Ajker Patrika

ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট কী, যুক্তরাষ্ট্রে এর সূচনা হয় কীভাবে

আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩: ৩৮
২০১৯ সালের ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে প্রার্থনায় রিপাবলিকান রিপ্রেজেনটেটিভ জেমস ল্যাংকফোর্ড (ওকলাহোমা), প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট সিনেটর ক্রিস কুনস (ডেলাওয়ার)। ছবি: সংগৃহীত
২০১৯ সালের ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে প্রার্থনায় রিপাবলিকান রিপ্রেজেনটেটিভ জেমস ল্যাংকফোর্ড (ওকলাহোমা), প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট সিনেটর ক্রিস কুনস (ডেলাওয়ার)। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটি সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তবে কী এই ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট। এর সূচনাই বা কোথায় আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা গ্রহণের সঙ্গে এর সম্পর্কই-বা কতটুকু? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

১৯৩৫ সালের এপ্রিল মাসে ওয়াশিংটনের সিয়াটলে ১৯ জন ব্যবসায়ী এক সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় একত্র হন। সমাজ জীবনের টানাপোড়েন ও বিভাজন থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজতে তাঁরা প্রায় দুই হাজার বছরের পুরোনো এক গল্পের কাছে ফিরে যান। গল্পটি যিশুখ্রিষ্টের এবং এটি শুরু হয়েছিল এক খাবার টেবিল থেকে।

বাইবেলের জন ২১ অধ্যায়ের বিবরণ অনুযায়ী, যিশু তাঁর কয়েকজন বন্ধুদের তিবেরিয়াস সাগরের তীরে সকালের খাবারের আমন্ত্রণ জানান। সেই ব্রেকফাস্টে তিনি ঐশ্বরিক শক্তিতে প্রচুর মাছ ধরেন; ঈশ্বরের ভালোবাসা তুলে ধরেন পিটারকে ক্ষমা করার মাধ্যমে, যিনি তাঁকে অস্বীকার করেছিলেন। মানুষের একত্র হওয়া, একসঙ্গে খাবার খাওয়া, বন্ধুত্ব গড়া ও প্রার্থনার গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দেন তিনি।

সিয়াটলের এই ব্যবসায়ীরা নিয়মিত দেখা করতে শুরু করেন এবং তাঁদের জীবনের এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি জন্ম নেয়। তাঁরা নিজেদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে পুনর্মিলনের দূত হওয়ার সংকল্প গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে তাঁরা তাঁদের শহরের এবং এর বাইরের দারিদ্র্যপীড়িত ও নিপীড়িত মানুষের প্রতি দায়িত্বশীল হয়ে ওঠেন।

পরবর্তী মাস ও বছরগুলোতে এই ছোট দলের গুরুত্ব সম্পর্কে তাঁরা অন্যদের বলতে থাকলে আরও অনেক ব্রেকফাস্ট দল গড়ে ওঠে। ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্য থেকে শুরু করে সান ফ্রান্সিসকো, শিকাগো, ফিলাডেলফিয়া, বোস্টন এবং ১৯৪২ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে এই উদ্যোগ ছড়িয়ে পড়ে। মার্কিন কংগ্রেসের সিনেট এবং হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভেও এমন ব্রেকফাস্ট দল গঠন করা হয়।

আজকের দুনিয়ায় এই সরল ধারণা—পারস্পরিক উৎসাহ ও বন্ধুত্বের জন্য মানুষের একত্র হওয়া এবং উত্তম পথ খোঁজার প্রয়াস—বিশ্বের ১৮০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। যিশুখ্রিষ্টের শিক্ষা, নীতিমালা এবং তাঁর ব্যক্তিত্বকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই প্রাচীন ধারণা আধুনিক সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ করেছে।

১৯৫৩ সালে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডুইট ডি. আইজেনহাওয়ার একটি ব্রেকফাস্ট সভায় অংশগ্রহণ করেন। খ্রিষ্টধর্ম প্রচারক বিলি গ্রাহামের আহ্বানে তিনি এতে যোগ দিতে রাজি হন। আইজেনহাওয়ার প্রকাশ্যে ধর্মপরায়ণ না হলেও প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনকালে তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আধ্যাত্মিক পুনর্জাগরণের প্রয়োজন।

আইজেনহাওয়ারের নেতৃত্বেই যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রায় ‘ইন গড, উই ট্রাস্ট’ সংযোজন এবং জাতীয় শপথবাক্যে ‘আন্ডার গড’ শব্দ দুটি যুক্ত করা হয়। এসব উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল ‘রেড স্কেয়ার’ বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিজম প্রতিরোধ করতেই এসব করেছিলেন তিনি।

এর পর থেকে প্রতিটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই ব্রেকফাস্ট সভায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করেছেন। খ্রিষ্টধর্ম প্রচারক বিলি গ্রাহাম এবং তাঁর ছেলে ফ্র্যাঙ্কলিন গ্রাহাম কয়েক দশক ধরে প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন এবং ওয়াশিংটনে তাদের প্রভাব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। একইভাবে ‘দ্য ফ্যামিলি’ নামেও পরিচিত একটি গোষ্ঠীও এই প্রভাব বিস্তারে ভূমিকা রেখেছে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হোয়াইট হাইস ও ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট কমিটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পুতিনের নির্দেশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ৫৭
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত

ফের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই বিষয়ে প্রস্তাব তৈরি করতে ক্রেমলিনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘ বিরতির পর যুক্তরাষ্ট্রকে ‘অবিলম্বে’ এমন পরীক্ষা শুরু করতে নির্দেশ দেওয়ার পর মস্কো এই সিদ্ধান্ত নিল।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গতকাল বুধবার রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে পুতিন বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র বা বিস্তৃত পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি (সিটিবিটি) স্বাক্ষরকারী কোনো দেশ পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়, ‘তাহলে রাশিয়া বাধ্য থাকবে সমান প্রতিক্রিয়া জানাতে।’

পুতিন বলেছেন, ‘এ কারণে আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, গোয়েন্দা সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট বেসামরিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিচ্ছি—বিষয়টি নিয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে, নিরাপত্তা পরিষদে বিশ্লেষণ উপস্থাপন করতে এবং পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি-সংক্রান্ত প্রাথমিক পদক্ষেপের প্রস্তাব দিতে।’

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়ার পর ১৯৯১ সাল থেকে রাশিয়া আর কোনো পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়নি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দুই পরাশক্তির মধ্যে উত্তেজনা আবার বেড়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অনড় অবস্থায় পুতিনের ওপর ট্রাম্পের হতাশা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট গত অক্টোবর পুতিনের সঙ্গে হাঙ্গেরিতে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেন। পরদিন তিনি দুই বড় রুশ তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন।

এরপর গত ৩০ অক্টোবর ট্রাম্প বলেন, তিনি প্রতিরক্ষা বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন ‘অবিলম্বে’ পারমাণবিক পরীক্ষা শুরু করতে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রও ‘অন্য পরাশক্তিদের সমান অবস্থানে’ থাকে। এর কয়েক দিন আগে ট্রাম্প রাশিয়ার নতুন ‘বুরেভেস্তনিক’ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সমালোচনা করেন। পারমাণবিক শক্তিচালিত এই ক্ষেপণাস্ত্র পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম।

ক্রেমলিন প্রকাশিত প্রতিবেদন বলা হয়েছে, পুতিন একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সঙ্গে একটি পরিকল্পিত পরামর্শ বৈঠকে বসেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রে বেলোউসোভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ ‘রাশিয়ার প্রতি সামরিক হুমকির মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে।’ তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পারমাণবিক বাহিনীকে এমন প্রস্তুত অবস্থায় রাখতে হবে, যাতে শত্রুর অগ্রহণযোগ্য ক্ষতি ঘটানো যায়।’

বেলোউসোভ আরও জানান, রাশিয়ার আর্কটিক অঞ্চলের নোভাইয়া জেমলাইয়া ঘাঁটি অল্প সময়ের নোটিশেই পারমাণবিক পরীক্ষা চালাতে প্রস্তুত। রুশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভ সতর্ক করে বলেন, ‘আমরা যদি এখন যথাযথ পদক্ষেপ না নেই, যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রমের জবাব দেওয়ার সময় ও সুযোগ হারিয়ে ফেলব।’

বৈঠকের পর রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস জানায়, ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন—পুতিন কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা ঠিক করেননি। পেসকভ বলেন, ‘আমরা কবে প্রস্তুতি শুরু করব, তা নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃত উদ্দেশ্য বুঝতে কতটা সময় লাগে তার ওপর।’

বিশ্বে পারমাণবিক অস্ত্রের দিক থেকে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রই সবচেয়ে বড় শক্তি। সেন্টার ফর আর্মস কন্ট্রোল অ্যান্ড নন-প্রলিফারেশনের হিসাবে, রাশিয়ার কাছে বর্তমানে ৫ হাজার ৪৫৯টি পারমাণবিক ওয়ারহেড আছে, যার মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৬০০টি সক্রিয়। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ারহেড সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার ৫৫০ টি, এর মধ্যে সক্রিয় প্রায় ৩ হাজার ৮০০ টি। স্নায়ুযুদ্ধের সময়, ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি যুক্তরাষ্ট্রের মজুত ছিল ৩১ হাজারের বেশি ওয়ারহেড।

চীন অনেক পেছনে থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্রুত তার পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডার বাড়িয়েছে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, বর্তমানে চীনের ওয়ারহেড সংখ্যা প্রায় ৬০০ এবং ২০২৩ সাল থেকে প্রতিবছর গড়ে ১০০টি করে বাড়ছে। অন্য পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলো হলো—ফ্রান্স, ব্রিটেন, ভারত, পাকিস্তান, ইসরায়েল ও উত্তর কোরিয়া।

যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ ১৯৯২ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্ফোরণ ঘটায়। তখন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচডব্লিউ বুশ সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পর পারমাণবিক পরীক্ষা স্থগিতের নির্দেশ দেন। ১৯৯৬ সালে যখন বিস্তৃত পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি (সিটিবিটি) স্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত করা হয়, তখন থেকে মাত্র তিন দেশ পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তান ১৯৯৮ সালে, আর উত্তর কোরিয়া ২০০৬ সালের পর থেকে পাঁচবার পরীক্ষা চালিয়েছে—সর্বশেষ ২০১৭ সালে। ২১শ শতকে এটি একমাত্র দেশ যারা এমন বিস্ফোরণ চালিয়েছে। ঠান্ডা যুদ্ধের সময় যেসব দেশ নিয়মিত এ ধরনের পরীক্ষা চালাত, সেসব বিস্ফোরণের পরিবেশগত ক্ষতি ছিল ভয়াবহ।

ট্রাম্প এখনো পরিষ্কার করে বলেননি, তিনি যে পরীক্ষার কথা বলেছেন, তা কি বিস্ফোরণভিত্তিক পারমাণবিক পরীক্ষা, নাকি পারমাণবিক শক্তিচালিত ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা। পরের ক্ষেত্রে ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অস্ত্র সরবরাহ ব্যবস্থা পরীক্ষা করবে, বিস্ফোরণ লাগবে না।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা সতর্ক করেছেন, যে কোনো দেশের পারমাণবিক বিস্ফোরণ পরীক্ষা শুরু করলে তা অন্যদেরও একই পথে ঠেলে দেবে। এতে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা আছে। জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষক আন্দ্রে বাকলিৎস্কি বলেন, ক্রেমলিনের প্রতিক্রিয়া আসলে ‘কর্ম-প্রতিকর্ম চক্রেরই’ উদাহরণ, যা নতুন পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা ডেকে আনতে পারে। তিনি এক্সে পোস্ট করে লেখেন, ‘কেউই এটা চায় না, কিন্তু হয়তো শেষ পর্যন্ত আমরা সেদিকেই যাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মামদানি সম্মানজনক আচরণ করলে তাঁকে সহায়তা করব: ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ট্রাম্প বলেছেন, তিনি মামদানিকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। তবে মামদানিকে ‘সম্মানজনক আচরণ’ করতে হবে। ছবি: সংগৃহীত
ট্রাম্প বলেছেন, তিনি মামদানিকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। তবে মামদানিকে ‘সম্মানজনক আচরণ’ করতে হবে। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানিকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। তবে সতর্ক করেছেন, সফল হতে হলে মামদানিকে ওয়াশিংটনের প্রতি ‘সম্মানজনক আচরণ’ করতে হবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার রাতে জোহরান মামদানি প্রথম কোনো মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। ইতিহাস গড়ার পর মামদানি যখন তাঁর দায়িত্ব গ্রহণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দলের সদস্যদের নাম ঘোষণা করেছিলেন, তখনই ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন।

মামদানি তাঁর বিজয়ী ভাষণে ট্রাম্পের বিরোধিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘ওটা বিপজ্জনক মন্তব্য।’ ট্রাম্প ফক্স নিউজের ব্রেট বায়ারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ওয়াশিংটনের প্রতি তাঁকে কিছুটা শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তা না হলে সফল হওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।’ ওয়াশিংটন বলতে ট্রাম্প মূলত ফেডারেল সরকার এবং তাঁর প্রশাসনকেই বুঝিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই সে সফল হোক। আমি চাই শহরটা সফল হোক।’ এরপর দ্রুত স্পষ্ট করেন, তিনি আসলে নিউইয়র্ক শহরকে সফল দেখতে চান, মামদানিকে নয়। এর আগে, গতকাল বুধবার ট্রাম্প এক ভাষণে বলেন, তাঁর প্রশাসন নতুন মেয়রকে ‘সাহায্য করবে।’ তবে একই বক্তব্যে তিনি মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ বলেও আখ্যা দেন।

ফ্লোরিডার মায়ামিতে আমেরিকান বিজনেস ফোরামের ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ‘কমিউনিস্ট, মার্কসবাদী আর গ্লোবালিস্টরা তাদের সুযোগ পেয়েছিল। তারা শুধু বিপর্যয় এনেছে। এবার দেখা যাক, নিউইয়র্কে এক কমিউনিস্ট কেমন করে। আমরা দেখব কী হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাঁকে সাহায্য করব, একটু হলেও করব। আমরা চাই নিউইয়র্ক সফল হোক।’

নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনের আগে থেকেই ট্রাম্প মামদানির বিরুদ্ধে প্রচারণায় নেমেছিলেন। তিনি মামদানিকে ‘উন্মাদ কমিউনিস্ট’ আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, যদি মামদানি জেতে, তবে শহরের ফেডারেল অর্থায়ন বন্ধ করে দেবেন।

মামদানি নিজের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, তিনি কমিউনিস্ট নন, বরং একজন গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী। তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল বিনা মূল্যে সর্বজনীন শিশু যত্ন, ফ্রি বাস সার্ভিস এবং সরকারি পরিচালিত মুদি দোকান চালুর প্রতিশ্রুতি। প্রায় ৮৫ লাখ মানুষের শহর নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন মামদানি। তার এই বিজয় সারা দেশে প্রতিধ্বনি তুলেছে। ডেমোক্র্যাট পার্টির মধ্যপন্থী ও প্রগতিশীল অংশের দ্বন্দ্বের মধ্যে এই জয়কে অনেকে জাতীয় রাজনীতির দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন।

বিজয়ী ভাষণে মামদানি তাঁর জয়কে ট্রাম্পকে হারানোর এক উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করেন। টেলিভিশন প্রিয় প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ভলিউমটা বাড়িয়ে দিন।’ বুধবার অগ্রাধিকারের বিষয় তুলে ধরে দেওয়া বক্তৃতায় মামদানি জানান, তিনি ট্রাম্পের বিরোধিতা অব্যাহত রাখবেন, তবে আলোচনার সুযোগও খোলা রাখবেন। মামদানি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্পর্কে আমি মুখ বন্ধ রাখব না। তাঁর কর্মকাণ্ড যেমন, আমি তেমনই বলব। তবে সেই সঙ্গে সংলাপের দরজাটাও খোলা রাখব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাজার প্রশাসন সামলাবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ, হামাসের সঙ্গে ‘চুক্তি’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ৪৪
গাজায় টহলরত হামাসের এক সদস্য। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে স্থানীয় শিশুরা। ছবি: এএফপি
গাজায় টহলরত হামাসের এক সদস্য। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে স্থানীয় শিশুরা। ছবি: এএফপি

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) সঙ্গে একটি ‘অস্থায়ী চুক্তিতে’ পৌঁছেছে। এই চুক্তির আওতায় গাজার প্রশাসন সামলাবে রামাল্লায় অবস্থিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের একটি অস্থায়ী কমিটি। গত মঙ্গলবার হামাস নেতা মুসা আবু মারজুক কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে এসব কথা বলেন।

মুসা আবু মারজুক বলেন, এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের একজন মন্ত্রী। আর এই কমিটি গাজার সীমান্ত পারাপার ও নিরাপত্তা বাহিনী তত্ত্বাবধান করবে। তবে ওয়াশিংটন এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে কি না, তা তিনি স্পষ্ট করেননি।

আবু মারজুক আরও বলেন, তেল আবিব গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের অনুমতি দিতে অস্বীকার করছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত খসড়া পরিকল্পনার বিপরীত। কারণ, সেখানে গাজায় আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে তোলা হয়েছিল।

হামাসের এই নেতা বলেন, ‘এই বিষয়ে এখনো দীর্ঘ আলোচনা প্রয়োজন।’ মারজুক নিশ্চিত করেছেন, আন্তর্জাতিক ওই নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্ব ও ক্ষমতা নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। আর এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তথাকথিত ‘শান্তি পরিকল্পনা’র একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

হামাসের নিরস্ত্রীকরণ প্রসঙ্গে মারজুক বলেন, ‘গাজার মাটিতে হামাসই কার্যত নিয়ন্ত্রণে আছে। যদি তাদের নিরস্ত্র করা হয়, অন্য গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র হাতে উঠবে। যেমন ইরাকে সেনাবাহিনী বিলুপ্ত হওয়ার পর বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে, আল কায়েদা আর আইএস উত্থান ঘটায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এতে স্থিতিশীলতা আসবে না, বরং যুদ্ধবিরতি বা অন্য কোনো চুক্তি বাস্তবায়ন আরও কঠিন হবে। গাজায় কোনো শূন্যতা নেই, যেকোনো বিকল্প বাহিনী অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের দ্বারা গঠিত ও তাদের সম্মতিতে হতে হবে, যাতে কোনো অভ্যন্তরীণ সংঘাত না হয়।’

এর আগে হামাস ও পিএ-এর ফাতাহ দল মিসরে বৈঠক করে কিছু প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছেছিল। তবে সেসব চুক্তি বাস্তবে কীভাবে কার্যকর হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ট্রাম্পের পরিকল্পনায় গাজায় একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠন এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের অন্তত দুই বছর মেয়াদি ‘প্রশাসন’ পরিচালনার প্রস্তাব রয়েছে, যা পরে বাড়ানো যেতে পারে।

ওয়াশিংটনের খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, পিএ কেবল তখনই গাজার প্রশাসন নিতে পারবে, যখন তারা ‘সংস্কার কর্মসূচি সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন করবে’ এবং ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন ‘বোর্ড অব পিস’ থেকে ‘চূড়ান্ত অনুমোদন’ পাবে।

তবে কিছু আরব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিকল্পনার কয়েকটি অংশ প্রত্যাখ্যান করেছে। এর মধ্যে রয়েছে গাজাকে সম্পূর্ণভাবে নিরস্ত্র করা এবং হামাসকে অস্ত্র ত্যাগে বাধ্য করার শর্ত। পশ্চিমা কূটনীতিকদের উদ্ধৃত করে আই ২৪ নিউজ জানিয়েছে, আরব দেশগুলো এই ধারা মেনে নিতে রাজি নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্যাটল ফর বিহার শুরু: প্রথম ধাপে ভোট হচ্ছে ১২১ আসনে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫৮
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট শুরু হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট শুরু হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

বিহারকে ভারতীয় রাজনীতির পরীক্ষাগার বলে মনে করেন রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা। আর সেই রাজ্যে শুরু হয়েছে ভোটযুদ্ধ—ব্যাটল ফর বিহার। মর্যাদার লড়াইয়ে রাজ্যের ২৪৩টি আসনের অর্ধেক, অর্থাৎ ১২১ আসনের ভোট আজ বুধবার প্রথম দফায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স বা এনডিএ জোট আবারও ক্ষমতায় ফেরার আশা করছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের আহ্বান জানিয়েছেন গণতন্ত্রের এই উৎসবে উৎসাহ নিয়ে অংশ নিতে। তিনি বলেছেন, ‘যারা প্রথমবার ভোট দিচ্ছে, বিশেষ করে আমার তরুণ বন্ধুরা—মনে রাখবে, আগে ভোট, পরে নাশতা।’

অন্যদিকে বিরোধী ‘গ্র্যান্ড অ্যালায়েন্স বা মহাগাঠবন্ধন’ সরকারবিরোধী মনোভাব ও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদবের প্রতিশ্রুত ‘প্রতিটি ঘরে চাকরি’ পরিকল্পনার ওপর ভরসা করে এনডিএকে হারানোর আশা করছে। ২০২০ সালের নির্বাচনে রাজ্যের সবচেয়ে বড় দল হিসেবে উঠে আসা আরজেডি এবারও তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে আগ্রাসী প্রচারণা চালিয়েছে। তরুণ ভোটারদের টানাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।

বিজেপি এবারও জাঁকজমকপূর্ণ প্রচার চালিয়েছে। মোদি নিজে, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এতে অংশ নিয়েছেন। তবে প্রচারের শেষ দিকে এনডিএ শিবিরে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী নিয়ে অনিশ্চয়তার গুঞ্জন ছড়ায়। অনেকে ধরে নেন, ছয়বার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা ৭৪ বছর বয়সী নিতীশ কুমারকে এবার সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। কারণ, তাঁর দল জেডিইউ এখন বিজেপির ছায়ায় আসলে অবস্থান করছে দ্বিতীয় সারিতে। শেষ মুহূর্তে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা বিষয়টি পরিষ্কার করেন।

অন্যদিকে কংগ্রেসের প্রচারণা ছিল অনেকটা নিরুত্তাপ। ২০২০ সালে তারা জোটসঙ্গী রাষ্ট্রীয় জনতা দল–আরজেডির তুলনায় অনেক পিছিয়ে ছিল। এবারের প্রচার শুরুতে রাহুল গান্ধী ও তেজস্বী যাদবের যৌথ পদযাত্রায় গতি এলেও রাহুল প্রায় দুই মাস প্রচারে অনুপস্থিত ছিলেন। এর প্রভাব পড়ে আসন বণ্টনের আলোচনাতেও। ফলে এখন অন্তত ১২টির বেশি আসনে কংগ্রেস ও আরজেডি মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামছে, যা বিরোধী ভোট বিভক্তির আশঙ্কা তৈরি করেছে।

এদিকে নির্বাচনে ‘এক্স-ফ্যাক্টর’ হিসেবে দেখা হচ্ছে নির্বাচনী কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোরকে। তাঁর দল জন সুরাজ পার্টি রাজনীতির ময়দানে নতুন চমক এনেছে। তিনি ঘোষণা করেছেন, তাঁদের দল হয় ১০ টিরও কম আসন পাবে, নয়তো ১৫০ টিরও বেশি। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের আগে বা পরে কোনো জোটে তাঁরা যোগ দেবে না। রাজ্যের সব আসনে প্রার্থী দিয়েছে জন সুরাজ এবং দুর্নীতি ও মৌলিক সেবার অবনতিকে প্রধান ইস্যু করেছে।

নির্বাচনের মূল বিষয়গুলো ঘুরছে জীবিকা, বেকারত্ব, অভিবাসন, দুর্নীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাকে ঘিরে। তেজস্বী যাদবের প্রতিশ্রুতি—রাজ্যের প্রতিটি ঘরে একটি করে সরকারি চাকরি—রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা তৈরি করেছে। এই প্রতিশ্রুতির মানে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ চাকরি।

এনডিএর দাবি, রাজ্যের আর্থিক অবস্থা এত বড় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মতো নয়। তাদের প্রতিশ্রুতি—১ কোটি চাকরি সৃষ্টি ও নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করা, যার লক্ষ্য ১ কোটি নারী লাখপতি গড়ে তোলা।

আজ যে আসনগুলোতে ভোট হচ্ছে, সেগুলোর বেশির ভাগই মধ্য বিহার অঞ্চলে। ২০২০ সালের নির্বাচনে এই অঞ্চলেই মহাগাঠবন্ধন জোট ভালো ফল করেছিল—১২১টি আসনের মধ্যে ৬৩ টিতে জয় পেয়েছিল তারা। বিজেপি ও নিতীশ কুমারের জেডিইউ মিলে পেয়েছিল ৫৫টি আসন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত