কলকাতা প্রতিনিধি

ভারতে জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধি গত পাঁচ দশকে এক নতুন ধাপে এসে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ সরকারি তথ্য বলছে, ৫০ বছরে দেশটিতে জন্ম ও মৃত্যুহার দুই-ই প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে আসা শুধু স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি নয়, বরং পরিবার পরিকল্পনা, সামাজিক পরিবর্তন, নগরায়ণ এবং শিক্ষা বিস্তারেরও প্রতিফলন।
নমুনা নিবন্ধনব্যবস্থা বা স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের (এসআরএস) ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, জন্মহার অর্থাৎ প্রতি হাজার জনে জীবিত নবজাতকের সংখ্যা গত অর্ধশতকে সর্বভারতীয় স্তরে ৩৬ দশমিক ৯ থেকে নেমে এসেছে ১৮ দশমিক ৪-এ। অর্থাৎ, জন্মহার অর্ধেক হয়ে গেছে।
শুধু গত ১০ বছরের হিসাব নিলে দেখা যায়, ২০১৩ সালে এই জন্মহার ছিল ২১ দশমিক ৪, যা ২০২৩ সালে এসে ১৮ দশমিক ৪-এ দাঁড়িয়েছে। শহর-গ্রামভেদেও বড় পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। গ্রামীণ অঞ্চলে একসময় জন্মহার ছিল অনেক বেশি—১৯৭১ সালে প্রতি হাজারে ৪১ দশমিক ১ জন শিশুর জন্ম হতো। এখন সেই হার নেমে এসেছে ২০ দশমিক ৩-এ। অন্যদিকে নগরাঞ্চলে একই সময়ে জন্মহার ১৭ দশমিক ৩ থেকে নেমেছে ১৪ দশমিক ৯-এ।
আঞ্চলিক বৈষম্যও বড় স্পষ্ট। সর্বশেষ তথ্য বলছে, জন্মহারে শীর্ষে রয়েছে বিহার, যেখানে ২০২৩ সালে প্রতি হাজারে জন্মহার দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৮।
বিপরীতে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে জন্মহার সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ১। উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে জন্মহার এখনো গড়ের তুলনায় অনেক বেশি। আবার কেরালা, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশে জন্মহার তুলনামূলক কম। demographers মনে করছেন, ভারতের দক্ষিণ ও উত্তর রাজ্যগুলোর মধ্যে এই বৈষম্য আগামী দিনে দেশের সামাজিক কাঠামো ও শ্রমবাজারে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
শুধু জন্মহার নয়, মৃত্যুহারও গত পাঁচ দশকে অর্ধেক হয়ে গেছে। ১৯৭১ সালে মৃত্যুহার ছিল ১৪ দশমিক ৯, এখন সেটি নেমে এসেছে ৬ দশমিক ৪-এ। অর্থাৎ, প্রতি হাজারে মৃত্যুর সংখ্যা কমছে, মানুষের আয়ুষ্কাল বেড়েছে, স্বাস্থ্যসেবার বিস্তার ঘটেছে। ২০১৩ সালে মৃত্যুহার ছিল ৭ দশমিক শূন্য, এখন ৬ দশমিক ৪। গ্রামীণ এলাকায় মৃত্যুহার ৬ দশমিক ৮, আর শহরে ৫ দশমিক ৭। তবে রাজ্যভেদে ছবিটা আলাদা—ছত্তিশগড়ে সর্বোচ্চ মৃত্যুহার ৮ দশমিক ৩ আর চণ্ডীগড়ে সর্বনিম্ন ৪ দশমিক শূন্য।
আরেকটি বড় পরিবর্তন ঘটেছে শিশুর মৃত্যুহারে। ২০১৩ সালে প্রতি হাজার জীবিত জন্মে শিশু মৃত্যুর হার ছিল ৪০। ২০২৩ সালে সেটি নেমে এসেছে ২৫-এ। অর্থাৎ এক দশকে শিশু মৃত্যু প্রায় ৩৭ শতাংশ কমেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ, টিকাদান কর্মসূচি, মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শিক্ষা বিস্তারের ফলে শিশু মৃত্যুর হার দ্রুত কমছে। তবে এখনো বহু দরিদ্র ও পশ্চাৎপদ অঞ্চলে এই হার উদ্বেগজনক।
জনসংখ্যা বিজ্ঞানের বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভারতের জন্মহার দ্রুত হ্রাস পাওয়া মানে পরিবার ছোট হচ্ছে। সমাজে সন্তানের সংখ্যা সীমিত রাখার প্রবণতা বেড়েছে। শিক্ষা, বিশেষ করে নারী শিক্ষার বিস্তার, নারীদের কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণ এবং পরিবার পরিকল্পনা সহজলভ্য হওয়ার কারণে এই পরিবর্তন হয়েছে। অন্যদিকে মৃত্যুহার হ্রাস মানে স্বাস্থ্যব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে, ওষুধের সহজলভ্যতা বেড়েছে, গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র সম্প্রসারিত হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রক্ষেপণ বলছে, আগামী দুই দশকে ভারতের জন্মহার আরও কমবে এবং দেশটি ‘রিপ্লেসমেন্ট লেভেল ফার্টিলিটি’র কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। অর্থাৎ, প্রত্যেক নারী গড়ে ২ দশমিক ১টি সন্তানের জন্ম দিলে জনসংখ্যা স্থিতিশীল হয়। ভারতের অনেক রাজ্য ইতিমধ্যে এই স্তরে পৌঁছে গেছে। তবে বিহার, উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্য এখনো অনেকটা দূরে। এই বৈষম্যের কারণে দেশটির ভবিষ্যৎ জনসংখ্যাগত গতি নির্ধারিত হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিবর্তনের দুটি দিক রয়েছে। একদিকে কম জন্মহার মানে ভবিষ্যতে শ্রমশক্তির সংকট তৈরি হতে পারে, বয়স্ক জনসংখ্যা বেড়ে যাবে, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে চাপ বাড়বে। অন্যদিকে এটি অর্থনীতির জন্যও ইতিবাচক হতে পারে। কারণ কম জন্মহার মানে নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা কমে যাবে, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অনুপাত বাড়বে, যা অর্থনীতিতে ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ তৈরি করতে পারে।
অর্ধশতকে জন্ম ও মৃত্যুহারের এই নাটকীয় পরিবর্তন ভারতের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোয় বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভারতে জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধি গত পাঁচ দশকে এক নতুন ধাপে এসে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ সরকারি তথ্য বলছে, ৫০ বছরে দেশটিতে জন্ম ও মৃত্যুহার দুই-ই প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে আসা শুধু স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি নয়, বরং পরিবার পরিকল্পনা, সামাজিক পরিবর্তন, নগরায়ণ এবং শিক্ষা বিস্তারেরও প্রতিফলন।
নমুনা নিবন্ধনব্যবস্থা বা স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের (এসআরএস) ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, জন্মহার অর্থাৎ প্রতি হাজার জনে জীবিত নবজাতকের সংখ্যা গত অর্ধশতকে সর্বভারতীয় স্তরে ৩৬ দশমিক ৯ থেকে নেমে এসেছে ১৮ দশমিক ৪-এ। অর্থাৎ, জন্মহার অর্ধেক হয়ে গেছে।
শুধু গত ১০ বছরের হিসাব নিলে দেখা যায়, ২০১৩ সালে এই জন্মহার ছিল ২১ দশমিক ৪, যা ২০২৩ সালে এসে ১৮ দশমিক ৪-এ দাঁড়িয়েছে। শহর-গ্রামভেদেও বড় পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। গ্রামীণ অঞ্চলে একসময় জন্মহার ছিল অনেক বেশি—১৯৭১ সালে প্রতি হাজারে ৪১ দশমিক ১ জন শিশুর জন্ম হতো। এখন সেই হার নেমে এসেছে ২০ দশমিক ৩-এ। অন্যদিকে নগরাঞ্চলে একই সময়ে জন্মহার ১৭ দশমিক ৩ থেকে নেমেছে ১৪ দশমিক ৯-এ।
আঞ্চলিক বৈষম্যও বড় স্পষ্ট। সর্বশেষ তথ্য বলছে, জন্মহারে শীর্ষে রয়েছে বিহার, যেখানে ২০২৩ সালে প্রতি হাজারে জন্মহার দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৮।
বিপরীতে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে জন্মহার সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ১। উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে জন্মহার এখনো গড়ের তুলনায় অনেক বেশি। আবার কেরালা, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশে জন্মহার তুলনামূলক কম। demographers মনে করছেন, ভারতের দক্ষিণ ও উত্তর রাজ্যগুলোর মধ্যে এই বৈষম্য আগামী দিনে দেশের সামাজিক কাঠামো ও শ্রমবাজারে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
শুধু জন্মহার নয়, মৃত্যুহারও গত পাঁচ দশকে অর্ধেক হয়ে গেছে। ১৯৭১ সালে মৃত্যুহার ছিল ১৪ দশমিক ৯, এখন সেটি নেমে এসেছে ৬ দশমিক ৪-এ। অর্থাৎ, প্রতি হাজারে মৃত্যুর সংখ্যা কমছে, মানুষের আয়ুষ্কাল বেড়েছে, স্বাস্থ্যসেবার বিস্তার ঘটেছে। ২০১৩ সালে মৃত্যুহার ছিল ৭ দশমিক শূন্য, এখন ৬ দশমিক ৪। গ্রামীণ এলাকায় মৃত্যুহার ৬ দশমিক ৮, আর শহরে ৫ দশমিক ৭। তবে রাজ্যভেদে ছবিটা আলাদা—ছত্তিশগড়ে সর্বোচ্চ মৃত্যুহার ৮ দশমিক ৩ আর চণ্ডীগড়ে সর্বনিম্ন ৪ দশমিক শূন্য।
আরেকটি বড় পরিবর্তন ঘটেছে শিশুর মৃত্যুহারে। ২০১৩ সালে প্রতি হাজার জীবিত জন্মে শিশু মৃত্যুর হার ছিল ৪০। ২০২৩ সালে সেটি নেমে এসেছে ২৫-এ। অর্থাৎ এক দশকে শিশু মৃত্যু প্রায় ৩৭ শতাংশ কমেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ, টিকাদান কর্মসূচি, মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শিক্ষা বিস্তারের ফলে শিশু মৃত্যুর হার দ্রুত কমছে। তবে এখনো বহু দরিদ্র ও পশ্চাৎপদ অঞ্চলে এই হার উদ্বেগজনক।
জনসংখ্যা বিজ্ঞানের বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভারতের জন্মহার দ্রুত হ্রাস পাওয়া মানে পরিবার ছোট হচ্ছে। সমাজে সন্তানের সংখ্যা সীমিত রাখার প্রবণতা বেড়েছে। শিক্ষা, বিশেষ করে নারী শিক্ষার বিস্তার, নারীদের কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণ এবং পরিবার পরিকল্পনা সহজলভ্য হওয়ার কারণে এই পরিবর্তন হয়েছে। অন্যদিকে মৃত্যুহার হ্রাস মানে স্বাস্থ্যব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে, ওষুধের সহজলভ্যতা বেড়েছে, গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র সম্প্রসারিত হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রক্ষেপণ বলছে, আগামী দুই দশকে ভারতের জন্মহার আরও কমবে এবং দেশটি ‘রিপ্লেসমেন্ট লেভেল ফার্টিলিটি’র কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। অর্থাৎ, প্রত্যেক নারী গড়ে ২ দশমিক ১টি সন্তানের জন্ম দিলে জনসংখ্যা স্থিতিশীল হয়। ভারতের অনেক রাজ্য ইতিমধ্যে এই স্তরে পৌঁছে গেছে। তবে বিহার, উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্য এখনো অনেকটা দূরে। এই বৈষম্যের কারণে দেশটির ভবিষ্যৎ জনসংখ্যাগত গতি নির্ধারিত হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিবর্তনের দুটি দিক রয়েছে। একদিকে কম জন্মহার মানে ভবিষ্যতে শ্রমশক্তির সংকট তৈরি হতে পারে, বয়স্ক জনসংখ্যা বেড়ে যাবে, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে চাপ বাড়বে। অন্যদিকে এটি অর্থনীতির জন্যও ইতিবাচক হতে পারে। কারণ কম জন্মহার মানে নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা কমে যাবে, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অনুপাত বাড়বে, যা অর্থনীতিতে ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ তৈরি করতে পারে।
অর্ধশতকে জন্ম ও মৃত্যুহারের এই নাটকীয় পরিবর্তন ভারতের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোয় বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কলকাতা প্রতিনিধি

ভারতে জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধি গত পাঁচ দশকে এক নতুন ধাপে এসে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ সরকারি তথ্য বলছে, ৫০ বছরে দেশটিতে জন্ম ও মৃত্যুহার দুই-ই প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে আসা শুধু স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি নয়, বরং পরিবার পরিকল্পনা, সামাজিক পরিবর্তন, নগরায়ণ এবং শিক্ষা বিস্তারেরও প্রতিফলন।
নমুনা নিবন্ধনব্যবস্থা বা স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের (এসআরএস) ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, জন্মহার অর্থাৎ প্রতি হাজার জনে জীবিত নবজাতকের সংখ্যা গত অর্ধশতকে সর্বভারতীয় স্তরে ৩৬ দশমিক ৯ থেকে নেমে এসেছে ১৮ দশমিক ৪-এ। অর্থাৎ, জন্মহার অর্ধেক হয়ে গেছে।
শুধু গত ১০ বছরের হিসাব নিলে দেখা যায়, ২০১৩ সালে এই জন্মহার ছিল ২১ দশমিক ৪, যা ২০২৩ সালে এসে ১৮ দশমিক ৪-এ দাঁড়িয়েছে। শহর-গ্রামভেদেও বড় পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। গ্রামীণ অঞ্চলে একসময় জন্মহার ছিল অনেক বেশি—১৯৭১ সালে প্রতি হাজারে ৪১ দশমিক ১ জন শিশুর জন্ম হতো। এখন সেই হার নেমে এসেছে ২০ দশমিক ৩-এ। অন্যদিকে নগরাঞ্চলে একই সময়ে জন্মহার ১৭ দশমিক ৩ থেকে নেমেছে ১৪ দশমিক ৯-এ।
আঞ্চলিক বৈষম্যও বড় স্পষ্ট। সর্বশেষ তথ্য বলছে, জন্মহারে শীর্ষে রয়েছে বিহার, যেখানে ২০২৩ সালে প্রতি হাজারে জন্মহার দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৮।
বিপরীতে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে জন্মহার সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ১। উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে জন্মহার এখনো গড়ের তুলনায় অনেক বেশি। আবার কেরালা, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশে জন্মহার তুলনামূলক কম। demographers মনে করছেন, ভারতের দক্ষিণ ও উত্তর রাজ্যগুলোর মধ্যে এই বৈষম্য আগামী দিনে দেশের সামাজিক কাঠামো ও শ্রমবাজারে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
শুধু জন্মহার নয়, মৃত্যুহারও গত পাঁচ দশকে অর্ধেক হয়ে গেছে। ১৯৭১ সালে মৃত্যুহার ছিল ১৪ দশমিক ৯, এখন সেটি নেমে এসেছে ৬ দশমিক ৪-এ। অর্থাৎ, প্রতি হাজারে মৃত্যুর সংখ্যা কমছে, মানুষের আয়ুষ্কাল বেড়েছে, স্বাস্থ্যসেবার বিস্তার ঘটেছে। ২০১৩ সালে মৃত্যুহার ছিল ৭ দশমিক শূন্য, এখন ৬ দশমিক ৪। গ্রামীণ এলাকায় মৃত্যুহার ৬ দশমিক ৮, আর শহরে ৫ দশমিক ৭। তবে রাজ্যভেদে ছবিটা আলাদা—ছত্তিশগড়ে সর্বোচ্চ মৃত্যুহার ৮ দশমিক ৩ আর চণ্ডীগড়ে সর্বনিম্ন ৪ দশমিক শূন্য।
আরেকটি বড় পরিবর্তন ঘটেছে শিশুর মৃত্যুহারে। ২০১৩ সালে প্রতি হাজার জীবিত জন্মে শিশু মৃত্যুর হার ছিল ৪০। ২০২৩ সালে সেটি নেমে এসেছে ২৫-এ। অর্থাৎ এক দশকে শিশু মৃত্যু প্রায় ৩৭ শতাংশ কমেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ, টিকাদান কর্মসূচি, মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শিক্ষা বিস্তারের ফলে শিশু মৃত্যুর হার দ্রুত কমছে। তবে এখনো বহু দরিদ্র ও পশ্চাৎপদ অঞ্চলে এই হার উদ্বেগজনক।
জনসংখ্যা বিজ্ঞানের বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভারতের জন্মহার দ্রুত হ্রাস পাওয়া মানে পরিবার ছোট হচ্ছে। সমাজে সন্তানের সংখ্যা সীমিত রাখার প্রবণতা বেড়েছে। শিক্ষা, বিশেষ করে নারী শিক্ষার বিস্তার, নারীদের কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণ এবং পরিবার পরিকল্পনা সহজলভ্য হওয়ার কারণে এই পরিবর্তন হয়েছে। অন্যদিকে মৃত্যুহার হ্রাস মানে স্বাস্থ্যব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে, ওষুধের সহজলভ্যতা বেড়েছে, গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র সম্প্রসারিত হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রক্ষেপণ বলছে, আগামী দুই দশকে ভারতের জন্মহার আরও কমবে এবং দেশটি ‘রিপ্লেসমেন্ট লেভেল ফার্টিলিটি’র কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। অর্থাৎ, প্রত্যেক নারী গড়ে ২ দশমিক ১টি সন্তানের জন্ম দিলে জনসংখ্যা স্থিতিশীল হয়। ভারতের অনেক রাজ্য ইতিমধ্যে এই স্তরে পৌঁছে গেছে। তবে বিহার, উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্য এখনো অনেকটা দূরে। এই বৈষম্যের কারণে দেশটির ভবিষ্যৎ জনসংখ্যাগত গতি নির্ধারিত হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিবর্তনের দুটি দিক রয়েছে। একদিকে কম জন্মহার মানে ভবিষ্যতে শ্রমশক্তির সংকট তৈরি হতে পারে, বয়স্ক জনসংখ্যা বেড়ে যাবে, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে চাপ বাড়বে। অন্যদিকে এটি অর্থনীতির জন্যও ইতিবাচক হতে পারে। কারণ কম জন্মহার মানে নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা কমে যাবে, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অনুপাত বাড়বে, যা অর্থনীতিতে ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ তৈরি করতে পারে।
অর্ধশতকে জন্ম ও মৃত্যুহারের এই নাটকীয় পরিবর্তন ভারতের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোয় বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভারতে জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধি গত পাঁচ দশকে এক নতুন ধাপে এসে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ সরকারি তথ্য বলছে, ৫০ বছরে দেশটিতে জন্ম ও মৃত্যুহার দুই-ই প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে আসা শুধু স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি নয়, বরং পরিবার পরিকল্পনা, সামাজিক পরিবর্তন, নগরায়ণ এবং শিক্ষা বিস্তারেরও প্রতিফলন।
নমুনা নিবন্ধনব্যবস্থা বা স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের (এসআরএস) ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, জন্মহার অর্থাৎ প্রতি হাজার জনে জীবিত নবজাতকের সংখ্যা গত অর্ধশতকে সর্বভারতীয় স্তরে ৩৬ দশমিক ৯ থেকে নেমে এসেছে ১৮ দশমিক ৪-এ। অর্থাৎ, জন্মহার অর্ধেক হয়ে গেছে।
শুধু গত ১০ বছরের হিসাব নিলে দেখা যায়, ২০১৩ সালে এই জন্মহার ছিল ২১ দশমিক ৪, যা ২০২৩ সালে এসে ১৮ দশমিক ৪-এ দাঁড়িয়েছে। শহর-গ্রামভেদেও বড় পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। গ্রামীণ অঞ্চলে একসময় জন্মহার ছিল অনেক বেশি—১৯৭১ সালে প্রতি হাজারে ৪১ দশমিক ১ জন শিশুর জন্ম হতো। এখন সেই হার নেমে এসেছে ২০ দশমিক ৩-এ। অন্যদিকে নগরাঞ্চলে একই সময়ে জন্মহার ১৭ দশমিক ৩ থেকে নেমেছে ১৪ দশমিক ৯-এ।
আঞ্চলিক বৈষম্যও বড় স্পষ্ট। সর্বশেষ তথ্য বলছে, জন্মহারে শীর্ষে রয়েছে বিহার, যেখানে ২০২৩ সালে প্রতি হাজারে জন্মহার দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৮।
বিপরীতে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে জন্মহার সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ১। উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে জন্মহার এখনো গড়ের তুলনায় অনেক বেশি। আবার কেরালা, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশে জন্মহার তুলনামূলক কম। demographers মনে করছেন, ভারতের দক্ষিণ ও উত্তর রাজ্যগুলোর মধ্যে এই বৈষম্য আগামী দিনে দেশের সামাজিক কাঠামো ও শ্রমবাজারে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
শুধু জন্মহার নয়, মৃত্যুহারও গত পাঁচ দশকে অর্ধেক হয়ে গেছে। ১৯৭১ সালে মৃত্যুহার ছিল ১৪ দশমিক ৯, এখন সেটি নেমে এসেছে ৬ দশমিক ৪-এ। অর্থাৎ, প্রতি হাজারে মৃত্যুর সংখ্যা কমছে, মানুষের আয়ুষ্কাল বেড়েছে, স্বাস্থ্যসেবার বিস্তার ঘটেছে। ২০১৩ সালে মৃত্যুহার ছিল ৭ দশমিক শূন্য, এখন ৬ দশমিক ৪। গ্রামীণ এলাকায় মৃত্যুহার ৬ দশমিক ৮, আর শহরে ৫ দশমিক ৭। তবে রাজ্যভেদে ছবিটা আলাদা—ছত্তিশগড়ে সর্বোচ্চ মৃত্যুহার ৮ দশমিক ৩ আর চণ্ডীগড়ে সর্বনিম্ন ৪ দশমিক শূন্য।
আরেকটি বড় পরিবর্তন ঘটেছে শিশুর মৃত্যুহারে। ২০১৩ সালে প্রতি হাজার জীবিত জন্মে শিশু মৃত্যুর হার ছিল ৪০। ২০২৩ সালে সেটি নেমে এসেছে ২৫-এ। অর্থাৎ এক দশকে শিশু মৃত্যু প্রায় ৩৭ শতাংশ কমেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ, টিকাদান কর্মসূচি, মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শিক্ষা বিস্তারের ফলে শিশু মৃত্যুর হার দ্রুত কমছে। তবে এখনো বহু দরিদ্র ও পশ্চাৎপদ অঞ্চলে এই হার উদ্বেগজনক।
জনসংখ্যা বিজ্ঞানের বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভারতের জন্মহার দ্রুত হ্রাস পাওয়া মানে পরিবার ছোট হচ্ছে। সমাজে সন্তানের সংখ্যা সীমিত রাখার প্রবণতা বেড়েছে। শিক্ষা, বিশেষ করে নারী শিক্ষার বিস্তার, নারীদের কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণ এবং পরিবার পরিকল্পনা সহজলভ্য হওয়ার কারণে এই পরিবর্তন হয়েছে। অন্যদিকে মৃত্যুহার হ্রাস মানে স্বাস্থ্যব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে, ওষুধের সহজলভ্যতা বেড়েছে, গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র সম্প্রসারিত হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রক্ষেপণ বলছে, আগামী দুই দশকে ভারতের জন্মহার আরও কমবে এবং দেশটি ‘রিপ্লেসমেন্ট লেভেল ফার্টিলিটি’র কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। অর্থাৎ, প্রত্যেক নারী গড়ে ২ দশমিক ১টি সন্তানের জন্ম দিলে জনসংখ্যা স্থিতিশীল হয়। ভারতের অনেক রাজ্য ইতিমধ্যে এই স্তরে পৌঁছে গেছে। তবে বিহার, উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্য এখনো অনেকটা দূরে। এই বৈষম্যের কারণে দেশটির ভবিষ্যৎ জনসংখ্যাগত গতি নির্ধারিত হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিবর্তনের দুটি দিক রয়েছে। একদিকে কম জন্মহার মানে ভবিষ্যতে শ্রমশক্তির সংকট তৈরি হতে পারে, বয়স্ক জনসংখ্যা বেড়ে যাবে, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে চাপ বাড়বে। অন্যদিকে এটি অর্থনীতির জন্যও ইতিবাচক হতে পারে। কারণ কম জন্মহার মানে নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা কমে যাবে, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অনুপাত বাড়বে, যা অর্থনীতিতে ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ তৈরি করতে পারে।
অর্ধশতকে জন্ম ও মৃত্যুহারের এই নাটকীয় পরিবর্তন ভারতের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোয় বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত
৩ ঘণ্টা আগে
ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে।
৬ ঘণ্টা আগে
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
লাভরভ বলেন, ‘৫ নভেম্বর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিন যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। ফলাফল সম্পর্কে জনসাধারণকে পরে জানানো হবে।’
তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুতিনের এই নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ঘোষণার পর আসে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প হঠাৎ ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র আবারও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করবে।
লাভরভ আরও জানান, রাশিয়া এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ট্রাম্পের এই নির্দেশনা নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা পায়নি।
গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে খারাপ হয়েছে। নির্বাচনের আগে ট্রাম্প এক দিনে ইউক্রেন যুদ্ধ থামাবেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফলাফল না আসায় তিনি পুতিনের কর্মকাণ্ডে বারবার হতাশ হয়েছেন। এর ফলে সম্প্রতি পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত একটি বৈঠক বাতিল করেছেন এবং জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
লাভরভ বলেন, ‘৫ নভেম্বর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিন যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। ফলাফল সম্পর্কে জনসাধারণকে পরে জানানো হবে।’
তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুতিনের এই নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ঘোষণার পর আসে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প হঠাৎ ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র আবারও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করবে।
লাভরভ আরও জানান, রাশিয়া এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ট্রাম্পের এই নির্দেশনা নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা পায়নি।
গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে খারাপ হয়েছে। নির্বাচনের আগে ট্রাম্প এক দিনে ইউক্রেন যুদ্ধ থামাবেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফলাফল না আসায় তিনি পুতিনের কর্মকাণ্ডে বারবার হতাশ হয়েছেন। এর ফলে সম্প্রতি পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত একটি বৈঠক বাতিল করেছেন এবং জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।

শুধু গত ১০ বছরের হিসাব নিলে দেখা যায়, ২০১৩ সালে এই জন্মহার ছিল ২১ দশমিক ৪, যা ২০২৩ সালে এসে ১৮ দশমিক ৪-এ দাঁড়িয়েছে। শহর-গ্রামভেদেও বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। গ্রামীণ অঞ্চলে একসময় জন্মহার ছিল অনেক বেশি—১৯৭১ সালে প্রতি হাজার জনে ৪১.১ শিশুর জন্ম হতো।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত
৩ ঘণ্টা আগে
ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে।
৬ ঘণ্টা আগে
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন ও গণহত্যা চলছে। এসব বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সরকারি প্রতিনিধি দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবেন না।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত দিন পর্যন্ত কোনো মার্কিন প্রতিনিধি সেখানে যাবে না।’
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, আফ্রিকানারদের (দক্ষিণ আফ্রিকায় বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ) একচেটিয়া শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠী হিসেবে চিত্রিত করা ইতিহাস বিকৃতি। পাশাপাশি, এই সম্প্রদায় নিপীড়নের শিকার—এমন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার জি-২০-এ থাকা উচিত নয় এবং তিনি নিজে না গিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সকে পাঠাবেন। তবে এখন হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো কর্মকর্তাই এই সম্মেলনে অংশ নেবেন না।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শেষের দিকে জোহানেসবার্গে জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছর জি-২০ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একটি দেশ এই সম্মেলনের আয়োজক হয় এবং তারাই সম্মেলনের অ্যাজেন্ডা নির্ধারণ করে। এ বছর আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা, পরের বছর যুক্তরাষ্ট্র।
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বলছে, তাদের দেশে ‘শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা’ চলছে এমন দাবি ‘ভিত্তিহীন ও অবিশ্বস্ত সূত্রনির্ভর’। দেশটির কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত শরণার্থী কর্মসূচি ঘোষণার পরও খুব অল্পসংখ্যক আফ্রিকান এই সুবিধার জন্য আবেদন করেছেন। এ থেকে বোঝা যায়, আমাদের দেশে শ্বেতাঙ্গরা নিরাপদে আছেন।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে ট্রাম্প একাধিকবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘুদের ওপর বৈষম্য ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। গত মে মাসে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের সময়ও একই অভিযোগ করেন।
এরপর ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানারদের ‘গণহত্যার শিকার’ আখ্যা দিয়ে শরণার্থী মর্যাদা দেয়। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস ঘোষণা করে, যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের সর্বোচ্চ সীমা ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে এবং শ্বেতাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকানদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার একটি আদালত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের এই গণহত্যার দাবিকে ‘কল্পনাপ্রসূত ও প্রমাণহীন’ বলে খারিজ করে দেয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে এশীয় অর্থনৈতিক সংকটের পর জি-২০ গঠিত হয়, যাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এই গোষ্ঠীর সদস্যরা বিশ্বের মোট সম্পদের ৮৫ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করে। ২০০৮ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সময় ‘আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্য’ নিয়ে প্রথম জি-২০ নেতাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে প্রতিবছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান ইউনিয়ন বিশ্ব অর্থনীতি ও নানা বৈশ্বিক ইস্যুতে আলোচনা করতে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন ও গণহত্যা চলছে। এসব বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সরকারি প্রতিনিধি দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবেন না।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত দিন পর্যন্ত কোনো মার্কিন প্রতিনিধি সেখানে যাবে না।’
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, আফ্রিকানারদের (দক্ষিণ আফ্রিকায় বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ) একচেটিয়া শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠী হিসেবে চিত্রিত করা ইতিহাস বিকৃতি। পাশাপাশি, এই সম্প্রদায় নিপীড়নের শিকার—এমন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার জি-২০-এ থাকা উচিত নয় এবং তিনি নিজে না গিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সকে পাঠাবেন। তবে এখন হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো কর্মকর্তাই এই সম্মেলনে অংশ নেবেন না।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শেষের দিকে জোহানেসবার্গে জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছর জি-২০ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একটি দেশ এই সম্মেলনের আয়োজক হয় এবং তারাই সম্মেলনের অ্যাজেন্ডা নির্ধারণ করে। এ বছর আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা, পরের বছর যুক্তরাষ্ট্র।
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বলছে, তাদের দেশে ‘শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা’ চলছে এমন দাবি ‘ভিত্তিহীন ও অবিশ্বস্ত সূত্রনির্ভর’। দেশটির কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত শরণার্থী কর্মসূচি ঘোষণার পরও খুব অল্পসংখ্যক আফ্রিকান এই সুবিধার জন্য আবেদন করেছেন। এ থেকে বোঝা যায়, আমাদের দেশে শ্বেতাঙ্গরা নিরাপদে আছেন।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে ট্রাম্প একাধিকবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘুদের ওপর বৈষম্য ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। গত মে মাসে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের সময়ও একই অভিযোগ করেন।
এরপর ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানারদের ‘গণহত্যার শিকার’ আখ্যা দিয়ে শরণার্থী মর্যাদা দেয়। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস ঘোষণা করে, যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের সর্বোচ্চ সীমা ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে এবং শ্বেতাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকানদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার একটি আদালত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের এই গণহত্যার দাবিকে ‘কল্পনাপ্রসূত ও প্রমাণহীন’ বলে খারিজ করে দেয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে এশীয় অর্থনৈতিক সংকটের পর জি-২০ গঠিত হয়, যাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এই গোষ্ঠীর সদস্যরা বিশ্বের মোট সম্পদের ৮৫ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করে। ২০০৮ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সময় ‘আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্য’ নিয়ে প্রথম জি-২০ নেতাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে প্রতিবছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান ইউনিয়ন বিশ্ব অর্থনীতি ও নানা বৈশ্বিক ইস্যুতে আলোচনা করতে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

শুধু গত ১০ বছরের হিসাব নিলে দেখা যায়, ২০১৩ সালে এই জন্মহার ছিল ২১ দশমিক ৪, যা ২০২৩ সালে এসে ১৮ দশমিক ৪-এ দাঁড়িয়েছে। শহর-গ্রামভেদেও বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। গ্রামীণ অঞ্চলে একসময় জন্মহার ছিল অনেক বেশি—১৯৭১ সালে প্রতি হাজার জনে ৪১.১ শিশুর জন্ম হতো।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে।
৬ ঘণ্টা আগে
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে। হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়া রাস্তায় বের হওয়ায় এক স্কুটিচালককে জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ২১ লাখ রুপি! বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনার পরে জরিমানার চালানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, ওই চালককে জরিমানা করা হয়েছে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। তবে পরে পুলিশ জানায়, তাদের ভুল হয়েছে। ওই ব্যক্তির প্রকৃত জরিমানার পরিমাণ ছিল চার হাজার রুপি।
গত মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগর জেলার নিউ মান্ডি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আনমোল সিংহল নামের ওই ব্যক্তি হেলমেট ছাড়াই স্কুটার চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও ছিল না।
পথে পুলিশ তাঁর স্কুটারটি জব্দ করে এবং তাঁকে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপির চালান দেয়। অস্বাভাবিক এই পরিমাণ দেখে বিস্মিত আনমোল সিংহল জরিমানার চালানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। ছবিটি ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এরপর পুলিশ দ্রুত চালানের পরিমাণ সংশোধন করে চার হাজার রুপিতে নামিয়ে আনে।
মুজাফফরনগরের ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ অতুল চৌবে জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টরের অসাবধানতার কারণে চালানে ভুল হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘মোটরযান আইনের ২০৭ ধারায় ৪ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু সাব-ইন্সপেক্টর ২০৭-এর পর মোটরযান আইন শব্দটি লেখেননি।’
এর ফলে ২০৭ ও ৪০০০ (যা ওই ধারার অধীনে ন্যূনতম জরিমানার পরিমাণ) মিলে হয়ে যায় ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। অতুল চৌবে আরও জানান, ওই ব্যক্তির প্রকৃত আসল জরিমানা মাত্র চার হাজার রুপি।
উল্লেখ্য, ভারতে মোটরযান আইনের ২০৭ ধারা অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে পুলিশ জরিমানার পাশাপাশি কোনো যানবাহন জব্দ করার ক্ষমতা রাখে।

ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে। হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়া রাস্তায় বের হওয়ায় এক স্কুটিচালককে জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ২১ লাখ রুপি! বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনার পরে জরিমানার চালানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, ওই চালককে জরিমানা করা হয়েছে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। তবে পরে পুলিশ জানায়, তাদের ভুল হয়েছে। ওই ব্যক্তির প্রকৃত জরিমানার পরিমাণ ছিল চার হাজার রুপি।
গত মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগর জেলার নিউ মান্ডি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আনমোল সিংহল নামের ওই ব্যক্তি হেলমেট ছাড়াই স্কুটার চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও ছিল না।
পথে পুলিশ তাঁর স্কুটারটি জব্দ করে এবং তাঁকে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপির চালান দেয়। অস্বাভাবিক এই পরিমাণ দেখে বিস্মিত আনমোল সিংহল জরিমানার চালানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। ছবিটি ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এরপর পুলিশ দ্রুত চালানের পরিমাণ সংশোধন করে চার হাজার রুপিতে নামিয়ে আনে।
মুজাফফরনগরের ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ অতুল চৌবে জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টরের অসাবধানতার কারণে চালানে ভুল হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘মোটরযান আইনের ২০৭ ধারায় ৪ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু সাব-ইন্সপেক্টর ২০৭-এর পর মোটরযান আইন শব্দটি লেখেননি।’
এর ফলে ২০৭ ও ৪০০০ (যা ওই ধারার অধীনে ন্যূনতম জরিমানার পরিমাণ) মিলে হয়ে যায় ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। অতুল চৌবে আরও জানান, ওই ব্যক্তির প্রকৃত আসল জরিমানা মাত্র চার হাজার রুপি।
উল্লেখ্য, ভারতে মোটরযান আইনের ২০৭ ধারা অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে পুলিশ জরিমানার পাশাপাশি কোনো যানবাহন জব্দ করার ক্ষমতা রাখে।

শুধু গত ১০ বছরের হিসাব নিলে দেখা যায়, ২০১৩ সালে এই জন্মহার ছিল ২১ দশমিক ৪, যা ২০২৩ সালে এসে ১৮ দশমিক ৪-এ দাঁড়িয়েছে। শহর-গ্রামভেদেও বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। গ্রামীণ অঞ্চলে একসময় জন্মহার ছিল অনেক বেশি—১৯৭১ সালে প্রতি হাজার জনে ৪১.১ শিশুর জন্ম হতো।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত
৩ ঘণ্টা আগে
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জুয়েলারির দোকানে ঢুকেছিলেন এক নারী। তবে তাঁর উদ্দেশ্য পূরণ তো হয়ইনি; উল্টো দোকানদারের কাছ থেকে ২৫ সেকেন্ডে কমপক্ষে ২০টি চড় খেয়েছেন তিনি।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া দৃশ্যে দেখা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
পরিস্থিতি বুঝতে পেরে দোকানদার উঠে দাঁড়িয়ে ওই নারীকে একের পর এক চড় মারতে শুরু করেন—২৫ সেকেন্ডে অন্তত ২০ বার। এরপর তিনি কাউন্টার টপকে ওই নারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁকে টেনে বাইরে নিয়ে যান এবং আরও চড় মারতে থাকেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন দোকানদার। তবুও সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ওই নারীর খোঁজে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
রানিপ থানার পুলিশ পরিদর্শক কেতন ভাস বলেন, ‘দোকানদার অভিযোগ করছেন না। তবে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আমরা ওই নারীকে শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছি।’
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জুয়েলারির দোকানে ঢুকেছিলেন এক নারী। তবে তাঁর উদ্দেশ্য পূরণ তো হয়ইনি; উল্টো দোকানদারের কাছ থেকে ২৫ সেকেন্ডে কমপক্ষে ২০টি চড় খেয়েছেন তিনি।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া দৃশ্যে দেখা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
পরিস্থিতি বুঝতে পেরে দোকানদার উঠে দাঁড়িয়ে ওই নারীকে একের পর এক চড় মারতে শুরু করেন—২৫ সেকেন্ডে অন্তত ২০ বার। এরপর তিনি কাউন্টার টপকে ওই নারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁকে টেনে বাইরে নিয়ে যান এবং আরও চড় মারতে থাকেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন দোকানদার। তবুও সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ওই নারীর খোঁজে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
রানিপ থানার পুলিশ পরিদর্শক কেতন ভাস বলেন, ‘দোকানদার অভিযোগ করছেন না। তবে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আমরা ওই নারীকে শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছি।’
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

শুধু গত ১০ বছরের হিসাব নিলে দেখা যায়, ২০১৩ সালে এই জন্মহার ছিল ২১ দশমিক ৪, যা ২০২৩ সালে এসে ১৮ দশমিক ৪-এ দাঁড়িয়েছে। শহর-গ্রামভেদেও বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। গ্রামীণ অঞ্চলে একসময় জন্মহার ছিল অনেক বেশি—১৯৭১ সালে প্রতি হাজার জনে ৪১.১ শিশুর জন্ম হতো।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত
৩ ঘণ্টা আগে
ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে।
৬ ঘণ্টা আগে