প্রেম করে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন ভারতের মধ্যপ্রদেশের মুসলিম যুবক সাফি খান এবং হিন্দু তরুণী সারিকা সেন। পরে তাঁরা পুলিশি নিরাপত্তা দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হন। তবে উত্তর প্রদেশের হাইকোর্ট তাঁদের জানিয়ে দিয়েছে—স্বতন্ত্র মুসলিম আইনে হিন্দু-মুসলিমের বিয়ে বৈধ নয়, এমনকি ভারতের বিশেষ বিবাহ আইনে সম্পন্ন হলেও এই বিয়ে অবৈধ।
ভারতে মুসলিম নাগরিকদের জন্য কিছু বিষয়ে ‘স্বতন্ত্র মুসলিম আইনের’ বিধান রয়েছে। এই আইনের অধীনে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা বিয়ে, উত্তরাধিকার এবং দান-অনুদানের ক্ষেত্রে নিজস্ব ধর্মীয় পথ অনুসরণ করেন। এই বিষয়টিকে ইঙ্গিত করেই শুক্রবার উত্তর প্রদেশ হাইকোর্টের বিচারক জি এস আহলুবালিয়া মত দেন—মুসলিম আইন কোনো মুসলিম ব্যক্তির সঙ্গে কোনো অগ্নি উপাসকের বিয়েকে অনুমোদন করে না।
আদালতের শুনানিতে সাফি ও সারিকা জানান, তাঁরা ভারতে প্রচলিত বিশেষ বিবাহ আইনে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিলেন। এই আইনটি আলাদা দুটি ধর্মের মানুষদের মধ্যে বিয়ের স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু দুই পরিবারের হুমকির মুখে শেষ পর্যন্ত এভাবে বিয়ে করতে ব্যর্থ হন তাঁরা। এ অবস্থায় বিয়ে নিবন্ধনের আগ পর্যন্ত আদালতের কাছে নিরাপত্তা দাবির পাশাপাশি দুই পরিবারের দায়ের করা কয়েকটি মামলা থেকে রেহাই পেতে আদালতের কাছে আবেদন করেন সাফি ও সারিকা।
আদালতের কাছে ওই প্রেমিক যুগল দাবি করেন, বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে বিয়ের পর তাঁরা ধর্মান্তরিত হবেন না। সারিকা হিন্দুই থেকে যাবেন, আর সাফি মুসলিম। একে অপরের ধর্মীয় আচারের অপর তাঁরা কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবেন না। এ ক্ষেত্রে তাঁরা স্বতন্ত্র মুসলিম আইনকে অগ্রাহ্য করবেন।
এদিকে সাফি ও সারিকার আবেদনের বিরোধিতা করে সারিকার পরিবার অভিযোগ করেছে, তাঁদের কন্যা পারিবারিক স্বর্ণ–গয়না ও নগদ অর্থ নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। আর দুই ধর্মের মধ্যে এই বিয়ে সম্পন্ন হলে সামাজিকভাবে তাঁরা একঘরে হয়ে পড়বে।
দুই পক্ষের যুক্তি তর্ক শুনে এবং ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আদালত মত দেন—মুসলিম পুরুষ এবং মূর্তিপূজক নারীর মধ্যে বিয়েকে ‘ফাসাদ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তবে এটি বাতিল নয়।
বিচারক আহলুয়ালিয়া বলেন, ‘মোহাম্মদি আইন অনুযায়ী, একজন মুসলিম যুবকের সঙ্গে যদি মূর্তি পূজারি কিংবা অগ্নি উপাসক কোনো নারীর বিয়ে হয়, তবে এটি বৈধ নয়। এমনকি এটি দেশের বিশেষ বিবাহ আইনে অনুষ্ঠিত হলেও নয়। এই বিয়েকে তখন “ফাসাদ” হিসেবে আখ্যায়িত করা হবে।’
শুনানি শেষে পর্যন্ত সাফি ও সারিকার পুলিশি নিরাপত্তা ও অন্যান্য দাবি সংবলিত আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।
প্রেম করে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন ভারতের মধ্যপ্রদেশের মুসলিম যুবক সাফি খান এবং হিন্দু তরুণী সারিকা সেন। পরে তাঁরা পুলিশি নিরাপত্তা দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হন। তবে উত্তর প্রদেশের হাইকোর্ট তাঁদের জানিয়ে দিয়েছে—স্বতন্ত্র মুসলিম আইনে হিন্দু-মুসলিমের বিয়ে বৈধ নয়, এমনকি ভারতের বিশেষ বিবাহ আইনে সম্পন্ন হলেও এই বিয়ে অবৈধ।
ভারতে মুসলিম নাগরিকদের জন্য কিছু বিষয়ে ‘স্বতন্ত্র মুসলিম আইনের’ বিধান রয়েছে। এই আইনের অধীনে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা বিয়ে, উত্তরাধিকার এবং দান-অনুদানের ক্ষেত্রে নিজস্ব ধর্মীয় পথ অনুসরণ করেন। এই বিষয়টিকে ইঙ্গিত করেই শুক্রবার উত্তর প্রদেশ হাইকোর্টের বিচারক জি এস আহলুবালিয়া মত দেন—মুসলিম আইন কোনো মুসলিম ব্যক্তির সঙ্গে কোনো অগ্নি উপাসকের বিয়েকে অনুমোদন করে না।
আদালতের শুনানিতে সাফি ও সারিকা জানান, তাঁরা ভারতে প্রচলিত বিশেষ বিবাহ আইনে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিলেন। এই আইনটি আলাদা দুটি ধর্মের মানুষদের মধ্যে বিয়ের স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু দুই পরিবারের হুমকির মুখে শেষ পর্যন্ত এভাবে বিয়ে করতে ব্যর্থ হন তাঁরা। এ অবস্থায় বিয়ে নিবন্ধনের আগ পর্যন্ত আদালতের কাছে নিরাপত্তা দাবির পাশাপাশি দুই পরিবারের দায়ের করা কয়েকটি মামলা থেকে রেহাই পেতে আদালতের কাছে আবেদন করেন সাফি ও সারিকা।
আদালতের কাছে ওই প্রেমিক যুগল দাবি করেন, বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে বিয়ের পর তাঁরা ধর্মান্তরিত হবেন না। সারিকা হিন্দুই থেকে যাবেন, আর সাফি মুসলিম। একে অপরের ধর্মীয় আচারের অপর তাঁরা কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবেন না। এ ক্ষেত্রে তাঁরা স্বতন্ত্র মুসলিম আইনকে অগ্রাহ্য করবেন।
এদিকে সাফি ও সারিকার আবেদনের বিরোধিতা করে সারিকার পরিবার অভিযোগ করেছে, তাঁদের কন্যা পারিবারিক স্বর্ণ–গয়না ও নগদ অর্থ নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। আর দুই ধর্মের মধ্যে এই বিয়ে সম্পন্ন হলে সামাজিকভাবে তাঁরা একঘরে হয়ে পড়বে।
দুই পক্ষের যুক্তি তর্ক শুনে এবং ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আদালত মত দেন—মুসলিম পুরুষ এবং মূর্তিপূজক নারীর মধ্যে বিয়েকে ‘ফাসাদ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তবে এটি বাতিল নয়।
বিচারক আহলুয়ালিয়া বলেন, ‘মোহাম্মদি আইন অনুযায়ী, একজন মুসলিম যুবকের সঙ্গে যদি মূর্তি পূজারি কিংবা অগ্নি উপাসক কোনো নারীর বিয়ে হয়, তবে এটি বৈধ নয়। এমনকি এটি দেশের বিশেষ বিবাহ আইনে অনুষ্ঠিত হলেও নয়। এই বিয়েকে তখন “ফাসাদ” হিসেবে আখ্যায়িত করা হবে।’
শুনানি শেষে পর্যন্ত সাফি ও সারিকার পুলিশি নিরাপত্তা ও অন্যান্য দাবি সংবলিত আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের কিছু এলাকা ফেরত আনার চেষ্টা করবেন তিনি। আগামী শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের মূল ভূমির বড় অংশ দখল করেছে।
৭ ঘণ্টা আগেনিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত মনটক এলাকাটি একসময় ছিল শান্তশিষ্ট ছেলেদের একটি গ্রাম। এখন অবশ্য তা রূপ নিয়েছে বিলাসবহুল ছুটি কাটানোর কেন্দ্রস্থলে। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের ভিড় এবং জমজমাট রাতের জীবন এলাকাটির পুরোনো চেহারা দ্রুত বদলে দিচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগেএভারেস্টের ভিড় কমাতে নেপাল সরকার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের দুর্গম ও অনাবিষ্কৃত আরও ৯৭টি শৃঙ্গ পর্বতারোহীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, নতুন উদ্যোগের ফলে এভারেস্টের ওপর চাপ কমবে এবং পর্যটন থেকে আয় দূরবর্তী দরিদ্র অঞ্চলেও পৌঁছাবে।
৮ ঘণ্টা আগেরাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে গৃহহীন মানুষদের উচ্ছেদ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, আজ সোমবার (১১ আগস্ট) রাজধানীতে কয়েক শ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।
১০ ঘণ্টা আগে