আজকের পত্রিকা ডেস্ক
দিন যত গড়াচ্ছে, ততই উত্তপ্ত হচ্ছে ইরান-ইসরায়েল পরিস্থিতি। দিন দিন তীব্র হচ্ছে হামলার মাত্রা। চলমান এই পরিস্থিতিতে দেশে বিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা হুমকি তৈরি হতে পারে বলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে পাকিস্তান। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, ইরানের আকাশ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইসরায়েল। ইরানের সঙ্গে ৯০৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে পাকিস্তানের। বিশ্লেষকদের মতে, এমন পরিস্থিতিতে ইরানের আকাশের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি ইসরায়েলের হাতে চলে গেলে পাকিস্তানও নিজেকে অনিরাপদ মনে করবে। কারণ, পাকিস্তান ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। তেল আবিবকে যে ইসলামাবাদ শত্রু মনে করে, সেটিও গোপন নয়।
বার্মিংহাম স্কলার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক করিম আল জাজিরাকে বলেন, ‘ইসরায়েল ইরানের আকাশ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিলে পাকিস্তানের পশ্চিম সীমান্তে নিরাপত্তা ভারসাম্য পুরোপুরি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই পাকিস্তান কখনোই চাইবে না ইসরায়েল ইরানের আকাশসীমায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন করুক।’
এদিকে ইরানের সঙ্গেও পাকিস্তানের সম্পর্ক বেশ জটিল। বহু বছর ধরে একে অপরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করে আসছে। দুই দেশের সম্পর্কের সবচেয়ে অবনতি হয় গত বছর। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। তাদের ভাষ্য ছিল, বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘জইশ আল-আদল’-এর ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে তারা। হামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানও একই দাবিতে ইরানি ভূখণ্ডে হামলা চালায়। জানায়, ইরানি ভূখণ্ডে বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে তারা। পরে অবশ্য দুপক্ষ সংযত হয়।
গত শুক্রবার ইরানে ইসরায়েলের হামলার পরপরই নেতানিয়াহু প্রশাসনের এই পদক্ষেপের নিন্দাও জানিয়েছে পাকিস্তান। যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতায়ও আগ্রহী বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ।
তবে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। বেলুচিস্তানে সম্ভাব্য অস্থিরতাই পাকিস্তানকে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন করছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা। খনিজসম্পদে সমৃদ্ধ এই অঞ্চল রাজনৈতিকভাবে বেশ উত্তপ্ত। প্রদেশটি আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড়, কিন্তু জনসংখ্যা সবচেয়ে কম। প্রায় দেড় কোটি মানুষের বসবাস সেখানে। ১৯৪৭ সালের পর থেকে অন্তত পাঁচবার বেলুচিস্তানে বিদ্রোহ হয়েছে। কখনো অধিকতর সম্পদ-বণ্টন আবার কখনো স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন বিদ্রোহীরা। এর জেরে অঞ্চলটিতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে সামরিক দমন-পীড়ন।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক গবেষক আবদুল বাসিত আল জাজিরাকে বলেন, ‘যুদ্ধ পরিস্থিতির সুযোগে ইরানে থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পাকিস্তানে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারে। যদিও সীমান্ত বন্ধ রেখেছে পাকিস্তান। কিন্তু এই পদক্ষেপ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রবেশ কতটা ঠেকাতে পারবে, তা নিশ্চিত করে বলা মুশকিল।’
ইসলামাবাদভিত্তিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইহসানুল্লাহ টিপু মেহসুদ মনে করিয়ে দেন, অতীতে পাকিস্তান আঞ্চলিক যুদ্ধে প্রায়ই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যেমন আফগানিস্তান যুদ্ধে। তবে এবার পরিস্থিতি আলাদা। সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি হলেও পাকিস্তানে প্রায় ২৫ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ১৫ শতাংশ শিয়া। তাঁর মতে, ‘পাকিস্তান আগে থেকেই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার শিকার। শিয়া-অধ্যুষিত ইরানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সামরিক অবস্থান নিলে তা দেশীয়ভাবে বিপজ্জনক প্রতিক্রিয়া ডেকে আনতে পারে।’
দিন যত গড়াচ্ছে, ততই উত্তপ্ত হচ্ছে ইরান-ইসরায়েল পরিস্থিতি। দিন দিন তীব্র হচ্ছে হামলার মাত্রা। চলমান এই পরিস্থিতিতে দেশে বিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা হুমকি তৈরি হতে পারে বলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে পাকিস্তান। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, ইরানের আকাশ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইসরায়েল। ইরানের সঙ্গে ৯০৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে পাকিস্তানের। বিশ্লেষকদের মতে, এমন পরিস্থিতিতে ইরানের আকাশের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি ইসরায়েলের হাতে চলে গেলে পাকিস্তানও নিজেকে অনিরাপদ মনে করবে। কারণ, পাকিস্তান ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। তেল আবিবকে যে ইসলামাবাদ শত্রু মনে করে, সেটিও গোপন নয়।
বার্মিংহাম স্কলার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক করিম আল জাজিরাকে বলেন, ‘ইসরায়েল ইরানের আকাশ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিলে পাকিস্তানের পশ্চিম সীমান্তে নিরাপত্তা ভারসাম্য পুরোপুরি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই পাকিস্তান কখনোই চাইবে না ইসরায়েল ইরানের আকাশসীমায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন করুক।’
এদিকে ইরানের সঙ্গেও পাকিস্তানের সম্পর্ক বেশ জটিল। বহু বছর ধরে একে অপরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করে আসছে। দুই দেশের সম্পর্কের সবচেয়ে অবনতি হয় গত বছর। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। তাদের ভাষ্য ছিল, বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘জইশ আল-আদল’-এর ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে তারা। হামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানও একই দাবিতে ইরানি ভূখণ্ডে হামলা চালায়। জানায়, ইরানি ভূখণ্ডে বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে তারা। পরে অবশ্য দুপক্ষ সংযত হয়।
গত শুক্রবার ইরানে ইসরায়েলের হামলার পরপরই নেতানিয়াহু প্রশাসনের এই পদক্ষেপের নিন্দাও জানিয়েছে পাকিস্তান। যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতায়ও আগ্রহী বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ।
তবে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। বেলুচিস্তানে সম্ভাব্য অস্থিরতাই পাকিস্তানকে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন করছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা। খনিজসম্পদে সমৃদ্ধ এই অঞ্চল রাজনৈতিকভাবে বেশ উত্তপ্ত। প্রদেশটি আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড়, কিন্তু জনসংখ্যা সবচেয়ে কম। প্রায় দেড় কোটি মানুষের বসবাস সেখানে। ১৯৪৭ সালের পর থেকে অন্তত পাঁচবার বেলুচিস্তানে বিদ্রোহ হয়েছে। কখনো অধিকতর সম্পদ-বণ্টন আবার কখনো স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন বিদ্রোহীরা। এর জেরে অঞ্চলটিতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে সামরিক দমন-পীড়ন।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক গবেষক আবদুল বাসিত আল জাজিরাকে বলেন, ‘যুদ্ধ পরিস্থিতির সুযোগে ইরানে থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পাকিস্তানে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারে। যদিও সীমান্ত বন্ধ রেখেছে পাকিস্তান। কিন্তু এই পদক্ষেপ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রবেশ কতটা ঠেকাতে পারবে, তা নিশ্চিত করে বলা মুশকিল।’
ইসলামাবাদভিত্তিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইহসানুল্লাহ টিপু মেহসুদ মনে করিয়ে দেন, অতীতে পাকিস্তান আঞ্চলিক যুদ্ধে প্রায়ই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যেমন আফগানিস্তান যুদ্ধে। তবে এবার পরিস্থিতি আলাদা। সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি হলেও পাকিস্তানে প্রায় ২৫ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ১৫ শতাংশ শিয়া। তাঁর মতে, ‘পাকিস্তান আগে থেকেই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার শিকার। শিয়া-অধ্যুষিত ইরানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সামরিক অবস্থান নিলে তা দেশীয়ভাবে বিপজ্জনক প্রতিক্রিয়া ডেকে আনতে পারে।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে শুক্রবার দেওয়া বক্তব্যে ঘোষণা করেছেন—গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে ‘কাজ শেষ করতেই হবে’। তাঁর এই মন্তব্য এমন সময় এল, যখন একাধিক পশ্চিমা দেশ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে ইসরায়েল ক্রমবর্ধমানভাবে
১ ঘণ্টা আগেবিজেপির কৌশল এখানে স্পষ্ট। তারা জানে যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা নিয়ে আলোচনায় গেলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ তাদের বিরুদ্ধেই যাবে। তাই ভোটের আগে বিভাজনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ বনাম ‘আই লাভ মহাদেব’—এই বিতর্ককে বিজেপি ভোট মেরুকরণের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
২ ঘণ্টা আগেকানাডায় গ্রেপ্তারের এক সপ্তাহের মধ্যেই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী ইন্দরজিৎ সিং গোসাল। কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার পরই তিনি ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী গুরপতবন্ত সিং পান্নুন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে হুমকি দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালে এক অদ্ভুত বিবাহবিচ্ছেদের মামলা নিয়ে সরগরম আদালত। মাত্র ৯ মাস আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসা এক দম্পতি এখন আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ, তাঁদের পোষা কুকুর ও বিড়াল একে অপরের সঙ্গে মোটেও মানিয়ে নিতে পারছে না।
২ ঘণ্টা আগে