কলকাতা প্রতিনিধি
গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। নচিকেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি এক লাইভ কনসার্টে ভগবান রামকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন, যা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করতে পারে এবং জনমানসে উত্তেজনা ছড়াতে পারে। দুই বছর আগে করা সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর না করায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সংগঠনের এক নেতা। তবে হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ নেই, তাই এফআইআর করার কোনো ভিত্তিই তৈরি হয়নি। ফলে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায়কেই বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, শুধু সমাজমাধ্যমে ছড়ানো কিছু ক্লিপ বা পোস্টের ভিত্তিতে কোনো ফৌজদারি মামলা দায়ের করা যায় না। এফআইআর দায়ের করার জন্য অভিযোগে ন্যূনতম তথ্য, যেমন—কবে, কোথায়, কখন ওই ঘটনা ঘটেছে তা থাকা প্রয়োজন। অভিযোগকারীর পক্ষে সেই ন্যূনতম তথ্যও উপস্থাপন করা সম্ভব হয়নি। এমনকি তিনি নিজেও উপস্থিত ছিলেন না কথিত সেই কনসার্টে, বরং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভেসে বেড়ানো কিছু ভিডিও বা মন্তব্য দেখে অভিযোগ করেছিলেন।
পুলিশের তদন্ত রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, অভিযোগে যে এলাকার কথা উল্লেখ করা হয়, নচিকেতা সেই এলাকায় বসবাস করেন না এবং গত তিন বছরে ওই এলাকায় কোনো অনুষ্ঠানও করেননি। পাশাপাশি সেই এলাকার স্থানীয় কেউই অভিযোগ করেনি যে নচিকেতার বক্তব্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের রিপোর্টেই স্পষ্ট হয়ে যায়, অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। সেই কারণেই নিম্ন আদালত অভিযোগ খারিজ করে দেন।
কিন্তু বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। সংগঠনের যুক্তি ছিল, সুপ্রিম কোর্ট বহু আগেই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে ঘৃণাত্মক বক্তব্যের অভিযোগ উঠলে আদালত ও পুলিশকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেই নির্দেশ মানা হয়নি।
তবে হাইকোর্ট আজ জানিয়ে দিলেন, অভিযোগকারীর বক্তব্য কার্যত প্রমাণহীন। বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের পর্যবেক্ষণ, কোনো অভিযোগ প্রমাণের জন্য শুধু গুজব, ভাসা ভাসা খবর বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভেসে বেড়ানো তথ্যকে গ্রহণ করা যায় না। যদি মামলা দায়ের করতে হয়, তবে তার ভিত্তি হিসেবে ন্যূনতম তথ্য জরুরি।
আদালত আরও জানান, জিরো এফআইআরের নিয়ম অবশ্যই আছে, তবে তার জন্যও অভিযোগে কিছু ন্যূনতম তথ্য থাকা আবশ্যক। নচিকেতার বক্তব্যে সমাজে অশান্তি তৈরি হয়েছে—এমন প্রমাণ কোথাও পাওয়া যায়নি। তাই নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্ত একেবারেই যথার্থ এবং আইনসিদ্ধ। ফলে মামলাকারীর আবেদন খারিজ করা হলো।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মে মাসে প্রথম এই বিতর্কটি সামনে আসে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, গায়ক নচিকেতা এক কনসার্টে রামকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। সংগঠনের সম্পাদক অনির্বাণ ভট্টাচার্য প্রথমে থানায় অভিযোগ জানান, পরে যান ডিসির কাছে। কিন্তু পুলিশ অভিযোগের সত্যতা খুঁজে না পেয়ে মামলা নেয়নি। এরপর নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হন অনির্বাণ, যেখানে আদালত পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট বিবেচনা করে অভিযোগ খারিজ করে দেয়।
হাইকোর্টের এই রায়ে কার্যত প্রমাণিত হলো, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত-সংক্রান্ত অভিযোগ যদি তথ্যপ্রমাণের ভিত্তি না পায়, তবে সেটি শুধু একটি চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। আদালতের এই পর্যবেক্ষণে একদিকে যেমন নচিকেতা স্বস্তি পেলেন, অন্যদিকে একটি বার্তা স্পষ্ট—কোনো শিল্পীর বক্তব্যকে ভিত্তি করে মামলা করতে হলে প্রমাণ হাজির করতে হবে। শুধু দাবি করলেই আদালত বা পুলিশ এফআইআর দায়ের করবে না। এই রায়ে সাংস্কৃতিক মহলে স্বস্তি এসেছে। কারণ, শিল্পীদের বক্তব্য বা সৃষ্টিকে ঘিরে প্রায়ই নানা সময়ে বিতর্ক তৈরি হয় এবং মামলার মুখে পড়তে হয়। আদালত জানিয়ে দিলেন, অভিযোগ দায়েরের ক্ষেত্রেও আইন এবং যুক্তি গুরুত্বপূর্ণ।
গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। নচিকেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি এক লাইভ কনসার্টে ভগবান রামকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন, যা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করতে পারে এবং জনমানসে উত্তেজনা ছড়াতে পারে। দুই বছর আগে করা সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর না করায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সংগঠনের এক নেতা। তবে হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ নেই, তাই এফআইআর করার কোনো ভিত্তিই তৈরি হয়নি। ফলে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায়কেই বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, শুধু সমাজমাধ্যমে ছড়ানো কিছু ক্লিপ বা পোস্টের ভিত্তিতে কোনো ফৌজদারি মামলা দায়ের করা যায় না। এফআইআর দায়ের করার জন্য অভিযোগে ন্যূনতম তথ্য, যেমন—কবে, কোথায়, কখন ওই ঘটনা ঘটেছে তা থাকা প্রয়োজন। অভিযোগকারীর পক্ষে সেই ন্যূনতম তথ্যও উপস্থাপন করা সম্ভব হয়নি। এমনকি তিনি নিজেও উপস্থিত ছিলেন না কথিত সেই কনসার্টে, বরং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভেসে বেড়ানো কিছু ভিডিও বা মন্তব্য দেখে অভিযোগ করেছিলেন।
পুলিশের তদন্ত রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, অভিযোগে যে এলাকার কথা উল্লেখ করা হয়, নচিকেতা সেই এলাকায় বসবাস করেন না এবং গত তিন বছরে ওই এলাকায় কোনো অনুষ্ঠানও করেননি। পাশাপাশি সেই এলাকার স্থানীয় কেউই অভিযোগ করেনি যে নচিকেতার বক্তব্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের রিপোর্টেই স্পষ্ট হয়ে যায়, অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। সেই কারণেই নিম্ন আদালত অভিযোগ খারিজ করে দেন।
কিন্তু বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। সংগঠনের যুক্তি ছিল, সুপ্রিম কোর্ট বহু আগেই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে ঘৃণাত্মক বক্তব্যের অভিযোগ উঠলে আদালত ও পুলিশকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেই নির্দেশ মানা হয়নি।
তবে হাইকোর্ট আজ জানিয়ে দিলেন, অভিযোগকারীর বক্তব্য কার্যত প্রমাণহীন। বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের পর্যবেক্ষণ, কোনো অভিযোগ প্রমাণের জন্য শুধু গুজব, ভাসা ভাসা খবর বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভেসে বেড়ানো তথ্যকে গ্রহণ করা যায় না। যদি মামলা দায়ের করতে হয়, তবে তার ভিত্তি হিসেবে ন্যূনতম তথ্য জরুরি।
আদালত আরও জানান, জিরো এফআইআরের নিয়ম অবশ্যই আছে, তবে তার জন্যও অভিযোগে কিছু ন্যূনতম তথ্য থাকা আবশ্যক। নচিকেতার বক্তব্যে সমাজে অশান্তি তৈরি হয়েছে—এমন প্রমাণ কোথাও পাওয়া যায়নি। তাই নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্ত একেবারেই যথার্থ এবং আইনসিদ্ধ। ফলে মামলাকারীর আবেদন খারিজ করা হলো।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মে মাসে প্রথম এই বিতর্কটি সামনে আসে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, গায়ক নচিকেতা এক কনসার্টে রামকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। সংগঠনের সম্পাদক অনির্বাণ ভট্টাচার্য প্রথমে থানায় অভিযোগ জানান, পরে যান ডিসির কাছে। কিন্তু পুলিশ অভিযোগের সত্যতা খুঁজে না পেয়ে মামলা নেয়নি। এরপর নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হন অনির্বাণ, যেখানে আদালত পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট বিবেচনা করে অভিযোগ খারিজ করে দেয়।
হাইকোর্টের এই রায়ে কার্যত প্রমাণিত হলো, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত-সংক্রান্ত অভিযোগ যদি তথ্যপ্রমাণের ভিত্তি না পায়, তবে সেটি শুধু একটি চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। আদালতের এই পর্যবেক্ষণে একদিকে যেমন নচিকেতা স্বস্তি পেলেন, অন্যদিকে একটি বার্তা স্পষ্ট—কোনো শিল্পীর বক্তব্যকে ভিত্তি করে মামলা করতে হলে প্রমাণ হাজির করতে হবে। শুধু দাবি করলেই আদালত বা পুলিশ এফআইআর দায়ের করবে না। এই রায়ে সাংস্কৃতিক মহলে স্বস্তি এসেছে। কারণ, শিল্পীদের বক্তব্য বা সৃষ্টিকে ঘিরে প্রায়ই নানা সময়ে বিতর্ক তৈরি হয় এবং মামলার মুখে পড়তে হয়। আদালত জানিয়ে দিলেন, অভিযোগ দায়েরের ক্ষেত্রেও আইন এবং যুক্তি গুরুত্বপূর্ণ।
দীর্ঘ এক দশকের ‘জনযুদ্ধ’ শেষে ২০০৬ সালে কাঠমান্ডুর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল মাওবাদীরা। রাজধানীতে প্রবেশের পর এক মাও নেতাকে সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, ‘এখন আপনার স্বপ্নের শহর কেমন হবে?’ তিনি উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন, ‘ব্যাংককের মতো শপিং মল, পশ্চিমাদের মতো চকচকে সড়ক’।
৪ ঘণ্টা আগেবলেন, সরকার বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর জন্য পুলিশকে কোনো আদেশ দেয়নি। পুলিশের কাছে এসব স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রও ছিল না। তিনি দাবি করেন, বিক্ষোভের সময় স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহারের ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হওয়া উচিত।
৭ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের কাছে ৬.৪ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্র বিক্রির জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন চেয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এ বিষয়ে অবগত একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এই বিশাল প্যাকেজে থাকবে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ও সেনা বহনকারী যান।
৮ ঘণ্টা আগে২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের সেরাং শহরের বাসিন্দা নরমা রিসমা তাঁর স্বামী এবং মায়ের পরকীয়ার ঘটনা একটি টিকটক ভিডিওতে ফাঁস করেন। মুহূর্তেই সেটি লাখো মানুষের দৃষ্টি কাড়ে, খবরের শিরোনাম হয় এবং শেষমেশ নরমা রিসমাকে এনে দেয় একটি চলচ্চিত্র চুক্তি।
৯ ঘণ্টা আগে