আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফিলিস্তিনের গাজায় খাবার এবং ওষুধ পৌঁছে দিতে যাত্রা করা আন্তর্জাতিক নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় গত বুধবার রাতে ইসরায়েলি সশস্ত্র সেনারা যখন হামলা চালায়, তখন স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে বসে দুজন ওয়েব ডেভেলপার তৎপর হয়ে ওঠেন বহরের নৌযানগুলোর গতিবিধি নজরে রাখতে। বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ সেই সময় অনলাইনে দেখছিলেন এসব নৌকার পরিণতির দিকগুলো।
নৌযানগুলোর ভেতরে থাকা ক্যামেরা থেকে সম্প্রচারিত ঝাপসা ফুটেজ ফ্লোটিলার ওয়েবসাইটে সরাসরি দেখানো হচ্ছিল। ডেভেলপাররা সেই মুহূর্তে নৌযানগুলোর অবস্থান হালনাগাদ করছিলেন এবং প্রতিটি জাহাজ দখলের ছোট ভিডিও পোস্ট করছিলেন। তাঁরা জানান, পোস্টগুলোতে ক্লিক করার সংখ্যা ছিল নজিরবিহীন। বুধবার সাইটটিতে ২৫ লাখ এবং পরদিন বৃহস্পতিবার ৩৫ লাখ ভিজিট রেকর্ড করা হয়েছে।
রেকট্যাঙ্গল নামের একটি ডিজাইন ও সফটওয়্যার কোম্পানির সহপরিচালক লিজি ম্যালকম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি এমন সংখ্যা আগে কখনো দেখিনি। অন্তত আমার তৈরি কোনো ওয়েবসাইটে নয়।’
নতুন ফ্লোটিলার প্রচারাভিযান
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করছিল। এই অবরোধের কারণে দুই বছরের ইসরায়েলি হামলায় গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
ফ্লোটিলাটিতে প্রায় ৫০০ সংসদ সদস্য, আইনজীবী, অধিকারকর্মীসহ ৪০টির বেশি বেসামরিক জাহাজ ছিল। তাঁদের মধ্যে সুইডেনের অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন।
ফ্লোটিলাটি গাজায় পৌঁছাতে পারেনি। জাহাজগুলোকে আটকে দিয়ে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ১০ দিনের মধ্যেই এটি ইসরায়েলি অবরোধবিরোধী সবচেয়ে আলোচিত প্রতিরোধ উদ্যোগে পরিণত হয়। সেই প্রচারণায় উৎসাহিত হয়ে ১১টি জাহাজের আরেকটি ফ্লোটিলা এরই মধ্যে রওনা দিয়েছে।
একটি সুসংগঠিত সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারণা, হালনাগাদ করা জাহাজ-ট্র্যাকিং প্রযুক্তি, স্মার্ট ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠনের মাধ্যমে এই মিশন ব্যাপক মনোযোগ ও সমর্থন লাভ করেছে, যা অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য একটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলনে শক্তি জুগিয়েছে।
ইসরায়েলের দাবি, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে তাদের নৌ অবরোধ বৈধ। তারা ফ্লোটিলাকে ‘উসকানিমূলক’ বলছে।
তবে নৌবহরটির প্রতি বিশ্বজুড়ে এরই মধ্যে ব্যাপক সহানুভূতি তৈরি হয়েছে। গত বুধবারের দখল অভিযানের পর ইউরোপজুড়ে, এমনকি আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো ও পাকিস্তানেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। কলম্বিয়া থেকে মালয়েশিয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সমালোচনা করেন নেতারা।
একটি আন্দোলনের জন্ম
গাজায় ২০০৭ সালে হামাসের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর ইসরায়েল অবরোধ আরোপ করে। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই অবরোধবিরোধী সচেতনতামূলক আন্দোলন নতুন গতি পায়।
সাম্প্রতিক এই প্রচারাভিযান আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
সেন্ট জর্জস, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক ড্যান মেরসিয়ার মতে, জুনের পর থেকে শুরু হওয়া রাজনৈতিক পরিবর্তনের ধারা থেকেও ফ্লোটিলা উপকৃত হয়েছে।
তিনি বলেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, ইসরায়েলের হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে। সাংস্কৃতিক প্রভাব এখন দৃশ্যমান আর ফ্লোটিলার ভূমিকা সেখানে গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে ‘মার্চ টু গাজা’ নামে একটি সংগঠন রাফাহ সীমান্তে যাত্রা আয়োজন করলেও মিসরীয় কর্তৃপক্ষ কর্মীদের বহিষ্কার করায় তা ব্যর্থ হয়। আরও কিছু ছোট নৌবহর অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করা হলেও সেগুলো তেমন আলোচনায় আসেনি।
গত জুনে তিউনিসিয়ায় বিভিন্ন সংগঠন মিলে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয় বৃহত্তর যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার।
এ বিষয়ে গ্রিক প্রতিনিধি আন্তোনিস ফারাস বলেন, ‘ভাবনাটা ছিল, আরও বড় কিছু করা দরকার। যোগাযোগ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।’
শুরু থেকে বিপুল সমর্থন
এভাবেই জন্ম নেয় গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা, যার লক্ষ্য স্পষ্ট—ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙা।
শুরু থেকে সংগঠনটি বিপুল সমর্থন পায়। গ্রিক প্রতিনিধি আন্তোনিস ফারাস জানান, যখন তাঁরা এই উদ্যোগে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান, ২০ হাজারের মতো আবেদন জমা পড়ে সে সময়।
ইতালিতে মিউজিক ফর পিস নামের এক দাতব্য সংস্থা ৪০ টন সাহায্যের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে অনুদান সংগ্রহ শুরু করে। মাত্র পাঁচ দিনে তারা ৫০০ টনের বেশি অনুদান সংগ্রহ করে ফেলে।
এভাবে ইউরোপজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক প্রস্তুতি। গ্রিক একটি দল ইউরোপের বিভিন্ন জায়গা থেকে ২৫টি নৌকা জোগাড় করে। অনুদানের আহ্বানে সাড়া আসে ব্যাপক পরিমাণে।
এদিকে ইতালির স্থানীয় সংগঠকেরা শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সেই ইউনিয়নগুলো সুমুদ ফ্লোটিলার প্রতি সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন বন্দর অঞ্চলে ধর্মঘটসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়।
ফল মেলে গত বুধবারই। ইসরায়েলি অভিযানের খবর ছড়াতেই ইতালির রাস্তায় নেমে আসে অসংখ্য মানুষ। শ্রমিক ইউনিয়নগুলো ৩ অক্টোবর সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেয়।
আন্দোলনটি দেশভিত্তিক ভাগে বিভক্ত ছিল এবং প্রতিটি দেশের নিজস্ব মুখপাত্র ছিলেন।
ইতালীয় প্রতিনিধিদলের মুখপাত্র মারিয়া এলেনা দেলিয়া বলেন, প্রতিটি অঞ্চল নিজের এলাকায় সংগঠন গড়ে তুলেছিল—এই কাঠামোই সাফল্যের মূল।
বিশ্বের কাছে সরাসরি সম্প্রচার
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নিয়মিতভাবে এক্স, টেলিগ্রাম এবং ইনস্টাগ্রামে হালনাগাদ তথ্য দেয় এবং জাহাজে থাকা মানবাধিকারকর্মীদের সঙ্গে জুমের মাধ্যমে প্রেস কনফারেন্স করে।
নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি নকোসি জুয়েলিভেলিলে ম্যান্ডেলাও জাহাজে ছিলেন। থুনবার্গ জাহাজের ডেক থেকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন।
নৌযানগুলো থেকে সরাসরি সম্প্রচার চলছিল; পাশাপাশি যুক্ত করা হয়েছিল উন্নত ট্র্যাকিং ডিভাইস। গ্লাসগোয় বসে ম্যালকম ও তাঁর সহকর্মী ড্যানিয়েল পাওয়ার্স ‘ফরেনসিক আর্কিটেকচার’ নামে লন্ডনভিত্তিক গবেষণা দলের সঙ্গে মিলে ট্র্যাকিংয়ের ব্যাকআপ হিসেবে গারমিন ডিভাইস ও মোবাইল ফোন ব্যবহারের ব্যবস্থাও করেন।
বুধবার রাতে লাইভ ক্যামেরায় দেখা যায়, ইসরায়েলি সেনা নৌযানের ক্যাপ্টেনদের ইঞ্জিন বন্ধের নির্দেশ দিচ্ছে আর বন্দুক ও নাইটভিশন গগলস নিয়ে জাহাজে উঠছে।
নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী, অধিকারকর্মীরা তখন লাইফ জ্যাকেট পরে হাত উঁচিয়ে বসে ছিলেন।
ম্যালকম ও পাওয়ার্স গ্লাসগোতে তাঁদের স্টুডিও থেকে রাতভর ছবিগুলো দেখছিলেন এবং জাহাজগুলোর অবস্থান হালনাগাদ করছিলেন।
ম্যালকম বলেন, ‘মানুষের আগ্রহ আমরা দেখেছি। ওরা দেখতে চায়। এতে ইতিবাচক কিছু আছে, যেন সবাই মিলে মানবাধিকারকর্মীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে সাহায্য করতে চাইছে।’

ফিলিস্তিনের গাজায় খাবার এবং ওষুধ পৌঁছে দিতে যাত্রা করা আন্তর্জাতিক নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় গত বুধবার রাতে ইসরায়েলি সশস্ত্র সেনারা যখন হামলা চালায়, তখন স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে বসে দুজন ওয়েব ডেভেলপার তৎপর হয়ে ওঠেন বহরের নৌযানগুলোর গতিবিধি নজরে রাখতে। বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ সেই সময় অনলাইনে দেখছিলেন এসব নৌকার পরিণতির দিকগুলো।
নৌযানগুলোর ভেতরে থাকা ক্যামেরা থেকে সম্প্রচারিত ঝাপসা ফুটেজ ফ্লোটিলার ওয়েবসাইটে সরাসরি দেখানো হচ্ছিল। ডেভেলপাররা সেই মুহূর্তে নৌযানগুলোর অবস্থান হালনাগাদ করছিলেন এবং প্রতিটি জাহাজ দখলের ছোট ভিডিও পোস্ট করছিলেন। তাঁরা জানান, পোস্টগুলোতে ক্লিক করার সংখ্যা ছিল নজিরবিহীন। বুধবার সাইটটিতে ২৫ লাখ এবং পরদিন বৃহস্পতিবার ৩৫ লাখ ভিজিট রেকর্ড করা হয়েছে।
রেকট্যাঙ্গল নামের একটি ডিজাইন ও সফটওয়্যার কোম্পানির সহপরিচালক লিজি ম্যালকম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি এমন সংখ্যা আগে কখনো দেখিনি। অন্তত আমার তৈরি কোনো ওয়েবসাইটে নয়।’
নতুন ফ্লোটিলার প্রচারাভিযান
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করছিল। এই অবরোধের কারণে দুই বছরের ইসরায়েলি হামলায় গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
ফ্লোটিলাটিতে প্রায় ৫০০ সংসদ সদস্য, আইনজীবী, অধিকারকর্মীসহ ৪০টির বেশি বেসামরিক জাহাজ ছিল। তাঁদের মধ্যে সুইডেনের অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন।
ফ্লোটিলাটি গাজায় পৌঁছাতে পারেনি। জাহাজগুলোকে আটকে দিয়ে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ১০ দিনের মধ্যেই এটি ইসরায়েলি অবরোধবিরোধী সবচেয়ে আলোচিত প্রতিরোধ উদ্যোগে পরিণত হয়। সেই প্রচারণায় উৎসাহিত হয়ে ১১টি জাহাজের আরেকটি ফ্লোটিলা এরই মধ্যে রওনা দিয়েছে।
একটি সুসংগঠিত সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারণা, হালনাগাদ করা জাহাজ-ট্র্যাকিং প্রযুক্তি, স্মার্ট ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠনের মাধ্যমে এই মিশন ব্যাপক মনোযোগ ও সমর্থন লাভ করেছে, যা অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য একটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলনে শক্তি জুগিয়েছে।
ইসরায়েলের দাবি, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে তাদের নৌ অবরোধ বৈধ। তারা ফ্লোটিলাকে ‘উসকানিমূলক’ বলছে।
তবে নৌবহরটির প্রতি বিশ্বজুড়ে এরই মধ্যে ব্যাপক সহানুভূতি তৈরি হয়েছে। গত বুধবারের দখল অভিযানের পর ইউরোপজুড়ে, এমনকি আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো ও পাকিস্তানেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। কলম্বিয়া থেকে মালয়েশিয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সমালোচনা করেন নেতারা।
একটি আন্দোলনের জন্ম
গাজায় ২০০৭ সালে হামাসের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর ইসরায়েল অবরোধ আরোপ করে। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই অবরোধবিরোধী সচেতনতামূলক আন্দোলন নতুন গতি পায়।
সাম্প্রতিক এই প্রচারাভিযান আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
সেন্ট জর্জস, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক ড্যান মেরসিয়ার মতে, জুনের পর থেকে শুরু হওয়া রাজনৈতিক পরিবর্তনের ধারা থেকেও ফ্লোটিলা উপকৃত হয়েছে।
তিনি বলেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, ইসরায়েলের হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে। সাংস্কৃতিক প্রভাব এখন দৃশ্যমান আর ফ্লোটিলার ভূমিকা সেখানে গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে ‘মার্চ টু গাজা’ নামে একটি সংগঠন রাফাহ সীমান্তে যাত্রা আয়োজন করলেও মিসরীয় কর্তৃপক্ষ কর্মীদের বহিষ্কার করায় তা ব্যর্থ হয়। আরও কিছু ছোট নৌবহর অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করা হলেও সেগুলো তেমন আলোচনায় আসেনি।
গত জুনে তিউনিসিয়ায় বিভিন্ন সংগঠন মিলে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয় বৃহত্তর যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার।
এ বিষয়ে গ্রিক প্রতিনিধি আন্তোনিস ফারাস বলেন, ‘ভাবনাটা ছিল, আরও বড় কিছু করা দরকার। যোগাযোগ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।’
শুরু থেকে বিপুল সমর্থন
এভাবেই জন্ম নেয় গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা, যার লক্ষ্য স্পষ্ট—ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙা।
শুরু থেকে সংগঠনটি বিপুল সমর্থন পায়। গ্রিক প্রতিনিধি আন্তোনিস ফারাস জানান, যখন তাঁরা এই উদ্যোগে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান, ২০ হাজারের মতো আবেদন জমা পড়ে সে সময়।
ইতালিতে মিউজিক ফর পিস নামের এক দাতব্য সংস্থা ৪০ টন সাহায্যের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে অনুদান সংগ্রহ শুরু করে। মাত্র পাঁচ দিনে তারা ৫০০ টনের বেশি অনুদান সংগ্রহ করে ফেলে।
এভাবে ইউরোপজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক প্রস্তুতি। গ্রিক একটি দল ইউরোপের বিভিন্ন জায়গা থেকে ২৫টি নৌকা জোগাড় করে। অনুদানের আহ্বানে সাড়া আসে ব্যাপক পরিমাণে।
এদিকে ইতালির স্থানীয় সংগঠকেরা শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সেই ইউনিয়নগুলো সুমুদ ফ্লোটিলার প্রতি সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন বন্দর অঞ্চলে ধর্মঘটসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়।
ফল মেলে গত বুধবারই। ইসরায়েলি অভিযানের খবর ছড়াতেই ইতালির রাস্তায় নেমে আসে অসংখ্য মানুষ। শ্রমিক ইউনিয়নগুলো ৩ অক্টোবর সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেয়।
আন্দোলনটি দেশভিত্তিক ভাগে বিভক্ত ছিল এবং প্রতিটি দেশের নিজস্ব মুখপাত্র ছিলেন।
ইতালীয় প্রতিনিধিদলের মুখপাত্র মারিয়া এলেনা দেলিয়া বলেন, প্রতিটি অঞ্চল নিজের এলাকায় সংগঠন গড়ে তুলেছিল—এই কাঠামোই সাফল্যের মূল।
বিশ্বের কাছে সরাসরি সম্প্রচার
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নিয়মিতভাবে এক্স, টেলিগ্রাম এবং ইনস্টাগ্রামে হালনাগাদ তথ্য দেয় এবং জাহাজে থাকা মানবাধিকারকর্মীদের সঙ্গে জুমের মাধ্যমে প্রেস কনফারেন্স করে।
নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি নকোসি জুয়েলিভেলিলে ম্যান্ডেলাও জাহাজে ছিলেন। থুনবার্গ জাহাজের ডেক থেকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন।
নৌযানগুলো থেকে সরাসরি সম্প্রচার চলছিল; পাশাপাশি যুক্ত করা হয়েছিল উন্নত ট্র্যাকিং ডিভাইস। গ্লাসগোয় বসে ম্যালকম ও তাঁর সহকর্মী ড্যানিয়েল পাওয়ার্স ‘ফরেনসিক আর্কিটেকচার’ নামে লন্ডনভিত্তিক গবেষণা দলের সঙ্গে মিলে ট্র্যাকিংয়ের ব্যাকআপ হিসেবে গারমিন ডিভাইস ও মোবাইল ফোন ব্যবহারের ব্যবস্থাও করেন।
বুধবার রাতে লাইভ ক্যামেরায় দেখা যায়, ইসরায়েলি সেনা নৌযানের ক্যাপ্টেনদের ইঞ্জিন বন্ধের নির্দেশ দিচ্ছে আর বন্দুক ও নাইটভিশন গগলস নিয়ে জাহাজে উঠছে।
নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী, অধিকারকর্মীরা তখন লাইফ জ্যাকেট পরে হাত উঁচিয়ে বসে ছিলেন।
ম্যালকম ও পাওয়ার্স গ্লাসগোতে তাঁদের স্টুডিও থেকে রাতভর ছবিগুলো দেখছিলেন এবং জাহাজগুলোর অবস্থান হালনাগাদ করছিলেন।
ম্যালকম বলেন, ‘মানুষের আগ্রহ আমরা দেখেছি। ওরা দেখতে চায়। এতে ইতিবাচক কিছু আছে, যেন সবাই মিলে মানবাধিকারকর্মীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে সাহায্য করতে চাইছে।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফিলিস্তিনের গাজায় খাবার এবং ওষুধ পৌঁছে দিতে যাত্রা করা আন্তর্জাতিক নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় গত বুধবার রাতে ইসরায়েলি সশস্ত্র সেনারা যখন হামলা চালায়, তখন স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে বসে দুজন ওয়েব ডেভেলপার তৎপর হয়ে ওঠেন বহরের নৌযানগুলোর গতিবিধি নজরে রাখতে। বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ সেই সময় অনলাইনে দেখছিলেন এসব নৌকার পরিণতির দিকগুলো।
নৌযানগুলোর ভেতরে থাকা ক্যামেরা থেকে সম্প্রচারিত ঝাপসা ফুটেজ ফ্লোটিলার ওয়েবসাইটে সরাসরি দেখানো হচ্ছিল। ডেভেলপাররা সেই মুহূর্তে নৌযানগুলোর অবস্থান হালনাগাদ করছিলেন এবং প্রতিটি জাহাজ দখলের ছোট ভিডিও পোস্ট করছিলেন। তাঁরা জানান, পোস্টগুলোতে ক্লিক করার সংখ্যা ছিল নজিরবিহীন। বুধবার সাইটটিতে ২৫ লাখ এবং পরদিন বৃহস্পতিবার ৩৫ লাখ ভিজিট রেকর্ড করা হয়েছে।
রেকট্যাঙ্গল নামের একটি ডিজাইন ও সফটওয়্যার কোম্পানির সহপরিচালক লিজি ম্যালকম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি এমন সংখ্যা আগে কখনো দেখিনি। অন্তত আমার তৈরি কোনো ওয়েবসাইটে নয়।’
নতুন ফ্লোটিলার প্রচারাভিযান
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করছিল। এই অবরোধের কারণে দুই বছরের ইসরায়েলি হামলায় গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
ফ্লোটিলাটিতে প্রায় ৫০০ সংসদ সদস্য, আইনজীবী, অধিকারকর্মীসহ ৪০টির বেশি বেসামরিক জাহাজ ছিল। তাঁদের মধ্যে সুইডেনের অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন।
ফ্লোটিলাটি গাজায় পৌঁছাতে পারেনি। জাহাজগুলোকে আটকে দিয়ে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ১০ দিনের মধ্যেই এটি ইসরায়েলি অবরোধবিরোধী সবচেয়ে আলোচিত প্রতিরোধ উদ্যোগে পরিণত হয়। সেই প্রচারণায় উৎসাহিত হয়ে ১১টি জাহাজের আরেকটি ফ্লোটিলা এরই মধ্যে রওনা দিয়েছে।
একটি সুসংগঠিত সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারণা, হালনাগাদ করা জাহাজ-ট্র্যাকিং প্রযুক্তি, স্মার্ট ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠনের মাধ্যমে এই মিশন ব্যাপক মনোযোগ ও সমর্থন লাভ করেছে, যা অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য একটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলনে শক্তি জুগিয়েছে।
ইসরায়েলের দাবি, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে তাদের নৌ অবরোধ বৈধ। তারা ফ্লোটিলাকে ‘উসকানিমূলক’ বলছে।
তবে নৌবহরটির প্রতি বিশ্বজুড়ে এরই মধ্যে ব্যাপক সহানুভূতি তৈরি হয়েছে। গত বুধবারের দখল অভিযানের পর ইউরোপজুড়ে, এমনকি আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো ও পাকিস্তানেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। কলম্বিয়া থেকে মালয়েশিয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সমালোচনা করেন নেতারা।
একটি আন্দোলনের জন্ম
গাজায় ২০০৭ সালে হামাসের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর ইসরায়েল অবরোধ আরোপ করে। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই অবরোধবিরোধী সচেতনতামূলক আন্দোলন নতুন গতি পায়।
সাম্প্রতিক এই প্রচারাভিযান আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
সেন্ট জর্জস, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক ড্যান মেরসিয়ার মতে, জুনের পর থেকে শুরু হওয়া রাজনৈতিক পরিবর্তনের ধারা থেকেও ফ্লোটিলা উপকৃত হয়েছে।
তিনি বলেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, ইসরায়েলের হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে। সাংস্কৃতিক প্রভাব এখন দৃশ্যমান আর ফ্লোটিলার ভূমিকা সেখানে গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে ‘মার্চ টু গাজা’ নামে একটি সংগঠন রাফাহ সীমান্তে যাত্রা আয়োজন করলেও মিসরীয় কর্তৃপক্ষ কর্মীদের বহিষ্কার করায় তা ব্যর্থ হয়। আরও কিছু ছোট নৌবহর অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করা হলেও সেগুলো তেমন আলোচনায় আসেনি।
গত জুনে তিউনিসিয়ায় বিভিন্ন সংগঠন মিলে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয় বৃহত্তর যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার।
এ বিষয়ে গ্রিক প্রতিনিধি আন্তোনিস ফারাস বলেন, ‘ভাবনাটা ছিল, আরও বড় কিছু করা দরকার। যোগাযোগ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।’
শুরু থেকে বিপুল সমর্থন
এভাবেই জন্ম নেয় গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা, যার লক্ষ্য স্পষ্ট—ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙা।
শুরু থেকে সংগঠনটি বিপুল সমর্থন পায়। গ্রিক প্রতিনিধি আন্তোনিস ফারাস জানান, যখন তাঁরা এই উদ্যোগে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান, ২০ হাজারের মতো আবেদন জমা পড়ে সে সময়।
ইতালিতে মিউজিক ফর পিস নামের এক দাতব্য সংস্থা ৪০ টন সাহায্যের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে অনুদান সংগ্রহ শুরু করে। মাত্র পাঁচ দিনে তারা ৫০০ টনের বেশি অনুদান সংগ্রহ করে ফেলে।
এভাবে ইউরোপজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক প্রস্তুতি। গ্রিক একটি দল ইউরোপের বিভিন্ন জায়গা থেকে ২৫টি নৌকা জোগাড় করে। অনুদানের আহ্বানে সাড়া আসে ব্যাপক পরিমাণে।
এদিকে ইতালির স্থানীয় সংগঠকেরা শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সেই ইউনিয়নগুলো সুমুদ ফ্লোটিলার প্রতি সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন বন্দর অঞ্চলে ধর্মঘটসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়।
ফল মেলে গত বুধবারই। ইসরায়েলি অভিযানের খবর ছড়াতেই ইতালির রাস্তায় নেমে আসে অসংখ্য মানুষ। শ্রমিক ইউনিয়নগুলো ৩ অক্টোবর সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেয়।
আন্দোলনটি দেশভিত্তিক ভাগে বিভক্ত ছিল এবং প্রতিটি দেশের নিজস্ব মুখপাত্র ছিলেন।
ইতালীয় প্রতিনিধিদলের মুখপাত্র মারিয়া এলেনা দেলিয়া বলেন, প্রতিটি অঞ্চল নিজের এলাকায় সংগঠন গড়ে তুলেছিল—এই কাঠামোই সাফল্যের মূল।
বিশ্বের কাছে সরাসরি সম্প্রচার
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নিয়মিতভাবে এক্স, টেলিগ্রাম এবং ইনস্টাগ্রামে হালনাগাদ তথ্য দেয় এবং জাহাজে থাকা মানবাধিকারকর্মীদের সঙ্গে জুমের মাধ্যমে প্রেস কনফারেন্স করে।
নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি নকোসি জুয়েলিভেলিলে ম্যান্ডেলাও জাহাজে ছিলেন। থুনবার্গ জাহাজের ডেক থেকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন।
নৌযানগুলো থেকে সরাসরি সম্প্রচার চলছিল; পাশাপাশি যুক্ত করা হয়েছিল উন্নত ট্র্যাকিং ডিভাইস। গ্লাসগোয় বসে ম্যালকম ও তাঁর সহকর্মী ড্যানিয়েল পাওয়ার্স ‘ফরেনসিক আর্কিটেকচার’ নামে লন্ডনভিত্তিক গবেষণা দলের সঙ্গে মিলে ট্র্যাকিংয়ের ব্যাকআপ হিসেবে গারমিন ডিভাইস ও মোবাইল ফোন ব্যবহারের ব্যবস্থাও করেন।
বুধবার রাতে লাইভ ক্যামেরায় দেখা যায়, ইসরায়েলি সেনা নৌযানের ক্যাপ্টেনদের ইঞ্জিন বন্ধের নির্দেশ দিচ্ছে আর বন্দুক ও নাইটভিশন গগলস নিয়ে জাহাজে উঠছে।
নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী, অধিকারকর্মীরা তখন লাইফ জ্যাকেট পরে হাত উঁচিয়ে বসে ছিলেন।
ম্যালকম ও পাওয়ার্স গ্লাসগোতে তাঁদের স্টুডিও থেকে রাতভর ছবিগুলো দেখছিলেন এবং জাহাজগুলোর অবস্থান হালনাগাদ করছিলেন।
ম্যালকম বলেন, ‘মানুষের আগ্রহ আমরা দেখেছি। ওরা দেখতে চায়। এতে ইতিবাচক কিছু আছে, যেন সবাই মিলে মানবাধিকারকর্মীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে সাহায্য করতে চাইছে।’

ফিলিস্তিনের গাজায় খাবার এবং ওষুধ পৌঁছে দিতে যাত্রা করা আন্তর্জাতিক নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় গত বুধবার রাতে ইসরায়েলি সশস্ত্র সেনারা যখন হামলা চালায়, তখন স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে বসে দুজন ওয়েব ডেভেলপার তৎপর হয়ে ওঠেন বহরের নৌযানগুলোর গতিবিধি নজরে রাখতে। বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ সেই সময় অনলাইনে দেখছিলেন এসব নৌকার পরিণতির দিকগুলো।
নৌযানগুলোর ভেতরে থাকা ক্যামেরা থেকে সম্প্রচারিত ঝাপসা ফুটেজ ফ্লোটিলার ওয়েবসাইটে সরাসরি দেখানো হচ্ছিল। ডেভেলপাররা সেই মুহূর্তে নৌযানগুলোর অবস্থান হালনাগাদ করছিলেন এবং প্রতিটি জাহাজ দখলের ছোট ভিডিও পোস্ট করছিলেন। তাঁরা জানান, পোস্টগুলোতে ক্লিক করার সংখ্যা ছিল নজিরবিহীন। বুধবার সাইটটিতে ২৫ লাখ এবং পরদিন বৃহস্পতিবার ৩৫ লাখ ভিজিট রেকর্ড করা হয়েছে।
রেকট্যাঙ্গল নামের একটি ডিজাইন ও সফটওয়্যার কোম্পানির সহপরিচালক লিজি ম্যালকম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি এমন সংখ্যা আগে কখনো দেখিনি। অন্তত আমার তৈরি কোনো ওয়েবসাইটে নয়।’
নতুন ফ্লোটিলার প্রচারাভিযান
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করছিল। এই অবরোধের কারণে দুই বছরের ইসরায়েলি হামলায় গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
ফ্লোটিলাটিতে প্রায় ৫০০ সংসদ সদস্য, আইনজীবী, অধিকারকর্মীসহ ৪০টির বেশি বেসামরিক জাহাজ ছিল। তাঁদের মধ্যে সুইডেনের অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন।
ফ্লোটিলাটি গাজায় পৌঁছাতে পারেনি। জাহাজগুলোকে আটকে দিয়ে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ১০ দিনের মধ্যেই এটি ইসরায়েলি অবরোধবিরোধী সবচেয়ে আলোচিত প্রতিরোধ উদ্যোগে পরিণত হয়। সেই প্রচারণায় উৎসাহিত হয়ে ১১টি জাহাজের আরেকটি ফ্লোটিলা এরই মধ্যে রওনা দিয়েছে।
একটি সুসংগঠিত সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারণা, হালনাগাদ করা জাহাজ-ট্র্যাকিং প্রযুক্তি, স্মার্ট ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠনের মাধ্যমে এই মিশন ব্যাপক মনোযোগ ও সমর্থন লাভ করেছে, যা অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য একটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলনে শক্তি জুগিয়েছে।
ইসরায়েলের দাবি, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে তাদের নৌ অবরোধ বৈধ। তারা ফ্লোটিলাকে ‘উসকানিমূলক’ বলছে।
তবে নৌবহরটির প্রতি বিশ্বজুড়ে এরই মধ্যে ব্যাপক সহানুভূতি তৈরি হয়েছে। গত বুধবারের দখল অভিযানের পর ইউরোপজুড়ে, এমনকি আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো ও পাকিস্তানেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। কলম্বিয়া থেকে মালয়েশিয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সমালোচনা করেন নেতারা।
একটি আন্দোলনের জন্ম
গাজায় ২০০৭ সালে হামাসের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর ইসরায়েল অবরোধ আরোপ করে। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই অবরোধবিরোধী সচেতনতামূলক আন্দোলন নতুন গতি পায়।
সাম্প্রতিক এই প্রচারাভিযান আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
সেন্ট জর্জস, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক ড্যান মেরসিয়ার মতে, জুনের পর থেকে শুরু হওয়া রাজনৈতিক পরিবর্তনের ধারা থেকেও ফ্লোটিলা উপকৃত হয়েছে।
তিনি বলেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, ইসরায়েলের হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে। সাংস্কৃতিক প্রভাব এখন দৃশ্যমান আর ফ্লোটিলার ভূমিকা সেখানে গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে ‘মার্চ টু গাজা’ নামে একটি সংগঠন রাফাহ সীমান্তে যাত্রা আয়োজন করলেও মিসরীয় কর্তৃপক্ষ কর্মীদের বহিষ্কার করায় তা ব্যর্থ হয়। আরও কিছু ছোট নৌবহর অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করা হলেও সেগুলো তেমন আলোচনায় আসেনি।
গত জুনে তিউনিসিয়ায় বিভিন্ন সংগঠন মিলে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয় বৃহত্তর যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার।
এ বিষয়ে গ্রিক প্রতিনিধি আন্তোনিস ফারাস বলেন, ‘ভাবনাটা ছিল, আরও বড় কিছু করা দরকার। যোগাযোগ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।’
শুরু থেকে বিপুল সমর্থন
এভাবেই জন্ম নেয় গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা, যার লক্ষ্য স্পষ্ট—ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙা।
শুরু থেকে সংগঠনটি বিপুল সমর্থন পায়। গ্রিক প্রতিনিধি আন্তোনিস ফারাস জানান, যখন তাঁরা এই উদ্যোগে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান, ২০ হাজারের মতো আবেদন জমা পড়ে সে সময়।
ইতালিতে মিউজিক ফর পিস নামের এক দাতব্য সংস্থা ৪০ টন সাহায্যের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে অনুদান সংগ্রহ শুরু করে। মাত্র পাঁচ দিনে তারা ৫০০ টনের বেশি অনুদান সংগ্রহ করে ফেলে।
এভাবে ইউরোপজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক প্রস্তুতি। গ্রিক একটি দল ইউরোপের বিভিন্ন জায়গা থেকে ২৫টি নৌকা জোগাড় করে। অনুদানের আহ্বানে সাড়া আসে ব্যাপক পরিমাণে।
এদিকে ইতালির স্থানীয় সংগঠকেরা শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সেই ইউনিয়নগুলো সুমুদ ফ্লোটিলার প্রতি সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন বন্দর অঞ্চলে ধর্মঘটসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়।
ফল মেলে গত বুধবারই। ইসরায়েলি অভিযানের খবর ছড়াতেই ইতালির রাস্তায় নেমে আসে অসংখ্য মানুষ। শ্রমিক ইউনিয়নগুলো ৩ অক্টোবর সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেয়।
আন্দোলনটি দেশভিত্তিক ভাগে বিভক্ত ছিল এবং প্রতিটি দেশের নিজস্ব মুখপাত্র ছিলেন।
ইতালীয় প্রতিনিধিদলের মুখপাত্র মারিয়া এলেনা দেলিয়া বলেন, প্রতিটি অঞ্চল নিজের এলাকায় সংগঠন গড়ে তুলেছিল—এই কাঠামোই সাফল্যের মূল।
বিশ্বের কাছে সরাসরি সম্প্রচার
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নিয়মিতভাবে এক্স, টেলিগ্রাম এবং ইনস্টাগ্রামে হালনাগাদ তথ্য দেয় এবং জাহাজে থাকা মানবাধিকারকর্মীদের সঙ্গে জুমের মাধ্যমে প্রেস কনফারেন্স করে।
নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি নকোসি জুয়েলিভেলিলে ম্যান্ডেলাও জাহাজে ছিলেন। থুনবার্গ জাহাজের ডেক থেকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন।
নৌযানগুলো থেকে সরাসরি সম্প্রচার চলছিল; পাশাপাশি যুক্ত করা হয়েছিল উন্নত ট্র্যাকিং ডিভাইস। গ্লাসগোয় বসে ম্যালকম ও তাঁর সহকর্মী ড্যানিয়েল পাওয়ার্স ‘ফরেনসিক আর্কিটেকচার’ নামে লন্ডনভিত্তিক গবেষণা দলের সঙ্গে মিলে ট্র্যাকিংয়ের ব্যাকআপ হিসেবে গারমিন ডিভাইস ও মোবাইল ফোন ব্যবহারের ব্যবস্থাও করেন।
বুধবার রাতে লাইভ ক্যামেরায় দেখা যায়, ইসরায়েলি সেনা নৌযানের ক্যাপ্টেনদের ইঞ্জিন বন্ধের নির্দেশ দিচ্ছে আর বন্দুক ও নাইটভিশন গগলস নিয়ে জাহাজে উঠছে।
নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী, অধিকারকর্মীরা তখন লাইফ জ্যাকেট পরে হাত উঁচিয়ে বসে ছিলেন।
ম্যালকম ও পাওয়ার্স গ্লাসগোতে তাঁদের স্টুডিও থেকে রাতভর ছবিগুলো দেখছিলেন এবং জাহাজগুলোর অবস্থান হালনাগাদ করছিলেন।
ম্যালকম বলেন, ‘মানুষের আগ্রহ আমরা দেখেছি। ওরা দেখতে চায়। এতে ইতিবাচক কিছু আছে, যেন সবাই মিলে মানবাধিকারকর্মীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে সাহায্য করতে চাইছে।’

ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৩ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সশস্ত্র হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন এক পথচারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সেই পথচারী হাজারো মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন।
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
অকস্মাৎ পেছন থেকে জাপটে ধরায় হামলাকারী ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং পিছু হটেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পথচারীর এমন সাহসী পদক্ষেপে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।
যদিও ওই পথচারীর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে তাঁর এই অবিশ্বাস্য সাহসিকতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক ব্যক্তি ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হিরো (একজন সাধারণ বেসামরিক) হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন। কেউ কেউ সাহসী আর কেউ কেউ...এই ধরনের।’ অন্য একজন বলেছেন, ‘এই অস্ট্রেলিয়ান বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসীদের একজনকে নিরস্ত্র করে অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছেন। হিরো।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স এটিকে তাঁর দেখা ‘সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই লোকটি একজন প্রকৃত হিরো। তিনি নির্ভয়ে হামলাকারীর দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করলেন এবং অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বিপন্ন করলেন। আমি নিশ্চিত যে, ওই ব্যক্তির সাহসিকতার জন্যই অনেক মানুষ বেঁচে আছেন।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও হামলার সময় অন্যদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসা নাগরিকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই অস্ট্রেলীয়রা বিপদেও ছুটে গেছেন অন্যদের রক্ষা করতে। তাঁদের সাহসিকতাই অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।
উল্লেখ্য, গুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত হামলাকারীসহ ১২ জন নিহত বলে জানা গেছে। দুই হামলাকারীর মধ্যে একজন গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের হেফাজতে আছেন। এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো বন্দুকধারী জড়িত ছিলেন কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সশস্ত্র হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন এক পথচারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সেই পথচারী হাজারো মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন।
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
অকস্মাৎ পেছন থেকে জাপটে ধরায় হামলাকারী ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং পিছু হটেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পথচারীর এমন সাহসী পদক্ষেপে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।
যদিও ওই পথচারীর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে তাঁর এই অবিশ্বাস্য সাহসিকতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক ব্যক্তি ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হিরো (একজন সাধারণ বেসামরিক) হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন। কেউ কেউ সাহসী আর কেউ কেউ...এই ধরনের।’ অন্য একজন বলেছেন, ‘এই অস্ট্রেলিয়ান বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসীদের একজনকে নিরস্ত্র করে অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছেন। হিরো।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স এটিকে তাঁর দেখা ‘সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই লোকটি একজন প্রকৃত হিরো। তিনি নির্ভয়ে হামলাকারীর দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করলেন এবং অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বিপন্ন করলেন। আমি নিশ্চিত যে, ওই ব্যক্তির সাহসিকতার জন্যই অনেক মানুষ বেঁচে আছেন।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও হামলার সময় অন্যদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসা নাগরিকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই অস্ট্রেলীয়রা বিপদেও ছুটে গেছেন অন্যদের রক্ষা করতে। তাঁদের সাহসিকতাই অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।
উল্লেখ্য, গুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত হামলাকারীসহ ১২ জন নিহত বলে জানা গেছে। দুই হামলাকারীর মধ্যে একজন গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের হেফাজতে আছেন। এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো বন্দুকধারী জড়িত ছিলেন কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

নৌযানগুলোর ভেতরে থাকা ক্যামেরা থেকে সম্প্রচারিত ঝাপসা ফুটেজ ফ্লোটিলার ওয়েবসাইটে সরাসরি দেখানো হচ্ছিল। ডেভেলপাররা সেই মুহূর্তে নৌযানগুলোর অবস্থান হালনাগাদ করছিলেন এবং প্রতিটি জাহাজ দখলের ছোট ভিডিও পোস্ট করছিলেন। তাঁরা জানান, পোস্টগুলোতে ক্লিক করার সংখ্যা ছিল নজিরবিহীন।
০৪ অক্টোবর ২০২৫
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৩ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জার্মানির বার্লিনে বৈঠকের প্রাক্কালে তিনি জানান—ন্যাটো সদস্যপদের বদলে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী ও আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেলে সেটিকে একটি সমঝোতা হিসেবে বিবেচনা করতে প্রস্তুত কিয়েভ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে জেলেনস্কি বলেন, শুরু থেকেই ইউক্রেনের প্রকৃত লক্ষ্য ছিল ন্যাটো সদস্যপদ, যা দেশটির নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে কার্যকর গ্যারান্টি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এই পথে সমর্থন না দেওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে। তাঁর ভাষায়—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ‘আর্টিকেল ফাইভ’-এর মতো প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি এবং ইউরোপ, কানাডা ও জাপানের কাছ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এসব নিশ্চয়তা অবশ্যই আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হতে হবে।
এই অবস্থান ইউক্রেনের জন্য একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন। কারণ দেশটির সংবিধানেই ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে এটি রাশিয়ার যুদ্ধলক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করেই ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছিল রুশ বাহিনী। তবে বর্তমানে তারা ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের দখলও নিতে চাইছে। তবে মস্কোর কাছে ভূখণ্ড ছাড় না দিতে এখনো অনড় রয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার দাবি করে আসছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে এবং দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে হবে এবং সেখানে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা যাবে না।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের চাপের মুখে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বার্লিনে আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি প্রায় চার বছর আগে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের অবসানে অগ্রগতির সম্ভাবনার ইঙ্গিত।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন—ইউক্রেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র মিলিয়ে একটি ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে, যার শেষ ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনা করছে না।
ইউরোপীয় মিত্ররা এই সময়টিকে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য একটি ‘সংকটজনক মুহূর্ত’ হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ, তাপ ও পানিসেবা অবকাঠামো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মানবিক সংকটও গভীর হচ্ছে। জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করে ইউক্রেনের জনগণের ওপর সর্বোচ্চ ক্ষতি চাপিয়ে দিতে চাইছে।

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জার্মানির বার্লিনে বৈঠকের প্রাক্কালে তিনি জানান—ন্যাটো সদস্যপদের বদলে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী ও আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেলে সেটিকে একটি সমঝোতা হিসেবে বিবেচনা করতে প্রস্তুত কিয়েভ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে জেলেনস্কি বলেন, শুরু থেকেই ইউক্রেনের প্রকৃত লক্ষ্য ছিল ন্যাটো সদস্যপদ, যা দেশটির নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে কার্যকর গ্যারান্টি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এই পথে সমর্থন না দেওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে। তাঁর ভাষায়—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ‘আর্টিকেল ফাইভ’-এর মতো প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি এবং ইউরোপ, কানাডা ও জাপানের কাছ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এসব নিশ্চয়তা অবশ্যই আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হতে হবে।
এই অবস্থান ইউক্রেনের জন্য একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন। কারণ দেশটির সংবিধানেই ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে এটি রাশিয়ার যুদ্ধলক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করেই ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছিল রুশ বাহিনী। তবে বর্তমানে তারা ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের দখলও নিতে চাইছে। তবে মস্কোর কাছে ভূখণ্ড ছাড় না দিতে এখনো অনড় রয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার দাবি করে আসছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে এবং দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে হবে এবং সেখানে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা যাবে না।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের চাপের মুখে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বার্লিনে আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি প্রায় চার বছর আগে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের অবসানে অগ্রগতির সম্ভাবনার ইঙ্গিত।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন—ইউক্রেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র মিলিয়ে একটি ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে, যার শেষ ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনা করছে না।
ইউরোপীয় মিত্ররা এই সময়টিকে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য একটি ‘সংকটজনক মুহূর্ত’ হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ, তাপ ও পানিসেবা অবকাঠামো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মানবিক সংকটও গভীর হচ্ছে। জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করে ইউক্রেনের জনগণের ওপর সর্বোচ্চ ক্ষতি চাপিয়ে দিতে চাইছে।

নৌযানগুলোর ভেতরে থাকা ক্যামেরা থেকে সম্প্রচারিত ঝাপসা ফুটেজ ফ্লোটিলার ওয়েবসাইটে সরাসরি দেখানো হচ্ছিল। ডেভেলপাররা সেই মুহূর্তে নৌযানগুলোর অবস্থান হালনাগাদ করছিলেন এবং প্রতিটি জাহাজ দখলের ছোট ভিডিও পোস্ট করছিলেন। তাঁরা জানান, পোস্টগুলোতে ক্লিক করার সংখ্যা ছিল নজিরবিহীন।
০৪ অক্টোবর ২০২৫
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৩ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আত্মরক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থী ডেস্কের নিচে লুকিয়ে পড়েছিলেন। তবে ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতা অন্তত দুই শিক্ষার্থীর কাছে নতুন কিছু ছিল না। এর আগেও তাঁরা স্কুল জীবনে এই ধরনের গোলাগুলির মুখে পড়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সী মিয়া ট্রেটা এবং ২০ বছর বয়সী জোয়ে ওয়েইসম্যান—দুজনেই অতীতে ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি যে অনুভূতিটা হচ্ছে তা হলো—এই দেশ কীভাবে আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে দিল?’
শনিবার কালো পোশাক পরা এক বন্দুকধারী ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে গুলি চালানো শুরু করলে ক্যাম্পাসে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজন হামলাকারী দীর্ঘ সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় শত শত পুলিশ রাতভর ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়।
ওয়েইসম্যান তখন নিজের ডরমিটরিতেই ছিলেন। এক বন্ধুর ফোন পেয়ে তিনি জানতে পারেন ক্যাম্পাসে গুলিবর্ষণ চলছে। প্রথমে ভয় পেলেও সেই আতঙ্ক দ্রুত ক্ষোভে রূপ নেয়। এনবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, জীবনে আর কখনো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে না। আট বছর পর আবারও সেই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি।’
২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে নিজের মিডল স্কুলের পাশের একটি হাইস্কুলে ভয়াবহ শুটিং প্রত্যক্ষ করেছিলেন ওয়েইসম্যান। ওই ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।
অন্যদিকে, মিয়া ট্রেটা ২০১৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে সগাস হাইস্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তখন ১৬ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী হামলা চালিয়ে দুজনকে হত্যা করে, যাদের একজন ছিলেন ট্রেটার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গুলিতে ট্রেটার পেট গুরুতরভাবে জখম হয়েছিল।
শনিবারের ঘটনার সময় নিজের ডরমিটরিতে পড়াশোনা করছিলেন ট্রেটা। তিনি মূলত যে ভবনে হামলাটি ঘটে সেখানে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ক্লান্ত বোধ করায় শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান—যা কার্যত তার প্রাণ বাঁচায়।
এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘদিনের দাবিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যমতে, চলতি বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮৯টি গণ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫০০-এর বেশি।
ট্রেটা ও ওয়েইসম্যান দুজনই বলছেন, তাঁরা কখনো ভাবেননি দ্বিতীয়বার এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমি নিজেকে বোঝাতাম—পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটা আর কখনো ঘটবে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আর কেউই এমন নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আত্মরক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থী ডেস্কের নিচে লুকিয়ে পড়েছিলেন। তবে ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতা অন্তত দুই শিক্ষার্থীর কাছে নতুন কিছু ছিল না। এর আগেও তাঁরা স্কুল জীবনে এই ধরনের গোলাগুলির মুখে পড়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সী মিয়া ট্রেটা এবং ২০ বছর বয়সী জোয়ে ওয়েইসম্যান—দুজনেই অতীতে ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি যে অনুভূতিটা হচ্ছে তা হলো—এই দেশ কীভাবে আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে দিল?’
শনিবার কালো পোশাক পরা এক বন্দুকধারী ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে গুলি চালানো শুরু করলে ক্যাম্পাসে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজন হামলাকারী দীর্ঘ সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় শত শত পুলিশ রাতভর ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়।
ওয়েইসম্যান তখন নিজের ডরমিটরিতেই ছিলেন। এক বন্ধুর ফোন পেয়ে তিনি জানতে পারেন ক্যাম্পাসে গুলিবর্ষণ চলছে। প্রথমে ভয় পেলেও সেই আতঙ্ক দ্রুত ক্ষোভে রূপ নেয়। এনবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, জীবনে আর কখনো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে না। আট বছর পর আবারও সেই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি।’
২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে নিজের মিডল স্কুলের পাশের একটি হাইস্কুলে ভয়াবহ শুটিং প্রত্যক্ষ করেছিলেন ওয়েইসম্যান। ওই ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।
অন্যদিকে, মিয়া ট্রেটা ২০১৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে সগাস হাইস্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তখন ১৬ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী হামলা চালিয়ে দুজনকে হত্যা করে, যাদের একজন ছিলেন ট্রেটার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গুলিতে ট্রেটার পেট গুরুতরভাবে জখম হয়েছিল।
শনিবারের ঘটনার সময় নিজের ডরমিটরিতে পড়াশোনা করছিলেন ট্রেটা। তিনি মূলত যে ভবনে হামলাটি ঘটে সেখানে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ক্লান্ত বোধ করায় শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান—যা কার্যত তার প্রাণ বাঁচায়।
এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘদিনের দাবিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যমতে, চলতি বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮৯টি গণ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫০০-এর বেশি।
ট্রেটা ও ওয়েইসম্যান দুজনই বলছেন, তাঁরা কখনো ভাবেননি দ্বিতীয়বার এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমি নিজেকে বোঝাতাম—পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটা আর কখনো ঘটবে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আর কেউই এমন নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’

নৌযানগুলোর ভেতরে থাকা ক্যামেরা থেকে সম্প্রচারিত ঝাপসা ফুটেজ ফ্লোটিলার ওয়েবসাইটে সরাসরি দেখানো হচ্ছিল। ডেভেলপাররা সেই মুহূর্তে নৌযানগুলোর অবস্থান হালনাগাদ করছিলেন এবং প্রতিটি জাহাজ দখলের ছোট ভিডিও পোস্ট করছিলেন। তাঁরা জানান, পোস্টগুলোতে ক্লিক করার সংখ্যা ছিল নজিরবিহীন।
০৪ অক্টোবর ২০২৫
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়, আর মানুষ প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে হামলার মুহূর্তটির বর্ণনা দিয়েছেন মার্কোস কারভালহো নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী। গুলির শব্দকে আতশবাজি ভেবেছিলেন তিনিও। কারভালহো জানান, সারা দিন সমুদ্রসৈকতে থাকার পর তিনি নিজের জিনিসপত্র গোছাচ্ছিলেন। এমন সময়ই গুলির শব্দ ভেসে আসে।
তিনি বলেন, ‘এক মিলিয়ন বছরেও ভাবিনি, বন্ডির মতো জায়গায় এমন গুলিবর্ষণ হতে পারে।’ তিনি জানান, মানুষ যখন বুঝতে শুরু করে কী হচ্ছে, তখনই সবাই দিগ্বিদিক ছুটে পালাতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করেন তিনি নিজেও।
কারভালহো বলেন, ‘আমি প্রাণ বাঁচাতে নর্থ বন্ডি গ্রাসি নলের দিকে দৌড়াই। পরে আরও কয়েকজন সহ আমরা একটি একটি আইসক্রিম ভ্যানের পেছনে লুকাই।’
জরুরি সেবা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরই গুলির শব্দ থামে। এরপর হামলার জায়গাটির পাশ দিয়েই বাড়ি ফেরেন কারভালহো। এ সময় তিনি মাটিতে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, বন্ডাই বিচে উপস্থিত ছিলেন হাইম লেভি। তিনি ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-কে জানান, হানুকা উৎসবের সময় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি সৈকতে বসেছিলেন। তখনই হামলা শুরু হয়। লেভি বলেন, ‘হঠাৎ ধোঁয়া দেখলাম, আর গুলির শব্দ শুনলাম। প্রথমে বুঝতে পারিনি গুলি আকাশে ছোড়া হচ্ছে নাকি ভিড়ের দিকে। তবে তাৎক্ষণিকভাবেই বোঝা গেল ভয়াবহ কিছু ঘটছে।’
লেভি জানান, তিনি স্ত্রীকে দৌড়াতে বলেন। পরে মেয়েকে নিয়ে ছুটতে শুরু করেন স্ত্রী, আর ছেলেকে নিয়ে একটি গাড়ির পেছনে লুকিয়ে পড়েন তিনি। প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাঁদের মাথার ওপর দিয়ে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। পরে একটি বেড়া টপকে ছেলেকে নিয়ে গাড়ির কাছে পৌঁছান। খুঁজে পান স্ত্রীকেও। তাঁরা দ্রুত সেখান থেকে কেটে পড়েন।
লেভি আরও জানান, হামলার মুহূর্তটিকে তাঁর দুই বছর বয়সী ছেলে কান্না করছিল। গুলিবর্ষণকারীরা শুনে ফেললে মেরে ফেলতে পারে—এমন ভয়ে তিনি ছেলের মুখ চেপে ধরেন।
অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমবর্ধমান ইহুদিবিদ্বেষের সমালোচনা করে লেভি বলেন, ‘এমন কিছু যে ঘটবে, তা স্পষ্ট ছিল। কিন্তু কখনো ভাবিনি আমি নিজে পরিবার নিয়ে এর মাঝখানে পড়ব।’ গুলিবর্ষণের মধ্যে দিয়ে বেঁচে ফেরাকে তিনি ‘অলৌকিক’ বলেই মনে করছেন লেভি।
অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বন্ডি বিচ ও এর সংলগ্ন এলাকায় বড় আকারের অপারেশন শুরু করেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ ‘এক্স’ হ্যান্ডলে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুলিশি অভিযান এখনো চলছে এবং জনসাধারণকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়, আর মানুষ প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে হামলার মুহূর্তটির বর্ণনা দিয়েছেন মার্কোস কারভালহো নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী। গুলির শব্দকে আতশবাজি ভেবেছিলেন তিনিও। কারভালহো জানান, সারা দিন সমুদ্রসৈকতে থাকার পর তিনি নিজের জিনিসপত্র গোছাচ্ছিলেন। এমন সময়ই গুলির শব্দ ভেসে আসে।
তিনি বলেন, ‘এক মিলিয়ন বছরেও ভাবিনি, বন্ডির মতো জায়গায় এমন গুলিবর্ষণ হতে পারে।’ তিনি জানান, মানুষ যখন বুঝতে শুরু করে কী হচ্ছে, তখনই সবাই দিগ্বিদিক ছুটে পালাতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করেন তিনি নিজেও।
কারভালহো বলেন, ‘আমি প্রাণ বাঁচাতে নর্থ বন্ডি গ্রাসি নলের দিকে দৌড়াই। পরে আরও কয়েকজন সহ আমরা একটি একটি আইসক্রিম ভ্যানের পেছনে লুকাই।’
জরুরি সেবা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরই গুলির শব্দ থামে। এরপর হামলার জায়গাটির পাশ দিয়েই বাড়ি ফেরেন কারভালহো। এ সময় তিনি মাটিতে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, বন্ডাই বিচে উপস্থিত ছিলেন হাইম লেভি। তিনি ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-কে জানান, হানুকা উৎসবের সময় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি সৈকতে বসেছিলেন। তখনই হামলা শুরু হয়। লেভি বলেন, ‘হঠাৎ ধোঁয়া দেখলাম, আর গুলির শব্দ শুনলাম। প্রথমে বুঝতে পারিনি গুলি আকাশে ছোড়া হচ্ছে নাকি ভিড়ের দিকে। তবে তাৎক্ষণিকভাবেই বোঝা গেল ভয়াবহ কিছু ঘটছে।’
লেভি জানান, তিনি স্ত্রীকে দৌড়াতে বলেন। পরে মেয়েকে নিয়ে ছুটতে শুরু করেন স্ত্রী, আর ছেলেকে নিয়ে একটি গাড়ির পেছনে লুকিয়ে পড়েন তিনি। প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাঁদের মাথার ওপর দিয়ে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। পরে একটি বেড়া টপকে ছেলেকে নিয়ে গাড়ির কাছে পৌঁছান। খুঁজে পান স্ত্রীকেও। তাঁরা দ্রুত সেখান থেকে কেটে পড়েন।
লেভি আরও জানান, হামলার মুহূর্তটিকে তাঁর দুই বছর বয়সী ছেলে কান্না করছিল। গুলিবর্ষণকারীরা শুনে ফেললে মেরে ফেলতে পারে—এমন ভয়ে তিনি ছেলের মুখ চেপে ধরেন।
অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমবর্ধমান ইহুদিবিদ্বেষের সমালোচনা করে লেভি বলেন, ‘এমন কিছু যে ঘটবে, তা স্পষ্ট ছিল। কিন্তু কখনো ভাবিনি আমি নিজে পরিবার নিয়ে এর মাঝখানে পড়ব।’ গুলিবর্ষণের মধ্যে দিয়ে বেঁচে ফেরাকে তিনি ‘অলৌকিক’ বলেই মনে করছেন লেভি।
অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বন্ডি বিচ ও এর সংলগ্ন এলাকায় বড় আকারের অপারেশন শুরু করেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ ‘এক্স’ হ্যান্ডলে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুলিশি অভিযান এখনো চলছে এবং জনসাধারণকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে।

নৌযানগুলোর ভেতরে থাকা ক্যামেরা থেকে সম্প্রচারিত ঝাপসা ফুটেজ ফ্লোটিলার ওয়েবসাইটে সরাসরি দেখানো হচ্ছিল। ডেভেলপাররা সেই মুহূর্তে নৌযানগুলোর অবস্থান হালনাগাদ করছিলেন এবং প্রতিটি জাহাজ দখলের ছোট ভিডিও পোস্ট করছিলেন। তাঁরা জানান, পোস্টগুলোতে ক্লিক করার সংখ্যা ছিল নজিরবিহীন।
০৪ অক্টোবর ২০২৫
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৩ ঘণ্টা আগে