Ajker Patrika

ভোট কারচুপি তদন্তে বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি পিটিআইয়ের

আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯: ২০
ভোট কারচুপি তদন্তে বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি পিটিআইয়ের

পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে পদত্যাগ করা বিভাগীয় কমিশনারের অফিসে পুলিশ তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। একজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভোট কারচুপির তথ্য ও নথি ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়েই চাথার অফিসে তালা ঝোলানো হয়েছে।

অন্যদিকে কমিশনারের অভিযোগ তদন্তের জন্য জুডিশিয়াল কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পিটিআই। আজ রোববার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। 

আজ পিটিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গহর খান বলেছেন, ‘পাকিস্তানে এই প্রথম কোনো কমিশনার বিবেকতাড়িত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে নিজের অপরাধ স্বীকার করলেন। তাই কমিশনারের অভিযোগ তদন্তের জন্য জুডিশিয়াল কমিশন গঠন করতে হবে এবং তদন্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে।’ 

চাথা পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর পুলিশ প্রথমে বলেছিল, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু পরে রাওয়ালপিন্ডি পুলিশের মুখপাত্র এই দাবি থেকে সরে এসে জানিয়েছেন, ওই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে তাঁকে পুলিশের কোন বিভাগ বা অঞ্চলে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, তা জানানো হয়নি। 

একজন জ্যেষ্ঠ জেলা প্রশাসক বলেছেন, ভোট গ্রহণ কর্মী, রিটার্নিং ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এবং নির্বাচনী সামগ্রী ও তথ্য-উপাত্ত সুরক্ষিত রাখা হয়েছে। তবে নির্বাচনের ফলাফল ইতিমধ্যে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। 

এর আগে গতকাল শনিবার রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার লিয়াকত আলী চাথা এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) কাজী ফয়েজ ইসার বিরুদ্ধে ‘কারচুপির’ সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন। তবে ইসিপি এবং সিজেপি এই দাবি অস্বীকার করেছে। 

পাকিস্তানের ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই অভিযোগ উঠল, যখন পিটিআই এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল কারচুপির প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ করছে। পিটিআইসহ পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের দাবি, ব্যাপক কারচুপির’ মাধ্যমে তাদের ম্যান্ডেট থেকে বঞ্চিত হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার চাথা রাওয়ালপিন্ডি বিভাগে কারচুপির দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়ে বলেন, ‘আমরা ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিতদের বিজয়ী ঘোষণা করেছি। আমি আমার বিভাগের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমার অধীনস্থদের অনেকে কারচুপির নির্দেশ পেয়ে কেঁদেছেন তখন।’ 

চাথা দাবি করেন, ‘আজও নির্বাচনী কর্মীরা ব্যালট পেপারে জাল স্ট্যাম্প লাগাচ্ছেন। আমরা দেশের প্রতি অন্যায় করেছি...আমাকে রাওয়ালপিন্ডির কাচেরি চকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত।’ দেশবিরোধী এমন কাজ করার পর তিনি ঘুমাতে পারছিলেন না বলেও জানান তিনি। 

অভিযোগ তোলার পর কমিশনার চাথাকে গতকাল শনিবার রাতে বদলি করা হয় এবং রাওয়ালপিন্ডি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ডিজি সাইফ আনোয়ার জাপ্পাকে অতিরিক্ত কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। ডিজি সাইফও সাবেক কমিশনারের উত্থাপিত অভিযোগের তদন্ত দাবি করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শুধু ডিজিএফআইয়ের লোগোর সঙ্গে মিল থাকায় শাপলা না দেওয়া বৈষম্যমূলক: এনসিপি

তোফায়েল আহমেদের শারীরিক অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’

ন্যাটোকে ভাঙতে ধূসর খেলায় নেমেছেন পুতিন, দরকার তিন ব্যর্থতা

খাদ্যের ধরন পাল্টে বছরে দেড় কোটি মানুষ বাঁচানো সম্ভব: গবেষণা

শিগগির প্রতি আসনে একজন প্রার্থীকে ‘সবুজসংকেত’ দেবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত