Ajker Patrika

ঈদের দিনেও রেহাই পেল না গাজাবাসী, ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১২২ 

আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৪, ১১: ০৫
ঈদের দিনেও রেহাই পেল না গাজাবাসী, ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১২২ 

ফিলিস্তিনি অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনেও থেমে ছিল না ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও চার নাতি-নাতনিসহ অন্তত ১২২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। 
 
গতকাল বুধবার হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। আর তিন ছেলে ও চার নাতি-নাতনি নিহত হওয়ার বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেন হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়া। আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হানিয়া জানিয়েছেন, তাঁর সন্তান হাজেম, আমির ও মোহাম্মদ ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। 

ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা শেহাব নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে আল জাজিরা ইসমাইল হানিয়ার ৪ নাতি-নাতনি নিহত হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে। এর আগে, গত বছরের ১৬ নভেম্বর গাজায় হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার বাড়িতে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। 

ছয় মাসের বেশি সময় ধরে গাজা ও পশ্চিম তীরে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু। ইসরায়েলি হামলায় হামাস নেতা হানিয়ের পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর ঘটনা অবশ্য এটাই প্রথম নয়, তাঁর আরেক ছেলে গত ফেব্রুয়ারিতে এবং ভাই ও ভাতিজা অক্টোবরে প্রাণ হারান। এরপর নভেম্বরে তাঁর এক নাতি নিহত হন। 
 
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছে ১২২ জন এবং আহত হয়েছে আরও ৫৬ জন। এতে উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৪৮২ জন এবং আহতের সংখ্যা ৭৬ হাজার ৪৯ জনে পৌঁছেছে। 
 
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় টানা বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থীশিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত