মেটা ইন্ডিয়া তাদের সিইও মার্ক জাকারবার্গের একটি মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছে। সম্প্রতি জাকারবার্গ আমেরিকান পডকাস্টার জো রোগানের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের নির্বাচন নিয়ে একটি মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর এই মন্তব্যের পর বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এর জেরেই আজ বুধবার মেটা ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট শিবনাথ ঠাকুরাল জাকারবার্গের মন্তব্যকে ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ হিসেবে উল্লেখ করে ক্ষমা চেয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মেটা ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট শিবনাথ ঠাকুরাল এক্স হ্যান্ডেলের এক পোস্টে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘মাননীয় মন্ত্রী, জাকারবার্গ বলেছেন ২০২৪ সালের নির্বাচনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বেশ কিছু ক্ষমতাসীন দল পরাজিত হয়েছে। কিন্তু তা অনেক দেশের জন্য সত্য হলেও, ভারতের জন্য নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। ভারত আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ এবং এর উদ্ভাবনী ভবিষ্যতের অংশ হতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এর আগে গত ১২ জানুয়ারি জাকারবার্গ জো রোগানের পডকাস্টে বলেছিলেন, ‘২০২৪ সালে ভারতসহ অনেক দেশে নির্বাচন হয়েছে। এসব নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলগুলো পরাজিত হয়েছে।’
এর কারণ হিসেবে মার্ক জাকারবার্গ কোভিড-পরবর্তী সময়ে সরকারের দেওয়া তথ্যের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারের নীতি, মুদ্রাস্ফীতি বা অন্যান্য অর্থনৈতিক কারণে মানুষ তাদের প্রতি আস্থা হারিয়েছে। ফলে ২০২৪ সালের নির্বাচনে অনেক দেশে ক্ষমতাসীন দলগুলো পরাজিত হয়েছে। এটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, বিশ্বব্যাপী এমন অনেক দেশে এ ঘটনা ঘটেছে।’
এই সাক্ষাৎকারে ভারতের নির্বাচনের কথা বলায় জাকারবার্গের ওপর চটে যান দেশটির যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক কমিটির প্রধান এবং বিজেপি সংসদ সদস্য ও সংসদীয় কমিটির প্রধান নিশিকান্ত দুবে। গতকাল মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, জাকারবার্গের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জন্য মেটাকে তলব করা হবে। তিনি অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের নির্বাচন নিয়ে জাকারবার্গ যে মন্তব্য করেছেন, তা সঠিক নয়।
নিশিকান্ত দুবে বলেন, ‘আমরা ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য মেটাকে তলব করব। এই ধরনের ভুল তথ্য বিশ্বের বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।’
নিশিকান্ত দুবে আরও বলেন, ‘জাকারবার্গের এই মন্তব্যের জন্য ভারতীয় সংসদ এবং দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’
এর আগে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব গত সোমবার মার্ক জাকারবার্গের মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘ভারত সম্পর্কে মেটার সিইওর এমন ভুল দাবি হতাশাজনক।’
অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারত। ২০২৪ সালের নির্বাচনে ৬৪ কোটির বেশি ভোটারের অংশগ্রহণে একটি সফল নির্বাচন হয়েছে। এর মাধ্যমে ভারতের জনগণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের প্রতি তাঁদের আস্থা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভারত ৮০ কোটির বেশি মানুষকে বিনা মূল্যে খাবার সরবরাহ করেছে। ২২০ কোটি ফ্রি ভ্যাকসিন দিয়েছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে সাহায্য করেছে। এ ছাড়া ভারতের অর্থনীতি বিশ্বের দ্রুততম বৃদ্ধি পাওয়া অর্থনীতিগুলোর একটি। প্রধানমন্ত্রী মোদির তৃতীয়বারের জয়ের মাধ্যমে জনসাধারণ তাঁর প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছে।
মেটা ইন্ডিয়া তাদের সিইও মার্ক জাকারবার্গের একটি মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছে। সম্প্রতি জাকারবার্গ আমেরিকান পডকাস্টার জো রোগানের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের নির্বাচন নিয়ে একটি মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর এই মন্তব্যের পর বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এর জেরেই আজ বুধবার মেটা ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট শিবনাথ ঠাকুরাল জাকারবার্গের মন্তব্যকে ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ হিসেবে উল্লেখ করে ক্ষমা চেয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মেটা ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট শিবনাথ ঠাকুরাল এক্স হ্যান্ডেলের এক পোস্টে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘মাননীয় মন্ত্রী, জাকারবার্গ বলেছেন ২০২৪ সালের নির্বাচনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বেশ কিছু ক্ষমতাসীন দল পরাজিত হয়েছে। কিন্তু তা অনেক দেশের জন্য সত্য হলেও, ভারতের জন্য নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। ভারত আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ এবং এর উদ্ভাবনী ভবিষ্যতের অংশ হতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এর আগে গত ১২ জানুয়ারি জাকারবার্গ জো রোগানের পডকাস্টে বলেছিলেন, ‘২০২৪ সালে ভারতসহ অনেক দেশে নির্বাচন হয়েছে। এসব নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলগুলো পরাজিত হয়েছে।’
এর কারণ হিসেবে মার্ক জাকারবার্গ কোভিড-পরবর্তী সময়ে সরকারের দেওয়া তথ্যের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারের নীতি, মুদ্রাস্ফীতি বা অন্যান্য অর্থনৈতিক কারণে মানুষ তাদের প্রতি আস্থা হারিয়েছে। ফলে ২০২৪ সালের নির্বাচনে অনেক দেশে ক্ষমতাসীন দলগুলো পরাজিত হয়েছে। এটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, বিশ্বব্যাপী এমন অনেক দেশে এ ঘটনা ঘটেছে।’
এই সাক্ষাৎকারে ভারতের নির্বাচনের কথা বলায় জাকারবার্গের ওপর চটে যান দেশটির যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক কমিটির প্রধান এবং বিজেপি সংসদ সদস্য ও সংসদীয় কমিটির প্রধান নিশিকান্ত দুবে। গতকাল মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, জাকারবার্গের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জন্য মেটাকে তলব করা হবে। তিনি অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের নির্বাচন নিয়ে জাকারবার্গ যে মন্তব্য করেছেন, তা সঠিক নয়।
নিশিকান্ত দুবে বলেন, ‘আমরা ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য মেটাকে তলব করব। এই ধরনের ভুল তথ্য বিশ্বের বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।’
নিশিকান্ত দুবে আরও বলেন, ‘জাকারবার্গের এই মন্তব্যের জন্য ভারতীয় সংসদ এবং দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’
এর আগে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব গত সোমবার মার্ক জাকারবার্গের মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘ভারত সম্পর্কে মেটার সিইওর এমন ভুল দাবি হতাশাজনক।’
অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারত। ২০২৪ সালের নির্বাচনে ৬৪ কোটির বেশি ভোটারের অংশগ্রহণে একটি সফল নির্বাচন হয়েছে। এর মাধ্যমে ভারতের জনগণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের প্রতি তাঁদের আস্থা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভারত ৮০ কোটির বেশি মানুষকে বিনা মূল্যে খাবার সরবরাহ করেছে। ২২০ কোটি ফ্রি ভ্যাকসিন দিয়েছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে সাহায্য করেছে। এ ছাড়া ভারতের অর্থনীতি বিশ্বের দ্রুততম বৃদ্ধি পাওয়া অর্থনীতিগুলোর একটি। প্রধানমন্ত্রী মোদির তৃতীয়বারের জয়ের মাধ্যমে জনসাধারণ তাঁর প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছে।
তার ভাষ্য, ইরানের রাজনৈতিক শাসন টিকে গেছে এবং সম্ভবত আরও শক্ত অবস্থানে পৌঁছেছে। দেশটির মানুষ এখন আধ্যাত্মিক নেতৃত্বের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। এমনকি যারা আগে নির্লিপ্ত ছিল বা বিরোধিতা করত, তারাও এখন এই নেতৃত্বের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
২ মিনিট আগে৪৫ মিনিটের এই ফোনালাপের উদ্যোগ এসেছিল ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের কাছ থেকে। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার পরেই তিনি এই উদ্যোগ নেন।
১০ মিনিট আগেখোররামশহর-৪ বা খাইবার ক্ষেপণাস্ত্রকে ইরানের চতুর্থ প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে ধরা হয়। এটি শব্দের গতির চেয়ে ১৬ গুণ বেশি গতিতে বায়ুমণ্ডলের বাইরে এবং শব্দের গতির চেয়ে ৮ গুণ বেশি গতিতে বায়ুমণ্ডলের ভেতরে চলতে সক্ষম। উচ্চ গতি এবং কৌশলগত সক্ষমতার জন্য এটিকে শনাক্ত ও প্রতিহত করা কঠিন...
১৪ মিনিট আগেইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া ও স্পেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলার যে দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা যে যুক্তিই তুলে ধরা হোক না কেন, তা আন্তর্জ
২২ মিনিট আগে