Ajker Patrika

আম্বানির চিড়িয়াখানায় বিরল নীল টিয়া নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিতর্ক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২: ৩১
আম্বানির চিড়িয়াখানায় নীল টিয়া। ছবি: দ্য ইনডিপেনডেন্ট
আম্বানির চিড়িয়াখানায় নীল টিয়া। ছবি: দ্য ইনডিপেনডেন্ট

বিরল প্রজাতির নীল রঙের স্পিক্স ম্যাকাও টিয়া নিয়ে ভারত, ব্রাজিল ও জার্মানির মধ্যে আন্তর্জাতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ২০১৯ সালে এই প্রজাতিটিকে প্রাকৃতিক পরিবেশে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে প্রজনন কর্মসূচির মাধ্যমে আবার ব্রাজিলে ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু ২০২৩ সালে হঠাৎ ভারতের গুজরাটে অবস্থিত বেসরকারি ভানতারা চিড়িয়াখানায় ২৬টি স্পিক্স ম্যাকাও পাওয়া গেলে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভানতারা পরিচালনা করে আম্বানি পরিবারের দাতব্য প্রতিষ্ঠান। ব্রাজিল অভিযোগ করছে, তাদের সম্মতি ছাড়াই বিরল নীল টিয়া ভারতে পৌঁছেছে। ভানতারা চিড়িয়াখানা তাদের স্পিক্স ম্যাকাওয়ের সংখ্যা বাড়ানো কর্মসূচির অংশ নয়। তাই ভারতের হাতে এই পাখি যাওয়ারও কথা নয়।

এদিকে ভানতারা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, জার্মানির অলাভজনক সংস্থা এসিটিপি-এর সহযোগিতায় আইনসম্মতভাবেই পাখিগুলো ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে জার্মানি প্রথমে অনুমোদন দিলেও পরে ব্রাজিলের সঙ্গে পরামর্শ করে ভারতে নতুন করে আর কোনো টিয়া পাঠানো হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। বিষয়টি বর্তমানে আইনি প্রক্রিয়াধীন।

ভানতারা চিড়িয়াখানায় নীল টিয়া হাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: দ্য ইনডিপেনডেন্ট
ভানতারা চিড়িয়াখানায় নীল টিয়া হাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: দ্য ইনডিপেনডেন্ট

ভানতারা চিড়িয়াখানাটি সাড়ে তিন হাজার একর জায়গাজুড়ে নির্মিত। এখানে প্রায় দুই হাজার প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। ২০২২ সাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা, ভেনেজুয়েলা, কঙ্গোসহ ৪০টি দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক বিদেশি প্রাণী এখানে আনা হয়েছে। এর মধ্যে আছে হাজার হাজার সাপ, কচ্ছপ, বাঘ, চিতা, জিরাফ ও গন্ডার। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, এগুলো অর্থ লেনদেন বা কিনে আনা হয়নি, শুধু পরিবহন ও বিমা খরচ বাবদ টাকা দেওয়া হয়েছে।

২০২৪ সালের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভানতারার উদ্বোধন করেন। পরে তিনি সেখানে হাতি, গন্ডার ও সিংহ শাবককে খাওয়ানোর ভিডিও প্রকাশ করেন। এমনকি তাঁর হাতেও একবার স্পিক্স ম্যাকাও দেখা গেছে। ওই চিড়িয়াখানাটিকে ভারত সরকার ‘সংরক্ষণ প্রজনন কেন্দ্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

তবু বিতর্ক থামেনি। নীল টিয়া নিয়ে বিতর্কে ব্রাজিল, ভারত ও জার্মানি এখন জাতিসংঘের বন্যপ্রাণী বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ‘সাইটস’ (সিআইটিইএস) এর মাধ্যমে সমাধান খুঁজছে। ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, ভবিষ্যতে ভানতারায় কোনো প্রাণী পাঠানোর আবেদন এলে তা বাড়তি সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করা হবে।

এদিকে ভারতের আদালত সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে—টিয়া আমদানির নথিগুলো বৈধ এবং ভানতারা এখন ব্রাজিলের সঙ্গে ‘বনে ফিরিয়ে দেওয়া’ কর্মসূচি নিয়ে সরাসরি আলোচনা করছে। তবে এটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল বাসায় নিয়ে গায়েব করেন উপদেষ্টা— আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের মেয়রের অভিযোগ

চীনা যুদ্ধবিমান থেকে এলএস-৬ বোমা ফেলে কেন নিজ দেশে ‘হত্যাযজ্ঞ’ চালাল পাকিস্তান

ফিলিস্তিনকে আজই রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে আরও ৬ দেশ, বিরোধিতা ইসরায়েল–যুক্তরাষ্ট্রের

ভবদহের দুঃখ ঘোচাতে আসছে সেনাবাহিনী, খনন করবে ৫ নদ-নদীর ৮১.৫ কিমি

ধর্ষণের শিকার শিশুর স্বজনকে মারতে উদ্যত হওয়া সেই চিকিৎসক বরখাস্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত