হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সামরিক সংঘাত বন্ধে অপ্রত্যাশিতভাবেই ৬০ দিনের চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি ও আরব সূত্রগুলো। যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় ইরান-রাশিয়া সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে এই যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্থিতিশীলতা আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিবদমান পক্ষগুলো যদি এই ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি মেনে চলে, তাহলে কেবল হিজবুল্লাহকে ইসরায়েল সীমান্ত এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়াই নয় বরং লেবাননের সেনাবাহিনী পুনর্গঠনের সুযোগও তৈরি হবে। এই পুনর্গঠন যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় হবে। এমনকি, আরব দেশগুলো, বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব এবং মিসর এতে অংশ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে, এই যুদ্ধবিরতি অঞ্চলটিতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তবে এই আশাবাদ অন্য আঞ্চলিক শক্তিগুলোর পদক্ষেপে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। ইসরায়েলি সূত্রগুলো জানিয়েছে, নেতানিয়াহু সরকারের যুদ্ধবিরতি সমর্থনের একটি কারণ হলো, ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীকে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পুনর্গঠন ও উন্নত করা।
ইসরায়েলি সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভা শিগগিরই ইরানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবে। বেশির ভাগ ইসরায়েলির কাছে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার সংঘাত এখনো সমাধান হয়নি। লেবানন ছেড়ে যাওয়ার পর, বিশেষ করে হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ও ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতার একটি বড় অংশ ধ্বংস করার পর ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইরানের বিরুদ্ধে নতুন অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুত হতে পারবে।
সম্প্রতি ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর দেশটির আকাশসীমা দুর্বল হয়ে পড়েছে বলেই অনুমান। ফলে, ইরানের সামরিক হুমকি ও পারমাণবিক প্রকল্প মোকাবিলার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এক ইসরায়েলি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে এই যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েলের ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের সুযোগও রাখা হয়েছে। তবে শর্ত ছিল, ইসরায়েলকে আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করতে হবে।
বাস্তবতার আলোকে চুক্তি এই ইসরায়েলকে রাশিয়া, সৌদি আরবসহ ওপেক প্লাসের দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেবে। ওপেক প্লাসের বৈঠক ১ ডিসেম্বর থেকে পিছিয়ে ৫ ডিসেম্বর করা হয়েছে এবং ২০২৫ সাল পর্যন্ত জ্বালানি তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে বৃহত্তর সংযোগের ইঙ্গিত মিলছে।
ওপেক প্লাস, বিশেষ করে রাশিয়া ও ইরান এশিয়ার দুর্বল চাহিদা, চীনের অর্থনৈতিক মন্দা এবং উৎপাদন হ্রাসের বিষয়টি নিয়ে সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষের মুখোমুখি। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প—যিনি রাশিয়া-ওপেক সহযোগিতার বিরুদ্ধে কঠোর এবং ইরানের প্রতি শত্রুতামূলক মনোভাব পোষণ করেন—পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারেন।
ট্রাম্পের ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল এবং আগ্রাসী জ্বালানি নীতি বাজারকে বদলে দিতে পারে। ইসরায়েল, রিয়াদ এবং আবুধাবির জন্য এটি একটি সুযোগ। ট্রাম্প ইসরায়েলকে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে উপসাগরীয় দেশগুলোও উপকৃত হবে। এতে ওপেকের উৎপাদন কমানোর প্রয়োজন কমবে।
ট্রাম্পের রাশিয়া ও ইরানের তেল রপ্তানির বিরুদ্ধে অবস্থান মার্কিন ও উপসাগরীয় দেশগুলোর জন্য প্রতিযোগিতা কমাবে। পশ্চিমা বিশ্লেষকেরা মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতিকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। তবে এটি অন্যত্র নতুন সংঘাতের পথ তৈরি করতে পারে। ওপেক প্লাসের বর্তমান উদ্বৃত্ত উৎপাদন ক্ষমতা ইরান ও রাশিয়ার রপ্তানি হ্রাস সামলাতে যথেষ্ট। এই পরিস্থিতি ভূরাজনৈতিক সমীকরণের সুবিধা ও অসুবিধার দিকটি তুলে ধরে। ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সাল আরও অস্থির হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সামরিক সংঘাত বন্ধে অপ্রত্যাশিতভাবেই ৬০ দিনের চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি ও আরব সূত্রগুলো। যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় ইরান-রাশিয়া সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে এই যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্থিতিশীলতা আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিবদমান পক্ষগুলো যদি এই ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি মেনে চলে, তাহলে কেবল হিজবুল্লাহকে ইসরায়েল সীমান্ত এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়াই নয় বরং লেবাননের সেনাবাহিনী পুনর্গঠনের সুযোগও তৈরি হবে। এই পুনর্গঠন যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় হবে। এমনকি, আরব দেশগুলো, বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব এবং মিসর এতে অংশ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে, এই যুদ্ধবিরতি অঞ্চলটিতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তবে এই আশাবাদ অন্য আঞ্চলিক শক্তিগুলোর পদক্ষেপে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। ইসরায়েলি সূত্রগুলো জানিয়েছে, নেতানিয়াহু সরকারের যুদ্ধবিরতি সমর্থনের একটি কারণ হলো, ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীকে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পুনর্গঠন ও উন্নত করা।
ইসরায়েলি সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভা শিগগিরই ইরানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবে। বেশির ভাগ ইসরায়েলির কাছে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার সংঘাত এখনো সমাধান হয়নি। লেবানন ছেড়ে যাওয়ার পর, বিশেষ করে হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ও ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতার একটি বড় অংশ ধ্বংস করার পর ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইরানের বিরুদ্ধে নতুন অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুত হতে পারবে।
সম্প্রতি ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর দেশটির আকাশসীমা দুর্বল হয়ে পড়েছে বলেই অনুমান। ফলে, ইরানের সামরিক হুমকি ও পারমাণবিক প্রকল্প মোকাবিলার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এক ইসরায়েলি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে এই যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েলের ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের সুযোগও রাখা হয়েছে। তবে শর্ত ছিল, ইসরায়েলকে আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করতে হবে।
বাস্তবতার আলোকে চুক্তি এই ইসরায়েলকে রাশিয়া, সৌদি আরবসহ ওপেক প্লাসের দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেবে। ওপেক প্লাসের বৈঠক ১ ডিসেম্বর থেকে পিছিয়ে ৫ ডিসেম্বর করা হয়েছে এবং ২০২৫ সাল পর্যন্ত জ্বালানি তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে বৃহত্তর সংযোগের ইঙ্গিত মিলছে।
ওপেক প্লাস, বিশেষ করে রাশিয়া ও ইরান এশিয়ার দুর্বল চাহিদা, চীনের অর্থনৈতিক মন্দা এবং উৎপাদন হ্রাসের বিষয়টি নিয়ে সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষের মুখোমুখি। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প—যিনি রাশিয়া-ওপেক সহযোগিতার বিরুদ্ধে কঠোর এবং ইরানের প্রতি শত্রুতামূলক মনোভাব পোষণ করেন—পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারেন।
ট্রাম্পের ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল এবং আগ্রাসী জ্বালানি নীতি বাজারকে বদলে দিতে পারে। ইসরায়েল, রিয়াদ এবং আবুধাবির জন্য এটি একটি সুযোগ। ট্রাম্প ইসরায়েলকে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে উপসাগরীয় দেশগুলোও উপকৃত হবে। এতে ওপেকের উৎপাদন কমানোর প্রয়োজন কমবে।
ট্রাম্পের রাশিয়া ও ইরানের তেল রপ্তানির বিরুদ্ধে অবস্থান মার্কিন ও উপসাগরীয় দেশগুলোর জন্য প্রতিযোগিতা কমাবে। পশ্চিমা বিশ্লেষকেরা মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতিকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। তবে এটি অন্যত্র নতুন সংঘাতের পথ তৈরি করতে পারে। ওপেক প্লাসের বর্তমান উদ্বৃত্ত উৎপাদন ক্ষমতা ইরান ও রাশিয়ার রপ্তানি হ্রাস সামলাতে যথেষ্ট। এই পরিস্থিতি ভূরাজনৈতিক সমীকরণের সুবিধা ও অসুবিধার দিকটি তুলে ধরে। ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সাল আরও অস্থির হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি কুয়েতের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ সউদ আল সাবাহ। আল-কাবাস পত্রিকাকে তিনি জানান, কয়েকটি দেশের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে বহু ‘প্রতারক’ শনাক্ত করা হয়েছে।
২৬ মিনিট আগেমিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র ও সুস্মিতা দেব, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব এবং শিবসেনার সঞ্জয় রাউতসহ অন্যান্য দলের শীর্ষ নেতারা। তাদের হাতে ‘চুপি চুপি ভোটের কারচুপি?’ লেখা পোস্টার ছিল এবং তারা ‘ভোট চুরি মানছি না, মানব না’ স্লোগান দিচ্ছিলেন।
২৮ মিনিট আগেভিয়েতনামের কৃষক নুয়েন থি হুয়ং। চিন্তায় ঠিকমতো ঘুমোতে পারছেন না। হাতছাড়া হতে যাচ্ছে তাঁর রুজি-রোজগারের একমাত্র উপায়। তাও আবার তাঁর নিজ দেশে ট্রাম্প পরিবারের সমর্থনে নির্মিত হতে যাওয়া একটি গলফ ক্লাবের জন্য। বিনিময়ে মিলবে মাত্র ৩ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার এবং কয়েক মাসের জন্য চাল।
২ ঘণ্টা আগেপারমাণবিক হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের অনেকে ছিলেন অল্পবয়সী নারী, যাঁরা বোমা হামলার সময় গর্ভবতী বা সন্তান ধারণের উপযুক্ত বয়সে ছিলেন। কিন্তু তাঁদের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে তেজস্ক্রিয়তা প্রবেশ করতে পারে, এই ভয়ে একপ্রকার ধ্বংসই হয়ে গেছে তাঁদের জীবন। চিকিৎসক, পরিচিতজন, বন্ধুবান্ধব এমনকি পরিবারের...
২ ঘণ্টা আগে