Ajker Patrika

পাকিস্তানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, সরিয়ে নেওয়া হলো পাঞ্জাবের ২ লাখ বাসিন্দাকে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১২: ০৩
বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তানের পাঞ্জাবের বাসিন্দারা। ছবি: ডন
বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তানের পাঞ্জাবের বাসিন্দারা। ছবি: ডন

পাকিস্তানের বন্যা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি নেই, বরং আরও অবনতি হচ্ছে। বন্যার ভয়াবহতায় পাঞ্জাব প্রদেশের প্রায় ২ লাখ বাসিন্দাকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রবি, শতলেজ ও চেনাব নদীর পানি উপচে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এরই মধ্যে নদীগুলোর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ফেলেছে বলে জানিয়েছে তারা। এর পরপরই নৌকা নিয়ে দুর্গত এলাকার মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে শুরু করেন উদ্ধারকর্মীরা।

এর আগে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন যে ভারত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁধ খুলে দেবে বলে সতর্ক করেছে। এর আগে ভারতের বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে পাকিস্তানে সবচেয়ে জনবহুল কয়েকটি প্রদেশে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশই ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যার কবলে পড়েছে। এ বছর বর্ষায় শুধু পাকিস্তানেই বৃষ্টি, বন্যা, ভূমিধসে মৃত্যু হয়েছে আট শতাধিক মানুষের।

বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে বাসিন্দাদের নদী ও জলাবদ্ধতা থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। বন্যার ঝুঁকি এড়াতে স্থানীয় সরকারকে সব রকমের সহায়তা দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। বিশেষ করে গুজরাট, শিয়ালকোট এবং লাহোরে পরিস্থিতি সামাল দিতে যা যা প্রয়োজন সব দিয়ে সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শিয়ালকোটে গত ২৪ ঘণ্টায় যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তা গত ৪৯ বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে তৈরি হয়েছে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে এখনো অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছে। প্লাবিত হয়েছে বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, হাসপাতালসহ বহু স্থাপনা।

উদ্ধারকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আটকে পড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, নৌকাযোগে বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়া প্রায় ৩২ হাজার মানুষকে ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে তাদের একটি টিমও মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েছে পরিস্থিতি আসলে কতটা ভয়াবহ তা বুঝতে। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, জীবনের ঝুঁকি আছে জানা সত্ত্বেও অনেকে বাড়ি ছাড়তে চাইছেন না।

শতলেজ নদীতীরবর্তী কাসুর জেলার বাসিন্দা নাদিম আহমেদ বিবিসিকে বলেন, ‘আমি এরই মধ্যে বন্যার কারণে কয়েক দফা বাড়ি ছেড়েছি, আর সম্ভব নয়। আমার গরুগুলোর কী হবে? ওদের জন্য আমি খাবারও কিনে রেখেছি। সেগুলো আমার সম্বল। বানের জলে সেগুলো ভেসে গেলে পথে বসতে হবে। এরই মধ্যে শীতকালে খাওয়াব বলে যে খাবার রেখেছিলাম, সেগুলোতে হাত দিতে হয়েছে আমাকে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাইপলাইনে জ্বালানি পরিবহন: ৩৪ হাজার লিটার ঘাটতি যমুনার প্রথম পার্সেলে

চিকিৎসক হওয়ার আগেই শীর্ষ সবার শীর্ষে

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে লতিফ সিদ্দিকী অবরুদ্ধ, নেওয়া হলো পুলিশি হেফাজতে

সেজ ভাইয়ের চোখ উপড়ে ফেললেন অপর দুই ভাই, বাবাসহ আসামি ৮

রূপপুর পরমাণু কেন্দ্র পরিদর্শনের পর যা জানাল আইএইএর বিশেষজ্ঞ দল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত