ফিলিস্তিন ভূখণ্ড গাজায় যখন হামলা শুরু হয়, তখনই বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছিলেন, এই যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ঠিক সেই লক্ষণই দেখা যাচ্ছে। গাজায় চলমান যুদ্ধের জের গড়িয়েছে লোহিতসাগরে। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ এই জলপথে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা। সঙ্গে যোগ দিয়েছে লেবাননের রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহও।
লোহিতসাগরে হামলার খেসারত দিতে হচ্ছে সারা বিশ্বকেই। এই রুট হয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে বিঘ্ন ঘটছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পশ্চিমা জোট বাহিনী হুতিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তবে সমাধান আসছে না। পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্য দিয়ে দিন গড়াচ্ছে, আর চড়ছে পণ্যের বাজার।
যুদ্ধ হুতিদের জন্য নতুন কিছু নয়। সিএনএনের জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক পিটার বার্গেন লিখেছেন, যুদ্ধ হুতিদের চিরাচরিত জীবনযাপনের অংশ। হুতিদের উত্থান-পতনের ইতিহাস ঘাঁটলে পিটার বার্গেনের কথার সত্যতা পাওয়া যায়।
ইয়েমেনে এক দশক ধরে চলা গৃহযুদ্ধের একটি পক্ষ হুতি, যারা আনসারুল্লাহ নামেও পরিচিত। ২০১৪ সালে ইয়েমেনে আলোচনার কেন্দ্রে আসে তারা। হুতিদের বিদ্রোহের জেরে ইয়েমেনের সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। সে সময় সৃষ্টি মানবিক সংকট ও গৃহযুদ্ধ এখনো চলছে। ইয়েমেনে হুতিরা যুদ্ধ করে আসছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর বিরুদ্ধে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, হুতিরা চায় গাজায় যুদ্ধ বন্ধ হোক। এর জন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ দিতে এই সাগরে জাহাজে হামলা চালাচ্ছে তারা। হুতিদের দাবি, তারা এমন সব দেশের জাহাজে হামলা চালাচ্ছে, যাদের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে গত ডিসেম্বর হুতি মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুস সালাম আল জাজিরাকে বলেছিলেন, ‘আমরা সবার উদ্দেশে এটা জোর দিয়ে বলতে চাই, এই অভিযান গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে। ইসরায়েলে আগ্রাসনের মুখে আমরা হাবার মতো দাঁড়িয়ে থাকতে পারি না।’
হুতিদের সামরিক শক্তিও একেবারে কম নয়। ১ হাজার কিলোমিটার দূরে হামলা চালানোর মতো ক্রুজ, ব্যালিস্টিকসহ নানা ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে তাদের হাতে। এমনকি ২ হাজার কিলোমিটার দূরে হামলা চালানোর মতো ড্রোনও তাদের আছে।
ফিলিস্তিন প্রশ্নে হুতিদের সঙ্গে একমত লেবাননের ইরানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। তারাও প্রায়ই ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা চালাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, লোহিতসাগরে হুতিরা যে হামলা চালাচ্ছে, তাতে সাহায্য করছে হিজবুল্লাহ। সঙ্গে রয়েছে ইরান। দেশটির ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের কর্পসও (আইআরজিসি) রয়েছে ইয়েমেনের মাটিতে।
বলা হয়ে থাকে, সামরিকভাবে হুতিদের প্রশিক্ষিত করে তোলা, অস্ত্র দেওয়া, অর্থ দেওয়া—সবই করছে ইরান। কোন জাহাজগুলো লোহিত সাগর হয়ে চলাচল করবে এবং কোনগুলো ইসরায়েলে যাবে, সে তথ্য বিশ্লেষণের কাজে হুতিদের সাহায্য করছে আইআরজিসি। যদিও ইরান এসব অভিযোগ অস্বীকার করছে।
ফিলিস্তিন যুদ্ধে অলিখিতভাবে জড়িয়ে গেছে মধ্যপ্রাচ্যের ইরান, ইয়েমেন ও লেবাননের একটি বড় অংশ। উল্টোদিকে জাহাজের সুরক্ষা দিতে গিয়ে এ যুদ্ধে জড়িয়েছে গোটা পশ্চিমা বিশ্ব। হুতিদের ড্রোন থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ২০টি দেশের বাহিনী ব্যয় করছে ৫১ কোটি মার্কিন ডলার (৫ হাজার কোটি টাকার বেশি)। এই ব্যয় সাগরে হুতিদের হামলা ঠেকাতে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা উন্নয়নে।
লোহিতসাগরে হামলা থামানোর ক্ষেত্রে পশ্চিমাদের সুর খানিকটা নরম। গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বীকার করেছেন, তাঁর বাহিনীর হামলায় হুতিরা থামেনি। আর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, তাঁরা হুতিদের সঙ্গে যুদ্ধ চান না।
যুদ্ধ না চাওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ ভৌগোলিক অবস্থান। লোহিত সাগরের তীরে হুতিদের শক্ত অবস্থান। আরেকটি কারণ, মধ্যপ্রাচ্যে তথা ইয়েমেনের হুতি ও সৌদি আরবের মধ্যে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ চলছে। চলছে দুই পক্ষের আলোচনা।
ফিলিস্তিন ভূখণ্ড গাজায় যখন হামলা শুরু হয়, তখনই বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছিলেন, এই যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ঠিক সেই লক্ষণই দেখা যাচ্ছে। গাজায় চলমান যুদ্ধের জের গড়িয়েছে লোহিতসাগরে। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ এই জলপথে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা। সঙ্গে যোগ দিয়েছে লেবাননের রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহও।
লোহিতসাগরে হামলার খেসারত দিতে হচ্ছে সারা বিশ্বকেই। এই রুট হয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে বিঘ্ন ঘটছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পশ্চিমা জোট বাহিনী হুতিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তবে সমাধান আসছে না। পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্য দিয়ে দিন গড়াচ্ছে, আর চড়ছে পণ্যের বাজার।
যুদ্ধ হুতিদের জন্য নতুন কিছু নয়। সিএনএনের জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক পিটার বার্গেন লিখেছেন, যুদ্ধ হুতিদের চিরাচরিত জীবনযাপনের অংশ। হুতিদের উত্থান-পতনের ইতিহাস ঘাঁটলে পিটার বার্গেনের কথার সত্যতা পাওয়া যায়।
ইয়েমেনে এক দশক ধরে চলা গৃহযুদ্ধের একটি পক্ষ হুতি, যারা আনসারুল্লাহ নামেও পরিচিত। ২০১৪ সালে ইয়েমেনে আলোচনার কেন্দ্রে আসে তারা। হুতিদের বিদ্রোহের জেরে ইয়েমেনের সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। সে সময় সৃষ্টি মানবিক সংকট ও গৃহযুদ্ধ এখনো চলছে। ইয়েমেনে হুতিরা যুদ্ধ করে আসছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর বিরুদ্ধে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, হুতিরা চায় গাজায় যুদ্ধ বন্ধ হোক। এর জন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ দিতে এই সাগরে জাহাজে হামলা চালাচ্ছে তারা। হুতিদের দাবি, তারা এমন সব দেশের জাহাজে হামলা চালাচ্ছে, যাদের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে গত ডিসেম্বর হুতি মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুস সালাম আল জাজিরাকে বলেছিলেন, ‘আমরা সবার উদ্দেশে এটা জোর দিয়ে বলতে চাই, এই অভিযান গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে। ইসরায়েলে আগ্রাসনের মুখে আমরা হাবার মতো দাঁড়িয়ে থাকতে পারি না।’
হুতিদের সামরিক শক্তিও একেবারে কম নয়। ১ হাজার কিলোমিটার দূরে হামলা চালানোর মতো ক্রুজ, ব্যালিস্টিকসহ নানা ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে তাদের হাতে। এমনকি ২ হাজার কিলোমিটার দূরে হামলা চালানোর মতো ড্রোনও তাদের আছে।
ফিলিস্তিন প্রশ্নে হুতিদের সঙ্গে একমত লেবাননের ইরানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। তারাও প্রায়ই ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা চালাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, লোহিতসাগরে হুতিরা যে হামলা চালাচ্ছে, তাতে সাহায্য করছে হিজবুল্লাহ। সঙ্গে রয়েছে ইরান। দেশটির ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের কর্পসও (আইআরজিসি) রয়েছে ইয়েমেনের মাটিতে।
বলা হয়ে থাকে, সামরিকভাবে হুতিদের প্রশিক্ষিত করে তোলা, অস্ত্র দেওয়া, অর্থ দেওয়া—সবই করছে ইরান। কোন জাহাজগুলো লোহিত সাগর হয়ে চলাচল করবে এবং কোনগুলো ইসরায়েলে যাবে, সে তথ্য বিশ্লেষণের কাজে হুতিদের সাহায্য করছে আইআরজিসি। যদিও ইরান এসব অভিযোগ অস্বীকার করছে।
ফিলিস্তিন যুদ্ধে অলিখিতভাবে জড়িয়ে গেছে মধ্যপ্রাচ্যের ইরান, ইয়েমেন ও লেবাননের একটি বড় অংশ। উল্টোদিকে জাহাজের সুরক্ষা দিতে গিয়ে এ যুদ্ধে জড়িয়েছে গোটা পশ্চিমা বিশ্ব। হুতিদের ড্রোন থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ২০টি দেশের বাহিনী ব্যয় করছে ৫১ কোটি মার্কিন ডলার (৫ হাজার কোটি টাকার বেশি)। এই ব্যয় সাগরে হুতিদের হামলা ঠেকাতে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা উন্নয়নে।
লোহিতসাগরে হামলা থামানোর ক্ষেত্রে পশ্চিমাদের সুর খানিকটা নরম। গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বীকার করেছেন, তাঁর বাহিনীর হামলায় হুতিরা থামেনি। আর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, তাঁরা হুতিদের সঙ্গে যুদ্ধ চান না।
যুদ্ধ না চাওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ ভৌগোলিক অবস্থান। লোহিত সাগরের তীরে হুতিদের শক্ত অবস্থান। আরেকটি কারণ, মধ্যপ্রাচ্যে তথা ইয়েমেনের হুতি ও সৌদি আরবের মধ্যে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ চলছে। চলছে দুই পক্ষের আলোচনা।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের একটি গির্জায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ও ৫২ জন আহত হয়েছেন। রোববার রাতে প্রার্থনার সময় পুরোনো খ্রিস্টান পাড়ায় অবস্থিত গ্রিক অর্থোডক্স সেন্ট এলিয়াস গির্জায় এ হামলা চালানো হয়। দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়।
২৪ মিনিট আগেইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এই পদক্ষেপ শুধু মধ্যপ্রাচ্যের শক্তির ভারসাম্যকেই নাড়িয়ে দেয়নি, বরং এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব রাজনীতিতেও। মস্কো থেকে এর প্রতিক্রিয়া এসেছে দ্রুত ও তীব্রভাবে।
২ ঘণ্টা আগেমিছিলে অংশ নেন শতাধিক দলীয় কর্মী, সমর্থক, ছাত্র, যুব ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি। ‘আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক’, ‘ইরানে বোমাবাজি চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখর হয় গোটা এলাকা। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস’ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে ইরানি গণমাধ্যম ও স্থানীয় কর্মকর্তারা।
৪ ঘণ্টা আগে