Ajker Patrika

পুতিনের অপেক্ষায় ভারতের ১৪০ কোটি মানুষ: মোদি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২: ০৪
চীনের তিয়ানজিনে এসসিও সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: স্পুটনিক
চীনের তিয়ানজিনে এসসিও সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: স্পুটনিক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, তাঁর দেশে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আসন্ন সফর নিয়ে ১৪০ কোটি ভারতীয় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) চীনের তিয়ানজিনে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার বৈঠকে এ মন্তব্য করেন মোদি।

নরেন্দ্র মোদি জানান, এ বছরের ডিসেম্বরে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে রাশিয়া-ভারত বার্ষিক দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠক। এটি হবে দুই দেশের মধ্যে ২৩তম সম্মেলন। মোদি বলেন, ‘রাশিয়া ও ভারত সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতেও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়েছে। আমাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা শুধু দুই দেশের জনগণের জন্য নয়, বরং বৈশ্বিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।’

পুতিন এ সময় মোদিকে নিজের ‘প্রিয় বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ২০০৯ সালের ২১ ডিসেম্বর দুই দেশ বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত ও কৌশলগত অংশীদারত্বের চুক্তিতে পৌঁছেছিল। পুতিন বলেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, বহুমুখী রাশিয়া-ভারত সম্পর্ক সক্রিয়ভাবে এগোচ্ছে এবং সেই নীতির ভিত্তিতেই গড়ে উঠছে।’

বৈঠকে মোদি ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও টানেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সাম্প্রতিক শান্তি উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। সব পক্ষ যেন গঠনমূলকভাবে এগোয়, সে প্রত্যাশা করি। দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ করে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ খুঁজে বের করতে হবে—এটাই মানবজাতির আহ্বান।’

আজ রাশিয়া টুডে জানিয়েছে, শুধু আনুষ্ঠানিক বৈঠকই নয়, এর আগে প্রায় এক ঘণ্টা দুই নেতা একান্তে সময় কাটান। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, পুতিনের অরাস গাড়িতে বসে তাঁরা আলোচনা চালান।

এটি চলতি বছরে মোদি-পুতিনের প্রথম সামনাসামনি সাক্ষাৎ হলেও তাঁরা নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ রাখেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, ডিসেম্বরে পুতিনের সম্ভাব্য ভারত সফর দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দেবে।

তবে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ জটিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার তেল কেনা অব্যাহত রাখায় ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, ভারত অপরিশোধিত রাশিয়ান তেল কিনে তা প্রক্রিয়াজাত করে আবার বিক্রি করছে, যা ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোর অর্থ জোগান দিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত