ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী ও গাজার নিয়ন্ত্রক হামাসকে বাদ দিয়েই অঞ্চলটি শাসনের নতুন পরিকল্পনা দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত গতকাল বৃহস্পতিবার এই চার ধারাবিশিষ্ট পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। যেখানে গাজার শাসনভার ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণের কাছে থাকলেও অঞ্চলটিতে ইসরায়েলের সামরিক উপস্থিতি থাকবে। তবে এই পরিকল্পনায় বেসামরিক প্রশাসনের ইসরায়েলের কোনো অংশগ্রহণ নেই।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনা ইসরায়েলি অন্তর্বর্তীকালীন যুদ্ধ মন্ত্রিসভা ও নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করা হয়েছে আলোচনার জন্য। প্রস্তাবে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকবে। কেবল বেসামরিক প্রশাসন পরিচালনা করবে ফিলিস্তিনিরা।
এই প্রস্তাবে এমনকি বিদ্যমান ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বাদ দেওয়া হয়েছে বিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনের বিষয়টিও। অর্থাৎ, গাজা পুনর্গঠনের কোনো দায়ভার ইসরায়েল নেবে না। এই প্রথম কোনো ইসরায়েলি শীর্ষ কর্মকর্তা গাজার শাসনভার নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব উত্থাপন করলেন। তবে প্রস্তাবটি এখনো ইসরায়েল নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জোট সরকারের মধ্যে মতানৈক্য থাকায় এই প্রস্তাব পাস হওয়া নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।
নিজ উত্থাপিত প্রস্তাবের বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত জানিয়েছেন, তিনি ধরেই নিয়েছেন হামাসকে ইসরায়েল নির্মূল করে ফেলবে গাজা থেকে এবং গোষ্ঠীটি ইসরায়েলের জন্য আর কোনো নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করতে পারবে না। বিষয়টি ধরে নিয়েই গাজায় একটি বেসামরিক সরকার বা প্রশাসন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
তবে গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর উপস্থিতি বজায় থাকবে এবং প্রয়োজনে যেকোনো সময় গাজার অভ্যন্তরে যেকোনো ধরনের অভিযান চালানোর অধিকার তাদের থাকবে। এ বিষয়ে গ্যালান্ত সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাজাবাসী যেহেতু ফিলিস্তিনি, তাই ফিলিস্তিনিরাই গাজার শাসনে থাকবে। তবে শর্ত হবে যে, কোনো ধরনে ঝুঁকি বা হুমকি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তৈরি করা যাবে না।’
তবে গাজার প্রশাসনে কোনো ইসরায়েলির অংশগ্রহণ না থাকার বিষয়টি নিয়ে নেতানিয়াহু সরকারের ঘোরতর কট্টরপন্থী অংশ তীব্র আপত্তি তুলেছে। তাদের একজন অর্থমন্ত্রী বেজেলাল স্মতরিচ। তাঁর ইচ্ছা, গাজায়ও ইসরায়েলি বসতি স্থাপন করা হবে। তবে গ্যালান্তের পরিকল্পনায় এ বিষয়ে কোনো কিছুর উল্লেখ নেই। তাই গ্যালান্তের প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি বলেছেন, তিনি এই প্রস্তাবকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এর আগে গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্ত ভেঙে দেশটির অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েন হামাসের যোদ্ধারা। সেদিন তাঁদের হামলায় অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত হয় এবং অন্তত ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে আসে হামাস। জবাবে ইসরায়েল এই হামলার তীব্র জবাব ও হামাসকে নির্মূল করার প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করে। তারপর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় প্রায় সাড়ে ২২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী ও গাজার নিয়ন্ত্রক হামাসকে বাদ দিয়েই অঞ্চলটি শাসনের নতুন পরিকল্পনা দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত গতকাল বৃহস্পতিবার এই চার ধারাবিশিষ্ট পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। যেখানে গাজার শাসনভার ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণের কাছে থাকলেও অঞ্চলটিতে ইসরায়েলের সামরিক উপস্থিতি থাকবে। তবে এই পরিকল্পনায় বেসামরিক প্রশাসনের ইসরায়েলের কোনো অংশগ্রহণ নেই।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনা ইসরায়েলি অন্তর্বর্তীকালীন যুদ্ধ মন্ত্রিসভা ও নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করা হয়েছে আলোচনার জন্য। প্রস্তাবে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকবে। কেবল বেসামরিক প্রশাসন পরিচালনা করবে ফিলিস্তিনিরা।
এই প্রস্তাবে এমনকি বিদ্যমান ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বাদ দেওয়া হয়েছে বিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনের বিষয়টিও। অর্থাৎ, গাজা পুনর্গঠনের কোনো দায়ভার ইসরায়েল নেবে না। এই প্রথম কোনো ইসরায়েলি শীর্ষ কর্মকর্তা গাজার শাসনভার নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব উত্থাপন করলেন। তবে প্রস্তাবটি এখনো ইসরায়েল নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জোট সরকারের মধ্যে মতানৈক্য থাকায় এই প্রস্তাব পাস হওয়া নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।
নিজ উত্থাপিত প্রস্তাবের বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত জানিয়েছেন, তিনি ধরেই নিয়েছেন হামাসকে ইসরায়েল নির্মূল করে ফেলবে গাজা থেকে এবং গোষ্ঠীটি ইসরায়েলের জন্য আর কোনো নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করতে পারবে না। বিষয়টি ধরে নিয়েই গাজায় একটি বেসামরিক সরকার বা প্রশাসন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
তবে গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর উপস্থিতি বজায় থাকবে এবং প্রয়োজনে যেকোনো সময় গাজার অভ্যন্তরে যেকোনো ধরনের অভিযান চালানোর অধিকার তাদের থাকবে। এ বিষয়ে গ্যালান্ত সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাজাবাসী যেহেতু ফিলিস্তিনি, তাই ফিলিস্তিনিরাই গাজার শাসনে থাকবে। তবে শর্ত হবে যে, কোনো ধরনে ঝুঁকি বা হুমকি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তৈরি করা যাবে না।’
তবে গাজার প্রশাসনে কোনো ইসরায়েলির অংশগ্রহণ না থাকার বিষয়টি নিয়ে নেতানিয়াহু সরকারের ঘোরতর কট্টরপন্থী অংশ তীব্র আপত্তি তুলেছে। তাদের একজন অর্থমন্ত্রী বেজেলাল স্মতরিচ। তাঁর ইচ্ছা, গাজায়ও ইসরায়েলি বসতি স্থাপন করা হবে। তবে গ্যালান্তের পরিকল্পনায় এ বিষয়ে কোনো কিছুর উল্লেখ নেই। তাই গ্যালান্তের প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি বলেছেন, তিনি এই প্রস্তাবকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এর আগে গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্ত ভেঙে দেশটির অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েন হামাসের যোদ্ধারা। সেদিন তাঁদের হামলায় অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত হয় এবং অন্তত ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে আসে হামাস। জবাবে ইসরায়েল এই হামলার তীব্র জবাব ও হামাসকে নির্মূল করার প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করে। তারপর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় প্রায় সাড়ে ২২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার।
যুদ্ধবিমানের মহড়া, লাল গালিচায় সংবর্ধনা আর দেয়ালে সাঁটানো স্লোগান ‘শান্তির পথে অগ্রযাত্রা’। গতকাল শুক্রবার এমন রাজকীয় আবহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাগত জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে আলাস্কায় বৈঠক যে আশায়, তা যেন এখনো অধরা।
২৫ মিনিট আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে গতকাল শুক্রবার (১৫ আগস্ট) আলাস্কায় অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর একটি বিবৃতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিগত চার বছরেরও বেশি সময় ধরে রুশ-মার্কিন শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। এই দীর্ঘ সময় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য খুবই কঠিন ছিল। ত
৪০ মিনিট আগেউত্তর পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ বৃষ্টি ও ভারী বন্যা-ভূমিধসের কারণে অন্তত ২৫০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বুনের এলাকায় নিহতের সংখ্যা ২১৩ এর বেশি। এছাড়া বিভিন্ন জেলা থেকে বহু আহতের খবর পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেফিলিস্তিনে যুদ্ধবিধ্বস্ত ছিটমহল গাজায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের চলমান হামলায় প্রায় ৬২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অঞ্চলটিতে অন্তত ৬১ হাজার ৮২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে