১১ বছরের শিশুর বুক চেপে ধরে তার পায়জামার ফিতা ছিঁড়ে ফেলাকে ‘ধর্ষণের চেষ্টা’ হিসেবে গণ্য করা যায় না বলে সম্প্রতি ‘জঘন্য’ এক রায় দিয়েছিলেন ভারতের একটি হাইকোর্ট। তবে আজ বুধবার বিচারককে তিরস্কার করে ওই রায় স্থগিত করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
গত সপ্তাহে এলাহাবাদ হাইকোর্টের ওই রায়ে বলা হয়, এই ধরনের ঘটনা কেবল ‘গুরুতর যৌন নিপীড়ন’ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, যা অপেক্ষাকৃত কম শাস্তিযোগ্য অপরাধ। হাইকোর্টের এই রায়ে ভারতে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রায়ের কিছু মন্তব্যে বিচারকের ‘সম্পূর্ণ সংবেদনশীলতার অভাব’ প্রকাশ পেয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকেরা মনে করেন।
সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি বি আর গাভাই ও অগাস্টিন বলেন, ১৭ মার্চে দেওয়া এই রায় ‘জঘন্য’। কারণ, এটি তৎক্ষণাৎ দেওয়া কোনো রায় নয়, বরং চার মাস ধরে যথেষ্ট চিন্তাভাবনা করে দেওয়া হয়েছিল।
সর্বোচ্চ আদালত এখন ভারতের কেন্দ্রীয় ও উত্তর প্রদেশ রাজ্য সরকারের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছেন, যেখানে এলাহাবাদ (বর্তমানে প্রয়াগরাজ) হাইকোর্ট অবস্থিত।
মামলার নথি অনুযায়ী, ১১ বছর বয়সী মেয়ের মা অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি তাঁর মেয়েকে মোটরসাইকেলে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। একই গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় পরিবার তাদের চিনত এবং মেয়েটিকে তাদের সঙ্গে পাঠিয়েছিল।
হাইকোর্টের রায়ের নথি অনুযায়ী, ‘অভিযুক্তরা তাদের মোটরসাইকেল মাঝপথে থামিয়ে মেয়েটির স্তন চেপে ধরতে শুরু করে। তাদের মধ্যে একজন তাকে একটি কালভার্টের নিচে টেনে নিয়ে গিয়ে ‘তার পায়জামার ফিতা ছিঁড়ে ফেলে’।
গ্রামের কয়েকজন পথচারী মেয়েটির কান্নার আওয়াজ শুনে তাকে উদ্ধার করেন, ফলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
হাইকোর্টের রায়ের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বিচারক বলেন, ‘ধর্ষণের চেষ্টা’ ও ‘প্রস্তুতির’ মধ্যে পার্থক্য আছে এবং ‘প্রস্তুতির পর্যায় অতিক্রম করা হয়েছে, তা প্রমাণ করা আবশ্যক’। রায়ে আরও বলা হয়, প্রস্তুতি ও অপরাধের প্রকৃত চেষ্টার মধ্যে মূল পার্থক্য হলো দৃঢ়সংকল্পের মাত্রা।
বিতর্কিত রায় দেশে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে। অনেকে এটিকে ‘ভয়াবহ’ বলে অভিহিত করেছেন।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং একটি টিভি চ্যানেলকে বলেন, শিশুটির সঙ্গে যা ঘটেছে, তা ‘প্রস্তুতির মধ্যে পড়ে না’ বরং ‘আইনগতভাবে এটি ধর্ষণের চেষ্টা’।
তিনি আরও বলেন, ‘উদ্দেশ্য কীভাবে প্রমাণ করা হয়? এটি অপরাধের আগের কার্যকলাপ থেকেই বোঝা যায়।’ এর ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, মেয়েটিকে নির্জন জায়গায় নিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, এটি প্রস্তুতির পর্যায় ছাড়িয়ে গেছে।
ভারতের নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘সভ্য সমাজে হাইকোর্টের এই রায়ের কোনো স্থান নেই। এটি সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
১১ বছরের শিশুর বুক চেপে ধরে তার পায়জামার ফিতা ছিঁড়ে ফেলাকে ‘ধর্ষণের চেষ্টা’ হিসেবে গণ্য করা যায় না বলে সম্প্রতি ‘জঘন্য’ এক রায় দিয়েছিলেন ভারতের একটি হাইকোর্ট। তবে আজ বুধবার বিচারককে তিরস্কার করে ওই রায় স্থগিত করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
গত সপ্তাহে এলাহাবাদ হাইকোর্টের ওই রায়ে বলা হয়, এই ধরনের ঘটনা কেবল ‘গুরুতর যৌন নিপীড়ন’ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, যা অপেক্ষাকৃত কম শাস্তিযোগ্য অপরাধ। হাইকোর্টের এই রায়ে ভারতে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রায়ের কিছু মন্তব্যে বিচারকের ‘সম্পূর্ণ সংবেদনশীলতার অভাব’ প্রকাশ পেয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকেরা মনে করেন।
সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি বি আর গাভাই ও অগাস্টিন বলেন, ১৭ মার্চে দেওয়া এই রায় ‘জঘন্য’। কারণ, এটি তৎক্ষণাৎ দেওয়া কোনো রায় নয়, বরং চার মাস ধরে যথেষ্ট চিন্তাভাবনা করে দেওয়া হয়েছিল।
সর্বোচ্চ আদালত এখন ভারতের কেন্দ্রীয় ও উত্তর প্রদেশ রাজ্য সরকারের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছেন, যেখানে এলাহাবাদ (বর্তমানে প্রয়াগরাজ) হাইকোর্ট অবস্থিত।
মামলার নথি অনুযায়ী, ১১ বছর বয়সী মেয়ের মা অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি তাঁর মেয়েকে মোটরসাইকেলে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। একই গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় পরিবার তাদের চিনত এবং মেয়েটিকে তাদের সঙ্গে পাঠিয়েছিল।
হাইকোর্টের রায়ের নথি অনুযায়ী, ‘অভিযুক্তরা তাদের মোটরসাইকেল মাঝপথে থামিয়ে মেয়েটির স্তন চেপে ধরতে শুরু করে। তাদের মধ্যে একজন তাকে একটি কালভার্টের নিচে টেনে নিয়ে গিয়ে ‘তার পায়জামার ফিতা ছিঁড়ে ফেলে’।
গ্রামের কয়েকজন পথচারী মেয়েটির কান্নার আওয়াজ শুনে তাকে উদ্ধার করেন, ফলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
হাইকোর্টের রায়ের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বিচারক বলেন, ‘ধর্ষণের চেষ্টা’ ও ‘প্রস্তুতির’ মধ্যে পার্থক্য আছে এবং ‘প্রস্তুতির পর্যায় অতিক্রম করা হয়েছে, তা প্রমাণ করা আবশ্যক’। রায়ে আরও বলা হয়, প্রস্তুতি ও অপরাধের প্রকৃত চেষ্টার মধ্যে মূল পার্থক্য হলো দৃঢ়সংকল্পের মাত্রা।
বিতর্কিত রায় দেশে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে। অনেকে এটিকে ‘ভয়াবহ’ বলে অভিহিত করেছেন।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং একটি টিভি চ্যানেলকে বলেন, শিশুটির সঙ্গে যা ঘটেছে, তা ‘প্রস্তুতির মধ্যে পড়ে না’ বরং ‘আইনগতভাবে এটি ধর্ষণের চেষ্টা’।
তিনি আরও বলেন, ‘উদ্দেশ্য কীভাবে প্রমাণ করা হয়? এটি অপরাধের আগের কার্যকলাপ থেকেই বোঝা যায়।’ এর ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, মেয়েটিকে নির্জন জায়গায় নিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, এটি প্রস্তুতির পর্যায় ছাড়িয়ে গেছে।
ভারতের নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘সভ্য সমাজে হাইকোর্টের এই রায়ের কোনো স্থান নেই। এটি সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
ইরানের ৩ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করার সময় বি–২ বোমারু বিমান ও সাবমেরিন ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনটাই দাবি করেছেন মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজের উপস্থাপক শন হ্যানিটি। তাঁর দাবি, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলোতে বাংকার বাস্টার বোমা ফেলা হয়েছে এবং সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র সহযোগে হামলা করা হয়
৮ মিনিট আগেফোরদো, ইস্পাহান এবং নাতাঞ্জে মার্কিন হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইরানি কর্মকর্তারা। তবে ক্ষয়ক্ষতি কেমন হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি তারা। ইরানের আধা-সরকারি তাসনিম বার্তা সংস্থা নিশ্চিত করেছিল, যুক্তরাষ্ট্র ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।
২১ মিনিট আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুক্ষণ আগেই ঘোষণা দেন, ইরানের ৩টি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করেছে তাঁর দেশ। তিনি বলেন, ফোরদো ‘শেষ।’ এর কিছুক্ষণ পর ইরানের কৌম প্রদেশের এক কর্মকর্তা জানান, ফোরদোর একাংশ শত্রুর হামলার শিকার হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সফলভাবে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্য়ালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, হামলার পর সব মার্কিন যুদ্ধবিমান নিরাপদে ইরানি আকাশসীমা ত্যাগ করেছে।
১ ঘণ্টা আগে