প্রতিবেশী দেশ ভারতের সবচেয়ে ধনী মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি মানুষের আগ্রহের বিষয় হয়ে উঠেছেন তাঁর বিয়েকে কেন্দ্র করে। তবে জানেন কি ছোট আম্বানি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজ করেন। তাঁর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণাগারে প্রায় ২০০টি অসুস্থ বা সহিংসতার শিকার হাতী রয়েছে। এটিকে অনেকেই হাতির হাসপাতাল বলে থাকেন।
অনন্ত আম্বানির বন্যপ্রাণী সংরক্ষণাগারের নাম ‘বনতারা’। যার অর্থ ‘বনের নক্ষত্র’। এই বিস্তৃত উদ্যোগটি মুকেশ আম্বানির কোম্পানি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের জামনগর রিফাইনারি কমপ্লেক্সে অবস্থিত। গুজরাটের গ্রিন বেল্ট হিসাবে খ্যাত এই এলাকার আয়তন ৩ হাজার একর। অনন্তের প্রাক-বিয়ের আয়োজনও হয়েছে তার প্রিয় এই স্থানে।
অনন্ত আম্বানির উদ্যোগে চালু হওয়া ‘বনতারা’ রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে চলে। সেখানে সহিংসতার শিকার, আহত এবং বিপন্ন প্রাণীদের জন্য আশ্রয় ও চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রকল্পটি নিছক কোনো চিড়িয়াখানা নয় বরং একটি বিস্তৃত পুনর্বাসন কেন্দ্র।
২০০৮ সালে প্রথম হাতিদের উদ্ধার শুরু করেন অনন্ত। করোনাকালীন সময়ে বনতারাকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে শুরু করেছিলেন তিনি। যখন পুরো বিশ্বের মানুষ ভুগছিল, তখনই সবুজায়নের দিকেও নজর দেন অনন্ত। ২০২০ সাল থেকে শুরু হয় গ্রিনস জুলজিক্যাল রিসার্স অ্যান্ড রেসকিউ সেন্টার। এখন পর্যন্ত ৪৩ প্রজাতির ২ হাজার বন্যপ্রাণীকে পুনর্বাসন করেছেন ছোট আম্বানি।
বৈজ্ঞানিকভাবে পরিকল্পিত এই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণাগারে রয়েছে নানা ধরনের চিকিৎসা সেবা। এর মধ্যে রয়েছে হাইড্রোথেরাপি পুল, জলাশয়, আকুপাংচার, হাইপারবারিক অক্সিজেন থেরাপি এবং লেজার থেরাপি, এন্ডোমেট্রিওসিস, ছানি রোগ, বাত, কিডনিতে পাথর, টিউমার নিরাময় ব্যবস্থা।
এ ছাড়া ছোট হাতিদের চিকিৎসার জন্য অত্যাধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে। ক্যাম্পে ভোরবেলায় হাতিগুলোকে কাদা মাখিয়ে স্নান করানো হয়। এরপর গরম তেল মালিশ ও খেলাধুলার ব্যবস্থাও রয়েছে।
এখানে হাতিদের দেখভালের জন্য বিশিষ্ট ডাক্তার, জীববিজ্ঞানী, প্যাথলজিস্ট, পুষ্টিবিদসহ ৫০০ জনের বিশেষ প্রশিক্ষিত পেশাদারদের একটি দল রয়েছে। বনতারার পুষ্টিবিদ ড. পেট্রা উলফ জানিয়েছেন, ‘মোট ১৫টি রান্নাঘর রয়েছে। প্রতিটি রান্নাঘরে প্রতিদিন প্রায় এক টন খাবার রান্না হয়। এখানে প্রতিদিন ৩৫০ কেজি লাড্ডু, ৬৮০ কেজি খিচুড়ি, এক টন ফল এবং ১ দশমিক ৫ টন শাকসবজি হাতির খাবারের জন্য প্রস্তুত করা হয়। যা প্রতিটি হাতির তাদের খাদ্যের তালিকা বা ডায়েট অনুযায়ী দেওয়া হয়।
নিজের স্বপ্নের বনতারা নিয়ে বলতে গিয়ে অনন্ত আম্বানি বলেছেন, ‘বনতারায় একটি ২৫ হাজার বর্গফুটের হাতির হাসপাতাল রয়েছে। যা বিশ্বব্যাপী অন্যতম বৃহত্তম। আমরা ২০০৮ সালে প্রথম হাতিটিকে উদ্ধার করেছিলাম। কোভিড অতিমারীর সময় আমাদের প্রচেষ্টা আরও তীব্র হয়েছিল। বর্তমানে ২০০ টিরও বেশি হাতি রয়েছে।’
অনন্ত আম্বানি আরও বলেন, ‘হাসপাতালটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত। প্রকৃতপক্ষে সমস্যার সমাধান এবং ডায়াগনস্টিকগুলো খুঁজে পেতে এবং আরও উন্নত করতে একাধিক গবেষণা প্রকল্প শুরু হয়েছে। এখানে বহনযোগ্য এক্স-রে মেশিন, বিভিন্ন চিকিৎসার জন্য লেজার ডিভাইস, পূর্ণাঙ্গ ফার্মেসি, ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার জন্য প্যাথলজি ল্যাবরেটরি, সুনির্দিষ্ট রোগ নির্ণয়ের জন্য ডিভাইস, হাইড্রোলিক পুলি, ক্রেন ও হাইড্রোলিক সার্জিক্যাল টেবিল টেইলর রয়েছে।’
শুধু হাতিই নয়, বনতারায় সিংহ, বাঘ, কুমির এবং চিতাবাঘসহ আরও কয়েকটি বড় এবং ছোট প্রজাতির প্রাণীদের জন্যও কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে বিগত কয়েক বছর ধরে অসংখ্যা প্রাণীকে উদ্ধার করা হয়েছে ও পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। ভারত থেকে প্রায় ২০০ চিতাবাঘকে উদ্ধার করেছে। যারা বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনা বা মানুষের সংঘর্ষে আহত হয়েছে।
বনতারা তামিলনাড়ু থেকে হাজারের বেশি কুমির, ৩০০টি হরিণ, ১ হাজার ২০০ টির বেশি সরীসৃপকে উদ্ধার করেছে। আফ্রিকার শিকারের লজ, স্লোভাকিয়া এবং মেক্সিকো থেকেও প্রাণীদের উদ্ধার করেছে। আগামীতে যুবক এবং শিশুদের মধ্যে প্রাণী সংরক্ষণের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন অনন্ত আম্বানি।
বনতারায় কাজ করছে প্রায় ৩ হাজার মানুষ। এরমধ্যে আছেন প্রবাসীরাও। অল্প বয়সী স্নাতকদের কাজে নিয়েছেন তারা। এমনকি প্রাণীদের প্রতি উৎসাহী কিছু মানুষের চিকিৎসকও কাজ করছে বিশাল এই প্রকল্পে।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের সবচেয়ে ধনী মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি মানুষের আগ্রহের বিষয় হয়ে উঠেছেন তাঁর বিয়েকে কেন্দ্র করে। তবে জানেন কি ছোট আম্বানি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজ করেন। তাঁর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণাগারে প্রায় ২০০টি অসুস্থ বা সহিংসতার শিকার হাতী রয়েছে। এটিকে অনেকেই হাতির হাসপাতাল বলে থাকেন।
অনন্ত আম্বানির বন্যপ্রাণী সংরক্ষণাগারের নাম ‘বনতারা’। যার অর্থ ‘বনের নক্ষত্র’। এই বিস্তৃত উদ্যোগটি মুকেশ আম্বানির কোম্পানি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের জামনগর রিফাইনারি কমপ্লেক্সে অবস্থিত। গুজরাটের গ্রিন বেল্ট হিসাবে খ্যাত এই এলাকার আয়তন ৩ হাজার একর। অনন্তের প্রাক-বিয়ের আয়োজনও হয়েছে তার প্রিয় এই স্থানে।
অনন্ত আম্বানির উদ্যোগে চালু হওয়া ‘বনতারা’ রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে চলে। সেখানে সহিংসতার শিকার, আহত এবং বিপন্ন প্রাণীদের জন্য আশ্রয় ও চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রকল্পটি নিছক কোনো চিড়িয়াখানা নয় বরং একটি বিস্তৃত পুনর্বাসন কেন্দ্র।
২০০৮ সালে প্রথম হাতিদের উদ্ধার শুরু করেন অনন্ত। করোনাকালীন সময়ে বনতারাকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে শুরু করেছিলেন তিনি। যখন পুরো বিশ্বের মানুষ ভুগছিল, তখনই সবুজায়নের দিকেও নজর দেন অনন্ত। ২০২০ সাল থেকে শুরু হয় গ্রিনস জুলজিক্যাল রিসার্স অ্যান্ড রেসকিউ সেন্টার। এখন পর্যন্ত ৪৩ প্রজাতির ২ হাজার বন্যপ্রাণীকে পুনর্বাসন করেছেন ছোট আম্বানি।
বৈজ্ঞানিকভাবে পরিকল্পিত এই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণাগারে রয়েছে নানা ধরনের চিকিৎসা সেবা। এর মধ্যে রয়েছে হাইড্রোথেরাপি পুল, জলাশয়, আকুপাংচার, হাইপারবারিক অক্সিজেন থেরাপি এবং লেজার থেরাপি, এন্ডোমেট্রিওসিস, ছানি রোগ, বাত, কিডনিতে পাথর, টিউমার নিরাময় ব্যবস্থা।
এ ছাড়া ছোট হাতিদের চিকিৎসার জন্য অত্যাধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে। ক্যাম্পে ভোরবেলায় হাতিগুলোকে কাদা মাখিয়ে স্নান করানো হয়। এরপর গরম তেল মালিশ ও খেলাধুলার ব্যবস্থাও রয়েছে।
এখানে হাতিদের দেখভালের জন্য বিশিষ্ট ডাক্তার, জীববিজ্ঞানী, প্যাথলজিস্ট, পুষ্টিবিদসহ ৫০০ জনের বিশেষ প্রশিক্ষিত পেশাদারদের একটি দল রয়েছে। বনতারার পুষ্টিবিদ ড. পেট্রা উলফ জানিয়েছেন, ‘মোট ১৫টি রান্নাঘর রয়েছে। প্রতিটি রান্নাঘরে প্রতিদিন প্রায় এক টন খাবার রান্না হয়। এখানে প্রতিদিন ৩৫০ কেজি লাড্ডু, ৬৮০ কেজি খিচুড়ি, এক টন ফল এবং ১ দশমিক ৫ টন শাকসবজি হাতির খাবারের জন্য প্রস্তুত করা হয়। যা প্রতিটি হাতির তাদের খাদ্যের তালিকা বা ডায়েট অনুযায়ী দেওয়া হয়।
নিজের স্বপ্নের বনতারা নিয়ে বলতে গিয়ে অনন্ত আম্বানি বলেছেন, ‘বনতারায় একটি ২৫ হাজার বর্গফুটের হাতির হাসপাতাল রয়েছে। যা বিশ্বব্যাপী অন্যতম বৃহত্তম। আমরা ২০০৮ সালে প্রথম হাতিটিকে উদ্ধার করেছিলাম। কোভিড অতিমারীর সময় আমাদের প্রচেষ্টা আরও তীব্র হয়েছিল। বর্তমানে ২০০ টিরও বেশি হাতি রয়েছে।’
অনন্ত আম্বানি আরও বলেন, ‘হাসপাতালটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত। প্রকৃতপক্ষে সমস্যার সমাধান এবং ডায়াগনস্টিকগুলো খুঁজে পেতে এবং আরও উন্নত করতে একাধিক গবেষণা প্রকল্প শুরু হয়েছে। এখানে বহনযোগ্য এক্স-রে মেশিন, বিভিন্ন চিকিৎসার জন্য লেজার ডিভাইস, পূর্ণাঙ্গ ফার্মেসি, ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার জন্য প্যাথলজি ল্যাবরেটরি, সুনির্দিষ্ট রোগ নির্ণয়ের জন্য ডিভাইস, হাইড্রোলিক পুলি, ক্রেন ও হাইড্রোলিক সার্জিক্যাল টেবিল টেইলর রয়েছে।’
শুধু হাতিই নয়, বনতারায় সিংহ, বাঘ, কুমির এবং চিতাবাঘসহ আরও কয়েকটি বড় এবং ছোট প্রজাতির প্রাণীদের জন্যও কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে বিগত কয়েক বছর ধরে অসংখ্যা প্রাণীকে উদ্ধার করা হয়েছে ও পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। ভারত থেকে প্রায় ২০০ চিতাবাঘকে উদ্ধার করেছে। যারা বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনা বা মানুষের সংঘর্ষে আহত হয়েছে।
বনতারা তামিলনাড়ু থেকে হাজারের বেশি কুমির, ৩০০টি হরিণ, ১ হাজার ২০০ টির বেশি সরীসৃপকে উদ্ধার করেছে। আফ্রিকার শিকারের লজ, স্লোভাকিয়া এবং মেক্সিকো থেকেও প্রাণীদের উদ্ধার করেছে। আগামীতে যুবক এবং শিশুদের মধ্যে প্রাণী সংরক্ষণের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন অনন্ত আম্বানি।
বনতারায় কাজ করছে প্রায় ৩ হাজার মানুষ। এরমধ্যে আছেন প্রবাসীরাও। অল্প বয়সী স্নাতকদের কাজে নিয়েছেন তারা। এমনকি প্রাণীদের প্রতি উৎসাহী কিছু মানুষের চিকিৎসকও কাজ করছে বিশাল এই প্রকল্পে।
ইরানের শাহেদ ড্রোনের নকশা ব্যবহার করে এই ড্রোন উৎপাদনের জন্য বিশাল এক কারখানা নির্মাণ করেছে রাশিয়া। তাতারস্তান অঞ্চলের আলাবুগা শিল্প এলাকায় অবস্থিত এই কারখানা বর্তমানে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ড্রোন উৎপাদন কেন্দ্র।
৪ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। প্রায় দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধের মধ্যে এই সিদ্ধান্তের ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সামরিক অভিযান আরও বিস্তৃত হবে। শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত দেশি-বিদেশি মহলে নতুন করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে...
৬ ঘণ্টা আগেগাজায় চলমান যুদ্ধ, অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং খাদ্যসহ জরুরি পণ্যের তীব্র সংকটের মধ্যে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। ব্যাংকগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ, স্থানীয় বাজারে ডিজিটাল লেনদেনও প্রায় অগ্রহণযোগ্য।
৬ ঘণ্টা আগেভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে কথা হয় এই দুই নেতার।
৬ ঘণ্টা আগে