Ajker Patrika

ইরানে চলছে পার্লামেন্ট নির্বাচন, রক্ষণশীলদের আধিপত্যের আভাস

ইরানে চলছে পার্লামেন্ট নির্বাচন, রক্ষণশীলদের আধিপত্যের আভাস

ইরানে চলছে পার্লামেন্ট ও বিশেষজ্ঞ পরিষদের নির্বাচন। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। ভোট গ্রহণের হার কম থাকার আশঙ্কার মাঝেই চলছে নির্বাচন। বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে রক্ষণশীলরা ক্ষমতা আরও দৃঢ় করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

ভোট দেওয়ার জন্য নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি নির্বাচনে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভোট দেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন যে, ইরানের বন্ধু এবং শত্রু উভয়ই আজকের ভোট দেখছে। মধ্য তেহরানের একটি ভোটকেন্দ্রে তিনিই প্রথম ভোট দেন বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি বলেছেন, যারা ভোটে অংশ নেবে তারা সবাই বিজয়ী। তেহরানে নির্বাচনী সদর দপ্তর পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হলো মহান জাতি ইরানের প্রকৃত উদযাপন এবং জাতীয় ঐক্যের প্রতীক।’

তিনি বলেন, ‘যে সকল প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তারা জয়ী হোক বা না হোক—সবাই বিজয়ী। সে সঙ্গে, যারা ভোট দিতে এসেছেন তারাও বিজয়ী। কারণ, তারা সবাই তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন।’

গত নির্বাচনের পর থেকেই আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ইরানের অর্থনীতিতে। বিক্ষোভেও প্রকম্পিত হয়েছে দেশটি। সে সঙ্গে, ইসরায়েল ও হামাসের চলমান যুদ্ধে আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধিতেও ইরানের রয়েছে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা। দেশটির সাড়ে ৮ কোটি জনসংখ্যার প্রায় ৬ কোটিরই রয়েছে ভোটাধিকার।

ব্যালটগুলোর বেশির ভাগই হাতে গণনা করা হবে। তাই তিন দিনের মধ্যে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষিত নাও হতে পারে। তবে আগামীকাল থেকেই ফলাফল আসা শুরু হতে পারে। ইরানে সারা দেশে স্থাপন করা হয়েছে প্রায় ৫৯ হাজার ভোটকেন্দ্র। এর মধ্যে ১৭০০ কেন্দ্রে ডিজিটাল ভোট দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।

ভোটার উপস্থিতি বেশি বলে দাবি করেছেন ইরানের অভিভাবক পরিষদের মুখপাত্র তাহান নাজিফ। তবে তার দাবির সপক্ষে এখনো কোনো সরকারি পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।

এই নির্বাচনে কত শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে সেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে যাচ্ছে। ভোটার উপস্থিতি কম হলে ইরানের প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থা জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে বলে মনে করবেন সংশ্লিষ্টরা। এএফপিকে পশ্চিম কুর্দিস্তান প্রদেশের ২১ বছর বয়সী এক তরুণী বলেন, ‘ধরুন, আমি ভোট দিলাম। এতে কী পাল্টাবে? নির্বাচিতরা তাদের প্রতিশ্রুতিকে সম্মান করে না।’

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলেছে, ভোট দেওয়ার প্রতি তরুণ ভোটারদের অনীহা দেখা গেছে। তেহরানের রাস্তায় এক যুবক বলেন, ‘আমি ভোট দিতে যাচ্ছি না। কারণ, আমার আগের অভিজ্ঞতা ভালো ছিল না। আমি মনে করি না আমি কাউকে বেছে নেব। নতুন কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। সব শুধু পুরোনো স্লোগান।’

তেহরানের আরেক মধ্যবয়সী বাসিন্দাও অনেকটা একই সুরে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, সংসদের কার্যকারিতার প্রতি মানুষের আস্থার অভাবই সবচেয়ে বড় সমস্যা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

মানবিক করিডর না ভূরাজনৈতিক কৌশল? সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায় উদ্বেগ

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা–ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত