Ajker Patrika

আইএসআইয়ের সহযোগিতায় মুম্বাই হামলা, মূল ষড়যন্ত্রকারীর স্বীকারোক্তি

অনলাইন ডেস্ক
মুম্বাই হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী তাহাউর হুসাইন রানা। ছবি: সংগৃহীত
মুম্বাই হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী তাহাউর হুসাইন রানা। ছবি: সংগৃহীত

মুম্বাই হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী তাহাউর হুসাইন রানা কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। দিল্লির তিহার জেলে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) হেফাজতে থাকা রানা মুম্বাই ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, মুম্বাই হামলা পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সহযোগিতায় পরিচালিত হয়েছে। এ ছাড়া হামলার সময় তিনি মুম্বাই শহরেই ছিলেন এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একজন বিশ্বস্ত এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।

তাহাউর রানা মুম্বাই ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, তাঁর বন্ধু ও সহযোগী ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গে তিনি পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী লস্কর-ই-তাইয়েবার বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণে অংশ নেন। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, রানা বলেছেন, লস্কর-ই-তাইয়েবা মূলত একটি গুপ্তচর নেটওয়ার্ক হিসেবে কাজ করত।

সূত্রের তথ্য অনুসারে রানা স্বীকার করেছেন, হামলার আগে মুম্বাইয়ে একটি অভিবাসনকেন্দ্র খোলার ধারণাটি তাঁরই ছিল। এর আর্থিক লেনদেন তাঁর ব্যবসার খরচ হিসেবে দেখানো হয়েছিল। তিনি আরও স্বীকার করেছেন, ২৬/১১ হামলার সময় তিনি মুম্বাইয়ে ছিলেন এবং এটি হামলাকারী সন্ত্রাসীদেরই পরিকল্পনার অংশ ছিল।

রানা আরও বলেছেন, তিনি হামলার আগে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাসের মতো স্থানগুলো ঘুরে দেখেন এবং ২৬/১১ হামলার পেছনে পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ছিল। ৬৪ বছর বয়সী রানা আরও জানান, পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধের (খালিজ যুদ্ধ) সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাঁকে সৌদি আরবে পাঠিয়েছিল।

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক রানাকে এই বছরের শুরুতে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হয়। মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট গত ৪ এপ্রিল তাঁর পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পর এই প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। মে মাসে ভারতে আনার পর এনআইএ আনুষ্ঠানিকভাবে রানাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে নেয়। ষড়যন্ত্র, হত্যা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, জালিয়াতিসহ একাধিক অভিযোগে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গত মাসে দিল্লির একটি আদালত রানার বিচার বিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ ৯ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে (২৬/১১ নামেও পরিচিত) ১০ জন পাকিস্তানি সন্ত্রাসী দ্বারা পরিচালিত হামলায় ১৬৬ জন নিহত হয়েছিল। প্রায় ৬০ ঘণ্টা ধরে চলা এই হামলায় তাজ ও ওবেরয় হোটেল, ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস, ইহুদি কেন্দ্র নারিম্যান হাউসের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তোমাদের যে কিছু করিনি, তা-ই ভাগ্য—ডাকাতির সময় দুই কিশোরীকে সাবেক সেনা কর্মকর্তা

বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা

সাধুর বেশে এসে সাবেক স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

স্টার্টআপ থেকে স্মার্ট সিটি: যেভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ টানছে বাংলাদেশ

বরিশাল-১: স্বপন-কুদ্দুসের দ্বন্দ্বে নির্বাচনের আগে দলে অস্থিরতা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত