অনলাইন ডেস্ক
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে ভাষা ও পরিচয় ঘিরে উত্তেজনা চলছে, যা সম্প্রতি সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলে মহারাষ্ট্র সরকার রাজ্যের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে হিন্দিকে তৃতীয় ভাষা হিসেবে পড়ানো বাধ্যতামূলক করলে এই উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। এর আগে এসব বিদ্যালয়ে মারাঠি ও ইংরেজি পড়ানো হতো।
ভারত সরকার জানিয়েছে, নতুন সিদ্ধান্তটি জাতীয় শিক্ষানীতির (এনইপি) নির্দেশনা অনুযায়ী আরোপ করা হয়েছে। এনইপি তিনটি ভাষা শেখানো বাধ্যতামূলক করেছে।
আজ শুক্রবার বিবিসি জানিয়েছে, নতুন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মহারাষ্ট্রের সুশীল সমাজ ও বিরোধী নেতারা। এমনকি সেখানে ভাষা নিয়ে আন্দোলনেরও সূত্রপাত হয়েছে। তারা সরকারের বিরুদ্ধে হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে।
ভাষা ভারতে অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। কারণ, স্বাধীনতার পর সেখানে অনেক রাজ্য ভাষাভিত্তিক বিভাজনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। স্থানীয় ভাষার সঙ্গে মানুষের সাংস্কৃতিক পরিচয় ও আত্মমর্যাদা গভীরভাবে যুক্ত। তাই হিন্দিকে চাপিয়ে দেওয়ার উদ্যোগকে অনেকে হুমকি হিসেবে দেখছেন।
বিশেষ করে, হিন্দি ভাষা নিয়ে আপত্তি তীব্র। কারণ, এটি মূলত উত্তর ও মধ্য ভারতের ভাষা। তাই বিভিন্ন সময় কেন্দ্রীয় সরকারের হিন্দি প্রচারের উদ্যোগগুলো দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতের অ-হিন্দিভাষী রাজ্যগুলোতে শঙ্কা সৃষ্টি করেছে। এসব অঞ্চলের মানুষ ভাবছেন, এতে তাঁদের স্থানীয় সংস্কৃতি ও ভাষার অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। মহারাষ্ট্রসহ উন্নত রাজ্যগুলোতে কর্মসংস্থানের জন্য হিন্দিভাষী রাজ্যগুলো থেকে অভিবাসন বেড়ে যাওয়ায় এই শঙ্কা আরও বেড়েছে।
২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ভাষানির্ভর রাজনীতির উত্তেজনা বাড়ে। বিজেপির শীর্ষ নেতারা প্রায়ই হিন্দিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বক্তব্য দিয়ে বিতর্ক তৈরি করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার সিদ্ধান্তটি স্থগিত করে এবং বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করে। তারপরও বিরোধ থামেনি।
এই উত্তেজনার মধ্যেই মহারাষ্ট্রে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন; বিশেষ করে, ভারতের সবচেয়ে ধনী নগর সংস্থা মুম্বাই পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কিছুদিনের মধ্যে। ফলে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বেড়েছে। শাসক ও বিরোধী পক্ষ একে অপরকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দোষারোপ করছে।
তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, ভাষা নিয়ে সহিংস ঘটনাও ঘটছে। এপ্রিল মাসে মহারাষ্ট্রের থানে জেলায় দুই নারীকে আক্রমণ করা হয়। কারণ, তাঁরা একজন মারাঠি ভাষাভাষীর সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলেছিলেন। একই সময়ে মুম্বাইয়ে এক নিরাপত্তারক্ষী মারাঠি না জানায় মারধরের শিকার হন। গত মে মাসে এক দম্পতি মারাঠিতে কথা না বলায় ডেলিভারি বয়কে টাকা দেননি। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, এক দোকানদারকে মারাঠি না বলায় মারধর করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ভাষাভিত্তিক আবেগ সামনের নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও অনেকে মনে করেন, এজাতীয় রাজনীতি দীর্ঘ মেয়াদে জনগণের আস্থা হারাবে।
ভারতীয় রাজনীতি পর্যবেক্ষক প্রশান্ত দীক্ষিত বলেন, মানুষ প্রকৃত উন্নয়ন, চাকরি ও নীতিগত পরিবর্তন চায়। ভাষার নামে হিংসা কেবল বিভাজন বাড়ায়, যা মহারাষ্ট্রের মতো শিল্পোন্নত রাজ্যে কাম্য নয়।
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে ভাষা ও পরিচয় ঘিরে উত্তেজনা চলছে, যা সম্প্রতি সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলে মহারাষ্ট্র সরকার রাজ্যের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে হিন্দিকে তৃতীয় ভাষা হিসেবে পড়ানো বাধ্যতামূলক করলে এই উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। এর আগে এসব বিদ্যালয়ে মারাঠি ও ইংরেজি পড়ানো হতো।
ভারত সরকার জানিয়েছে, নতুন সিদ্ধান্তটি জাতীয় শিক্ষানীতির (এনইপি) নির্দেশনা অনুযায়ী আরোপ করা হয়েছে। এনইপি তিনটি ভাষা শেখানো বাধ্যতামূলক করেছে।
আজ শুক্রবার বিবিসি জানিয়েছে, নতুন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মহারাষ্ট্রের সুশীল সমাজ ও বিরোধী নেতারা। এমনকি সেখানে ভাষা নিয়ে আন্দোলনেরও সূত্রপাত হয়েছে। তারা সরকারের বিরুদ্ধে হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে।
ভাষা ভারতে অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। কারণ, স্বাধীনতার পর সেখানে অনেক রাজ্য ভাষাভিত্তিক বিভাজনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। স্থানীয় ভাষার সঙ্গে মানুষের সাংস্কৃতিক পরিচয় ও আত্মমর্যাদা গভীরভাবে যুক্ত। তাই হিন্দিকে চাপিয়ে দেওয়ার উদ্যোগকে অনেকে হুমকি হিসেবে দেখছেন।
বিশেষ করে, হিন্দি ভাষা নিয়ে আপত্তি তীব্র। কারণ, এটি মূলত উত্তর ও মধ্য ভারতের ভাষা। তাই বিভিন্ন সময় কেন্দ্রীয় সরকারের হিন্দি প্রচারের উদ্যোগগুলো দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতের অ-হিন্দিভাষী রাজ্যগুলোতে শঙ্কা সৃষ্টি করেছে। এসব অঞ্চলের মানুষ ভাবছেন, এতে তাঁদের স্থানীয় সংস্কৃতি ও ভাষার অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। মহারাষ্ট্রসহ উন্নত রাজ্যগুলোতে কর্মসংস্থানের জন্য হিন্দিভাষী রাজ্যগুলো থেকে অভিবাসন বেড়ে যাওয়ায় এই শঙ্কা আরও বেড়েছে।
২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ভাষানির্ভর রাজনীতির উত্তেজনা বাড়ে। বিজেপির শীর্ষ নেতারা প্রায়ই হিন্দিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বক্তব্য দিয়ে বিতর্ক তৈরি করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার সিদ্ধান্তটি স্থগিত করে এবং বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করে। তারপরও বিরোধ থামেনি।
এই উত্তেজনার মধ্যেই মহারাষ্ট্রে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন; বিশেষ করে, ভারতের সবচেয়ে ধনী নগর সংস্থা মুম্বাই পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কিছুদিনের মধ্যে। ফলে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বেড়েছে। শাসক ও বিরোধী পক্ষ একে অপরকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দোষারোপ করছে।
তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, ভাষা নিয়ে সহিংস ঘটনাও ঘটছে। এপ্রিল মাসে মহারাষ্ট্রের থানে জেলায় দুই নারীকে আক্রমণ করা হয়। কারণ, তাঁরা একজন মারাঠি ভাষাভাষীর সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলেছিলেন। একই সময়ে মুম্বাইয়ে এক নিরাপত্তারক্ষী মারাঠি না জানায় মারধরের শিকার হন। গত মে মাসে এক দম্পতি মারাঠিতে কথা না বলায় ডেলিভারি বয়কে টাকা দেননি। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, এক দোকানদারকে মারাঠি না বলায় মারধর করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ভাষাভিত্তিক আবেগ সামনের নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও অনেকে মনে করেন, এজাতীয় রাজনীতি দীর্ঘ মেয়াদে জনগণের আস্থা হারাবে।
ভারতীয় রাজনীতি পর্যবেক্ষক প্রশান্ত দীক্ষিত বলেন, মানুষ প্রকৃত উন্নয়ন, চাকরি ও নীতিগত পরিবর্তন চায়। ভাষার নামে হিংসা কেবল বিভাজন বাড়ায়, যা মহারাষ্ট্রের মতো শিল্পোন্নত রাজ্যে কাম্য নয়।
এদিন রাখিবন্ধন উপলক্ষে ভারতের গুরুগ্রামভিত্তিক ১২ বছরের পুরোনো কুইক-কমার্স কোম্পানি ব্লিংকিট, যা শহুরে মধ্যবিত্তের কেনাকাটার ধরন বদলে দিয়েছে, সেখানে কার্ল মার্ক্স ও ফ্রেডরিক এঙ্গেলস রচিত ‘দ্য কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো’ সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা সমগ্রের প্রথম খণ্ডের সঙ্গে ‘গিফট ফর সিস্টার্স’ বা ‘বোনদের...
৭ ঘণ্টা আগেইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করার অভিযোগে গত কয়েক মাসে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ইরান। দেশটির বিচার বিভাগ আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এদের প্রতি কোনো দয়া দেখানো হবে না এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
৮ ঘণ্টা আগেইউক্রেন এক বিন্দু পিছপা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আজ শনিবার ভোরে তিনি বলেছেন, ইউক্রেনীয়রা তাদের জমি দখলদারদের হাতে তুলে দেবে না। এক ইঞ্চিও না।
৯ ঘণ্টা আগেগত বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে একাধিক পোস্ট করে স্বামীর প্রতি সহানুভূতি দেখানোর আহ্বান জানান আবির। তাঁর স্বামীর সাজা ঘোষণার কয়েক দিন পর এই পোস্ট করেন তিনি। পাকিস্তানে বসবাসরত আবিরের ইনস্টাগ্রাম ও টিকটক মিলিয়ে অনুসারী রয়েছে ৫ লাখের বেশি।
১০ ঘণ্টা আগে