অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েল সরকার গাজা উপত্যকায় এক নতুন ও ব্যাপক সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। এই পরিকল্পনার আওতায় গাজার নতুন কিছু এলাকা দখল, গাজা শহরের ১০ লাখ বাসিন্দাকে স্থানচ্যুত করা এবং পাঁচ মাসব্যাপী সেনা অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সমর্থনে গৃহীত এই পরিকল্পনা আজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, পাঁচ আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) ডিভিশন নিয়ে এই অভিযান পরিচালিত হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য জেরুজালেম পোস্টকে বলেন, ‘পরিকল্পনাটি সম্ভবত বৃহস্পতিবারই অনুমোদিত হবে। তবে মূল প্রশ্ন হলো, পরিকল্পনার কোন সংস্করণটি চূড়ান্তভাবে গৃহীত হবে।’
এদিকে, ইসরায়েলের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির এই অভিযানের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তিনি মনে করেন, এই পরিকল্পনা গাজায় আটক জিম্মিদের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। গত মঙ্গলবার এক বৈঠকে জামির বলেন, ‘এই অভিযান একটি গুরুতর ভুল এবং এটা জিম্মিদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলবে।’ তবে নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তের বিরোধিতার পরও তিনি পদত্যাগ করছেন না বলেই জানা গেছে।
এই পরিকল্পনার ওপর মার্কিন প্রশাসনের অবস্থানও বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। জেরুসালেম পোস্টকে দেওয়া বক্তব্যে দুটি ইসরায়েলি সূত্র জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসন গাজা পরিস্থিতি নিয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা যেকোনো পরিকল্পনা প্রকাশ করলে তা ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপ এবং বৃহস্পতিবারের নিরাপত্তা বৈঠকের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করবে।
একটি সূত্র জেরুসালেম পোস্টকে বলেন, ‘মার্কিন প্রশাসন গাজায় মানবিক সহায়তার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।’
এদিকে গতকাল বুধবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি গাজার জনগণের জন্য খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করতে। এই সহায়তার আর্থিক ও সরবরাহ বিষয়ক দিকগুলোতে ইসরায়েলকে সহযোগিতা করতে হবে। আরব রাষ্ট্রগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।’ গাজা পুরোপুরি দখলের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত।’
এই পরিকল্পনার ফলে গাজার মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা গাজার খাদ্য সংকট, পানির ঘাটতি ও বাস্তুহীনতার ওপর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তার ওপর ১০ লাখ মানুষের স্থানচ্যুতি এবং দীর্ঘমেয়াদি সামরিক উপস্থিতি পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এমন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে শুধু গাজার পরিস্থিতিই নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনার পারদ চড়তে পারে।
ইসরায়েল সরকার গাজা উপত্যকায় এক নতুন ও ব্যাপক সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। এই পরিকল্পনার আওতায় গাজার নতুন কিছু এলাকা দখল, গাজা শহরের ১০ লাখ বাসিন্দাকে স্থানচ্যুত করা এবং পাঁচ মাসব্যাপী সেনা অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সমর্থনে গৃহীত এই পরিকল্পনা আজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, পাঁচ আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) ডিভিশন নিয়ে এই অভিযান পরিচালিত হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য জেরুজালেম পোস্টকে বলেন, ‘পরিকল্পনাটি সম্ভবত বৃহস্পতিবারই অনুমোদিত হবে। তবে মূল প্রশ্ন হলো, পরিকল্পনার কোন সংস্করণটি চূড়ান্তভাবে গৃহীত হবে।’
এদিকে, ইসরায়েলের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির এই অভিযানের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তিনি মনে করেন, এই পরিকল্পনা গাজায় আটক জিম্মিদের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। গত মঙ্গলবার এক বৈঠকে জামির বলেন, ‘এই অভিযান একটি গুরুতর ভুল এবং এটা জিম্মিদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলবে।’ তবে নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তের বিরোধিতার পরও তিনি পদত্যাগ করছেন না বলেই জানা গেছে।
এই পরিকল্পনার ওপর মার্কিন প্রশাসনের অবস্থানও বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। জেরুসালেম পোস্টকে দেওয়া বক্তব্যে দুটি ইসরায়েলি সূত্র জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসন গাজা পরিস্থিতি নিয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা যেকোনো পরিকল্পনা প্রকাশ করলে তা ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপ এবং বৃহস্পতিবারের নিরাপত্তা বৈঠকের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করবে।
একটি সূত্র জেরুসালেম পোস্টকে বলেন, ‘মার্কিন প্রশাসন গাজায় মানবিক সহায়তার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।’
এদিকে গতকাল বুধবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি গাজার জনগণের জন্য খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করতে। এই সহায়তার আর্থিক ও সরবরাহ বিষয়ক দিকগুলোতে ইসরায়েলকে সহযোগিতা করতে হবে। আরব রাষ্ট্রগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।’ গাজা পুরোপুরি দখলের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত।’
এই পরিকল্পনার ফলে গাজার মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা গাজার খাদ্য সংকট, পানির ঘাটতি ও বাস্তুহীনতার ওপর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তার ওপর ১০ লাখ মানুষের স্থানচ্যুতি এবং দীর্ঘমেয়াদি সামরিক উপস্থিতি পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এমন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে শুধু গাজার পরিস্থিতিই নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনার পারদ চড়তে পারে।
ইরানের শাহেদ ড্রোনের নকশা ব্যবহার করে এই ড্রোন উৎপাদনের জন্য বিশাল এক কারখানা নির্মাণ করেছে রাশিয়া। তাতারস্তান অঞ্চলের আলাবুগা শিল্প এলাকায় অবস্থিত এই কারখানা বর্তমানে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ড্রোন উৎপাদন কেন্দ্র।
৪ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। প্রায় দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধের মধ্যে এই সিদ্ধান্তের ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সামরিক অভিযান আরও বিস্তৃত হবে। শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত দেশি-বিদেশি মহলে নতুন করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে...
৬ ঘণ্টা আগেগাজায় চলমান যুদ্ধ, অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং খাদ্যসহ জরুরি পণ্যের তীব্র সংকটের মধ্যে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। ব্যাংকগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ, স্থানীয় বাজারে ডিজিটাল লেনদেনও প্রায় অগ্রহণযোগ্য।
৬ ঘণ্টা আগেভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে কথা হয় এই দুই নেতার।
৬ ঘণ্টা আগে