অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েলি বাহিনী চলতি বছরের মার্চের শেষ দিকে, গাজাজুড়ে লিফলেট প্রচার করে। সেখানে হুমকি দেওয়া হয়, ‘গাজাবাসী নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও পৃথিবীর মানচিত্রে তেমন কোনো পরিবর্তন আসবে না।’ ইসরায়েল আক্ষরিক অর্থেই সেই হুমকি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার আগের ২৪ ঘণ্টায় অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে আরও অন্তত ১০৫ ফিলিস্তিনি।
গত মার্চের ২০ তারিখে প্রকাশিত প্রতিবেদনে লন্ডন থেকে প্রকাশিত আরব বিশ্বকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম আল-আরাবি আল-জাদিদ বা নিউ আরব জানায়, ১৯ মার্চ ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় যে লিফলেট প্রচার করে সেখানে গাজাবাসীকে উদ্দেশ্য করে লেখা ছিল, ‘কেউই তোমাদের দিকে ফিরেও তাকাবে না, কেউ তোমাদের কথা জিজ্ঞেসও করবে না। সবাই তোমাদের এক অবশ্যম্ভাবী এক নিয়তির সামনে ফেলে রেখে গেছে।’
ওই লিফলেটে আরও বলা হয়, ‘না যুক্তরাষ্ট্র, আর না ইউরোপ—কেউই গাজার ব্যাপারে পরোয়া করে না। এমনকি তোমাদের আরব প্রতিবেশীরাও পরোয়া করে না তোমাদের। তারা এখন আমাদের মিত্র। তারা আমাদের অর্থ দেয়, তেল দেয় এবং অস্ত্র দেয়। আর তারা তোমাদের কেবলই কাফন দেয়।’
এদিকে, ইসরায়েলি লিফলেটে উল্লিখিত বাস্তবতাই যেন মূর্ত হয়ে উঠেছে বাস্তবে। গাজায় কোনো ত্রাণ প্রবেশ করছেন, চিকিৎসা ও পুষ্টিহীনতায় মরছে মানুষ। তবু আরব দেশগুলোর কোনো হেলদোল নেই। এরই মধ্যে গাজায় নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৭ হাজার ৬৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বুধবারের বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ১০৫টি মৃতদেহ আনা হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৫৩০ জন। এ নিয়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪০৯ জনে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘অনেক মরদেহ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে আছে। উদ্ধারকর্মীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।’
ইসরায়েল ১৮ মার্চ থেকে আবারও গাজায় হামলা শুরু করে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ১১৮ জনকে হত্যা করেছে তারা, আহত করেছে আরও ২৫ হাজার ৩৬৮ জনকে। জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি তারা এই হামলার মাধ্যমে ভেঙে দিয়েছে।
গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। গাজা উপত্যকায় চালানো যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলাও চলছে।
তথ্যসূত্র: আনাদোলু ও নিউ আরব
ইসরায়েলি বাহিনী চলতি বছরের মার্চের শেষ দিকে, গাজাজুড়ে লিফলেট প্রচার করে। সেখানে হুমকি দেওয়া হয়, ‘গাজাবাসী নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও পৃথিবীর মানচিত্রে তেমন কোনো পরিবর্তন আসবে না।’ ইসরায়েল আক্ষরিক অর্থেই সেই হুমকি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার আগের ২৪ ঘণ্টায় অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে আরও অন্তত ১০৫ ফিলিস্তিনি।
গত মার্চের ২০ তারিখে প্রকাশিত প্রতিবেদনে লন্ডন থেকে প্রকাশিত আরব বিশ্বকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম আল-আরাবি আল-জাদিদ বা নিউ আরব জানায়, ১৯ মার্চ ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় যে লিফলেট প্রচার করে সেখানে গাজাবাসীকে উদ্দেশ্য করে লেখা ছিল, ‘কেউই তোমাদের দিকে ফিরেও তাকাবে না, কেউ তোমাদের কথা জিজ্ঞেসও করবে না। সবাই তোমাদের এক অবশ্যম্ভাবী এক নিয়তির সামনে ফেলে রেখে গেছে।’
ওই লিফলেটে আরও বলা হয়, ‘না যুক্তরাষ্ট্র, আর না ইউরোপ—কেউই গাজার ব্যাপারে পরোয়া করে না। এমনকি তোমাদের আরব প্রতিবেশীরাও পরোয়া করে না তোমাদের। তারা এখন আমাদের মিত্র। তারা আমাদের অর্থ দেয়, তেল দেয় এবং অস্ত্র দেয়। আর তারা তোমাদের কেবলই কাফন দেয়।’
এদিকে, ইসরায়েলি লিফলেটে উল্লিখিত বাস্তবতাই যেন মূর্ত হয়ে উঠেছে বাস্তবে। গাজায় কোনো ত্রাণ প্রবেশ করছেন, চিকিৎসা ও পুষ্টিহীনতায় মরছে মানুষ। তবু আরব দেশগুলোর কোনো হেলদোল নেই। এরই মধ্যে গাজায় নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৭ হাজার ৬৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বুধবারের বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ১০৫টি মৃতদেহ আনা হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৫৩০ জন। এ নিয়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪০৯ জনে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘অনেক মরদেহ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে আছে। উদ্ধারকর্মীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।’
ইসরায়েল ১৮ মার্চ থেকে আবারও গাজায় হামলা শুরু করে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ১১৮ জনকে হত্যা করেছে তারা, আহত করেছে আরও ২৫ হাজার ৩৬৮ জনকে। জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি তারা এই হামলার মাধ্যমে ভেঙে দিয়েছে।
গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। গাজা উপত্যকায় চালানো যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলাও চলছে।
তথ্যসূত্র: আনাদোলু ও নিউ আরব
জন্মসূত্রে নাগরিকত্বকে সীমিত করতে একটি নির্বাহী আদেশ দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে বিতর্কিত এই আদেশের কার্যকারিতা আবারও সারা দেশে স্থগিত করলেন এক ফেডারেল বিচারক। এর আগে এই আদেশের বিরুদ্ধে বিচারকদের ‘ইউনিভার্সাল ইনজাংশন’ জারির ক্ষমতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট কিছু বিধিনিষ
৬ মিনিট আগেলাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোয়াকাইয়ের ইংরেজি ভাষায় সাবলীল বক্তব্যে বেশ মুগ্ধ হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বুধবার হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক কূটনৈতিক বৈঠকে আফ্রিকার পাঁচটি দেশের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ট্রাম্প।
১ ঘণ্টা আগেগাজার দেইর আল-বালাহ শহরে পুষ্টিকর খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে আটটি শিশু ও দুজন নারী রয়েছে। স্থানীয় আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
১ ঘণ্টা আগেসাশা ও হুলিও মেনডোজা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা আর যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন না। তিনটি ছোট সন্তানসহ পরিবার নিয়ে তাঁরা স্থায়ীভাবে মেক্সিকো চলে যাচ্ছেন। এই সিদ্ধান্ত তাঁদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর একটি।
২ ঘণ্টা আগে