
গাজায় ইসরায়েলের চলমান হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এর মধ্যেই পুলিশের নিপীড়নের শিকার হয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা। গ্রেপ্তার হয়েছেন শত শত বিক্ষোভকারী।
আর এসবের শুরু গত ১৭ এপ্রিল ভোরবেলা। শিক্ষার্থীদের ছোট একটি দল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু ফেলে গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং তাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে এই গণহত্যায় সমর্থনকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সকল ব্যবসায়িক লেনদেন বন্ধ করার আহ্বান জানায়।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট মিনোশে শফিককে ক্যাপিটল হিলে ডেকে জিজ্ঞেস করা হয় যে, কীভাবে তিনি এ পরিস্থিতি সামলাবেন। সেদিন প্রায় চার ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার নেওয়া পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে বলেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের এই বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি লঙ্ঘনের পরিণতি তাদের ভোগ করতে হবে।
পরদিন বিকেলে মিনোশে শফিকের নেওয়া একটি সিদ্ধান্তই যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা অননুমোদিত শিবির স্থাপন করেছে, তারা চলে যাওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ মানেনি এবং তারা তাদের অনেক সহকর্মীর জন্য একটি হয়রানিমূলক এবং ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করেছিল—এসব কথা বলে মিনোশে শফিক ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকেন।
দ্রুত সময়ের মধ্যেই নিউইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তারা দাঙ্গা দমনকারী সাজে সজ্জিত হয়ে পৌঁছায় কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্লাস্টিকের হাতকড়া পরিয়ে ১০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই গণগ্রেপ্তারের তাৎপর্য এ জন্যই বেশি যে, পাঁচ দশকেরও বেশি আগে ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতিবাদের পর কলাম্বিয়ার ক্যাম্পাসে এটিই ছিল প্রথমবারের মতো গণগ্রেপ্তারের ঘটনা।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট শিক্ষার্থী রাশিদা মুস্তাফা বলেন, ‘এটি আমাদের সবার জন্যই ছিল একটি ধাক্কা। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। কিন্তু আমি যেন করণীয় সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেলাম।’
তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরের দিন, মাত্র কয়েক মিটার দূরে একটি ভিন্ন লনে আরেকটি প্রতিবাদ শিবির স্থাপন করা হয়। এটি ছিল আগের দিনের চেয়েও অনেক বড়। অল্পসংখ্যক তাঁবু থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিণত হলো প্রতিবাদকারীদের বড়সড় ঘাঁটিতে। অনুদানের খাবার বিতরণ করা হলো বুফের মতো করে। ছিল লাইভ পারফরম্যান্স এবং প্রধান ফটকে অনুপ্রবেশকারীদের নজরদারিতে রাখতে মোতায়েন ছিল নিরাপত্তা দল।
একদিন পরে, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর-পূর্বে মাত্র ৭০ মাইল (১১২ কিলোমিটার) দূরে আরেকটি অভিজাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কানেকটিকাটের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয় আরেকটি প্রতিবাদ শিবির। এর ধারাবাহিকতায় এ সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে সারা দেশে কয়েক ডজন ক্যাম্পাসে চলছে বিক্ষোভ। কলাম্বিয়ার শিক্ষার্থীরা প্রকারান্তরে গড়ে তুলেছিল একটি জাতীয় প্রতিবাদ আন্দোলন।
মধ্যপ্রাচ্যে কী ঘটছে তা নিয়ে জ্বালাময়ী বিতর্কে আগে থেকেই উত্তপ্ত ছিল বিভিন্ন ক্যাম্পাস। তার মধ্যেই ইসরায়েল কীভাবে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে তা নিয়ে ছাত্রদের ক্ষোভ মিশ্রিত প্রশ্নের সামনে খাবি খাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতারা।
গত ২২ এপ্রিল ভোরে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে পুলিশ। তখন তাঁবুতে ঘুমিয়ে ছিল বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা। পুলিশের নির্দেশ মতো সরে যেতে তারা অস্বীকৃতি জানালে গ্রেপ্তার হন প্রায় ৫০ জন বিক্ষোভকারী। এ প্রসঙ্গে ইয়েলের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী চিসাতো কিমুরা বিবিসিকে বলেন, ‘তারা (পুলিশ) কোনো সতর্কবার্তা না দিয়ে দ্রুত চলে এসেছিল। আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছিলাম। ক্যাম্পাসে পুলিশকে ঢুকতে দেখে তাই প্রচণ্ড বিরক্ত হয়েছিল সবাই।’
গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় চলছে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন। নির্বিচার এই গণহত্যায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি—যার মাঝে নারী ও শিশুই বেশি। ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সারা বিশ্বেই হচ্ছে বিক্ষোভ। তবে গত ছয় মাসের মধ্যে শেষ ১০ দিনেই যুক্তরাষ্ট্রে দেখা গেছে সবচেয়ে তীব্র এবং ব্যাপক বিক্ষোভ। প্রথমে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়য়ে পুলিশ কর্তৃক শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার, তারপর এই ক্ষোভের আগুন দাবানল হয়ে ছড়িয়েছে সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। সেখানেও ঘটেছে সংঘর্ষ ও গ্রেপ্তারের ঘটনা।
অস্টিনের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে রাষ্ট্রীয় পুলিশ সদস্যরা গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের লন দখল করা শত শত শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ কর্মসূচি থামিয়েছে। আটলান্টার এমোরি ইউনিভার্সিটিতে একজন নারী অধ্যাপককে একজন পুলিশ কর্মকর্তা মাটিতে ফেলে হাতকড়া পরিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার তাকে হাতকড়া পরানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
বোস্টনের এমারসন কলেজ, ওয়াশিংটন ডিসির জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার (ইউএসসি) বিক্ষোভকারীদেরও ধরেছে পুলিশ। অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি, বার্নার্ড কলেজ, ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটি, চ্যাপেল হিলের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলাইনা, ভার্জিনিয়া টেকের ক্যাম্পাসেও ঘটেছে প্রতিবাদ ও গ্রেপ্তারের ঘটনা।
ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো ডেনভার, কমিউনিটি কলেজ অব ডেনভার এবং মেট্রোপলিটন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ডেনভারের যৌথ ক্যাম্পাস থেকে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজনকারী প্রায় ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৪০ জনকেই গতকাল শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলের চলমান হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এর মধ্যেই পুলিশের নিপীড়নের শিকার হয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা। গ্রেপ্তার হয়েছেন শত শত বিক্ষোভকারী।
আর এসবের শুরু গত ১৭ এপ্রিল ভোরবেলা। শিক্ষার্থীদের ছোট একটি দল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু ফেলে গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং তাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে এই গণহত্যায় সমর্থনকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সকল ব্যবসায়িক লেনদেন বন্ধ করার আহ্বান জানায়।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট মিনোশে শফিককে ক্যাপিটল হিলে ডেকে জিজ্ঞেস করা হয় যে, কীভাবে তিনি এ পরিস্থিতি সামলাবেন। সেদিন প্রায় চার ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার নেওয়া পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে বলেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের এই বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি লঙ্ঘনের পরিণতি তাদের ভোগ করতে হবে।
পরদিন বিকেলে মিনোশে শফিকের নেওয়া একটি সিদ্ধান্তই যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা অননুমোদিত শিবির স্থাপন করেছে, তারা চলে যাওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ মানেনি এবং তারা তাদের অনেক সহকর্মীর জন্য একটি হয়রানিমূলক এবং ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করেছিল—এসব কথা বলে মিনোশে শফিক ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকেন।
দ্রুত সময়ের মধ্যেই নিউইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তারা দাঙ্গা দমনকারী সাজে সজ্জিত হয়ে পৌঁছায় কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্লাস্টিকের হাতকড়া পরিয়ে ১০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই গণগ্রেপ্তারের তাৎপর্য এ জন্যই বেশি যে, পাঁচ দশকেরও বেশি আগে ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতিবাদের পর কলাম্বিয়ার ক্যাম্পাসে এটিই ছিল প্রথমবারের মতো গণগ্রেপ্তারের ঘটনা।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট শিক্ষার্থী রাশিদা মুস্তাফা বলেন, ‘এটি আমাদের সবার জন্যই ছিল একটি ধাক্কা। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। কিন্তু আমি যেন করণীয় সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেলাম।’
তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরের দিন, মাত্র কয়েক মিটার দূরে একটি ভিন্ন লনে আরেকটি প্রতিবাদ শিবির স্থাপন করা হয়। এটি ছিল আগের দিনের চেয়েও অনেক বড়। অল্পসংখ্যক তাঁবু থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিণত হলো প্রতিবাদকারীদের বড়সড় ঘাঁটিতে। অনুদানের খাবার বিতরণ করা হলো বুফের মতো করে। ছিল লাইভ পারফরম্যান্স এবং প্রধান ফটকে অনুপ্রবেশকারীদের নজরদারিতে রাখতে মোতায়েন ছিল নিরাপত্তা দল।
একদিন পরে, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর-পূর্বে মাত্র ৭০ মাইল (১১২ কিলোমিটার) দূরে আরেকটি অভিজাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কানেকটিকাটের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয় আরেকটি প্রতিবাদ শিবির। এর ধারাবাহিকতায় এ সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে সারা দেশে কয়েক ডজন ক্যাম্পাসে চলছে বিক্ষোভ। কলাম্বিয়ার শিক্ষার্থীরা প্রকারান্তরে গড়ে তুলেছিল একটি জাতীয় প্রতিবাদ আন্দোলন।
মধ্যপ্রাচ্যে কী ঘটছে তা নিয়ে জ্বালাময়ী বিতর্কে আগে থেকেই উত্তপ্ত ছিল বিভিন্ন ক্যাম্পাস। তার মধ্যেই ইসরায়েল কীভাবে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে তা নিয়ে ছাত্রদের ক্ষোভ মিশ্রিত প্রশ্নের সামনে খাবি খাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতারা।
গত ২২ এপ্রিল ভোরে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে পুলিশ। তখন তাঁবুতে ঘুমিয়ে ছিল বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা। পুলিশের নির্দেশ মতো সরে যেতে তারা অস্বীকৃতি জানালে গ্রেপ্তার হন প্রায় ৫০ জন বিক্ষোভকারী। এ প্রসঙ্গে ইয়েলের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী চিসাতো কিমুরা বিবিসিকে বলেন, ‘তারা (পুলিশ) কোনো সতর্কবার্তা না দিয়ে দ্রুত চলে এসেছিল। আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছিলাম। ক্যাম্পাসে পুলিশকে ঢুকতে দেখে তাই প্রচণ্ড বিরক্ত হয়েছিল সবাই।’
গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় চলছে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন। নির্বিচার এই গণহত্যায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি—যার মাঝে নারী ও শিশুই বেশি। ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সারা বিশ্বেই হচ্ছে বিক্ষোভ। তবে গত ছয় মাসের মধ্যে শেষ ১০ দিনেই যুক্তরাষ্ট্রে দেখা গেছে সবচেয়ে তীব্র এবং ব্যাপক বিক্ষোভ। প্রথমে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়য়ে পুলিশ কর্তৃক শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার, তারপর এই ক্ষোভের আগুন দাবানল হয়ে ছড়িয়েছে সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। সেখানেও ঘটেছে সংঘর্ষ ও গ্রেপ্তারের ঘটনা।
অস্টিনের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে রাষ্ট্রীয় পুলিশ সদস্যরা গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের লন দখল করা শত শত শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ কর্মসূচি থামিয়েছে। আটলান্টার এমোরি ইউনিভার্সিটিতে একজন নারী অধ্যাপককে একজন পুলিশ কর্মকর্তা মাটিতে ফেলে হাতকড়া পরিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার তাকে হাতকড়া পরানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
বোস্টনের এমারসন কলেজ, ওয়াশিংটন ডিসির জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার (ইউএসসি) বিক্ষোভকারীদেরও ধরেছে পুলিশ। অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি, বার্নার্ড কলেজ, ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটি, চ্যাপেল হিলের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলাইনা, ভার্জিনিয়া টেকের ক্যাম্পাসেও ঘটেছে প্রতিবাদ ও গ্রেপ্তারের ঘটনা।
ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো ডেনভার, কমিউনিটি কলেজ অব ডেনভার এবং মেট্রোপলিটন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ডেনভারের যৌথ ক্যাম্পাস থেকে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজনকারী প্রায় ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৪০ জনকেই গতকাল শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলের চলমান হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এর মধ্যেই পুলিশের নিপীড়নের শিকার হয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা। গ্রেপ্তার হয়েছেন শত শত বিক্ষোভকারী।
আর এসবের শুরু গত ১৭ এপ্রিল ভোরবেলা। শিক্ষার্থীদের ছোট একটি দল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু ফেলে গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং তাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে এই গণহত্যায় সমর্থনকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সকল ব্যবসায়িক লেনদেন বন্ধ করার আহ্বান জানায়।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট মিনোশে শফিককে ক্যাপিটল হিলে ডেকে জিজ্ঞেস করা হয় যে, কীভাবে তিনি এ পরিস্থিতি সামলাবেন। সেদিন প্রায় চার ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার নেওয়া পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে বলেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের এই বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি লঙ্ঘনের পরিণতি তাদের ভোগ করতে হবে।
পরদিন বিকেলে মিনোশে শফিকের নেওয়া একটি সিদ্ধান্তই যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা অননুমোদিত শিবির স্থাপন করেছে, তারা চলে যাওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ মানেনি এবং তারা তাদের অনেক সহকর্মীর জন্য একটি হয়রানিমূলক এবং ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করেছিল—এসব কথা বলে মিনোশে শফিক ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকেন।
দ্রুত সময়ের মধ্যেই নিউইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তারা দাঙ্গা দমনকারী সাজে সজ্জিত হয়ে পৌঁছায় কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্লাস্টিকের হাতকড়া পরিয়ে ১০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই গণগ্রেপ্তারের তাৎপর্য এ জন্যই বেশি যে, পাঁচ দশকেরও বেশি আগে ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতিবাদের পর কলাম্বিয়ার ক্যাম্পাসে এটিই ছিল প্রথমবারের মতো গণগ্রেপ্তারের ঘটনা।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট শিক্ষার্থী রাশিদা মুস্তাফা বলেন, ‘এটি আমাদের সবার জন্যই ছিল একটি ধাক্কা। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। কিন্তু আমি যেন করণীয় সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেলাম।’
তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরের দিন, মাত্র কয়েক মিটার দূরে একটি ভিন্ন লনে আরেকটি প্রতিবাদ শিবির স্থাপন করা হয়। এটি ছিল আগের দিনের চেয়েও অনেক বড়। অল্পসংখ্যক তাঁবু থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিণত হলো প্রতিবাদকারীদের বড়সড় ঘাঁটিতে। অনুদানের খাবার বিতরণ করা হলো বুফের মতো করে। ছিল লাইভ পারফরম্যান্স এবং প্রধান ফটকে অনুপ্রবেশকারীদের নজরদারিতে রাখতে মোতায়েন ছিল নিরাপত্তা দল।
একদিন পরে, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর-পূর্বে মাত্র ৭০ মাইল (১১২ কিলোমিটার) দূরে আরেকটি অভিজাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কানেকটিকাটের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয় আরেকটি প্রতিবাদ শিবির। এর ধারাবাহিকতায় এ সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে সারা দেশে কয়েক ডজন ক্যাম্পাসে চলছে বিক্ষোভ। কলাম্বিয়ার শিক্ষার্থীরা প্রকারান্তরে গড়ে তুলেছিল একটি জাতীয় প্রতিবাদ আন্দোলন।
মধ্যপ্রাচ্যে কী ঘটছে তা নিয়ে জ্বালাময়ী বিতর্কে আগে থেকেই উত্তপ্ত ছিল বিভিন্ন ক্যাম্পাস। তার মধ্যেই ইসরায়েল কীভাবে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে তা নিয়ে ছাত্রদের ক্ষোভ মিশ্রিত প্রশ্নের সামনে খাবি খাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতারা।
গত ২২ এপ্রিল ভোরে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে পুলিশ। তখন তাঁবুতে ঘুমিয়ে ছিল বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা। পুলিশের নির্দেশ মতো সরে যেতে তারা অস্বীকৃতি জানালে গ্রেপ্তার হন প্রায় ৫০ জন বিক্ষোভকারী। এ প্রসঙ্গে ইয়েলের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী চিসাতো কিমুরা বিবিসিকে বলেন, ‘তারা (পুলিশ) কোনো সতর্কবার্তা না দিয়ে দ্রুত চলে এসেছিল। আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছিলাম। ক্যাম্পাসে পুলিশকে ঢুকতে দেখে তাই প্রচণ্ড বিরক্ত হয়েছিল সবাই।’
গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় চলছে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন। নির্বিচার এই গণহত্যায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি—যার মাঝে নারী ও শিশুই বেশি। ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সারা বিশ্বেই হচ্ছে বিক্ষোভ। তবে গত ছয় মাসের মধ্যে শেষ ১০ দিনেই যুক্তরাষ্ট্রে দেখা গেছে সবচেয়ে তীব্র এবং ব্যাপক বিক্ষোভ। প্রথমে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়য়ে পুলিশ কর্তৃক শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার, তারপর এই ক্ষোভের আগুন দাবানল হয়ে ছড়িয়েছে সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। সেখানেও ঘটেছে সংঘর্ষ ও গ্রেপ্তারের ঘটনা।
অস্টিনের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে রাষ্ট্রীয় পুলিশ সদস্যরা গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের লন দখল করা শত শত শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ কর্মসূচি থামিয়েছে। আটলান্টার এমোরি ইউনিভার্সিটিতে একজন নারী অধ্যাপককে একজন পুলিশ কর্মকর্তা মাটিতে ফেলে হাতকড়া পরিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার তাকে হাতকড়া পরানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
বোস্টনের এমারসন কলেজ, ওয়াশিংটন ডিসির জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার (ইউএসসি) বিক্ষোভকারীদেরও ধরেছে পুলিশ। অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি, বার্নার্ড কলেজ, ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটি, চ্যাপেল হিলের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলাইনা, ভার্জিনিয়া টেকের ক্যাম্পাসেও ঘটেছে প্রতিবাদ ও গ্রেপ্তারের ঘটনা।
ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো ডেনভার, কমিউনিটি কলেজ অব ডেনভার এবং মেট্রোপলিটন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ডেনভারের যৌথ ক্যাম্পাস থেকে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজনকারী প্রায় ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৪০ জনকেই গতকাল শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলের চলমান হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এর মধ্যেই পুলিশের নিপীড়নের শিকার হয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা। গ্রেপ্তার হয়েছেন শত শত বিক্ষোভকারী।
আর এসবের শুরু গত ১৭ এপ্রিল ভোরবেলা। শিক্ষার্থীদের ছোট একটি দল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু ফেলে গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং তাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে এই গণহত্যায় সমর্থনকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সকল ব্যবসায়িক লেনদেন বন্ধ করার আহ্বান জানায়।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট মিনোশে শফিককে ক্যাপিটল হিলে ডেকে জিজ্ঞেস করা হয় যে, কীভাবে তিনি এ পরিস্থিতি সামলাবেন। সেদিন প্রায় চার ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার নেওয়া পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে বলেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের এই বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি লঙ্ঘনের পরিণতি তাদের ভোগ করতে হবে।
পরদিন বিকেলে মিনোশে শফিকের নেওয়া একটি সিদ্ধান্তই যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা অননুমোদিত শিবির স্থাপন করেছে, তারা চলে যাওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ মানেনি এবং তারা তাদের অনেক সহকর্মীর জন্য একটি হয়রানিমূলক এবং ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করেছিল—এসব কথা বলে মিনোশে শফিক ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকেন।
দ্রুত সময়ের মধ্যেই নিউইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তারা দাঙ্গা দমনকারী সাজে সজ্জিত হয়ে পৌঁছায় কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্লাস্টিকের হাতকড়া পরিয়ে ১০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই গণগ্রেপ্তারের তাৎপর্য এ জন্যই বেশি যে, পাঁচ দশকেরও বেশি আগে ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতিবাদের পর কলাম্বিয়ার ক্যাম্পাসে এটিই ছিল প্রথমবারের মতো গণগ্রেপ্তারের ঘটনা।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট শিক্ষার্থী রাশিদা মুস্তাফা বলেন, ‘এটি আমাদের সবার জন্যই ছিল একটি ধাক্কা। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। কিন্তু আমি যেন করণীয় সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেলাম।’
তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরের দিন, মাত্র কয়েক মিটার দূরে একটি ভিন্ন লনে আরেকটি প্রতিবাদ শিবির স্থাপন করা হয়। এটি ছিল আগের দিনের চেয়েও অনেক বড়। অল্পসংখ্যক তাঁবু থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিণত হলো প্রতিবাদকারীদের বড়সড় ঘাঁটিতে। অনুদানের খাবার বিতরণ করা হলো বুফের মতো করে। ছিল লাইভ পারফরম্যান্স এবং প্রধান ফটকে অনুপ্রবেশকারীদের নজরদারিতে রাখতে মোতায়েন ছিল নিরাপত্তা দল।
একদিন পরে, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর-পূর্বে মাত্র ৭০ মাইল (১১২ কিলোমিটার) দূরে আরেকটি অভিজাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কানেকটিকাটের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয় আরেকটি প্রতিবাদ শিবির। এর ধারাবাহিকতায় এ সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে সারা দেশে কয়েক ডজন ক্যাম্পাসে চলছে বিক্ষোভ। কলাম্বিয়ার শিক্ষার্থীরা প্রকারান্তরে গড়ে তুলেছিল একটি জাতীয় প্রতিবাদ আন্দোলন।
মধ্যপ্রাচ্যে কী ঘটছে তা নিয়ে জ্বালাময়ী বিতর্কে আগে থেকেই উত্তপ্ত ছিল বিভিন্ন ক্যাম্পাস। তার মধ্যেই ইসরায়েল কীভাবে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে তা নিয়ে ছাত্রদের ক্ষোভ মিশ্রিত প্রশ্নের সামনে খাবি খাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতারা।
গত ২২ এপ্রিল ভোরে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে পুলিশ। তখন তাঁবুতে ঘুমিয়ে ছিল বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা। পুলিশের নির্দেশ মতো সরে যেতে তারা অস্বীকৃতি জানালে গ্রেপ্তার হন প্রায় ৫০ জন বিক্ষোভকারী। এ প্রসঙ্গে ইয়েলের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী চিসাতো কিমুরা বিবিসিকে বলেন, ‘তারা (পুলিশ) কোনো সতর্কবার্তা না দিয়ে দ্রুত চলে এসেছিল। আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছিলাম। ক্যাম্পাসে পুলিশকে ঢুকতে দেখে তাই প্রচণ্ড বিরক্ত হয়েছিল সবাই।’
গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় চলছে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন। নির্বিচার এই গণহত্যায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি—যার মাঝে নারী ও শিশুই বেশি। ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সারা বিশ্বেই হচ্ছে বিক্ষোভ। তবে গত ছয় মাসের মধ্যে শেষ ১০ দিনেই যুক্তরাষ্ট্রে দেখা গেছে সবচেয়ে তীব্র এবং ব্যাপক বিক্ষোভ। প্রথমে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়য়ে পুলিশ কর্তৃক শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার, তারপর এই ক্ষোভের আগুন দাবানল হয়ে ছড়িয়েছে সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। সেখানেও ঘটেছে সংঘর্ষ ও গ্রেপ্তারের ঘটনা।
অস্টিনের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে রাষ্ট্রীয় পুলিশ সদস্যরা গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের লন দখল করা শত শত শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ কর্মসূচি থামিয়েছে। আটলান্টার এমোরি ইউনিভার্সিটিতে একজন নারী অধ্যাপককে একজন পুলিশ কর্মকর্তা মাটিতে ফেলে হাতকড়া পরিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার তাকে হাতকড়া পরানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
বোস্টনের এমারসন কলেজ, ওয়াশিংটন ডিসির জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার (ইউএসসি) বিক্ষোভকারীদেরও ধরেছে পুলিশ। অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি, বার্নার্ড কলেজ, ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটি, চ্যাপেল হিলের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলাইনা, ভার্জিনিয়া টেকের ক্যাম্পাসেও ঘটেছে প্রতিবাদ ও গ্রেপ্তারের ঘটনা।
ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো ডেনভার, কমিউনিটি কলেজ অব ডেনভার এবং মেট্রোপলিটন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ডেনভারের যৌথ ক্যাম্পাস থেকে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজনকারী প্রায় ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৪০ জনকেই গতকাল শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে।
২ ঘণ্টা আগে
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
৩ ঘণ্টা আগে
কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছে তালেবান সরকার। তবে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ সত্ত্বেও তালেবান জানিয়েছে, আগে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বহাল থাকবে।
৪ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর বহু মানুষকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ২৪০ জনের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার তানজানিয়ার অর্থনৈতিক রাজধানী দার এস সালামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। আদালতে তাদের এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন জানাতে বলা হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে। হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়া রাস্তায় বের হওয়ায় এক স্কুটিচালককে জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ২১ লাখ রুপি! বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনার পরে জরিমানার চালানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, ওই চালককে জরিমানা করা হয়েছে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। তবে পরে পুলিশ জানায়, তাদের ভুল হয়েছে। ওই ব্যক্তির প্রকৃত জরিমানার পরিমাণ ছিল চার হাজার রুপি।
গত মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগর জেলার নিউ মান্ডি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আনমোল সিংহল নামের ওই ব্যক্তি হেলমেট ছাড়াই স্কুটার চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও ছিল না।
পথে পুলিশ তাঁর স্কুটারটি জব্দ করে এবং তাঁকে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপির চালান দেয়। অস্বাভাবিক এই পরিমাণ দেখে বিস্মিত আনমোল সিংহল জরিমানার চালানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। ছবিটি ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এরপর পুলিশ দ্রুত চালানের পরিমাণ সংশোধন করে চার হাজার রুপিতে নামিয়ে আনে।
মুজাফফরনগরের ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ অতুল চৌবে জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টরের অসাবধানতার কারণে চালানে ভুল হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘মোটরযান আইনের ২০৭ ধারায় ৪ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু সাব-ইন্সপেক্টর ২০৭-এর পর মোটরযান আইন শব্দটি লেখেননি।’
এর ফলে ২০৭ ও ৪০০০ (যা ওই ধারার অধীনে ন্যূনতম জরিমানার পরিমাণ) মিলে হয়ে যায় ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। অতুল চৌবে আরও জানান, ওই ব্যক্তির প্রকৃত আসল জরিমানা মাত্র চার হাজার রুপি।
উল্লেখ্য, ভারতে মোটরযান আইনের ২০৭ ধারা অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে পুলিশ জরিমানার পাশাপাশি কোনো যানবাহন জব্দ করার ক্ষমতা রাখে।

ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে। হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়া রাস্তায় বের হওয়ায় এক স্কুটিচালককে জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ২১ লাখ রুপি! বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনার পরে জরিমানার চালানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, ওই চালককে জরিমানা করা হয়েছে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। তবে পরে পুলিশ জানায়, তাদের ভুল হয়েছে। ওই ব্যক্তির প্রকৃত জরিমানার পরিমাণ ছিল চার হাজার রুপি।
গত মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগর জেলার নিউ মান্ডি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আনমোল সিংহল নামের ওই ব্যক্তি হেলমেট ছাড়াই স্কুটার চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও ছিল না।
পথে পুলিশ তাঁর স্কুটারটি জব্দ করে এবং তাঁকে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপির চালান দেয়। অস্বাভাবিক এই পরিমাণ দেখে বিস্মিত আনমোল সিংহল জরিমানার চালানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। ছবিটি ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এরপর পুলিশ দ্রুত চালানের পরিমাণ সংশোধন করে চার হাজার রুপিতে নামিয়ে আনে।
মুজাফফরনগরের ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ অতুল চৌবে জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টরের অসাবধানতার কারণে চালানে ভুল হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘মোটরযান আইনের ২০৭ ধারায় ৪ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু সাব-ইন্সপেক্টর ২০৭-এর পর মোটরযান আইন শব্দটি লেখেননি।’
এর ফলে ২০৭ ও ৪০০০ (যা ওই ধারার অধীনে ন্যূনতম জরিমানার পরিমাণ) মিলে হয়ে যায় ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। অতুল চৌবে আরও জানান, ওই ব্যক্তির প্রকৃত আসল জরিমানা মাত্র চার হাজার রুপি।
উল্লেখ্য, ভারতে মোটরযান আইনের ২০৭ ধারা অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে পুলিশ জরিমানার পাশাপাশি কোনো যানবাহন জব্দ করার ক্ষমতা রাখে।

গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় চলছে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন। নির্বিচার এই গণহত্যায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি—যার মাঝে নারী ও শিশুই বেশি। ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সারা বিশ্বেই হচ্ছে বিক্ষোভ। তবে গত ছয় মাসের মধ্যে শেষ ১০ দিনেই যুক্তরাষ্ট্রে দেখা গেছে সবচেয়ে তীব্র এবং ব্যাপক বিক
২৭ এপ্রিল ২০২৪
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
৩ ঘণ্টা আগে
কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছে তালেবান সরকার। তবে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ সত্ত্বেও তালেবান জানিয়েছে, আগে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বহাল থাকবে।
৪ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর বহু মানুষকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ২৪০ জনের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার তানজানিয়ার অর্থনৈতিক রাজধানী দার এস সালামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। আদালতে তাদের এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন জানাতে বলা হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জুয়েলারির দোকানে ঢুকেছিলেন এক নারী। তবে তাঁর উদ্দেশ্য পূরণ তো হয়ইনি; উল্টো দোকানদারের কাছ থেকে ২৫ সেকেন্ডে কমপক্ষে ২০টি চড় খেয়েছেন তিনি।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া দৃশ্যে দেখা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
পরিস্থিতি বুঝতে পেরে দোকানদার উঠে দাঁড়িয়ে ওই নারীকে একের পর এক চড় মারতে শুরু করেন—২৫ সেকেন্ডে অন্তত ২০ বার। এরপর তিনি কাউন্টার টপকে ওই নারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁকে টেনে বাইরে নিয়ে যান এবং আরও চড় মারতে থাকেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন দোকানদার। তবুও সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ওই নারীর খোঁজে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
রানিপ থানার পুলিশ পরিদর্শক কেতন ভাস বলেন, ‘দোকানদার অভিযোগ করছেন না। তবে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আমরা ওই নারীকে শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছি।’
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জুয়েলারির দোকানে ঢুকেছিলেন এক নারী। তবে তাঁর উদ্দেশ্য পূরণ তো হয়ইনি; উল্টো দোকানদারের কাছ থেকে ২৫ সেকেন্ডে কমপক্ষে ২০টি চড় খেয়েছেন তিনি।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া দৃশ্যে দেখা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
পরিস্থিতি বুঝতে পেরে দোকানদার উঠে দাঁড়িয়ে ওই নারীকে একের পর এক চড় মারতে শুরু করেন—২৫ সেকেন্ডে অন্তত ২০ বার। এরপর তিনি কাউন্টার টপকে ওই নারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁকে টেনে বাইরে নিয়ে যান এবং আরও চড় মারতে থাকেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন দোকানদার। তবুও সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ওই নারীর খোঁজে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
রানিপ থানার পুলিশ পরিদর্শক কেতন ভাস বলেন, ‘দোকানদার অভিযোগ করছেন না। তবে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আমরা ওই নারীকে শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছি।’
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় চলছে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন। নির্বিচার এই গণহত্যায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি—যার মাঝে নারী ও শিশুই বেশি। ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সারা বিশ্বেই হচ্ছে বিক্ষোভ। তবে গত ছয় মাসের মধ্যে শেষ ১০ দিনেই যুক্তরাষ্ট্রে দেখা গেছে সবচেয়ে তীব্র এবং ব্যাপক বিক
২৭ এপ্রিল ২০২৪
ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে।
২ ঘণ্টা আগে
কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছে তালেবান সরকার। তবে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ সত্ত্বেও তালেবান জানিয়েছে, আগে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বহাল থাকবে।
৪ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর বহু মানুষকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ২৪০ জনের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার তানজানিয়ার অর্থনৈতিক রাজধানী দার এস সালামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। আদালতে তাদের এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন জানাতে বলা হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছে তালেবান সরকার। তবে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ সত্ত্বেও তালেবান জানিয়েছে, আগে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বহাল থাকবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার কোনো সমাধান ছাড়াই তৃতীয় দফা আলোচনা শেষ হয়। এর কিছুক্ষণ আগে তালেবান দাবি করে, সীমান্তে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহত ও আহত হয়েছেন।
দুই দিনব্যাপী আলোচনা ‘সদিচ্ছার সঙ্গে’ অনুষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, দুই দিনের আলোচনা সৎ উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হয়েছিল। তালেবান আশা করেছিল, ইসলামাবাদ ‘একটি মৌলিক সমাধানে পৌঁছানোর জন্য বাস্তবসম্মত এবং বাস্তবায়নযোগ্য দাবি’ পেশ করবে।
কিন্তু তিনি অভিযোগ করেন, আলোচনায় পাকিস্তান তাদের নিজস্ব নিরাপত্তার দায় সম্পূর্ণভাবে আফগান সরকারের ওপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছে অথচ আফগানিস্তানের নিরাপত্তা কিংবা নিজেদের দায়িত্ব পালনে কোনো সদিচ্ছা দেখায়নি।
মুজাহিদ বলেন, পাকিস্তান আলোচনায় ‘দায়িত্বহীন ও অসহযোগিতামূলক মনোভাব’ দেখিয়েছে, ফলে আলোচনার কোনো ফল পাওয়া যায়নি। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তালেবান যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেনি এবং সেটি বহাল থাকবে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান সরকার তালেবানের বিবৃতির তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে শুক্রবার ইসলামাবাদও স্বীকার করে, যে আলোচনা অচলাবস্থায় রয়েছে। তবে কাতারের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি কার্যকর আছে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, ইসলামাবাদ ‘আফগান জনগণ বা প্রতিবেশী দেশগুলোর স্বার্থের বিরুদ্ধে তালেবান সরকারের কোনো পদক্ষেপকে সমর্থন করবে না।’
পাকিস্তানের অভিযোগ, কাবুল সরকার ২০২১ সালের দোহা শান্তি চুক্তিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে—বিশেষত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। ইসলামাবাদের দাবি, আফগানিস্তান পাকিস্তানি তালেবানের (তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপি) মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দিচ্ছে, যারা পাকিস্তানে একাধিক প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে।
এসব হামলার জবাবে পাকিস্তান আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে বেশ কিছু বিমান হামলা চালায়। তবে তালেবান পাকিস্তানের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘আমরা কোনো দেশকে আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করে অন্য দেশের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ড চালাতে দেব না, তেমনি অন্য কোনো দেশকেও আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা বা নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করতে দেব না।’
জবিউল্লাহ আরও বলেন, পাকিস্তানের জনগণ আমাদের বন্ধু ও ভাই, কিন্তু ‘যেকোনো আগ্রাসনের জবাবে আফগানিস্তান দৃঢ়ভাবে প্রতিরক্ষা করবে।’
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরের প্রথম দিকে শুরু হওয়া লড়াইয়ে আফগান সীমান্ত এলাকায় ৫০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৪৪৭ জন আহত হয়েছেন। কাবুলে বিস্ফোরণে কমপক্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তালেবানের হামলায় তাদের ২৩ জন সেনা নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছেন। তবে বেসামরিক হতাহতের বিষয়ে তারা কিছু জানায়নি।

কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছে তালেবান সরকার। তবে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ সত্ত্বেও তালেবান জানিয়েছে, আগে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বহাল থাকবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার কোনো সমাধান ছাড়াই তৃতীয় দফা আলোচনা শেষ হয়। এর কিছুক্ষণ আগে তালেবান দাবি করে, সীমান্তে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহত ও আহত হয়েছেন।
দুই দিনব্যাপী আলোচনা ‘সদিচ্ছার সঙ্গে’ অনুষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, দুই দিনের আলোচনা সৎ উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হয়েছিল। তালেবান আশা করেছিল, ইসলামাবাদ ‘একটি মৌলিক সমাধানে পৌঁছানোর জন্য বাস্তবসম্মত এবং বাস্তবায়নযোগ্য দাবি’ পেশ করবে।
কিন্তু তিনি অভিযোগ করেন, আলোচনায় পাকিস্তান তাদের নিজস্ব নিরাপত্তার দায় সম্পূর্ণভাবে আফগান সরকারের ওপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছে অথচ আফগানিস্তানের নিরাপত্তা কিংবা নিজেদের দায়িত্ব পালনে কোনো সদিচ্ছা দেখায়নি।
মুজাহিদ বলেন, পাকিস্তান আলোচনায় ‘দায়িত্বহীন ও অসহযোগিতামূলক মনোভাব’ দেখিয়েছে, ফলে আলোচনার কোনো ফল পাওয়া যায়নি। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তালেবান যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেনি এবং সেটি বহাল থাকবে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান সরকার তালেবানের বিবৃতির তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে শুক্রবার ইসলামাবাদও স্বীকার করে, যে আলোচনা অচলাবস্থায় রয়েছে। তবে কাতারের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি কার্যকর আছে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, ইসলামাবাদ ‘আফগান জনগণ বা প্রতিবেশী দেশগুলোর স্বার্থের বিরুদ্ধে তালেবান সরকারের কোনো পদক্ষেপকে সমর্থন করবে না।’
পাকিস্তানের অভিযোগ, কাবুল সরকার ২০২১ সালের দোহা শান্তি চুক্তিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে—বিশেষত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। ইসলামাবাদের দাবি, আফগানিস্তান পাকিস্তানি তালেবানের (তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপি) মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দিচ্ছে, যারা পাকিস্তানে একাধিক প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে।
এসব হামলার জবাবে পাকিস্তান আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে বেশ কিছু বিমান হামলা চালায়। তবে তালেবান পাকিস্তানের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘আমরা কোনো দেশকে আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করে অন্য দেশের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ড চালাতে দেব না, তেমনি অন্য কোনো দেশকেও আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা বা নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করতে দেব না।’
জবিউল্লাহ আরও বলেন, পাকিস্তানের জনগণ আমাদের বন্ধু ও ভাই, কিন্তু ‘যেকোনো আগ্রাসনের জবাবে আফগানিস্তান দৃঢ়ভাবে প্রতিরক্ষা করবে।’
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরের প্রথম দিকে শুরু হওয়া লড়াইয়ে আফগান সীমান্ত এলাকায় ৫০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৪৪৭ জন আহত হয়েছেন। কাবুলে বিস্ফোরণে কমপক্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তালেবানের হামলায় তাদের ২৩ জন সেনা নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছেন। তবে বেসামরিক হতাহতের বিষয়ে তারা কিছু জানায়নি।

গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় চলছে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন। নির্বিচার এই গণহত্যায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি—যার মাঝে নারী ও শিশুই বেশি। ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সারা বিশ্বেই হচ্ছে বিক্ষোভ। তবে গত ছয় মাসের মধ্যে শেষ ১০ দিনেই যুক্তরাষ্ট্রে দেখা গেছে সবচেয়ে তীব্র এবং ব্যাপক বিক
২৭ এপ্রিল ২০২৪
ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে।
২ ঘণ্টা আগে
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
৩ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর বহু মানুষকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ২৪০ জনের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার তানজানিয়ার অর্থনৈতিক রাজধানী দার এস সালামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। আদালতে তাদের এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন জানাতে বলা হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নির্বাচনী সহিংসতার পর কমপক্ষে ২৪০ জন বিক্ষোভকারীকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে তানজানিয়ার একটি আদালত।
পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে গত ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সামিয়া সুলুহু হাসান ৯৮ শতাংশ ভোটে জয়ী হয়েছেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
তবে বিরোধী দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে না দেওয়ায় তারা এ নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে অভিহিত করে।
ভোটের ফলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে বিভিন্ন সূত্রের বরাতে বলা হচ্ছে, শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ সহিংসতার ব্যাপ্তি কমিয়ে দেখিয়েছে এবং দাবি করেছে, নির্বাচন ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ ছিল।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর বহু মানুষকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ২৪০ জনের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার তানজানিয়ার অর্থনৈতিক রাজধানী দার এস সালামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। আদালতে তাদের এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন জানাতে বলা হয়নি।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, অভিযুক্তরা নির্বাচনে বাধা দেওয়ার উদ্দেশে বিক্ষোভ উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। তবে তানজানিয়ায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বদলে সাধারণত তা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত করা হয়।
দেশটিতে সর্বশেষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল ১৯৯০-এর দশকে।
গতকাল যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আফ্রিকার দেশটির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জেনিফার জোভিন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শ্যাল থেকে রক্ষা পেতে বিক্ষোভকারীদের গ্যাস মাস্ক কেনার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।
অভিযুক্তদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও রয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ নভেম্বর।

নির্বাচনী সহিংসতার পর কমপক্ষে ২৪০ জন বিক্ষোভকারীকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে তানজানিয়ার একটি আদালত।
পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে গত ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সামিয়া সুলুহু হাসান ৯৮ শতাংশ ভোটে জয়ী হয়েছেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
তবে বিরোধী দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে না দেওয়ায় তারা এ নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে অভিহিত করে।
ভোটের ফলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে বিভিন্ন সূত্রের বরাতে বলা হচ্ছে, শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ সহিংসতার ব্যাপ্তি কমিয়ে দেখিয়েছে এবং দাবি করেছে, নির্বাচন ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ ছিল।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর বহু মানুষকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ২৪০ জনের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার তানজানিয়ার অর্থনৈতিক রাজধানী দার এস সালামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। আদালতে তাদের এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন জানাতে বলা হয়নি।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, অভিযুক্তরা নির্বাচনে বাধা দেওয়ার উদ্দেশে বিক্ষোভ উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। তবে তানজানিয়ায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বদলে সাধারণত তা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত করা হয়।
দেশটিতে সর্বশেষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল ১৯৯০-এর দশকে।
গতকাল যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আফ্রিকার দেশটির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জেনিফার জোভিন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শ্যাল থেকে রক্ষা পেতে বিক্ষোভকারীদের গ্যাস মাস্ক কেনার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।
অভিযুক্তদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও রয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ নভেম্বর।

গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় চলছে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন। নির্বিচার এই গণহত্যায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি—যার মাঝে নারী ও শিশুই বেশি। ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সারা বিশ্বেই হচ্ছে বিক্ষোভ। তবে গত ছয় মাসের মধ্যে শেষ ১০ দিনেই যুক্তরাষ্ট্রে দেখা গেছে সবচেয়ে তীব্র এবং ব্যাপক বিক
২৭ এপ্রিল ২০২৪
ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে।
২ ঘণ্টা আগে
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
৩ ঘণ্টা আগে
কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছে তালেবান সরকার। তবে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ সত্ত্বেও তালেবান জানিয়েছে, আগে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বহাল থাকবে।
৪ ঘণ্টা আগে