Ajker Patrika

এবার গাজাবাসীর নতুন হুমকি ঘূর্ণিঝড় বায়রন, ঝুঁকিতে সাড়ে ৮ লাখ মানুষ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
এবার গাজাবাসীর নতুন হুমকি ঘূর্ণিঝড় বায়রন, ঝুঁকিতে সাড়ে ৮ লাখ মানুষ

ঘূর্ণিঝড় বায়রন গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য নতুন দুর্ভোগের হুমকি দিচ্ছে। এই প্রচণ্ড শীতকালীন ঝড় অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটাচ্ছে, যার ফলে প্লাবিত তাঁবু থেকে পরিবারগুলো সাহায্যের জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছে এবং শত শত মানুষ শুকনো আশ্রয়ের সন্ধানে তাদের আশ্রয়স্থল ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা বুধবার সতর্ক করে বলেন যে—পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামীকাল শুক্রবার পর্যন্ত এই ঝড় আকস্মিক বন্যা, তীব্র বাতাস এবং শিলাবৃষ্টির কারণ হতে পারে। ইসরায়েলের দুই বছর ধরে গাজার ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে চালানো গণহত্যার কারণে মানবিক সংকটের কবলে থাকা এই অঞ্চলে এই ধরনের পরিস্থিতি ব্যাপক বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যেখানে লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষ তাঁবু, অস্থায়ী কাঠামো বা ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে বসবাস করছে।

মানবিক কর্মীরা জানিয়েছেন, তাঁবু এবং পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা মেরামতের সরঞ্জাম প্রবেশের ওপর ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞার কারণে গাজার এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি অত্যন্ত দুর্বল। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণসামগ্রী প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য নেতানিয়াহু সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়েছেন।

দক্ষিণের রাফা শহরে, ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, তাদের দলগুলো ইতোমধ্যেই বাস্তুচ্যুতদের ক্যাম্পগুলো থেকে সাহায্যের জন্য জরুরি কল পেয়েছে। পরিবারগুলো ‘প্রবল বৃষ্টির কারণে তাঁবু প্লাবিত হওয়া এবং ভেতরে আটকা পড়ার’ খবর দিয়েছে।

উদ্ধারকারী সংস্থাটি টেলিগ্রামে বলেছে, ‘সীমিত সম্পদ এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাব সত্ত্বেও, আমাদের দলগুলো দুর্দশাগ্রস্তদের কাছে পৌঁছাতে এবং সহায়তা দিতে নিরলসভাবে কাজ করছে।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা এবং আল জাজিরার যাচাই করা ফুটেজে দেখা গেছে, ফিলিস্তিনিরা তাঁবুর চারপাশে কোদাল দিয়ে পরিখা খনন করছে, যাতে জল ঢুকে তাঁবুগুলো প্লাবিত হওয়া থেকে রক্ষা করা যায়।

gaza-flood-2

জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় কার্যালয়ের (ওসি এইচএ) হিসাব অনুসারে, ৭৬১টি বাস্তুচ্যুত আশ্রয়স্থলে থাকা প্রায় সাড়ে ৮ লাখ মানুষ বন্যায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।

কার্যালয়টি জানিয়েছে, এর আগেও সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোর মধ্যে ২০০টিরও বেশি জায়গায় বন্যার খবর রেকর্ড করা হয়েছিল, যা ১ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। এর আগের ঝড়গুলো বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়স্থলগুলোকে পয়ঃনিষ্কাশন ও কঠিন বর্জ্য দ্বারা দূষিত করেছে, পরিবারগুলোর তাঁবু ভাসিয়ে নিয়ে গেছে এবং তাদের অস্থায়ী আশ্রয়স্থল ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে।

গাজা শহর থেকে আল–জাজিরার তারেক আবু আজ্জুম জানিয়েছেন, জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে দিয়েছে যে—উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত গাজার জনগণের জন্য বিধ্বংসী পরিণতি বয়ে আনতে পারে। বাস্তুচ্যুতদের ক্যাম্পগুলো যে অনুর্বর, খোলা জায়গায় তৈরি করা হয়েছে, তা বন্যায় অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

তিনি বলেন, মানুষের জন্য উপলব্ধ তাঁবুগুলো সাধারণত দুর্বল এবং প্রায়শই ছেঁড়া থাকে, যা প্রবল বৃষ্টি থেকে সামান্যই সুরক্ষা দেয়। এই বৃষ্টিতে পরিবারগুলোর অবশিষ্ট সম্পত্তিও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দীর্ঘ ৮৮ মিনিট বৈঠক করেছেন রাহুল গান্ধী। ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দীর্ঘ ৮৮ মিনিট বৈঠক করেছেন রাহুল গান্ধী। ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী এক বিরল বৈঠক করেছেন গতকাল বুধবার। ৮৮ মিনিটের এই বৈঠক ভারতীয় পার্লামেন্টের অলিন্দে জল্পনার পারদ চড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানে শীতকালীন অধিবেশন চলছে। প্রধান তথ্য কমিশনারের পদের প্রার্থী নিয়ে দুই নেতার বসার কথা জানা ছিল। তবে এত দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা হবে, এমনটা কেউ ভাবেননি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, নিয়ম মোতাবেক—তথ্য কমিশন, নির্বাচন কমিশন ও ভিজিল্যান্স বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ পদগুলোতে নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী মনোনীত একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা।

এবারের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত মন্ত্রী ছিলেন অমিত শাহ। সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধী দুপুর ১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান এবং বৈঠক শুরু হয় ১টা ৭ মিনিটে। কিন্তু ঘড়ির কাঁটা যত গড়িয়েছে, ততই ভ্রু কুঁচকেছে এবং এমপিরা বৈঠকের অন্যান্য সম্ভাব্য আলোচ্যসূচি নিয়ে আলোচনা শুরু করেন।

৮৮ মিনিট পর রাহুল গান্ধী বেরিয়ে এলে জানা যায়, আলোচনা শুধু প্রধান তথ্য কমিশনারের নিয়োগ নিয়ে নয়, বরং আটজন তথ্য কমিশনার ও একজন ভিজিল্যান্স কমিশনারের নিয়োগ নিয়েও হয়েছিল। সূত্রের খবর, রাহুল সব কটি নিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন এবং লিখিতভাবে তাঁর অসন্তোষ পেশ করেছেন। তাঁর এই ভিন্নমত প্রকাশের মূল কারণ হলো—প্রতিনিধিত্ব নিয়ে উদ্বেগ এবং বাছাই-মানদণ্ড নিয়ে ভিন্নমত।

এ ধরনের বৈঠকে বিরোধী দলনেতার পক্ষ থেকে আপত্তি আসা স্বাভাবিক বলেই মনে করা হয়। সূত্রগুলো জানিয়েছে, এর আগে যখন মল্লিকার্জুন খাড়গে বা রাহুল গান্ধী বিরোধী প্রতিনিধি হিসেবে এই বৈঠকগুলোতে উপস্থিত থেকেছেন, তখন তাঁরা আপত্তি জানিয়েছিলেন।

বিরোধী দলনেতা যুক্তি দিয়ে জানিয়েছেন বলে জানা গেছে, ভারতের জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ যে সব সম্প্রদায়ের, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি তদারকির দায়িত্বে থাকা এই পদগুলোর প্রস্তাবিত তালিকায় তারা ‘কার্যত অনুপস্থিত।’ কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধী বৈঠকটিকে কাজে লাগিয়েছেন সেই শর্টলিস্টের বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানাতে, যেখানে দলিত, আদিবাসী, ওবিসি/ইবিসি ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে আসা প্রার্থীদের ‘প্রায়-মোট অনুপস্থিতি’ রয়েছে।

সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, রাহুল গান্ধী আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদগুলোর জন্য আবেদনকারী প্রার্থীদের জাতিগত তথ্য চেয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, আবেদনকারী গোষ্ঠীর ৭ শতাংশেরও কম মানুষ ‘বহুজন সম্প্রদায়’ থেকে এসেছেন। জানা গেছে, তিনি কমিটিকে বলেছেন, অংশগ্রহণের এই মাত্রা নাগরিকদের তথ্য পাওয়ার অধিকার সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলোর অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে গভীর প্রশ্ন তুলছে। কংগ্রেস সূত্র জানিয়েছে, জবাবদিহির কাঠামো গঠনকারী তদারকি সংস্থাগুলোতে প্রান্তিক গোষ্ঠীগুলোর প্রবেশকে সীমাবদ্ধ করা কাঠামোগত বাধাগুলো নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।

যদিও সরকার আবেদনকারী বা মনোনীত প্রার্থীদের জাতিগত বিভাজন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, নির্বাচন প্রক্রিয়াটি একটি ‘উন্নত পর্যায়ে’ রয়েছে।

এদিকে, পার্লামেন্টের অলিন্দে ওই ৮৮ মিনিটের বৈঠকে কী হলো, তা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন বা সিআইসি-তে প্রধান তথ্য কমিশনারসহ মোট ৮টি পদ শূন্য রয়েছে। এই কর্মকর্তারা আরটিআই আবেদনকারীদের দায়ের করা অভিযোগ ও আপিলগুলোর নিষ্পত্তি করেন এবং তথ্য প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেন।

গত সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত হীরালাল সামারিয়া ভারতের প্রধান তথ্য কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৩ সেপ্টেম্বর তাঁর অবসরের পর থেকে এই পদটি শূন্য। বর্তমানে কেবল দুজন তথ্য কমিশনার—আনন্দী রামালিঙ্গম ও বিনোদ কুমার তিওয়ারি—কাজ সামলাচ্ছেন। সিআইসি-এর ওয়েবসাইট অনুযায়ী, তাদের কাছে অমীমাংসিত মামলার সংখ্যা ৩০ হাজার ৮৩৮।

চূড়ান্ত নিয়োগ শিগগিরই ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তথ্য অধিকার আইনের ১২ (৩) ধারা অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী হলেন নির্বাচন কমিটির সভাপতি। প্রধান তথ্য কমিশনার ও তথ্য কমিশনারদের বাছাই এবং নাম সুপারিশ করার জন্য এই কমিটিতে আরও থাকেন বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রী মনোনীত একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফ–১৬ যুদ্ধবিমানের উন্নত প্রযুক্তি কিনল পাকিস্তান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পাকিস্তান বিমান বাহিনীর এফ–১৬ যুদ্ধবিমান। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান বিমান বাহিনীর এফ–১৬ যুদ্ধবিমান। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৬৮৬ মিলিয়ন ডলার বা ৬ কোটি ৮৬ লাখ ডলার মূল্যের উন্নত প্রযুক্তি ও সহায়তা প্যাকেজ কিনেছে পাকিস্তান। গত ৮ ডিসেম্বর মার্কিন প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ) মার্কিন কংগ্রেসকে এক চিঠিতে বিষয়টি জানিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিএসসিএ পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের জন্য ৬ কোটি ৮৬ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের উন্নত প্রযুক্তি ও সাহায্যের অনুমোদন দিয়েছে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্যাকেজে লিংক-১৬ ব্যবস্থা, সাংকেতিক সরঞ্জাম, বিমান চালন বিদ্যার আধুনিকীকরণ, প্রশিক্ষণ, এবং সামগ্রিক লজিস্টিক সাহায্য অন্তর্ভুক্ত আছে। চিঠিটিতে বিক্রির কারণ স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এটি ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতির সঙ্গে জাতীয় সুরক্ষার লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে। কারণ, এর মাধ্যমে পাকিস্তান চলমান সন্ত্রাস দমন প্রচেষ্টায় এবং ভবিষ্যতের যেকোনো জরুরি অপারেশনের জন্য মার্কিন ও সহযোগী বাহিনীর সঙ্গে আন্তঃপরিচালন ক্ষমতা বজায় রাখতে সক্ষম হবে।’

প্রস্তাবিত এই বিক্রির লক্ষ্য হলো পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের বহরকে আধুনিক করে তোলা এবং সেগুলোর উড্ডয়ন সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা। চিঠিতে বলা হয়েছে, এটি ‘পাকিস্তানের ব্লক-৫২ এবং মিড লাইফ আপগ্রেড এফ-১৬ বহরকে আধুনিক ও সংস্কার করে বর্তমান ও ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবিলায় সক্ষমতা বজায় রাখবে।’

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এই আধুনিকীকরণ ‘যুদ্ধকালীন অপারেশন, মহড়া, এবং প্রশিক্ষণে পাকিস্তান বিমানবাহিনী ও মার্কিন বিমানবাহিনীর মধ্যে আরও নির্বিঘ্ন সমন্বয় ও আন্তঃপরিচালন ক্ষমতা দেবে। আর এই সংস্কারের ফলে বিমানগুলির আয়ু ২০৪০ সাল পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব হবে, এবং উড্ডয়ন সুরক্ষার গুরুতর উদ্বেগগুলিও দূর হবে।’

চিঠিতে পাকিস্তানের এই প্রযুক্তি গ্রহণের প্রস্তুতির ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, দেশটি ‘তাদের সামরিক বাহিনীকে টিকিয়ে রাখার অঙ্গীকার দেখিয়েছে এবং এসব সামগ্রী ও পরিষেবা তাদের সশস্ত্র বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করতে কোনো অসুবিধা হবে না।’ আঞ্চলিক উদ্বেগ নিরসন করে সংস্থাটি আরও দাবি করেছে, ‘এই সরঞ্জাম ও সাহায্যের প্রস্তাবিত বিক্রি অঞ্চলের মৌলিক সামরিক ভারসাম্যের কোনো পরিবর্তন করবে না।’

লকহিড মার্টিন কোম্পানি হবে এই বিক্রির প্রধান ঠিকাদার। মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, ‘এই প্রস্তাবিত বিক্রির বাস্তবায়নের জন্য পাকিস্তানে অতিরিক্ত মার্কিন সরকারি বা ঠিকাদার প্রতিনিধি নিয়োগের প্রয়োজন হবে না’ এবং ‘এই বিক্রির ফলে মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না।’

এই ৬ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের মধ্যে প্রধান প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের মূল্য ৩৭ লাখ ডলার এবং অন্যান্য সামগ্রীর মূল্য ৬ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। প্রধান প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে ৯২টি লিংক-১৬ ডেটা লিংক ব্যবস্থা এবং ছয়টি স্ট্যাটিক মার্ক-৮২ ৫০০ পাউন্ড সাধারণ উদ্দেশ্যের বোমার কাঠামো। তবে এই কাঠামোগুলোতে কোনো বিস্ফোরক থাকবে না, কেবল অস্ত্র সংহতিকরণ পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত হবে।

লিংক-১৬ হলো একটি উন্নত কমান্ড, নিয়ন্ত্রণ, যোগাযোগ ও নজরদারি ব্যবস্থা। এটি সুরক্ষিত, রিয়েল টাইম যোগাযোগ নেটওয়ার্ক যা সহযোগী বাহিনীর মধ্যে কৌশলগত তথ্য আদান-প্রদান করে এবং মার্কিন ও সহযোগী ন্যাটো বাহিনী এটি ব্যবহার করে। শত্রুপক্ষের আকাশ ও ভূমির ইলেকট্রনিক জ্যামিং থেকেও এই ব্যবস্থা সুরক্ষিত।

চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘এটি যুদ্ধরত সেনাকে নজরদারি, শনাক্তকরণ, বিমান নিয়ন্ত্রণ, অস্ত্র ব্যবহারের সমন্বয় এবং সমস্ত পরিষেবা ও সহযোগী বাহিনীর দিকনির্দেশনার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট-সংক্রান্ত কাজগুলি সরবরাহ করে।’

চুক্তির বাকি সরঞ্জামগুলোর মধ্যে রয়েছে এএন/এপিকিউ–১০সি সিম্পল কী লোডার্স এবং এএন/এপিকিউএক্স–১২৬ অ্যাডভান্সড আইডেনটিফিকেশন ফ্রেন্ড অর ফো ব্যবস্থা, যা শত্রু ও সহযোগী বিমান শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। এতে অপারেশনাল ফ্লাইট প্রোগ্রাম ও বাধ্যতামূলক বিমান চালন বিদ্যার আধুনিকীকরণের জন্য হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের পরিবর্তন, সেই সঙ্গে কেওয়াই–৫৮ এম এবং কেআইভি–৭৮ ক্রিপ্টোগ্রাফিক অ্যাপ্লিক অন্তর্ভুক্ত। এগুলো ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি অনুমোদিত মডিউল যা সামরিক বিমান ও অন্যান্য কৌশলগত ব্যবস্থায় সুরক্ষিত যোগাযোগ ও শনাক্তকরণের জন্য ব্যবহার করা হয়।

সরঞ্জামগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে—অতিরিক্ত সুরক্ষিত যোগাযোগ, নিখুঁত নেভিগেশন ও সাংকেতিক ডিভাইস, জয়েন্ট মিশন প্ল্যানিং সিস্টেমস ও সমর্থন, কমন অ্যামিউনিশনস বিল্ট-ইন-টেস্ট রিপ্রোগ্রামিং ইকুইপমেন্ট এবং এডিইউ–৯৮১ ক্ষেপণাস্ত্র অ্যাডাপ্টার ইউনিট।

এ ছাড়া, অন্যান্য অস্ত্র সংহতকরণ, পরীক্ষা ও সাপোর্ট সরঞ্জাম, খুচরা ও মেরামত যন্ত্রাংশ, সফটওয়্যার সরবরাহ ও সমর্থন, প্রকাশনা ও প্রযুক্তিগত ডকুমেন্টেশন, ফুল মোশন সিমুলেটর, কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম এই প্যাকেজের আওতায় রয়েছে। এই প্যাকেজের মাধ্যমে পাকিস্তান মার্কিন সরকার ও ঠিকাদারের প্রকৌশল, প্রযুক্তিগত, এবং লজিস্টিক সহায়তা পরিষেবা, গবেষণা ও জরিপ, এবং লজিস্টিক ও প্রোগ্রাম সমর্থনের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট উপাদানও পাবে।

২০২১ সালে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝে পাকিস্তান তাদের এফ-১৬ বহরের আধুনিকীকরণের জন্য অনুরোধ করেছিল, কিন্তু ওয়াশিংটন এর জবাব দিতে দেরি করে। ২০২৫-এর মে মাসের বিমান যুদ্ধে ভারতীর বহরের যথেষ্ট ক্ষতি ঘটিয়ে অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের সক্ষমতা প্রমাণিত হওয়ায় দেশটি এখন এফ-১৬-এর ওপর কম নির্ভরশীল। এক কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ‘পাকিস্তান এখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানাচ্ছে, কারণ এটি তাদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের মেয়াদ ২০৪০ সাল পর্যন্ত বাড়িয়ে দেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে মরল প্রথম ব্রিটিশ সেনা, লন্ডনের স্বীকারোক্তি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ক্যাপ: ইউক্রেনের তৃতীয় স্বতন্ত্র আক্রমণ ব্রিগেডের সৈন্যদের উদ্যোগে আয়োজিত এক সামরিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে বেসামরিক মানুষ সামরিক পোশাক পরে কিয়েভ অঞ্চলে জমায়েত হন। ছবিটি চলতি বছরের ১২ জুলাই জুলাই তোলা। ছবি: এএফপি
ক্যাপ: ইউক্রেনের তৃতীয় স্বতন্ত্র আক্রমণ ব্রিগেডের সৈন্যদের উদ্যোগে আয়োজিত এক সামরিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে বেসামরিক মানুষ সামরিক পোশাক পরে কিয়েভ অঞ্চলে জমায়েত হন। ছবিটি চলতি বছরের ১২ জুলাই জুলাই তোলা। ছবি: এএফপি

ইউক্রেনে একটি নতুন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করার সময় যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর এক সদস্য মারা গেছেন। গত মঙ্গলবার ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই ঘোষণা দিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনীয় বাহিনী যখন ফ্রন্টলাইন থেকে দূরে একটি নতুন প্রতিরক্ষা সক্ষমতার পরীক্ষা করছিল, তখন একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তিনি আহত হন।’ এতে আরও বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তির পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে এবং এই ঘটনার ফলে অন্য কোনো ব্রিটিশ হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, তিনি ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, যিনি আজ দুঃখজনকভাবে জীবন হারিয়েছেন, তাঁর পরিবারের প্রতি গভীরতম সমবেদনা ও শোক জানাচ্ছেন।’ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘তাঁদের সেবা এবং আত্মত্যাগ কখনও ভুলে যাওয়া হবে না।’

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জন হিলি বলেছেন, তিনি ‘ইউক্রেনে যুক্তরাজ্যের একজন সেনা সদস্যের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। প্রিয়জনকে হারানোর এই দুঃসময়ে আমার সমবেদনা তাদের পরিবার, বন্ধু এবং সহকর্মীদের সাথে রয়েছে।’

ওই ব্যক্তি কোন বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন বা তাঁর ভূমিকা কী ছিল তা জানা যায়নি। বিবিসি জানতে পেরেছে, ঘটনাটি শত্রুপক্ষের গোলাগুলির কারণে ঘটেনি বলেই মনে করা হচ্ছে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করবে না বলে জানিয়েছে।

ইউক্রেনে কতজন ব্রিটিশ সেবা সদস্য আছে তা ব্রিটিশ সরকার কখনও নিশ্চিত করেনি। তবে এর আগে স্বীকার করেছে যে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে সহায়তা করতে এবং কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে অল্প সংখ্যক সদস্য সেখানে রয়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ইউক্রেনে যুক্তরাজ্যের কোনো সার্ভিস সদস্যের এটিই প্রথম মৃত্যু। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রতিরক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান, তানমনজিৎ সিং ধেসি বলেন, ‘এই মর্মান্তিক ঘটনাটি আমাদের দেশের সেবায় নিয়োজিতদের মুখোমুখি হওয়া ঝুঁকির একটি স্পষ্ট স্মারক, এমনকি যখন তারা ফ্রন্টলাইন থেকে দূরে কাজ করেন। আমি তাদের পেশাদারিত্ব ও প্রতিশ্রুতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।’

ছায়া প্রতিরক্ষা সচিব জেমস কার্টলিডজ বলেন, ‘ইউক্রেনে যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর একজন সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর শুনে আমি গভীরভাবে দুঃখিত। এই কঠিন সময়ে তার পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা।’

তিন বছরেরও বেশি আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ইউক্রেনে লড়াই চলছে। যুদ্ধ শেষ করার জন্য আলোচনার প্রচেষ্টা সম্প্রতি গতি পেয়েছে, যার মধ্যে সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ডাউনিং স্ট্রিট সফরও ছিল। সেখানে কিয়ার স্টারমার ’একটি ন্যায্য ও দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতি’ অর্জনে কিয়েভের প্রতি যুক্তরাজ্যের সমর্থনের অঙ্গীকার করেন।

এই বৈঠকটি ছিল জেলেনস্কির একটি প্রচেষ্টার অংশ, যাতে যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভের পক্ষ থেকে বড় ছাড়সহ একটি শান্তি চুক্তিতে সমর্থন না দেয়। মিত্ররা আশঙ্কা করছে, এই ধরনের চুক্তি ইউক্রেনকে ভবিষ্যতে আক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলে দেবে এবং ইউক্রেন বিকল্প প্রস্তাব হোয়াইট হাউসে পেশ করতে চলেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সমুদ্রে মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে প্রশ্নের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সিএনএন
ছবি: সিএনএন

মার্কিন সামরিক বাহিনী ক্যারিবীয় সাগর ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মাদকবাহী সন্দেহে বিভিন্ন নৌযানে হামলা চালাচ্ছে। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত ২৩টি নৌযানে ৮৭ জন নিহত হয়েছেন। তবে এসব হামলায় অন্তত পাঁচজন প্রথম বিস্ফোরণে বেঁচে গিয়ে পানিতে পড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের ভাগ্য নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ যুক্তরাষ্ট্রকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

সিএনএন জানিয়েছে, মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে মার্কিন বাহিনী প্রথম হামলাটি চালায় গত ২ সেপ্টেম্বর। ওই হামলায় একটি নৌযান ধ্বংস হলেও দুই ব্যক্তি জীবিত ছিলেন। পানিতে সাঁতার কাটছিলেন তাঁরা। কিন্তু এরপরই দ্বিতীয় আরেকটি হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র ও অসহায় ওই দুজনকে হত্যা করা হয়। এ ক্ষেত্রে মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেছে—ডুবন্ত নৌযানে মাদক থাকতে পারে, যা উদ্ধার হলে আবার পাচারে ব্যবহার হতো। এই যুক্তিতেই দ্বিতীয়বার হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানান সেই সময়ের জয়েন্ট স্পেশাল অপারেশনস কমান্ডের প্রধান অ্যাডমিরাল ফ্রাঙ্ক ‘মিচ’ ব্রাডলি।

এদিকে অসহায় ও নিরস্ত্র দুজনকে দ্বিতীয় আঘাতে হত্যার ঘটনাটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সমালোচনা করছেন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, যোদ্ধা বা শত্রু যদি আহত বা আত্মসমর্পণকারী অবস্থায় থাকে, তাহলে তাকে হত্যা করা যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়ে।

আবার, গত ১৬ অক্টোবর ক্যারিবীয় সাগরে মাদকবাহী একটি সাবমেরিনে হামলার পর দুজনকে জীবিতকে উদ্ধার করে যুক্তরাষ্ট্র। পরে তাদের ইকুয়েডর ও কলম্বিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়। তবে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে—এই দুজনকে প্রথমে এল সালভাদরের কুখ্যাত মেগা-প্রিজনে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন পেন্টাগনের আইন উপদেষ্টারা, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে কোনো আইনি চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি না হয়। পররাষ্ট্র দপ্তর সেই প্রস্তাব তীব্রভাবে বাতিল করে।

গত ২৭ অক্টোবরের আরেক হামলায় মৃতদেহের মধ্যে একজন জীবিত থাকতে পারে—এমন বার্তা পেয়ে ম্যাক্সিকান নৌবাহিনী অনুসন্ধান শুরু করে। তবে কেউ উদ্ধার হয়নি বলা হলেও এখন তাকে মৃত হিসেবেই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

এখন প্রশ্ন উঠছে—একই ধরনের পরিস্থিতিতে কেন ভিন্ন আচরণ? প্রতিরক্ষা দপ্তর বলছে—নীতি বদলায়নি, পরিস্থিতি বদলেছে। তবে সমালোচকদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র এখনো এই অভিযানের বৈধতা পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেনি।

হামলার গতি এখন কমে গেলেও প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ জানিয়েছেন—মাদকবাহী নৌযানের বিরুদ্ধে অভিযান ‘মাত্র শুরু হয়েছে’।

এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার ও সামরিক কৌশল—সবকিছুই নতুন করে আলোচনায় এসেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত