সিরিয়ার নতুন ইসলামপন্থী শাসকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত বন্দুকধারী ও নিরাপত্তা বাহিনী গত বৃহস্পতিবার থেকে ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের লাতাকিয়া ও তার্তুস অঞ্চলে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৩৪০ জনের বেশি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে নারী, শিশুসহ আলাউইত সংখ্যালঘুদের সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস। এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি রয়টার্স।
অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদুর রহমান জানিয়েছেন, ‘জাবালে, বানিয়াস এবং আশপাশের এলাকাগুলোতে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড গত ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ সহিংসতা।’
সিরিয়ার নতুন শাসকগোষ্ঠী সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সমর্থকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত এক বিদ্রোহের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। বিদ্রোহীদের হামলার পর গত বৃহস্পতিবার থেকে দমন অভিযান শুরু হয়। যেখানে সরকারি বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন।
সিরিয়ার একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, অভিযানের সময় কয়েক ডজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন।
সিরিয়ার কর্মকর্তারা অভিযানের সময় কিছু অনিয়মের কথা স্বীকার করেছেন। তবে তাঁরা দাবি করছেন, ‘বেসামরিক ও অসংগঠিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো’ এসব সহিংসতার জন্য দায়ী।
আজ শনিবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপকূলীয় এলাকার সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে; যাতে সহিংসতা না ছড়ায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। এ ছাড়া একটি জরুরি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা সামরিক আদেশ লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে সেনা আদালতে ব্যবস্থা নেবে।
আলাউইত সম্প্রদায়ের ডজনখানেক পুরুষকে এক গ্রামে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, এমন খবরে উদ্বেগ বাড়ছে। আন্তর্জাতিক মহল আশঙ্কা করছে, সিরিয়ার নতুন ইসলামপন্থী শাসকগোষ্ঠী সকল সম্প্রদায়ের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনীকে অবশ্যই সংযত থাকতে হবে। আমাদের শত্রুর সঙ্গে পার্থক্য হলো, আমরা নৈতিকতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আহমেদ আল-শারা আরও বলেন, ‘যদি আমরা আমাদের মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলি, তাহলে আমরা শত্রুর চেয়ে ভালো থাকব না।’
এদিকে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের হাজারো আলাউইত ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। এদের মধ্যে কয়েক শ নারী, শিশু ও বৃদ্ধ লাতাকিয়ার রুশ সামরিক ঘাঁটি হেমেইমিমে আশ্রয় নিয়েছেন।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বানিয়াস ও আশপাশের গ্রামগুলোতে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে সিরিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
মানবাধিকারকর্মী আবদুর রহমান বলেন, ‘এটি আসাদের পক্ষে বা বিপক্ষে থাকার বিষয় নয়; বরং এটি সাম্প্রদায়িক হত্যাযজ্ঞ, যা আলাউইত সম্প্রদায়কে তাদের আবাসভূমি থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে।’
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও নিরাপত্তা সংস্থা বলেছে, এই অঞ্চলে শান্তি ও শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে। সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যেকোনো সহিংসতা রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিরিয়ার নতুন ইসলামপন্থী শাসকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত বন্দুকধারী ও নিরাপত্তা বাহিনী গত বৃহস্পতিবার থেকে ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের লাতাকিয়া ও তার্তুস অঞ্চলে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৩৪০ জনের বেশি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে নারী, শিশুসহ আলাউইত সংখ্যালঘুদের সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস। এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি রয়টার্স।
অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদুর রহমান জানিয়েছেন, ‘জাবালে, বানিয়াস এবং আশপাশের এলাকাগুলোতে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড গত ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ সহিংসতা।’
সিরিয়ার নতুন শাসকগোষ্ঠী সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সমর্থকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত এক বিদ্রোহের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। বিদ্রোহীদের হামলার পর গত বৃহস্পতিবার থেকে দমন অভিযান শুরু হয়। যেখানে সরকারি বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন।
সিরিয়ার একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, অভিযানের সময় কয়েক ডজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন।
সিরিয়ার কর্মকর্তারা অভিযানের সময় কিছু অনিয়মের কথা স্বীকার করেছেন। তবে তাঁরা দাবি করছেন, ‘বেসামরিক ও অসংগঠিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো’ এসব সহিংসতার জন্য দায়ী।
আজ শনিবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপকূলীয় এলাকার সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে; যাতে সহিংসতা না ছড়ায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। এ ছাড়া একটি জরুরি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা সামরিক আদেশ লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে সেনা আদালতে ব্যবস্থা নেবে।
আলাউইত সম্প্রদায়ের ডজনখানেক পুরুষকে এক গ্রামে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, এমন খবরে উদ্বেগ বাড়ছে। আন্তর্জাতিক মহল আশঙ্কা করছে, সিরিয়ার নতুন ইসলামপন্থী শাসকগোষ্ঠী সকল সম্প্রদায়ের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনীকে অবশ্যই সংযত থাকতে হবে। আমাদের শত্রুর সঙ্গে পার্থক্য হলো, আমরা নৈতিকতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আহমেদ আল-শারা আরও বলেন, ‘যদি আমরা আমাদের মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলি, তাহলে আমরা শত্রুর চেয়ে ভালো থাকব না।’
এদিকে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের হাজারো আলাউইত ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। এদের মধ্যে কয়েক শ নারী, শিশু ও বৃদ্ধ লাতাকিয়ার রুশ সামরিক ঘাঁটি হেমেইমিমে আশ্রয় নিয়েছেন।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বানিয়াস ও আশপাশের গ্রামগুলোতে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে সিরিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
মানবাধিকারকর্মী আবদুর রহমান বলেন, ‘এটি আসাদের পক্ষে বা বিপক্ষে থাকার বিষয় নয়; বরং এটি সাম্প্রদায়িক হত্যাযজ্ঞ, যা আলাউইত সম্প্রদায়কে তাদের আবাসভূমি থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে।’
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও নিরাপত্তা সংস্থা বলেছে, এই অঞ্চলে শান্তি ও শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে। সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যেকোনো সহিংসতা রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানে হামলার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তবে, এর অনেক সমালোচক বা এমনকি অনেক সমর্থকও এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হবেন বলে মনে হয় না। কারণ, তিনি কোথাও উল্লেখ করেননি যে, যুক্তরাষ্ট্র আসন্ন হুমকির মুখে ছিল, যার কারণে মার্কিন সংবিধান অনুসারে এই হামলাকে বৈধতা দেওয়া যেতে পারে।
১৭ মিনিট আগেইরানের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহানের শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বোমার পর তাৎক্ষণিক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেছেন, ‘ফোরদো শেষ!’ বাকি দুটি অবস্থা অবশ্য এখনো জানানো হয়নি।
১ ঘণ্টা আগেইরানের পারমাণবিক সংস্থা মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে, বলেছে তাদের পরমাণু শিল্প বন্ধ হবে না। সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক সংস্থা দেশটির তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং তাদের পরমাণু কর্মসূচি ‘কখনোই’ বন্ধ না করার অঙ্গ
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা করেছে বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প এই হামলাগুলোকে একটি ‘দর্শনীয় সামরিক সাফল্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন’ হয়ে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে