নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সরকারের হিমাগারে মেডিকেল শিক্ষার্থী ও তাঁর দুই খালাতো বোনকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে জেলার পবা উপজেলার বায়া এলাকায় সরকার কোল্ড স্টোরেজের অফিস কক্ষে তাঁদের নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন অফিস কক্ষটিতে ভাঙচুর চালান।
এলাকাবাসী মোহাম্মদ আলী সরকারের ছেলে আহসান উদ্দিন সরকার জিকো (৪৫), মেয়ে আঁখি (৩৫) ও হাবিবাকে (৪০) অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় এয়ারপোর্ট থানা-পুলিশ তাঁদের আটক করে নিয়ে যায়। এর আগে পুলিশ আহত তিনজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠায়।
নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের বাড়ি পবা উপজেলায়। আহত যুবক রাজশাহীর একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর সঙ্গে খালাতো দুই বোন ছিলেন। এ ঘটনায় যুবকের ভাই বাদী হয়ে পবা থানায় মামলা করেছেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে তিনজনকে লাঠি, বাঁশ ও হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়। একপর্যায়ে শরীরে সেফটি পিন ফুটিয়ে নির্যাতন করা হয়।
দুপুরে হিমাগারে বসে থাকার সময় নির্যাতনের শিকার ওই নারীর কোলে শিশুসন্তান ছিল। তিনি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন। তাঁর কান দিয়ে রক্ত ঝরছিল। আহত মেডিকেল শিক্ষার্থীর দুই হাতে জখম ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওই কিশোরীকেও আঘাত করা হয়।
আহত নারী জানান, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকারের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি তাঁর ছেলেমেয়েরা ভালোভাবে নিতেন না। তাঁদের সন্দেহ, মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে তাঁর অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। আজ সকালে ওই নারীকে ফোনকল করে তাঁর হিমাগারে ডাকা হয়। তখন তিনি তাঁর খালাতো ভাই ও ছোট বোনকে নিয়ে আসেন। এখানে আসার পর মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও মেয়েরা তাঁদের ধাক্কা দিতে দিতে অফিস কক্ষের ভেতরে নিয়ে যান। এরপর কর্মচারীদের সহায়তায় তাঁদের নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের সময় দরজা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। তাঁদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।
পরে স্থানীয় লোকজন চিৎকার শুনতে পেয়ে এগিয়ে যান। তাঁরা অফিসের দরজা খুলতে বললেও খোলা হচ্ছিল না। একপর্যায়ে দরজা খোলা হয়। পরে পুলিশ এলে তাঁদের মোবাইল ফোন ফেরত দেওয়া হয়।
নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীর অভিযোগ, মোহাম্মদ আলী সরকারের দুই মেয়ে তাঁদের দুই বোনের সারা শরীরে সেফটি পিন ফুটিয়ে নির্যাতন করেছেন।
এদিকে বেলা ১১টা থেকে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা হিমাগারের ভেতর মোহাম্মদ আলী সরকারের ছেলেমেয়েদের অবরুদ্ধ করে রাখে। তারা তাঁদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানাতে থাকে। তবে বের করলেই হামলার শঙ্কায় পুলিশ তাঁদের নিয়ে যাচ্ছিল না। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বেলা ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন অফিস কক্ষের সিসি ক্যামেরা ও কাঁচের জানালাগুলো ভেঙে ফেলেন। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়া হয়। তারা আসার পর তিনজনকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তিনজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
রাজশাহী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সরকারের হিমাগারে মেডিকেল শিক্ষার্থী ও তাঁর দুই খালাতো বোনকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে জেলার পবা উপজেলার বায়া এলাকায় সরকার কোল্ড স্টোরেজের অফিস কক্ষে তাঁদের নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন অফিস কক্ষটিতে ভাঙচুর চালান।
এলাকাবাসী মোহাম্মদ আলী সরকারের ছেলে আহসান উদ্দিন সরকার জিকো (৪৫), মেয়ে আঁখি (৩৫) ও হাবিবাকে (৪০) অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় এয়ারপোর্ট থানা-পুলিশ তাঁদের আটক করে নিয়ে যায়। এর আগে পুলিশ আহত তিনজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠায়।
নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের বাড়ি পবা উপজেলায়। আহত যুবক রাজশাহীর একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর সঙ্গে খালাতো দুই বোন ছিলেন। এ ঘটনায় যুবকের ভাই বাদী হয়ে পবা থানায় মামলা করেছেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে তিনজনকে লাঠি, বাঁশ ও হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়। একপর্যায়ে শরীরে সেফটি পিন ফুটিয়ে নির্যাতন করা হয়।
দুপুরে হিমাগারে বসে থাকার সময় নির্যাতনের শিকার ওই নারীর কোলে শিশুসন্তান ছিল। তিনি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন। তাঁর কান দিয়ে রক্ত ঝরছিল। আহত মেডিকেল শিক্ষার্থীর দুই হাতে জখম ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওই কিশোরীকেও আঘাত করা হয়।
আহত নারী জানান, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকারের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি তাঁর ছেলেমেয়েরা ভালোভাবে নিতেন না। তাঁদের সন্দেহ, মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে তাঁর অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। আজ সকালে ওই নারীকে ফোনকল করে তাঁর হিমাগারে ডাকা হয়। তখন তিনি তাঁর খালাতো ভাই ও ছোট বোনকে নিয়ে আসেন। এখানে আসার পর মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও মেয়েরা তাঁদের ধাক্কা দিতে দিতে অফিস কক্ষের ভেতরে নিয়ে যান। এরপর কর্মচারীদের সহায়তায় তাঁদের নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের সময় দরজা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। তাঁদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।
পরে স্থানীয় লোকজন চিৎকার শুনতে পেয়ে এগিয়ে যান। তাঁরা অফিসের দরজা খুলতে বললেও খোলা হচ্ছিল না। একপর্যায়ে দরজা খোলা হয়। পরে পুলিশ এলে তাঁদের মোবাইল ফোন ফেরত দেওয়া হয়।
নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীর অভিযোগ, মোহাম্মদ আলী সরকারের দুই মেয়ে তাঁদের দুই বোনের সারা শরীরে সেফটি পিন ফুটিয়ে নির্যাতন করেছেন।
এদিকে বেলা ১১টা থেকে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা হিমাগারের ভেতর মোহাম্মদ আলী সরকারের ছেলেমেয়েদের অবরুদ্ধ করে রাখে। তারা তাঁদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানাতে থাকে। তবে বের করলেই হামলার শঙ্কায় পুলিশ তাঁদের নিয়ে যাচ্ছিল না। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বেলা ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন অফিস কক্ষের সিসি ক্যামেরা ও কাঁচের জানালাগুলো ভেঙে ফেলেন। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়া হয়। তারা আসার পর তিনজনকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তিনজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে না দিয়ে পরিবার থেকে জোর করে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ায় অভিমানে এক নববধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের দাদপুর গ্রাম থেকে হিরা খাতুন (২০) নামের ওই নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
৫ মিনিট আগেদেশে অধূমপায়ী ও তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএইচআরএফ)। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন প্রক্রিয়ায় তামাক কোম্পানির সম্পৃক্ততা...
৮ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বিহারের বুদ্ধমূর্তির ও শতবর্ষী বোধিবৃক্ষের চীবরে (কাপড়) আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা বুদ্ধমূর্তির কপালে থাকা স্বর্ণের তিলকটি নিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে আজ মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার শ্রীপুর-খরন্দ্বীপ ইউনিয়নের জ্যৈষ্ঠপুরা কেন্দ্রীয় বৈশালী বিহারে।
১৪ মিনিট আগেপাবনা থেকে টাঙ্গাইল যাচ্ছিলেন মাইক্রোবাসচালক রাশেদুল ইসলাম (২০)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন টিপু সুলতান (২৮) নামের এক সহযোগী ও কয়েকজন যাত্রী। গাড়িটি সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ঝাঐল ওভারব্রিজ এলাকায় পৌঁছায় মধ্যরাতের কাছাকাছি সময়ে। হঠাৎ একদল দুর্বৃত্ত পাথরের টুকরা ছুড়ে মারে গাড়িটির জানালায়।
৩২ মিনিট আগে