আজকের পত্রিকা ডেস্ক
সারা বিশ্ব থেকে মেধাবী পেশাদারদের আকৃষ্ট করতে ভিসা ফি কমানোর প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে ব্রিটেন সরকার। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ভিসা ফি মওকুফ করার কথাও চিন্তা করা হচ্ছে। যখন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা ফি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে, ঠিক সেই সময়ে যুক্তরাজ্যের এই পদক্ষেপ বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের ‘গ্লোবাল ট্যালেন্ট টাস্ক ফোর্স’ এই প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে। এর লক্ষ্য হলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ এবং ডিজিটাল বিশেষজ্ঞদের যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসা।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট ও ট্রেজারির ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবগুলোর মধ্যে একটি হলো শীর্ষস্থানীয় পেশাদারদের জন্য ভিসা ফি একেবারে শূন্য করে দেওয়া। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা এমন লোকদের কথা বলছি, যারা বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন বা মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা জিতেছেন। আমরা খরচ শূন্য করে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করছি।’
এই সংস্কার নিয়ে আলোচনা ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে এইচ-১বি ভিসার জন্য আবেদন ফি ১ লাখ মার্কিন ডলার করার ঘোষণার আগেই শুরু হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্তের পর যুক্তরাজ্যের ভিসা ফি সংস্কারের পক্ষে থাকা কর্মকর্তারা আরও উৎসাহ পেয়েছেন। তাঁদের মতে, এটি নভেম্বরে আসন্ন বাজেটের আগে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করবে।
ব্রিটিশ সরকারের এই উদ্যোগের মূল চালিকাশক্তি হলো ‘গ্লোবাল ট্যালেন্ট টাস্ক ফোর্স’, এই টাস্কফোর্সের নেতৃত্বে রয়েছেন স্টারমারের ব্যবসায়িক উপদেষ্টা বরুণ চন্দ্র এবং বিজ্ঞানমন্ত্রী লর্ড প্যাট্রিক ভ্যালেন্স। যদিও হোম অফিস, যার প্রধান লক্ষ্য অভিবাসন কমানো, এখনো এ বিষয়ে সরাসরি আলোচনা শুরু করেনি। তবে অভিবাসন ভিসার রুটগুলো নিয়মিত পর্যালোচনার অধীনে রয়েছে।
আরেক ব্রিটিশ কর্মকর্তা বর্তমান ‘গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসা’ ব্যবস্থাকে ‘আমলাতান্ত্রিক দুঃস্বপ্ন’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা ভিসা প্রক্রিয়াকে সহজ করার উপায়ও খুঁজছেন।
একজন সরকারি কর্মকর্তা ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন, এই পদক্ষেপটি অভিবাসন কমানোর সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়, বরং এর উদ্দেশ্য হলো ‘সবচেয়ে উজ্জ্বল এবং সেরা মেধাবীদের’ ব্রিটেনে নিয়ে আসা। একই সময়ে, চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভসও ট্যাক্স ব্যবস্থা পর্যালোচনা করছেন যাতে বৈশ্বিক মেধাবীদের আকৃষ্ট করার পথে কোনো বাধা না থাকে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে চালু হওয়া যুক্তরাজ্যের ‘গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসা’র আবেদন ফি বর্তমানে ৭৬৬ পাউন্ড। সঙ্গী এবং সন্তানাদীসহ একই ফি দিতে হয়। এর সঙ্গে বার্ষিক স্বাস্থ্য সারচার্জ বাবদ মাথাপিছু ১ হাজার ৩৫ পাউন্ড দিতে হয়। এই ভিসাটি চাকরিদাতার সঙ্গে সম্পর্কহীন এবং যুক্তরাজ্যে দ্রুত স্থায়ী বসবাসের সুযোগ করে দেয়। বিজ্ঞান, প্রকৌশল, মানবিকবিদ্যা, চিকিৎসাবিজ্ঞান, ডিজিটাল প্রযুক্তি, শিল্পকলা এবং সংস্কৃতিতে যারা নেতৃস্থানীয় বা নেতৃত্বস্থানীয় হওয়ার সম্ভাবনা রাখেন, তাঁদের জন্য এই ভিসা প্রযোজ্য। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত এই ভিসার আবেদনকারীর সংখ্যা ৭৬ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ৯০৩-এ দাঁড়িয়েছে।
দক্ষতা ও বেতনের শর্ত কঠিন হওয়ার হওয়ার পাশাপাশি ব্যাপকভাবে ফি বৃদ্ধির কারণে দক্ষ কর্মী ভিসার আবেদন ইতিমধ্যেই অনেক কমেছে। ইউনিভার্সিটিজ ইউকে ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক জেমি অ্যারোস্মিথ বলেন, মার্কিন বিজ্ঞানীদের আকৃষ্ট করার জন্য সরকার এখন পর্যন্ত যে প্রধান উদ্যোগ নিয়েছে সেটি হলো—১২টি যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি গ্লোবাল ট্যালেন্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি বলেন, গবেষকদের জন্য অভিবাসন খরচের দিকেও সরকারের নজর দেওয়া উচিত এবং নিশ্চিত করা উচিত যে সেগুলো বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক। তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্ব থেকে প্রতিভা আকর্ষণ করার জন্য আমাদের তহবিল এবং স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। সেই সঙ্গে এই রূপান্তর প্রক্রিয়াটা যতটা সম্ভব মসৃণ করতে হবে।
ব্রিটিশ গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসা: আবেদন প্রক্রিয়া ও যোগ্যতা
ভিসাটি মূলত শিক্ষাবিদ, গবেষক, শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির বিশেষজ্ঞদের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যোগ্যতা আছে বা যাদের সেই সম্ভাবনা রয়েছে। আবেদনের জন্য ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর হতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া ও যোগ্যতার ধাপসমূহ
ধাপ ১: যোগ্যতা যাচাই
আবেদনকারীকে অবশ্যই শিক্ষাক্ষেত্র বা গবেষণা, শিল্প ও সংস্কৃতি, অথবা ডিজিটাল প্রযুক্তির মতো নির্দিষ্ট ক্ষেত্রগুলোতে নেতা বা সম্ভাব্য নেতা হিসেবে বিবেচিত হতে হবে।
ধাপ ২: আবেদনের পথ নির্ধারণ
যারা মর্যাদাপূর্ণ কোনো পুরস্কার জিতেছেন, তাঁরা সরাসরি আবেদন করতে পারেন। অন্যথায়, একজন আবেদনকারীকে অবশ্যই অনুমোদিত কোনো সংস্থার থেকে একটি এনডোর্সমেন্ট (অনুমোদন) নিতে হবে, যা প্রমাণ করবে যে তার নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। যদি কোনো আবেদনকারী এই ভিসার জন্য যোগ্য না হন, তাহলে তিনি ‘স্কিলড ওয়ার্কার ভিসা’র কথা বিবেচনা করতে পারেন।
ধাপ ৩: এনডোর্সমেন্ট অর্জন (যদি প্রয়োজন হয়)
একাডেমিয়া, শিল্প-সংস্কৃতি, বা ডিজিটাল প্রযুক্তির পেশাদারদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। হোম অফিস কর্তৃক অনুমোদিত একটি সংস্থা থেকে এই এনডোর্সমেন্ট পেতে হবে। এনডোর্সমেন্ট পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়।
ধাপ ৪: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত
আবেদনের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি প্রয়োজন, যেমন:
বৈধ পাসপোর্ট বা পরিচয়পত্র
যক্ষ্মা পরীক্ষার ফলাফল (যদি প্রয়োজন হয়)
কোনো ব্রিটিশ পুরস্কার বা স্কলারশিপ পেয়ে থাকলে তার লিখিত অনুমতি
ইংরেজি বা ওয়েলশ ছাড়া অন্য কোনো ভাষার নথির জন্য প্রত্যয়িত অনুবাদ
পুরস্কার বিজয়ীদের জন্য পুরস্কারের সত্যতা যাচাই সংক্রান্ত নথি
ধাপ ৫ ও ৬: অনলাইন আবেদন ও পরিচয় প্রমাণ
আবেদনটি যুক্তরাজ্যে বা দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জমা দেওয়া যায়। এরপর বায়োমেট্রিক তথ্য (আঙুলের ছাপ ও ছবি) দেওয়ার জন্য ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে যেতে হয়।
ধাপ ৭: ফি প্রদান (পর্যালোচনার অধীনে)
বর্তমানে এই ভিসার আবেদন ফি ৭৬৬ পাউন্ড। এর সঙ্গে প্রতি বছর মাথাপিছু ১ হাজার ৩৫ পাউন্ড স্বাস্থ্য সারচার্জ দিতে হয়। তবে, সরকার বর্তমানে এই ফি কমানোর বা সম্পূর্ণ তুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করছে, যাতে বিশ্বমানের প্রতিভাদের আকৃষ্ট করা যায়।
ধাপ ৮: সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা
দেশের বাইরে থেকে আবেদন করলে সাধারণত ৩ সপ্তাহের মধ্যে এবং যুক্তরাজ্য থেকে আবেদন করলে ৮ সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়। জরুরি প্রক্রিয়াকরণের ব্যবস্থাও রয়েছে।
ধাপ ৯ ও ১০: ভিসার মেয়াদ ও পরিবর্তন
এই ভিসার প্রাথমিক মেয়াদ সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত হতে পারে এবং এটি নবায়নযোগ্য। কিছু ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৫ বছর পর স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করার সুযোগ থাকে। যারা বর্তমানে অন্য ভিসায় যুক্তরাজ্যে আছেন (যেমন ভিজিট ভিসা, স্বল্পমেয়াদি স্টুডেন্ট ভিসা ছাড়া), তারাও এই ভিসায় পরিবর্তন করতে পারেন।
বিস্তারিত জানতে ব্রিটেন সরকারের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
সারা বিশ্ব থেকে মেধাবী পেশাদারদের আকৃষ্ট করতে ভিসা ফি কমানোর প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে ব্রিটেন সরকার। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ভিসা ফি মওকুফ করার কথাও চিন্তা করা হচ্ছে। যখন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা ফি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে, ঠিক সেই সময়ে যুক্তরাজ্যের এই পদক্ষেপ বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের ‘গ্লোবাল ট্যালেন্ট টাস্ক ফোর্স’ এই প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে। এর লক্ষ্য হলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ এবং ডিজিটাল বিশেষজ্ঞদের যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসা।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট ও ট্রেজারির ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবগুলোর মধ্যে একটি হলো শীর্ষস্থানীয় পেশাদারদের জন্য ভিসা ফি একেবারে শূন্য করে দেওয়া। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা এমন লোকদের কথা বলছি, যারা বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন বা মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা জিতেছেন। আমরা খরচ শূন্য করে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করছি।’
এই সংস্কার নিয়ে আলোচনা ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে এইচ-১বি ভিসার জন্য আবেদন ফি ১ লাখ মার্কিন ডলার করার ঘোষণার আগেই শুরু হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্তের পর যুক্তরাজ্যের ভিসা ফি সংস্কারের পক্ষে থাকা কর্মকর্তারা আরও উৎসাহ পেয়েছেন। তাঁদের মতে, এটি নভেম্বরে আসন্ন বাজেটের আগে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করবে।
ব্রিটিশ সরকারের এই উদ্যোগের মূল চালিকাশক্তি হলো ‘গ্লোবাল ট্যালেন্ট টাস্ক ফোর্স’, এই টাস্কফোর্সের নেতৃত্বে রয়েছেন স্টারমারের ব্যবসায়িক উপদেষ্টা বরুণ চন্দ্র এবং বিজ্ঞানমন্ত্রী লর্ড প্যাট্রিক ভ্যালেন্স। যদিও হোম অফিস, যার প্রধান লক্ষ্য অভিবাসন কমানো, এখনো এ বিষয়ে সরাসরি আলোচনা শুরু করেনি। তবে অভিবাসন ভিসার রুটগুলো নিয়মিত পর্যালোচনার অধীনে রয়েছে।
আরেক ব্রিটিশ কর্মকর্তা বর্তমান ‘গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসা’ ব্যবস্থাকে ‘আমলাতান্ত্রিক দুঃস্বপ্ন’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা ভিসা প্রক্রিয়াকে সহজ করার উপায়ও খুঁজছেন।
একজন সরকারি কর্মকর্তা ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন, এই পদক্ষেপটি অভিবাসন কমানোর সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়, বরং এর উদ্দেশ্য হলো ‘সবচেয়ে উজ্জ্বল এবং সেরা মেধাবীদের’ ব্রিটেনে নিয়ে আসা। একই সময়ে, চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভসও ট্যাক্স ব্যবস্থা পর্যালোচনা করছেন যাতে বৈশ্বিক মেধাবীদের আকৃষ্ট করার পথে কোনো বাধা না থাকে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে চালু হওয়া যুক্তরাজ্যের ‘গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসা’র আবেদন ফি বর্তমানে ৭৬৬ পাউন্ড। সঙ্গী এবং সন্তানাদীসহ একই ফি দিতে হয়। এর সঙ্গে বার্ষিক স্বাস্থ্য সারচার্জ বাবদ মাথাপিছু ১ হাজার ৩৫ পাউন্ড দিতে হয়। এই ভিসাটি চাকরিদাতার সঙ্গে সম্পর্কহীন এবং যুক্তরাজ্যে দ্রুত স্থায়ী বসবাসের সুযোগ করে দেয়। বিজ্ঞান, প্রকৌশল, মানবিকবিদ্যা, চিকিৎসাবিজ্ঞান, ডিজিটাল প্রযুক্তি, শিল্পকলা এবং সংস্কৃতিতে যারা নেতৃস্থানীয় বা নেতৃত্বস্থানীয় হওয়ার সম্ভাবনা রাখেন, তাঁদের জন্য এই ভিসা প্রযোজ্য। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত এই ভিসার আবেদনকারীর সংখ্যা ৭৬ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ৯০৩-এ দাঁড়িয়েছে।
দক্ষতা ও বেতনের শর্ত কঠিন হওয়ার হওয়ার পাশাপাশি ব্যাপকভাবে ফি বৃদ্ধির কারণে দক্ষ কর্মী ভিসার আবেদন ইতিমধ্যেই অনেক কমেছে। ইউনিভার্সিটিজ ইউকে ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক জেমি অ্যারোস্মিথ বলেন, মার্কিন বিজ্ঞানীদের আকৃষ্ট করার জন্য সরকার এখন পর্যন্ত যে প্রধান উদ্যোগ নিয়েছে সেটি হলো—১২টি যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি গ্লোবাল ট্যালেন্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি বলেন, গবেষকদের জন্য অভিবাসন খরচের দিকেও সরকারের নজর দেওয়া উচিত এবং নিশ্চিত করা উচিত যে সেগুলো বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক। তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্ব থেকে প্রতিভা আকর্ষণ করার জন্য আমাদের তহবিল এবং স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। সেই সঙ্গে এই রূপান্তর প্রক্রিয়াটা যতটা সম্ভব মসৃণ করতে হবে।
ব্রিটিশ গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসা: আবেদন প্রক্রিয়া ও যোগ্যতা
ভিসাটি মূলত শিক্ষাবিদ, গবেষক, শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির বিশেষজ্ঞদের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যোগ্যতা আছে বা যাদের সেই সম্ভাবনা রয়েছে। আবেদনের জন্য ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর হতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া ও যোগ্যতার ধাপসমূহ
ধাপ ১: যোগ্যতা যাচাই
আবেদনকারীকে অবশ্যই শিক্ষাক্ষেত্র বা গবেষণা, শিল্প ও সংস্কৃতি, অথবা ডিজিটাল প্রযুক্তির মতো নির্দিষ্ট ক্ষেত্রগুলোতে নেতা বা সম্ভাব্য নেতা হিসেবে বিবেচিত হতে হবে।
ধাপ ২: আবেদনের পথ নির্ধারণ
যারা মর্যাদাপূর্ণ কোনো পুরস্কার জিতেছেন, তাঁরা সরাসরি আবেদন করতে পারেন। অন্যথায়, একজন আবেদনকারীকে অবশ্যই অনুমোদিত কোনো সংস্থার থেকে একটি এনডোর্সমেন্ট (অনুমোদন) নিতে হবে, যা প্রমাণ করবে যে তার নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। যদি কোনো আবেদনকারী এই ভিসার জন্য যোগ্য না হন, তাহলে তিনি ‘স্কিলড ওয়ার্কার ভিসা’র কথা বিবেচনা করতে পারেন।
ধাপ ৩: এনডোর্সমেন্ট অর্জন (যদি প্রয়োজন হয়)
একাডেমিয়া, শিল্প-সংস্কৃতি, বা ডিজিটাল প্রযুক্তির পেশাদারদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। হোম অফিস কর্তৃক অনুমোদিত একটি সংস্থা থেকে এই এনডোর্সমেন্ট পেতে হবে। এনডোর্সমেন্ট পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়।
ধাপ ৪: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত
আবেদনের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি প্রয়োজন, যেমন:
বৈধ পাসপোর্ট বা পরিচয়পত্র
যক্ষ্মা পরীক্ষার ফলাফল (যদি প্রয়োজন হয়)
কোনো ব্রিটিশ পুরস্কার বা স্কলারশিপ পেয়ে থাকলে তার লিখিত অনুমতি
ইংরেজি বা ওয়েলশ ছাড়া অন্য কোনো ভাষার নথির জন্য প্রত্যয়িত অনুবাদ
পুরস্কার বিজয়ীদের জন্য পুরস্কারের সত্যতা যাচাই সংক্রান্ত নথি
ধাপ ৫ ও ৬: অনলাইন আবেদন ও পরিচয় প্রমাণ
আবেদনটি যুক্তরাজ্যে বা দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জমা দেওয়া যায়। এরপর বায়োমেট্রিক তথ্য (আঙুলের ছাপ ও ছবি) দেওয়ার জন্য ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে যেতে হয়।
ধাপ ৭: ফি প্রদান (পর্যালোচনার অধীনে)
বর্তমানে এই ভিসার আবেদন ফি ৭৬৬ পাউন্ড। এর সঙ্গে প্রতি বছর মাথাপিছু ১ হাজার ৩৫ পাউন্ড স্বাস্থ্য সারচার্জ দিতে হয়। তবে, সরকার বর্তমানে এই ফি কমানোর বা সম্পূর্ণ তুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করছে, যাতে বিশ্বমানের প্রতিভাদের আকৃষ্ট করা যায়।
ধাপ ৮: সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা
দেশের বাইরে থেকে আবেদন করলে সাধারণত ৩ সপ্তাহের মধ্যে এবং যুক্তরাজ্য থেকে আবেদন করলে ৮ সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়। জরুরি প্রক্রিয়াকরণের ব্যবস্থাও রয়েছে।
ধাপ ৯ ও ১০: ভিসার মেয়াদ ও পরিবর্তন
এই ভিসার প্রাথমিক মেয়াদ সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত হতে পারে এবং এটি নবায়নযোগ্য। কিছু ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৫ বছর পর স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করার সুযোগ থাকে। যারা বর্তমানে অন্য ভিসায় যুক্তরাজ্যে আছেন (যেমন ভিজিট ভিসা, স্বল্পমেয়াদি স্টুডেন্ট ভিসা ছাড়া), তারাও এই ভিসায় পরিবর্তন করতে পারেন।
বিস্তারিত জানতে ব্রিটেন সরকারের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
গাজা যুদ্ধের অবসান ও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে মুসলিম বিশ্বের নেতাদের একটি পরিকল্পনা দিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ মঙ্গলবার, এ নিয়ে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন তিনি।
৫ মিনিট আগে১৭৮৯ সালের বিপ্লবের পর ফ্রান্সে সংবাদপত্র ও তথ্যপ্রবাহ রাজনৈতিক ক্ষমতার অন্যতম হাতিয়ারে পরিণত হয়। যদিও বিপ্লবীরা তখন ‘প্রেসের স্বাধীনতা’-কে অন্যতম বড় অর্জন হিসেবে প্রচার করেছিলেন, তবে বাস্তবে সাংবাদিকতার কোনো প্রকৃত স্বাধীনতা ছিল না। বরং, ক্ষমতাসীনরা সংবাদপত্রকে দমন ও নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবে
২ ঘণ্টা আগেরাতভর প্রবল বর্ষণে জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে কলকাতা। টানা পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা ধরে মুষলধারে বৃষ্টির ফলে পুরো মহানগরী ডুবে গেছে। শহরের রাস্তাঘাটে কোথাও হাঁটু, কোথাও কোমর সমান পানি। এই জলাবদ্ধ অবস্থায় বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন চারজন।
৩ ঘণ্টা আগেট্রাম্প প্রশাসন ইরানি কূটনীতিকদের যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে কস্টকোসহ বিভিন্ন ‘হোলসেল ক্লাব স্টোর’ থেকে কেনাকাটা ও বিলাস পণ্য কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। গতকাল সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র টমি পিগট। কেবল তাই নয়, তাদের চলাফেরাও সীমিত করে দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে