা হয়েছিল ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। পঞ্চম তফসিলে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ। ষষ্ঠ তফসিলে আছে ১৯৭১ সালের ‘২৫ মার্চ মধ্যরাত শেষে অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে’ বঙ্গবন্ধুর দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণা। আর সপ্তম তফসিলে আছে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের জারি করা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র—এখানে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
চূড়ান্ত সনদে বলা হয়েছে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫০(২) সংশোধন করা হবে এবং এ সংশ্লিষ্ট পঞ্চম ও ষষ্ঠ তফসিল সংবিধানে রাখা হবে না। অর্থাৎ জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধানে যে সংস্কার আসবে, তাতে সংবিধানের তফসিলে ৭ মার্চের ভাষণ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা থাকবে না। তবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র সংবিধানের তফসিলে থাকবে।
চূড়ান্ত সনদে প্রতিটি প্রস্তাবের পাশে কোন কোন দলের ভিন্নমত, সেটা উল্লেখ করার পাশাপাশি একটি নোট দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘অবশ্য কোনো রাজনৈতিক দল বা জোট তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখপূর্বক যদি জনগণের ম্যান্ডেট লাভ করে, তাহলে তারা সেই মতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।’
ভিন্নমত থাকা সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। এখন যেভাবে নোট দেওয়া হয়েছে, বিএনপি প্রস্তাব করেছিল, সনদের অঙ্গীকারনামায় যেন এভাবে একটি ধারা যুক্ত করা হয়। অঙ্গীকারনামায় যুক্ত করা না হলেও সেটি ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোর পাশে নোট আকারে দেওয়া হয়েছে।
দাবির মুখে সনদ সংশোধন
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের আগে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে সনদের অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা সংশোধন করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ বেলা ২টার দিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সংশোধনের কথা জানানো হয়। দফাটিতে আগে ছিল, ‘গণ-অভ্যুত্থানপূর্ব ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারগুলোকে যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করব।’
সংশোধিত দফায় বলা হয়েছে, ‘গণ-অভ্যুত্থানপূর্ব বাংলাদেশে ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানকালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যের দ্বারা সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারকে এবং জুলাই আহতদের রাষ্ট্রীয় বীর, আহত জুলাই বীর যোদ্ধাদের যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান যেমন মাসিক ভাতা, সুচিকিৎসা, পুনর্বাসনব্যবস্থা এবং শহীদ পরিবার ও আহত বীর যোদ্ধাদের আইনগত দায়মুক্তি, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।’
সংশোধনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আন্দোলনরত জুলাই বীর যোদ্ধাদের উদ্দেশে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই বীর যোদ্ধাদের সঙ্গে গতকালের আলোচনাসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফার পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে জুলাই বীর যোদ্ধাদের দাবির প্রতিফলন ঘটিয়ে প্রয়োজনীয় জরুরি সংশোধন করা হয়েছে। এ সময় তিনি সংশোধিত ভাষ্যটি পাঠ করেন।
কমিশনের সহসভাপতি আরও বলেন, কমিশন এই অঙ্গীকারনামা বাস্তবায়নের ব্যাপারে সরকারকে সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্টভাবে উপস্থাপন করবে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশনের কোনো মতপার্থক্য নেই।
সিপিবি-বাসদসহ চারটি বামপন্থী দলের আপত্তির পর জুলাই জাতীয় সনদ–২০২৫-এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর ফলে সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাদ পড়ছে না। স্বাক্ষর শেষে রাজনৈতিক দল ও আমন্ত্রিত অতিথিদের দেওয়া জুলাই সনদে বিষয়টি উল্লেখ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
একই সঙ্গে সনদে প্রতিটি প্রস্তাবের পাশে দলগুলোর আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) স্পষ্ট করে দিয়ে বলা হয়েছে—দলগুলো নির্বাচনে বিজয়ী হলে নির্বাচনী ইশতেহার উল্লেখপূর্বক ব্যবস্থা নিতে পারবে।
আজ শুক্রবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে চূড়ান্ত জুলাই জাতীয় সনদের বই রাজনৈতিক নেতা ও আমন্ত্রিত অতিথিদের দেয় কমিশন। অন্যদিকে অঙ্গীকারনামার পঞ্চম ধারা পরিবর্তনের কথা জানানো হয়। সেটির পিডিএফ কপি দলগুলোর নেতাদের দেওয়া হয়েছে।
১৪ অক্টোবর সনদের যে অনুলিপি কমিশন দিয়েছিল, সেখানে বলা ছিল, বিদ্যমান সংবিধানের ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানসংক্রান্ত ১৫০(২) অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হবে এবং এ সংশ্লিষ্ট পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তফসিল সংবিধানে রাখা হবে না। এ সিদ্ধান্তে নয়টি দল একমত ছিল না। সংবিধানের পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তফসিল যুক্ত করা হয়েছিল ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। পঞ্চম তফসিলে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ। ষষ্ঠ তফসিলে আছে ১৯৭১ সালের ‘২৫ মার্চ মধ্যরাত শেষে অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে’ বঙ্গবন্ধুর দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণা। আর সপ্তম তফসিলে আছে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের জারি করা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র—এখানে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
চূড়ান্ত সনদে বলা হয়েছে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫০(২) সংশোধন করা হবে এবং এ সংশ্লিষ্ট পঞ্চম ও ষষ্ঠ তফসিল সংবিধানে রাখা হবে না। অর্থাৎ জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধানে যে সংস্কার আসবে, তাতে সংবিধানের তফসিলে ৭ মার্চের ভাষণ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা থাকবে না। তবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র সংবিধানের তফসিলে থাকবে।
চূড়ান্ত সনদে প্রতিটি প্রস্তাবের পাশে কোন কোন দলের ভিন্নমত, সেটা উল্লেখ করার পাশাপাশি একটি নোট দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘অবশ্য কোনো রাজনৈতিক দল বা জোট তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখপূর্বক যদি জনগণের ম্যান্ডেট লাভ করে, তাহলে তারা সেই মতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।’
ভিন্নমত থাকা সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। এখন যেভাবে নোট দেওয়া হয়েছে, বিএনপি প্রস্তাব করেছিল, সনদের অঙ্গীকারনামায় যেন এভাবে একটি ধারা যুক্ত করা হয়। অঙ্গীকারনামায় যুক্ত করা না হলেও সেটি ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোর পাশে নোট আকারে দেওয়া হয়েছে।
দাবির মুখে সনদ সংশোধন
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের আগে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে সনদের অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা সংশোধন করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ বেলা ২টার দিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সংশোধনের কথা জানানো হয়। দফাটিতে আগে ছিল, ‘গণ-অভ্যুত্থানপূর্ব ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারগুলোকে যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করব।’
সংশোধিত দফায় বলা হয়েছে, ‘গণ-অভ্যুত্থানপূর্ব বাংলাদেশে ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানকালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যের দ্বারা সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারকে এবং জুলাই আহতদের রাষ্ট্রীয় বীর, আহত জুলাই বীর যোদ্ধাদের যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান যেমন মাসিক ভাতা, সুচিকিৎসা, পুনর্বাসনব্যবস্থা এবং শহীদ পরিবার ও আহত বীর যোদ্ধাদের আইনগত দায়মুক্তি, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।’
সংশোধনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আন্দোলনরত জুলাই বীর যোদ্ধাদের উদ্দেশে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই বীর যোদ্ধাদের সঙ্গে গতকালের আলোচনাসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফার পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে জুলাই বীর যোদ্ধাদের দাবির প্রতিফলন ঘটিয়ে প্রয়োজনীয় জরুরি সংশোধন করা হয়েছে। এ সময় তিনি সংশোধিত ভাষ্যটি পাঠ করেন।
কমিশনের সহসভাপতি আরও বলেন, কমিশন এই অঙ্গীকারনামা বাস্তবায়নের ব্যাপারে সরকারকে সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্টভাবে উপস্থাপন করবে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশনের কোনো মতপার্থক্য নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সিপিবি-বাসদসহ চারটি বামপন্থী দলের আপত্তির পর জুলাই জাতীয় সনদ–২০২৫-এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর ফলে সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাদ পড়ছে না। স্বাক্ষর শেষে রাজনৈতিক দল ও আমন্ত্রিত অতিথিদের দেওয়া জুলাই সনদে বিষয়টি উল্লেখ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
একই সঙ্গে সনদে প্রতিটি প্রস্তাবের পাশে দলগুলোর আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) স্পষ্ট করে দিয়ে বলা হয়েছে—দলগুলো নির্বাচনে বিজয়ী হলে নির্বাচনী ইশতেহার উল্লেখপূর্বক ব্যবস্থা নিতে পারবে।
আজ শুক্রবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে চূড়ান্ত জুলাই জাতীয় সনদের বই রাজনৈতিক নেতা ও আমন্ত্রিত অতিথিদের দেয় কমিশন। অন্যদিকে অঙ্গীকারনামার পঞ্চম ধারা পরিবর্তনের কথা জানানো হয়। সেটির পিডিএফ কপি দলগুলোর নেতাদের দেওয়া হয়েছে।
১৪ অক্টোবর সনদের যে অনুলিপি কমিশন দিয়েছিল, সেখানে বলা ছিল, বিদ্যমান সংবিধানের ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানসংক্রান্ত ১৫০(২) অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হবে এবং এ সংশ্লিষ্ট পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তফসিল সংবিধানে রাখা হবে না। এ সিদ্ধান্তে নয়টি দল একমত ছিল না। সংবিধানের পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তফসিল যুক্ত করা হয়েছিল ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। পঞ্চম তফসিলে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ। ষষ্ঠ তফসিলে আছে ১৯৭১ সালের ‘২৫ মার্চ মধ্যরাত শেষে অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে’ বঙ্গবন্ধুর দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণা। আর সপ্তম তফসিলে আছে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের জারি করা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র—এখানে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
চূড়ান্ত সনদে বলা হয়েছে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫০(২) সংশোধন করা হবে এবং এ সংশ্লিষ্ট পঞ্চম ও ষষ্ঠ তফসিল সংবিধানে রাখা হবে না। অর্থাৎ জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধানে যে সংস্কার আসবে, তাতে সংবিধানের তফসিলে ৭ মার্চের ভাষণ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা থাকবে না। তবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র সংবিধানের তফসিলে থাকবে।
চূড়ান্ত সনদে প্রতিটি প্রস্তাবের পাশে কোন কোন দলের ভিন্নমত, সেটা উল্লেখ করার পাশাপাশি একটি নোট দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘অবশ্য কোনো রাজনৈতিক দল বা জোট তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখপূর্বক যদি জনগণের ম্যান্ডেট লাভ করে, তাহলে তারা সেই মতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।’
ভিন্নমত থাকা সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। এখন যেভাবে নোট দেওয়া হয়েছে, বিএনপি প্রস্তাব করেছিল, সনদের অঙ্গীকারনামায় যেন এভাবে একটি ধারা যুক্ত করা হয়। অঙ্গীকারনামায় যুক্ত করা না হলেও সেটি ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোর পাশে নোট আকারে দেওয়া হয়েছে।
দাবির মুখে সনদ সংশোধন
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের আগে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে সনদের অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা সংশোধন করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ বেলা ২টার দিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সংশোধনের কথা জানানো হয়। দফাটিতে আগে ছিল, ‘গণ-অভ্যুত্থানপূর্ব ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারগুলোকে যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করব।’
সংশোধিত দফায় বলা হয়েছে, ‘গণ-অভ্যুত্থানপূর্ব বাংলাদেশে ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানকালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যের দ্বারা সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারকে এবং জুলাই আহতদের রাষ্ট্রীয় বীর, আহত জুলাই বীর যোদ্ধাদের যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান যেমন মাসিক ভাতা, সুচিকিৎসা, পুনর্বাসনব্যবস্থা এবং শহীদ পরিবার ও আহত বীর যোদ্ধাদের আইনগত দায়মুক্তি, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।’
সংশোধনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আন্দোলনরত জুলাই বীর যোদ্ধাদের উদ্দেশে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই বীর যোদ্ধাদের সঙ্গে গতকালের আলোচনাসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফার পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে জুলাই বীর যোদ্ধাদের দাবির প্রতিফলন ঘটিয়ে প্রয়োজনীয় জরুরি সংশোধন করা হয়েছে। এ সময় তিনি সংশোধিত ভাষ্যটি পাঠ করেন।
কমিশনের সহসভাপতি আরও বলেন, কমিশন এই অঙ্গীকারনামা বাস্তবায়নের ব্যাপারে সরকারকে সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্টভাবে উপস্থাপন করবে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশনের কোনো মতপার্থক্য নেই।
সিপিবি-বাসদসহ চারটি বামপন্থী দলের আপত্তির পর জুলাই জাতীয় সনদ–২০২৫-এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর ফলে সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাদ পড়ছে না। স্বাক্ষর শেষে রাজনৈতিক দল ও আমন্ত্রিত অতিথিদের দেওয়া জুলাই সনদে বিষয়টি উল্লেখ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
একই সঙ্গে সনদে প্রতিটি প্রস্তাবের পাশে দলগুলোর আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) স্পষ্ট করে দিয়ে বলা হয়েছে—দলগুলো নির্বাচনে বিজয়ী হলে নির্বাচনী ইশতেহার উল্লেখপূর্বক ব্যবস্থা নিতে পারবে।
আজ শুক্রবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে চূড়ান্ত জুলাই জাতীয় সনদের বই রাজনৈতিক নেতা ও আমন্ত্রিত অতিথিদের দেয় কমিশন। অন্যদিকে অঙ্গীকারনামার পঞ্চম ধারা পরিবর্তনের কথা জানানো হয়। সেটির পিডিএফ কপি দলগুলোর নেতাদের দেওয়া হয়েছে।
১৪ অক্টোবর সনদের যে অনুলিপি কমিশন দিয়েছিল, সেখানে বলা ছিল, বিদ্যমান সংবিধানের ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানসংক্রান্ত ১৫০(২) অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হবে এবং এ সংশ্লিষ্ট পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তফসিল সংবিধানে রাখা হবে না। এ সিদ্ধান্তে নয়টি দল একমত ছিল না। সংবিধানের পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তফসিল যুক্ত করা হয়েছিল ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। পঞ্চম তফসিলে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ। ষষ্ঠ তফসিলে আছে ১৯৭১ সালের ‘২৫ মার্চ মধ্যরাত শেষে অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে’ বঙ্গবন্ধুর দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণা। আর সপ্তম তফসিলে আছে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের জারি করা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র—এখানে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
চূড়ান্ত সনদে বলা হয়েছে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫০(২) সংশোধন করা হবে এবং এ সংশ্লিষ্ট পঞ্চম ও ষষ্ঠ তফসিল সংবিধানে রাখা হবে না। অর্থাৎ জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধানে যে সংস্কার আসবে, তাতে সংবিধানের তফসিলে ৭ মার্চের ভাষণ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা থাকবে না। তবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র সংবিধানের তফসিলে থাকবে।
চূড়ান্ত সনদে প্রতিটি প্রস্তাবের পাশে কোন কোন দলের ভিন্নমত, সেটা উল্লেখ করার পাশাপাশি একটি নোট দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘অবশ্য কোনো রাজনৈতিক দল বা জোট তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখপূর্বক যদি জনগণের ম্যান্ডেট লাভ করে, তাহলে তারা সেই মতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।’
ভিন্নমত থাকা সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। এখন যেভাবে নোট দেওয়া হয়েছে, বিএনপি প্রস্তাব করেছিল, সনদের অঙ্গীকারনামায় যেন এভাবে একটি ধারা যুক্ত করা হয়। অঙ্গীকারনামায় যুক্ত করা না হলেও সেটি ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোর পাশে নোট আকারে দেওয়া হয়েছে।
দাবির মুখে সনদ সংশোধন
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের আগে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে সনদের অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা সংশোধন করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ বেলা ২টার দিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সংশোধনের কথা জানানো হয়। দফাটিতে আগে ছিল, ‘গণ-অভ্যুত্থানপূর্ব ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারগুলোকে যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করব।’
সংশোধিত দফায় বলা হয়েছে, ‘গণ-অভ্যুত্থানপূর্ব বাংলাদেশে ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানকালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যের দ্বারা সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারকে এবং জুলাই আহতদের রাষ্ট্রীয় বীর, আহত জুলাই বীর যোদ্ধাদের যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান যেমন মাসিক ভাতা, সুচিকিৎসা, পুনর্বাসনব্যবস্থা এবং শহীদ পরিবার ও আহত বীর যোদ্ধাদের আইনগত দায়মুক্তি, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।’
সংশোধনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আন্দোলনরত জুলাই বীর যোদ্ধাদের উদ্দেশে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই বীর যোদ্ধাদের সঙ্গে গতকালের আলোচনাসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফার পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে জুলাই বীর যোদ্ধাদের দাবির প্রতিফলন ঘটিয়ে প্রয়োজনীয় জরুরি সংশোধন করা হয়েছে। এ সময় তিনি সংশোধিত ভাষ্যটি পাঠ করেন।
কমিশনের সহসভাপতি আরও বলেন, কমিশন এই অঙ্গীকারনামা বাস্তবায়নের ব্যাপারে সরকারকে সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্টভাবে উপস্থাপন করবে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশনের কোনো মতপার্থক্য নেই।
দেশে ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। চলতি বছর চিকিৎসাধীন যত রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের (৭৩ শতাংশ) বেশির মৃত্যু হয়েছে সরকারি সাত হাসপাতালে।
১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ সাত মাসের আলোচনায় কোথাও মতৈক্য এসেছে, আবার কোথাও থেকে গেছে মতানৈক্য। এসব মত-দ্বিমত, দোলাচলের মধ্যেই তৈরি হয় জুলাই জাতীয় সনদ। রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্যের কারণে সনদে স্বাক্ষর সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল শেষ দিন পর্যন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্যের বহুল প্রতীক্ষিত ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
৬ ঘণ্টা আগে‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামায় জরুরি সংশোধন এনেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আন্দোলনরত ‘জুলাই বীর যোদ্ধাদের’ উদ্দেশে বলেছেন, গতকাল বৃহস্পতিবারের আলোচনা ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর অঙ্গীকারনামার ৫ নম্বর দফার পরিবর্ত
৬ ঘণ্টা আগেমুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা
দেশে ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। চলতি বছর চিকিৎসাধীন যত রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের (৭৩ শতাংশ) বেশির মৃত্যু হয়েছে সরকারি সাত হাসপাতালে। আর তাদের বেশির ভাগই ভর্তি হওয়ার এক দিনের মধ্যেই মারা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৫৮ হাজার ২৮০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীর ১৮টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত এবং ৫৯টি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৬ হাজার ১৪২ জন রোগী। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
সরকারের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দেশের সাতটি বড় সরকারি হাসপাতালেই বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ১২ হাজার ৬৭০ জন ডেঙ্গু রোগী, যা মোট ভর্তির প্রায় ২২ শতাংশ। এসব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১৭৭ জন রোগী, যা মোট মৃত্যুর ৭৩ শতাংশ। হাসপাতালগুলো হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ডিএনসিসির ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ভর্তি এবং মৃত্যুর পরিসংখ্যান উভয়েই ইঙ্গিত দেয়, এসব প্রধান হাসপাতালে মূলত জটিল অবস্থার রোগীরাই এসে থাকে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশের সর্ববৃহৎ বিশেষায়িত হাসপাতাল ঢাকা মেডিকেল কলেজে বছরজুড়ে ২ হাজার ৩৪০ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ভর্তি রোগীর ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ। দেশে এই হাসপাতালেই এককভাবে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে যারা আসে, তারা মূলত বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে আসা রেফার্ড কেস। এদের বেশির ভাগেরই কোমরবিডিটি (একাধিক দীর্ঘমেয়াদি রোগ) থাকে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, বেশির ভাগ রোগী দেরিতে হাসপাতালে আসছে।’
রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১ হাজার ৩৭৮ জন রোগীর মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শতকরা হিসাবে ভর্তির বিপরীতে মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক ৮৭ শতাংশ। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘এখানে মূলত সংকটাপন্ন রোগীরাই ভর্তি হয়। বেসরকারি হাসপাতাল সাধারণত জটিল রোগী ভর্তি নেয় না।’
চলতি বছর রাজধানী ছাড়া এককভাবে বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। রাজধানীর বাইরে ধরলে এই বিভাগেই ভর্তি রোগীর মৃত্যুও সবচেয়ে বেশি—৩৫ জন। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১ হাজার ৬৮৪ জন রোগীর মধ্যে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভর্তি রোগীর তুলনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ১৮ শতাংশ।
পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর বলেন, ‘রোগীরা ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার সাত-আট দিন পর হাসপাতালে এসে থাকে। আমাদের আইসিইউ এবং অন্যান্য চিকিৎসা সুবিধাও সীমিত।’
অন্য প্রধান সরকারি হাসপাতালের মধ্যে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে প্রায় ১ হাজার ১৬১। এর মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভর্তির বিপরীতে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুহার ১ দশমিক ২৯ শতাংশ। মুগদা মেডিকেলে মারা গেছে ৩৪ জন, মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। ডিএনসিসির ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২ হাজার ৪৭২ জনের মধ্যে মারা গেছে ১৮ জন, মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৭২ শতাংশ। চট্টগ্রাম মেডিকেলে ১ হাজার ২৬১ জন রোগীর মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, মৃত্যুহার ১ দশমিক ২ শতাংশ।
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোগীরা কেন দেরিতে হাসপাতালে আসছে, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও টারশিয়ারি (বিশেষায়িত) পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে ডেঙ্গু পরীক্ষায় কোনো ঘাটতি থাকলে তা দ্রুত ঠিক করতে হবে।’
দেশে ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। চলতি বছর চিকিৎসাধীন যত রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের (৭৩ শতাংশ) বেশির মৃত্যু হয়েছে সরকারি সাত হাসপাতালে। আর তাদের বেশির ভাগই ভর্তি হওয়ার এক দিনের মধ্যেই মারা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৫৮ হাজার ২৮০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীর ১৮টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত এবং ৫৯টি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৬ হাজার ১৪২ জন রোগী। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
সরকারের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দেশের সাতটি বড় সরকারি হাসপাতালেই বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ১২ হাজার ৬৭০ জন ডেঙ্গু রোগী, যা মোট ভর্তির প্রায় ২২ শতাংশ। এসব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১৭৭ জন রোগী, যা মোট মৃত্যুর ৭৩ শতাংশ। হাসপাতালগুলো হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ডিএনসিসির ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ভর্তি এবং মৃত্যুর পরিসংখ্যান উভয়েই ইঙ্গিত দেয়, এসব প্রধান হাসপাতালে মূলত জটিল অবস্থার রোগীরাই এসে থাকে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশের সর্ববৃহৎ বিশেষায়িত হাসপাতাল ঢাকা মেডিকেল কলেজে বছরজুড়ে ২ হাজার ৩৪০ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ভর্তি রোগীর ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ। দেশে এই হাসপাতালেই এককভাবে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে যারা আসে, তারা মূলত বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে আসা রেফার্ড কেস। এদের বেশির ভাগেরই কোমরবিডিটি (একাধিক দীর্ঘমেয়াদি রোগ) থাকে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, বেশির ভাগ রোগী দেরিতে হাসপাতালে আসছে।’
রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১ হাজার ৩৭৮ জন রোগীর মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শতকরা হিসাবে ভর্তির বিপরীতে মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক ৮৭ শতাংশ। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘এখানে মূলত সংকটাপন্ন রোগীরাই ভর্তি হয়। বেসরকারি হাসপাতাল সাধারণত জটিল রোগী ভর্তি নেয় না।’
চলতি বছর রাজধানী ছাড়া এককভাবে বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। রাজধানীর বাইরে ধরলে এই বিভাগেই ভর্তি রোগীর মৃত্যুও সবচেয়ে বেশি—৩৫ জন। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১ হাজার ৬৮৪ জন রোগীর মধ্যে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভর্তি রোগীর তুলনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ১৮ শতাংশ।
পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর বলেন, ‘রোগীরা ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার সাত-আট দিন পর হাসপাতালে এসে থাকে। আমাদের আইসিইউ এবং অন্যান্য চিকিৎসা সুবিধাও সীমিত।’
অন্য প্রধান সরকারি হাসপাতালের মধ্যে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে প্রায় ১ হাজার ১৬১। এর মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভর্তির বিপরীতে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুহার ১ দশমিক ২৯ শতাংশ। মুগদা মেডিকেলে মারা গেছে ৩৪ জন, মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। ডিএনসিসির ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২ হাজার ৪৭২ জনের মধ্যে মারা গেছে ১৮ জন, মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৭২ শতাংশ। চট্টগ্রাম মেডিকেলে ১ হাজার ২৬১ জন রোগীর মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, মৃত্যুহার ১ দশমিক ২ শতাংশ।
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোগীরা কেন দেরিতে হাসপাতালে আসছে, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও টারশিয়ারি (বিশেষায়িত) পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে ডেঙ্গু পরীক্ষায় কোনো ঘাটতি থাকলে তা দ্রুত ঠিক করতে হবে।’
সিপিবি-বাসদসহ চারটি বামপন্থী দলের আপত্তির পর জুলাই জাতীয় সনদ–২০২৫-এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর ফলে সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাদ পড়ছে না। স্বাক্ষর শেষে রাজনৈতিক দল ও আমন্ত্রিত অতিথিদের দেওয়া জুলাই সনদে বিষয়টি উল্লেখ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
৬ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ সাত মাসের আলোচনায় কোথাও মতৈক্য এসেছে, আবার কোথাও থেকে গেছে মতানৈক্য। এসব মত-দ্বিমত, দোলাচলের মধ্যেই তৈরি হয় জুলাই জাতীয় সনদ। রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্যের কারণে সনদে স্বাক্ষর সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল শেষ দিন পর্যন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্যের বহুল প্রতীক্ষিত ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
৬ ঘণ্টা আগে‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামায় জরুরি সংশোধন এনেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আন্দোলনরত ‘জুলাই বীর যোদ্ধাদের’ উদ্দেশে বলেছেন, গতকাল বৃহস্পতিবারের আলোচনা ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর অঙ্গীকারনামার ৫ নম্বর দফার পরিবর্ত
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দীর্ঘ সাত মাসের আলোচনায় কোথাও মতৈক্য এসেছে, আবার কোথাও থেকে গেছে মতানৈক্য। এসব মত-দ্বিমত, দোলাচলের মধ্যেই তৈরি হয় জুলাই জাতীয় সনদ। রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্যের কারণে সনদে স্বাক্ষর সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল শেষ দিন পর্যন্ত। তবে সব সংশয় ও অনিশ্চয়তা কাটিয়ে অবশেষে সই হলো ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’। গতকাল শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সনদে স্বাক্ষর করেন ২৪টি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা। তবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও চারটি বামপন্থী দল সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ছিল না। অন্যদিকে অনুষ্ঠানে গেলেও সনদে সই করেনি ড. কামাল হোসেনের দল গণফোরাম।
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের পর জুলাই সনদে সই করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও কমিশনের সদস্যরা। যেসব দল গতকাল স্বাক্ষর করেনি, তারা চাইলে পরেও স্বাক্ষর করতে পারবে বলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে জানানো হয়েছে।
জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নবজন্ম হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এই স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হলো। সারা জাতি এর থেকে নতুন পথের দিশা পাবে। যে ঐক্যের সুর আজকে বেজে উঠেছে, তা নিয়ে আমরা নির্বাচনের দিকে যাব। ইতিহাসে স্মরণীয় নির্বাচন করব।’
জুলাই সনদে স্বাক্ষরের জন্য জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় উন্মুক্ত মঞ্চ তৈরি করা হয়। মঞ্চে প্রধান উপদেষ্টা, কমিশনের সদস্য এবং ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের দুজন করে প্রতিনিধির বসার ব্যবস্থা রাখা হয়। এ ছাড়া শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান এবং শহীদ তাহির জামান প্রিয়র মা শামসী আরা বেগম জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। তবে বৃষ্টি ও কথিত জুলাই যোদ্ধাদের বিক্ষোভের কারণে অনুষ্ঠান কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও আধ ঘণ্টার মতো দেরি হয়। বিকেল ৪টা ৩৭ মিনিটে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা ও বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। অনুষ্ঠান শুরুর পর আলী রীয়াজ স্বাগত বক্তব্য দেন। এরপর অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহাসিক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। প্রথমে রাজনৈতিক দলের নেতারা জুলাই জাতীয় সনদের অঙ্গীকারনামার ওপর স্বাক্ষর করেন। এরপর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস স্বাক্ষর করেন। স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে এই সনদ জাতীয় সম্পদে পরিণত হয়েছে বলে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সনদে সই করেন। জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা অন্য দলগুলো হচ্ছে নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এলডিপি, খেলাফত মজলিস, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, এবি পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জেএসডি, গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, লেবার পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, জাতীয় গণফ্রন্ট, জাকের পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দলীয় জোট, এনডিএম এবং আমজনতার দল। মঞ্চে উপস্থিত থাকলেও গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান উপস্থিত থাকলেও স্বাক্ষর করেননি।
এনসিপি, সিপিবি, বাংলাদেশ জাসদ, বাসদ ও বাসদ মার্ক্সবাদী দলের নেতারা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। এ দলগুলো আগেই সংবাদ সম্মেলন করে জুলাই সনদে সই করবে না বলে জানিয়েছে। এসব দলের কোনো প্রতিনিধিও স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেননি।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এগুলো বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক সংস্কারের রাষ্ট্রকাঠামো অর্জন করতে পারব। সেই রাষ্ট্রকাঠামোর মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হবে। শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্মিত হবে। রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় থাকবে।’ নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কীভাবে হবে, সেটা সংবিধানে লেখা আছে। বিভ্রান্তি তৈরির সুযোগ নেই। এরপরও প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে বসতে চাইলে বসা হবে।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে তা জাতির সঙ্গে গাদ্দারি বলে গণ্য হবে—মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটা যেন এই সরকার বাস্তবায়ন করে।’
আইনি ভিত্তি দেওয়ার আগেই জুলাই সনদে জামায়াতের স্বাক্ষর করার কারণ জানতে চাইলে তাহের বলেন, ‘সংলাপে যেসব সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে সব দলের মতো জামায়াতও একমত। তাই আমরা স্বাক্ষর করেছি।’
এদিকে স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরুর আগে সকালে ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’ ব্যানারে শতাধিক মানুষ জুলাই আন্দোলনে অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, আইনি সুরক্ষা, পুনর্বাসনের বিষয়টি সনদে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভের একপর্যায়ে তাঁরা সংসদ ভবন এলাকার গেট টপকে ভেতরে ঢোকেন। সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন। মঞ্চের সামনে নির্ধারিত অতিথিদের চেয়ারে বসে স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা একটার দিকে পুলিশ তাদের সরিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নিয়ে যায়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। রাস্তা থেকে সরাতে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় তৈরি করা দুটি অস্থায়ী তাঁবুতে আগুন দেয়। বেলা সোয়া তিনটার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এ সময় থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেও তারা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং তাদের দাবি মানা না হলে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রতিহতের ঘোষণা দেয়।
আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জুলাই জাতীয় সনদের অঙ্গীকারনামার ৫ ধারা সংশোধন করা হবে। সংশোধিত অংশে বলা হয়েছে, ‘গণ অভ্যুত্থানপূর্ব বাংলাদেশে ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানকালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারকে এবং জুলাই আহতদের রাষ্ট্রীয় বীর, আহত জুলাই বীর যোদ্ধাদের যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান যেমন মাসিক ভাতা, সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ব্যবস্থা এবং শহীদ পরিবার ও আহত বীর যোদ্ধাদের আইনগত দায়মুক্তি, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।’
বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনুষ্ঠানের সময়সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে অনুষ্ঠান কিছুটা পেছানোর আগাম বার্তা দেওয়া হয়। তবে বেলা তিনটা থেকেই অনুষ্ঠানস্থলে আসতে থাকেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। বৃষ্টির কারণে একাধিকবার অতিথিদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে দেখা যায়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আবদুল হালিম, মাওলানা মো. শাহজাহান চৌধুরীকে দেখা যায়।
অতিথিদের সারিতে ছিলেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মো. ফাওজুল কবির খান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার, পরিবেশবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীসহ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম কিছুক্ষণ বসে মঞ্চের পেছনে চলে যান বলে জানা গেছে। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ তিন বাহিনীর প্রধানেরা এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানেরাও জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে জুলাই সনদ স্বাক্ষর ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের পর বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাস তুলে ধরে ৭ মিনিটের একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এতে মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও বিডিআর বিদ্রোহে সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংস হত্যার চিত্র তুলে ধরা হয়; বিশেষ করে এই ডকুমেন্টারিতে শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের গুম-খুন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, অর্থ পাচার বর্ণনার পাশাপাশি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর চালানো বর্বর হামলার চিত্র তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠান শেষে ফেরার সময় অতিথিদের হাতে জুলাই সনদের বই দেওয়া হয়।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, এই জুলাই জাতীয় সনদ কেবল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি নয়, এটা নাগরিকের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ও রাষ্ট্রের একটি সামাজিক চুক্তি। আশাবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে জাতীয় দলিল তৈরি হয়েছে, তার বাস্তবায়ন ঘটবে। দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন ঘটবে। নাগরিকদের মতামতের মধ্য দিয়ে এই দিকদিশা নির্দেশক বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে ভবিষ্যতে পরিচালনা করবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আস্থা রেখেই জুলাই সনদে সই করেছি বলে মন্তব্য করে তাহের বলেন, ‘আমরা আশা করি, উনিও উনার কথা ঠিক রাখবেন। বাংলাদেশে নতুন কোনো সংকট তৈরির ক্ষেত্রে উনারা যেন কোনো ধরনের কর্তৃত্ব তৈরি না করেন।’
দীর্ঘ সাত মাসের আলোচনায় কোথাও মতৈক্য এসেছে, আবার কোথাও থেকে গেছে মতানৈক্য। এসব মত-দ্বিমত, দোলাচলের মধ্যেই তৈরি হয় জুলাই জাতীয় সনদ। রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্যের কারণে সনদে স্বাক্ষর সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল শেষ দিন পর্যন্ত। তবে সব সংশয় ও অনিশ্চয়তা কাটিয়ে অবশেষে সই হলো ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’। গতকাল শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সনদে স্বাক্ষর করেন ২৪টি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা। তবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও চারটি বামপন্থী দল সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ছিল না। অন্যদিকে অনুষ্ঠানে গেলেও সনদে সই করেনি ড. কামাল হোসেনের দল গণফোরাম।
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের পর জুলাই সনদে সই করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও কমিশনের সদস্যরা। যেসব দল গতকাল স্বাক্ষর করেনি, তারা চাইলে পরেও স্বাক্ষর করতে পারবে বলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে জানানো হয়েছে।
জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নবজন্ম হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এই স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হলো। সারা জাতি এর থেকে নতুন পথের দিশা পাবে। যে ঐক্যের সুর আজকে বেজে উঠেছে, তা নিয়ে আমরা নির্বাচনের দিকে যাব। ইতিহাসে স্মরণীয় নির্বাচন করব।’
জুলাই সনদে স্বাক্ষরের জন্য জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় উন্মুক্ত মঞ্চ তৈরি করা হয়। মঞ্চে প্রধান উপদেষ্টা, কমিশনের সদস্য এবং ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের দুজন করে প্রতিনিধির বসার ব্যবস্থা রাখা হয়। এ ছাড়া শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান এবং শহীদ তাহির জামান প্রিয়র মা শামসী আরা বেগম জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। তবে বৃষ্টি ও কথিত জুলাই যোদ্ধাদের বিক্ষোভের কারণে অনুষ্ঠান কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও আধ ঘণ্টার মতো দেরি হয়। বিকেল ৪টা ৩৭ মিনিটে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা ও বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। অনুষ্ঠান শুরুর পর আলী রীয়াজ স্বাগত বক্তব্য দেন। এরপর অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহাসিক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। প্রথমে রাজনৈতিক দলের নেতারা জুলাই জাতীয় সনদের অঙ্গীকারনামার ওপর স্বাক্ষর করেন। এরপর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস স্বাক্ষর করেন। স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে এই সনদ জাতীয় সম্পদে পরিণত হয়েছে বলে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সনদে সই করেন। জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা অন্য দলগুলো হচ্ছে নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এলডিপি, খেলাফত মজলিস, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, এবি পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জেএসডি, গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, লেবার পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, জাতীয় গণফ্রন্ট, জাকের পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দলীয় জোট, এনডিএম এবং আমজনতার দল। মঞ্চে উপস্থিত থাকলেও গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান উপস্থিত থাকলেও স্বাক্ষর করেননি।
এনসিপি, সিপিবি, বাংলাদেশ জাসদ, বাসদ ও বাসদ মার্ক্সবাদী দলের নেতারা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। এ দলগুলো আগেই সংবাদ সম্মেলন করে জুলাই সনদে সই করবে না বলে জানিয়েছে। এসব দলের কোনো প্রতিনিধিও স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেননি।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এগুলো বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক সংস্কারের রাষ্ট্রকাঠামো অর্জন করতে পারব। সেই রাষ্ট্রকাঠামোর মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হবে। শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্মিত হবে। রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় থাকবে।’ নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কীভাবে হবে, সেটা সংবিধানে লেখা আছে। বিভ্রান্তি তৈরির সুযোগ নেই। এরপরও প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে বসতে চাইলে বসা হবে।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে তা জাতির সঙ্গে গাদ্দারি বলে গণ্য হবে—মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটা যেন এই সরকার বাস্তবায়ন করে।’
আইনি ভিত্তি দেওয়ার আগেই জুলাই সনদে জামায়াতের স্বাক্ষর করার কারণ জানতে চাইলে তাহের বলেন, ‘সংলাপে যেসব সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে সব দলের মতো জামায়াতও একমত। তাই আমরা স্বাক্ষর করেছি।’
এদিকে স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরুর আগে সকালে ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’ ব্যানারে শতাধিক মানুষ জুলাই আন্দোলনে অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, আইনি সুরক্ষা, পুনর্বাসনের বিষয়টি সনদে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভের একপর্যায়ে তাঁরা সংসদ ভবন এলাকার গেট টপকে ভেতরে ঢোকেন। সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন। মঞ্চের সামনে নির্ধারিত অতিথিদের চেয়ারে বসে স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা একটার দিকে পুলিশ তাদের সরিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নিয়ে যায়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। রাস্তা থেকে সরাতে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় তৈরি করা দুটি অস্থায়ী তাঁবুতে আগুন দেয়। বেলা সোয়া তিনটার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এ সময় থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেও তারা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং তাদের দাবি মানা না হলে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রতিহতের ঘোষণা দেয়।
আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জুলাই জাতীয় সনদের অঙ্গীকারনামার ৫ ধারা সংশোধন করা হবে। সংশোধিত অংশে বলা হয়েছে, ‘গণ অভ্যুত্থানপূর্ব বাংলাদেশে ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানকালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারকে এবং জুলাই আহতদের রাষ্ট্রীয় বীর, আহত জুলাই বীর যোদ্ধাদের যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান যেমন মাসিক ভাতা, সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ব্যবস্থা এবং শহীদ পরিবার ও আহত বীর যোদ্ধাদের আইনগত দায়মুক্তি, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।’
বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনুষ্ঠানের সময়সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে অনুষ্ঠান কিছুটা পেছানোর আগাম বার্তা দেওয়া হয়। তবে বেলা তিনটা থেকেই অনুষ্ঠানস্থলে আসতে থাকেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। বৃষ্টির কারণে একাধিকবার অতিথিদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে দেখা যায়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আবদুল হালিম, মাওলানা মো. শাহজাহান চৌধুরীকে দেখা যায়।
অতিথিদের সারিতে ছিলেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মো. ফাওজুল কবির খান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার, পরিবেশবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীসহ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম কিছুক্ষণ বসে মঞ্চের পেছনে চলে যান বলে জানা গেছে। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ তিন বাহিনীর প্রধানেরা এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানেরাও জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে জুলাই সনদ স্বাক্ষর ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের পর বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাস তুলে ধরে ৭ মিনিটের একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এতে মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও বিডিআর বিদ্রোহে সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংস হত্যার চিত্র তুলে ধরা হয়; বিশেষ করে এই ডকুমেন্টারিতে শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের গুম-খুন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, অর্থ পাচার বর্ণনার পাশাপাশি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর চালানো বর্বর হামলার চিত্র তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠান শেষে ফেরার সময় অতিথিদের হাতে জুলাই সনদের বই দেওয়া হয়।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, এই জুলাই জাতীয় সনদ কেবল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি নয়, এটা নাগরিকের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ও রাষ্ট্রের একটি সামাজিক চুক্তি। আশাবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে জাতীয় দলিল তৈরি হয়েছে, তার বাস্তবায়ন ঘটবে। দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন ঘটবে। নাগরিকদের মতামতের মধ্য দিয়ে এই দিকদিশা নির্দেশক বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে ভবিষ্যতে পরিচালনা করবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আস্থা রেখেই জুলাই সনদে সই করেছি বলে মন্তব্য করে তাহের বলেন, ‘আমরা আশা করি, উনিও উনার কথা ঠিক রাখবেন। বাংলাদেশে নতুন কোনো সংকট তৈরির ক্ষেত্রে উনারা যেন কোনো ধরনের কর্তৃত্ব তৈরি না করেন।’
সিপিবি-বাসদসহ চারটি বামপন্থী দলের আপত্তির পর জুলাই জাতীয় সনদ–২০২৫-এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর ফলে সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাদ পড়ছে না। স্বাক্ষর শেষে রাজনৈতিক দল ও আমন্ত্রিত অতিথিদের দেওয়া জুলাই সনদে বিষয়টি উল্লেখ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
৬ ঘণ্টা আগেদেশে ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। চলতি বছর চিকিৎসাধীন যত রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের (৭৩ শতাংশ) বেশির মৃত্যু হয়েছে সরকারি সাত হাসপাতালে।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্যের বহুল প্রতীক্ষিত ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
৬ ঘণ্টা আগে‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামায় জরুরি সংশোধন এনেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আন্দোলনরত ‘জুলাই বীর যোদ্ধাদের’ উদ্দেশে বলেছেন, গতকাল বৃহস্পতিবারের আলোচনা ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর অঙ্গীকারনামার ৫ নম্বর দফার পরিবর্ত
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় ঐকমত্যের বহুল প্রতীক্ষিত ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাক্ষর শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্য দিয়েছেন।
আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য ‘জুলাই জাতীয় সনদপত্র’ হুবুহু নিম্নে তুলে ধরা হলো:
জাতীয় ঐকমত্যের বহুল প্রতীক্ষিত ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাক্ষর শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্য দিয়েছেন।
আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য ‘জুলাই জাতীয় সনদপত্র’ হুবুহু নিম্নে তুলে ধরা হলো:
সিপিবি-বাসদসহ চারটি বামপন্থী দলের আপত্তির পর জুলাই জাতীয় সনদ–২০২৫-এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর ফলে সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাদ পড়ছে না। স্বাক্ষর শেষে রাজনৈতিক দল ও আমন্ত্রিত অতিথিদের দেওয়া জুলাই সনদে বিষয়টি উল্লেখ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
৬ ঘণ্টা আগেদেশে ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। চলতি বছর চিকিৎসাধীন যত রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের (৭৩ শতাংশ) বেশির মৃত্যু হয়েছে সরকারি সাত হাসপাতালে।
১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ সাত মাসের আলোচনায় কোথাও মতৈক্য এসেছে, আবার কোথাও থেকে গেছে মতানৈক্য। এসব মত-দ্বিমত, দোলাচলের মধ্যেই তৈরি হয় জুলাই জাতীয় সনদ। রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্যের কারণে সনদে স্বাক্ষর সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল শেষ দিন পর্যন্ত।
৩ ঘণ্টা আগে‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামায় জরুরি সংশোধন এনেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আন্দোলনরত ‘জুলাই বীর যোদ্ধাদের’ উদ্দেশে বলেছেন, গতকাল বৃহস্পতিবারের আলোচনা ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর অঙ্গীকারনামার ৫ নম্বর দফার পরিবর্ত
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামায় জরুরি সংশোধন এনেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আন্দোলনরত ‘জুলাই বীর যোদ্ধাদের’ উদ্দেশে বলেছেন, গতকাল বৃহস্পতিবারের আলোচনা ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর অঙ্গীকারনামার ৫ নম্বর দফার পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে জুলাই যোদ্ধাদের দাবির প্রতিফলন ঘটিয়ে প্রয়োজনীয় জরুরি সংশোধন করা হয়েছে।
জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামার দফা ৫-এর সংশোধনীতে বলা হয়েছে, দীর্ঘ ১৬ বছর ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রাম’ চলাকালে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকারদের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
সংশোধিত দফায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানকালে ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ’ ও এর সহযোগী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের হাতে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার হবে। নিহত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও তাঁদের পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হবে। আহত ব্যক্তিদের ‘রাষ্ট্রীয় বীর’ ও ‘আহত বীর যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তাঁদের আর্থিক ভাতা, চিকিৎসা, পুনর্বাসনসহ সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করা হয়েছে।
একই সঙ্গে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের জন্য আইনি দায়মুক্তি, সম্পত্তির অধিকার সুরক্ষা এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথাও সংশোধনীতে উল্লেখ করা হয়েছে।
‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামায় জরুরি সংশোধন এনেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আন্দোলনরত ‘জুলাই বীর যোদ্ধাদের’ উদ্দেশে বলেছেন, গতকাল বৃহস্পতিবারের আলোচনা ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর অঙ্গীকারনামার ৫ নম্বর দফার পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে জুলাই যোদ্ধাদের দাবির প্রতিফলন ঘটিয়ে প্রয়োজনীয় জরুরি সংশোধন করা হয়েছে।
জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামার দফা ৫-এর সংশোধনীতে বলা হয়েছে, দীর্ঘ ১৬ বছর ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রাম’ চলাকালে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকারদের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
সংশোধিত দফায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানকালে ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ’ ও এর সহযোগী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের হাতে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার হবে। নিহত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও তাঁদের পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হবে। আহত ব্যক্তিদের ‘রাষ্ট্রীয় বীর’ ও ‘আহত বীর যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তাঁদের আর্থিক ভাতা, চিকিৎসা, পুনর্বাসনসহ সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করা হয়েছে।
একই সঙ্গে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের জন্য আইনি দায়মুক্তি, সম্পত্তির অধিকার সুরক্ষা এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথাও সংশোধনীতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সিপিবি-বাসদসহ চারটি বামপন্থী দলের আপত্তির পর জুলাই জাতীয় সনদ–২০২৫-এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর ফলে সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাদ পড়ছে না। স্বাক্ষর শেষে রাজনৈতিক দল ও আমন্ত্রিত অতিথিদের দেওয়া জুলাই সনদে বিষয়টি উল্লেখ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
৬ ঘণ্টা আগেদেশে ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। চলতি বছর চিকিৎসাধীন যত রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের (৭৩ শতাংশ) বেশির মৃত্যু হয়েছে সরকারি সাত হাসপাতালে।
১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ সাত মাসের আলোচনায় কোথাও মতৈক্য এসেছে, আবার কোথাও থেকে গেছে মতানৈক্য। এসব মত-দ্বিমত, দোলাচলের মধ্যেই তৈরি হয় জুলাই জাতীয় সনদ। রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্যের কারণে সনদে স্বাক্ষর সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল শেষ দিন পর্যন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্যের বহুল প্রতীক্ষিত ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
৬ ঘণ্টা আগে