অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক কমানোর দিন প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। ৯০ দিনের আল্টিমেটাম শেষ হচ্ছে আগামী ৯ জুলাই। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ পেতে শুরু করেছে ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি। এশিয়ার দেশ জাপানের ওপর ৩০ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর অভিযোগ, জাপান যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে চাল নিচ্ছে না। তাই শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে যদি যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মধ্যে কোনো বাণিজ্য চুক্তি না হয়, তাহলে তিনি জাপানি পণ্যের ওপর ৩০ শতাংশ বা ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন।
ট্রাম্প নিজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘তাদের চালের ব্যাপক ঘাটতি দেখা যাচ্ছে, তবু তারা আমাদের থেকে চাল নিচ্ছে না। আমরা তাদের শুধু একটি চিঠি পাঠাব। যদিও আমরা চাই, তারা আগামী বহু বছর ধরে আমাদের বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে থাকুক।’
ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি নিশ্চিত নন, টোকিওর সঙ্গে কোনো চুক্তি আদৌ সম্ভব হবে কিনা। গতকাল মঙ্গলবার এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা জাপানের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমার মনে হয় না কোনো চুক্তি হবে। আমার সন্দেহ হচ্ছে।’
তবে জাপানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ‘চাল নিচ্ছে না’ অভিযোগ আর বাস্তবের তথ্য মিলছে না। মার্কিন আদমশুমারি ব্যুরোর বাণিজ্য তথ্য অনুযায়ী, গত বছর জাপান যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৯৮ মিলিয়ন ডলার মূল্যের চাল কিনেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দেশটি আরও ১১৪ মিলিয়ন ডলারের চাল আমদানি করেছে।
দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্য আলোচনায় জাপানি কর্মকর্তারা ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চাল কেনা বন্ধ করে দেবেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। গতকাল মঙ্গলবার জাপানের মুখ্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো চুক্তি করতে গিয়ে নিজ দেশের কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত করে কোনো ছাড় দেবেন না তিনি।’
হায়াশি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের আলোচনার বিস্তারিত আমরা প্রকাশ করছি না। তবে জাপান এমন একটি চুক্তির জন্য আন্তরিক ও সততার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে, যা জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের জন্যই উপকারী হবে।’
২০২১ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তর (ইউএসটিআর) এক প্রতিবেদনে জানায়, ‘জাপানের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত এবং অস্বচ্ছ আমদানি ও সরবরাহব্যবস্থা মার্কিন রপ্তানিকারকদের জাপানি ভোক্তাদের কাছে অর্থবহ প্রবেশাধিকার সীমিত করে রেখেছে।’ আর ট্রাম্পের অভিযোগে এ বিষয়টাই বোঝানো হয়েছ বলে সিএনএনকে জানায় ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সূত্র।
সম্প্রতি ট্রাম্প বলেন, তার প্রশাসন কিছু বিদেশি দেশকে চিঠি পাঠানোর পরিকল্পনা করছে, যেখানে জানানো হবে তাদের পণ্যের ওপর সম্ভাব্য নতুন শুল্ক হার কত হতে পারে। এপ্রিল মাসে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর ‘পারস্পরিক’ শুল্ক আরোপের যে ঘোষণা স্থগিত করেছিলেন, তার ধারাবাহিকতায় এই উদ্যোগ নেওয়া হবে।
গত রোববার ফক্স নিউজে সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জাপানকে এমন সম্ভাব্য দেশের একটি হিসেবে উল্লেখ করেন, যারা এ ধরনের চিঠি পেতে পারে। তিনি বলেন, ‘প্রিয় জাপান, কথাটা হলো—তোমরা তোমাদের গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক দেবে।’
ট্রাম্প স্থগিতাদেশ ঘোষণার আগে কিছু সময়ের জন্য জাপানি রপ্তানির ওপর সর্বনিম্ন ২৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হয়েছিল। তবে স্থগিতাদেশ কার্যকর হওয়ার পর থেকে, জাপান থেকে আসা পণ্যগুলোর ওপর সর্বজনীন ১০ শতাংশ শুল্ক ধার্য রয়েছে। এ ছাড়া জাপানি গাড়ি ও যন্ত্রাংশে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক এবং ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
গত ২ এপ্রিল ট্রাম্প ঘোষিত তথাকথিত ‘লিবারেশন ডে’তে জাপানের ওপর ২৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। ওই দিন তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর বড় পরিসরে আমদানি শুল্কের ঘোষণা দেন। পরে বেশির ভাগ বাণিজ্য অংশীদারের ওপর এই শুল্ক ৯০ দিনের জন্য কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়, যাতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ পায়। এই সাময়িক শুল্ক কমানোর মেয়াদ ৯ জুলাই শেষ হতে যাচ্ছে। ট্রাম্পও জানিয়েছেন, তিনি এই সময়সীমা বাড়ানোর কথা ভাবছেন না।
ট্রাম্প মূলত বলেছিলেন, শুল্ক স্থগিতের এই ৯০ দিন সময়ে তিনি ৯০টি বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে এখন পর্যন্ত কেবল যুক্তরাজ্যই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে পেরেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক কমানোর দিন প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। ৯০ দিনের আল্টিমেটাম শেষ হচ্ছে আগামী ৯ জুলাই। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ পেতে শুরু করেছে ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি। এশিয়ার দেশ জাপানের ওপর ৩০ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর অভিযোগ, জাপান যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে চাল নিচ্ছে না। তাই শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে যদি যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মধ্যে কোনো বাণিজ্য চুক্তি না হয়, তাহলে তিনি জাপানি পণ্যের ওপর ৩০ শতাংশ বা ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন।
ট্রাম্প নিজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘তাদের চালের ব্যাপক ঘাটতি দেখা যাচ্ছে, তবু তারা আমাদের থেকে চাল নিচ্ছে না। আমরা তাদের শুধু একটি চিঠি পাঠাব। যদিও আমরা চাই, তারা আগামী বহু বছর ধরে আমাদের বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে থাকুক।’
ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি নিশ্চিত নন, টোকিওর সঙ্গে কোনো চুক্তি আদৌ সম্ভব হবে কিনা। গতকাল মঙ্গলবার এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা জাপানের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমার মনে হয় না কোনো চুক্তি হবে। আমার সন্দেহ হচ্ছে।’
তবে জাপানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ‘চাল নিচ্ছে না’ অভিযোগ আর বাস্তবের তথ্য মিলছে না। মার্কিন আদমশুমারি ব্যুরোর বাণিজ্য তথ্য অনুযায়ী, গত বছর জাপান যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৯৮ মিলিয়ন ডলার মূল্যের চাল কিনেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দেশটি আরও ১১৪ মিলিয়ন ডলারের চাল আমদানি করেছে।
দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্য আলোচনায় জাপানি কর্মকর্তারা ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চাল কেনা বন্ধ করে দেবেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। গতকাল মঙ্গলবার জাপানের মুখ্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো চুক্তি করতে গিয়ে নিজ দেশের কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত করে কোনো ছাড় দেবেন না তিনি।’
হায়াশি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের আলোচনার বিস্তারিত আমরা প্রকাশ করছি না। তবে জাপান এমন একটি চুক্তির জন্য আন্তরিক ও সততার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে, যা জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের জন্যই উপকারী হবে।’
২০২১ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তর (ইউএসটিআর) এক প্রতিবেদনে জানায়, ‘জাপানের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত এবং অস্বচ্ছ আমদানি ও সরবরাহব্যবস্থা মার্কিন রপ্তানিকারকদের জাপানি ভোক্তাদের কাছে অর্থবহ প্রবেশাধিকার সীমিত করে রেখেছে।’ আর ট্রাম্পের অভিযোগে এ বিষয়টাই বোঝানো হয়েছ বলে সিএনএনকে জানায় ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সূত্র।
সম্প্রতি ট্রাম্প বলেন, তার প্রশাসন কিছু বিদেশি দেশকে চিঠি পাঠানোর পরিকল্পনা করছে, যেখানে জানানো হবে তাদের পণ্যের ওপর সম্ভাব্য নতুন শুল্ক হার কত হতে পারে। এপ্রিল মাসে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর ‘পারস্পরিক’ শুল্ক আরোপের যে ঘোষণা স্থগিত করেছিলেন, তার ধারাবাহিকতায় এই উদ্যোগ নেওয়া হবে।
গত রোববার ফক্স নিউজে সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জাপানকে এমন সম্ভাব্য দেশের একটি হিসেবে উল্লেখ করেন, যারা এ ধরনের চিঠি পেতে পারে। তিনি বলেন, ‘প্রিয় জাপান, কথাটা হলো—তোমরা তোমাদের গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক দেবে।’
ট্রাম্প স্থগিতাদেশ ঘোষণার আগে কিছু সময়ের জন্য জাপানি রপ্তানির ওপর সর্বনিম্ন ২৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হয়েছিল। তবে স্থগিতাদেশ কার্যকর হওয়ার পর থেকে, জাপান থেকে আসা পণ্যগুলোর ওপর সর্বজনীন ১০ শতাংশ শুল্ক ধার্য রয়েছে। এ ছাড়া জাপানি গাড়ি ও যন্ত্রাংশে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক এবং ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
গত ২ এপ্রিল ট্রাম্প ঘোষিত তথাকথিত ‘লিবারেশন ডে’তে জাপানের ওপর ২৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। ওই দিন তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর বড় পরিসরে আমদানি শুল্কের ঘোষণা দেন। পরে বেশির ভাগ বাণিজ্য অংশীদারের ওপর এই শুল্ক ৯০ দিনের জন্য কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়, যাতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ পায়। এই সাময়িক শুল্ক কমানোর মেয়াদ ৯ জুলাই শেষ হতে যাচ্ছে। ট্রাম্পও জানিয়েছেন, তিনি এই সময়সীমা বাড়ানোর কথা ভাবছেন না।
ট্রাম্প মূলত বলেছিলেন, শুল্ক স্থগিতের এই ৯০ দিন সময়ে তিনি ৯০টি বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে এখন পর্যন্ত কেবল যুক্তরাজ্যই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে পেরেছে।
সাধারণত এপ্রিল-মে মাসের দিকে এই পোকাগুলো তাদের সঙ্গীর সঙ্গে মিলিত হয়। কিন্তু ব্যাপারটা তাদের জন্য রোমান্টিক হলেও এই পোকাদের ভিড়ে এখন রীতিমতো নাকাল রাজধানী ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলো।
২ ঘণ্টা আগেইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি শহর সিনজিল এখন কার্যত একটি খোলা কারাগার। কারণ, শহরটির পূর্ব প্রান্তে পাঁচ মিটার উঁচু ধাতব বেড়া দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। আর এই বেড়ার একটি মাত্র প্রবেশপথ খুলে রেখে সবদিক সিল করে দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেআর্সেনালের সাবেক ফুটবলার থমাস পার্টের বিরুদ্ধে পাঁচটি ধর্ষণ এবং একটি যৌন নিপীড়নের অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, ২০২১ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশি অনুপ্রবেশ, ধর্মান্তর ও আদিবাসী জনসংখ্যার হ্রাস—এই তিন ইস্যু সামনে রেখে ঝাড়খন্ডে তিন বছরব্যাপী এক বৃহৎ পদযাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে বিজেপি। রাজ্যের প্রতিটি মহকুমায় ধাপে ধাপে চলবে এই কর্মসূচি, সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন যাত্রা হবে রাজ্যের প্রান্তিক ও আদিবাসী অঞ্চলগুলোতে।
৬ ঘণ্টা আগে