প্রতিনিধি, কলকাতা
তৃতীয় দফার ভোটের আগে আরও জমজমাট হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের ভোটের প্রচার। হেলিকপ্টারে চেপে রাজ্যের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত চষে বেড়াচ্ছেন উভয় পক্ষের নেতারা।
বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুটি জনসভা করেছেন। কম যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও। তিনি সভা করেছেন চারটি। এ ছাড়া অন্যান্য তারকা প্রচারকেরা তো রয়েছেনই।
এবার পশ্চিমবঙ্গের ভোটের প্রচারে সব জায়গাতেই উঠে আসছে ‘খেলা হবে’ কথাটি। মোদি ও মমতা দুজনের মুখেই, ‘খেলা হবে’। আজও শোনা গেল—খেলা হবে! তবে দু-পক্ষের খেলা দু রকমের। তৃণমূল ও বিজেপির প্রচারের আলোয় বাম-কংগ্রেস জুটি অবশ্য অনেকটাই পেছনে পড়ে গেছে।
প্রথম দু-দফার ভোটপর্ব শেষ হয়েছে। তৃতীয় দফায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি জেলার ৩১ কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে। রাজ্যের ২৯৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬০টিতে ভোট হয়ে গেছে। শেষ দফার ভোট ২৯ এপ্রিল। আর ভোট গণনা হবে আগামী ২ মে।
এরই মধ্যে ভোট হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কেন্দ্র নন্দীগ্রামেও। এবার সেখানে তিনি হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মুখে পড়েছেন তৃণমূলেরই দলত্যাগী নেতা বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে।
নন্দীগ্রামে ভোটপর্ব শেষ হলেও বাকি আসনের জন্য প্রচারের ঝড় তুলছেন মমতা। তাঁর আক্রমণের লক্ষ্য বিজেপি। বিজেপি বহিরাগত সন্ত্রাসীদের এনে রাজ্য দখল করতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বসে নেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনিও মমতার বক্তব্যের জবাব দিচ্ছেন। হরিপাল ও সোনারপুরের সভা থেকে সুর করে, মমতাকে ‘দি-দি’ বলে সম্বোধন করে কটাক্ষ করে মোদি বলেন, ‘বাংলার দই-মিষ্টির স্বাদই আলাদা। এত তিক্ততা কোথা থেকে পান দিদি?’
আমফানের সময় কেন্দ্র থেকে পাঠানো টাকা তৃণমূল লুট করেছে অভিযোগ তুলে মোদি বলেন, ‘দিদি আপনি টিএমসির গুন্ডাদের সামলান। ওদের বলুন এখানে মোদি এসেছে, ওদের গুন্ডাগিরি চলবে না।’
পাল্টা আক্রমণে ভুল করেননি মমতাও। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে। ছদ্মবেশী ধার্মিক পেছন থেকে ছুরি মারে। তাঁর সাফকথা, ‘বিজেপি চাইছে বাংলাকে ভাগ করে নাও, দখল করে নাও।’ বিভাজন ঘটাতে চাইছে বাংলার, এ দাবীও করেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি আসামেও ভোট হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার সেখানে শেষ দফায় ৪০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। এরই মধ্যে ৮৬টি কেন্দ্রে ভোট হয়ে গেছে।
আগামী মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ছাড়াও তামিলনাডু, কেরালা ও পণ্ডীচেরিতেও ভোট হবে। এই তিন রাজ্যে এক দফাতেই ভোট হচ্ছে। পাঁচ রাজ্যের এবারের বিধানসভা ভোট ভারতীয় রাজনীতিতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই ভোটেই প্রমাণ হবে, বিজেপির মোদি-ম্যাজিক কতটা কাজ করছে ভারতের রাজনীতিতে।
বামদের কাছে এখন চ্যালেঞ্জ, একমাত্র বামশাসিত রাজ্য কেরালায় সরকার ধরে রাখা। তৃণমূলের যেমন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা ধরে রাখা অস্তিত্বের লড়াই, তেমনি কংগ্রেসের উত্তর–পূর্বাঞ্চলে প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা নির্ভর করছে আসামের ওপরই। তাই গোটা দেশের নজর এই পাঁচ রাজ্যে।
তৃতীয় দফার ভোটের আগে আরও জমজমাট হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের ভোটের প্রচার। হেলিকপ্টারে চেপে রাজ্যের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত চষে বেড়াচ্ছেন উভয় পক্ষের নেতারা।
বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুটি জনসভা করেছেন। কম যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও। তিনি সভা করেছেন চারটি। এ ছাড়া অন্যান্য তারকা প্রচারকেরা তো রয়েছেনই।
এবার পশ্চিমবঙ্গের ভোটের প্রচারে সব জায়গাতেই উঠে আসছে ‘খেলা হবে’ কথাটি। মোদি ও মমতা দুজনের মুখেই, ‘খেলা হবে’। আজও শোনা গেল—খেলা হবে! তবে দু-পক্ষের খেলা দু রকমের। তৃণমূল ও বিজেপির প্রচারের আলোয় বাম-কংগ্রেস জুটি অবশ্য অনেকটাই পেছনে পড়ে গেছে।
প্রথম দু-দফার ভোটপর্ব শেষ হয়েছে। তৃতীয় দফায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি জেলার ৩১ কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে। রাজ্যের ২৯৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬০টিতে ভোট হয়ে গেছে। শেষ দফার ভোট ২৯ এপ্রিল। আর ভোট গণনা হবে আগামী ২ মে।
এরই মধ্যে ভোট হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কেন্দ্র নন্দীগ্রামেও। এবার সেখানে তিনি হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মুখে পড়েছেন তৃণমূলেরই দলত্যাগী নেতা বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে।
নন্দীগ্রামে ভোটপর্ব শেষ হলেও বাকি আসনের জন্য প্রচারের ঝড় তুলছেন মমতা। তাঁর আক্রমণের লক্ষ্য বিজেপি। বিজেপি বহিরাগত সন্ত্রাসীদের এনে রাজ্য দখল করতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বসে নেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনিও মমতার বক্তব্যের জবাব দিচ্ছেন। হরিপাল ও সোনারপুরের সভা থেকে সুর করে, মমতাকে ‘দি-দি’ বলে সম্বোধন করে কটাক্ষ করে মোদি বলেন, ‘বাংলার দই-মিষ্টির স্বাদই আলাদা। এত তিক্ততা কোথা থেকে পান দিদি?’
আমফানের সময় কেন্দ্র থেকে পাঠানো টাকা তৃণমূল লুট করেছে অভিযোগ তুলে মোদি বলেন, ‘দিদি আপনি টিএমসির গুন্ডাদের সামলান। ওদের বলুন এখানে মোদি এসেছে, ওদের গুন্ডাগিরি চলবে না।’
পাল্টা আক্রমণে ভুল করেননি মমতাও। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে। ছদ্মবেশী ধার্মিক পেছন থেকে ছুরি মারে। তাঁর সাফকথা, ‘বিজেপি চাইছে বাংলাকে ভাগ করে নাও, দখল করে নাও।’ বিভাজন ঘটাতে চাইছে বাংলার, এ দাবীও করেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি আসামেও ভোট হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার সেখানে শেষ দফায় ৪০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। এরই মধ্যে ৮৬টি কেন্দ্রে ভোট হয়ে গেছে।
আগামী মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ছাড়াও তামিলনাডু, কেরালা ও পণ্ডীচেরিতেও ভোট হবে। এই তিন রাজ্যে এক দফাতেই ভোট হচ্ছে। পাঁচ রাজ্যের এবারের বিধানসভা ভোট ভারতীয় রাজনীতিতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই ভোটেই প্রমাণ হবে, বিজেপির মোদি-ম্যাজিক কতটা কাজ করছে ভারতের রাজনীতিতে।
বামদের কাছে এখন চ্যালেঞ্জ, একমাত্র বামশাসিত রাজ্য কেরালায় সরকার ধরে রাখা। তৃণমূলের যেমন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা ধরে রাখা অস্তিত্বের লড়াই, তেমনি কংগ্রেসের উত্তর–পূর্বাঞ্চলে প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা নির্ভর করছে আসামের ওপরই। তাই গোটা দেশের নজর এই পাঁচ রাজ্যে।
ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এই পদক্ষেপ শুধু মধ্যপ্রাচ্যের শক্তির ভারসাম্যকেই নাড়িয়ে দেয়নি, বরং এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব রাজনীতিতেও। মস্কো থেকে এর প্রতিক্রিয়া এসেছে দ্রুত ও তীব্রভাবে।
১ ঘণ্টা আগেমিছিলে অংশ নেন শতাধিক দলীয় কর্মী, সমর্থক, ছাত্র, যুব ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি। ‘আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক’, ‘ইরানে বোমাবাজি চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখর হয় গোটা এলাকা। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস’ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে ইরানি গণমাধ্যম ও স্থানীয় কর্মকর্তারা।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সামরিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় হরমুজ প্রণালি বন্ধের প্রস্তাব পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। এই প্রস্তাবের ফলে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে