আজকের পত্রিকা ডেস্ক

কানাডা থেকে রেকর্ডসংখ্যক ভারতীয় নাগরিককে ‘জোরপূর্বক ফেরত’ পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। দেশটির সীমান্তসেবা সংস্থা কানাডিয়ান বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির (সিবিএসএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে এ সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ২৮ জুলাই পর্যন্ত কানাডা থেকে ১ হাজার ৮৯১ জন ভারতীয়কে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ২০২৪ সালে পুরো বছর মিলিয়ে এ সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৯৯৭ জন। ২০১৯ সালে সংখ্যাটি ছিল মাত্র ৬২৫ জন। অর্থাৎ, গত কয়েক বছরে কানাডা থেকে ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর হার কয়েক গুণ বেড়েছে।
মেক্সিকানদের পর এবার ভারতীয়রাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক নাগরিক, যাঁরা কানাডা থেকে জোরপূর্বক দেশে ফিরছেন। ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত মেক্সিকান ফেরত পাঠানো হয়েছে ২ হাজার ৬৭৮ জনকে আর ভারতীয়দের পর তৃতীয় স্থানে আছে কলম্বিয়ার নাগরিকেরা, যাঁদের সংখ্যা ৯৮১।
কেন বাড়ছে ফেরত পাঠানো ভারতীয়দের সংখ্যা?
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি সম্প্রতি টরন্টোতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তাঁর সরকার বিদেশি অপরাধীদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শক্তিশালী করছে।
মার্ক কার্নি বলেন, ‘আমরা অভিবাসনব্যবস্থায় একাধিক সংস্কার আনছি। অপরাধী বিদেশিদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, কার্যকর ও নজরদারিমূলক করতে কাজ চলছে।’
এদিকে কার্নির এ মন্তব্য এমন সময়ে এল, যখন কানাডায় অভিবাসনবিরোধী মনোভাব ক্রমেই বাড়ছে।
১০ অক্টোবর পিল রিজিয়নাল পুলিশ (পিআরপি) এক বিবৃতিতে জানায়, তারা প্রথমবারের মতো পিল ক্রাউন অ্যাটর্নি অফিস ও কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির সঙ্গে মিলে বিদেশি অপরাধীদের কানাডা থেকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি বিচারপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিবেচনা করছে।
এ ঘোষণা আসে কানাডায় মেইল (ডাক চিঠি) চুরির অভিযোগে আট ভারতীয় নাগরিকের গ্রেপ্তারের পর। তাঁদের বিরুদ্ধে ৪৫০টি মেইল চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৪ লাখ কানাডীয় ডলার।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সুমনপ্রীত সিং, গুরদীপ চাঠা, জশানদীপ জাট্টানা, হারমান সিং, জাসানপ্রীত সিং, মানরূপ সিং, রাজবীর সিং ও উপিন্দরজিৎ সিং। তাঁদের বিরুদ্ধে ৩৪৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
ফেরত পাঠানোর অপেক্ষায় আরও হাজারো ভারতীয়
সিবিএসএর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে কানাডা থেকে ফেরত পাঠানোর তালিকায় ভারতীয়দের সংখ্যা সর্বোচ্চ—প্রায় ৬ হাজার ৮৩৭ জন। এরপর মেক্সিকোর ৫ হাজার ১৭০ জন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১ হাজার ৭৩৪ নাগরিক রয়েছেন।
মোট ৩০ হাজার ৭৩৩ জনের ফেরতপ্রক্রিয়া চলছে, যার মধ্যে প্রায় ২৭ হাজারই আশ্রয়প্রার্থী। আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যেও ভারতীয় নাগরিকেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।
২০১৯ সাল থেকে কানাডায় ভারতীয়দের অভিবাসনের সংখ্যা বাড়লেও আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যান ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ফেরত পাঠানোর ঘটনাও বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অভিবাসননীতিতে কঠোরতা ও রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল ‘বিদেশি অপরাধী’ ইস্যু এখন সরকারের নতুন অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে।

কানাডা থেকে রেকর্ডসংখ্যক ভারতীয় নাগরিককে ‘জোরপূর্বক ফেরত’ পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। দেশটির সীমান্তসেবা সংস্থা কানাডিয়ান বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির (সিবিএসএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে এ সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ২৮ জুলাই পর্যন্ত কানাডা থেকে ১ হাজার ৮৯১ জন ভারতীয়কে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ২০২৪ সালে পুরো বছর মিলিয়ে এ সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৯৯৭ জন। ২০১৯ সালে সংখ্যাটি ছিল মাত্র ৬২৫ জন। অর্থাৎ, গত কয়েক বছরে কানাডা থেকে ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর হার কয়েক গুণ বেড়েছে।
মেক্সিকানদের পর এবার ভারতীয়রাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক নাগরিক, যাঁরা কানাডা থেকে জোরপূর্বক দেশে ফিরছেন। ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত মেক্সিকান ফেরত পাঠানো হয়েছে ২ হাজার ৬৭৮ জনকে আর ভারতীয়দের পর তৃতীয় স্থানে আছে কলম্বিয়ার নাগরিকেরা, যাঁদের সংখ্যা ৯৮১।
কেন বাড়ছে ফেরত পাঠানো ভারতীয়দের সংখ্যা?
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি সম্প্রতি টরন্টোতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তাঁর সরকার বিদেশি অপরাধীদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শক্তিশালী করছে।
মার্ক কার্নি বলেন, ‘আমরা অভিবাসনব্যবস্থায় একাধিক সংস্কার আনছি। অপরাধী বিদেশিদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, কার্যকর ও নজরদারিমূলক করতে কাজ চলছে।’
এদিকে কার্নির এ মন্তব্য এমন সময়ে এল, যখন কানাডায় অভিবাসনবিরোধী মনোভাব ক্রমেই বাড়ছে।
১০ অক্টোবর পিল রিজিয়নাল পুলিশ (পিআরপি) এক বিবৃতিতে জানায়, তারা প্রথমবারের মতো পিল ক্রাউন অ্যাটর্নি অফিস ও কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির সঙ্গে মিলে বিদেশি অপরাধীদের কানাডা থেকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি বিচারপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিবেচনা করছে।
এ ঘোষণা আসে কানাডায় মেইল (ডাক চিঠি) চুরির অভিযোগে আট ভারতীয় নাগরিকের গ্রেপ্তারের পর। তাঁদের বিরুদ্ধে ৪৫০টি মেইল চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৪ লাখ কানাডীয় ডলার।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সুমনপ্রীত সিং, গুরদীপ চাঠা, জশানদীপ জাট্টানা, হারমান সিং, জাসানপ্রীত সিং, মানরূপ সিং, রাজবীর সিং ও উপিন্দরজিৎ সিং। তাঁদের বিরুদ্ধে ৩৪৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
ফেরত পাঠানোর অপেক্ষায় আরও হাজারো ভারতীয়
সিবিএসএর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে কানাডা থেকে ফেরত পাঠানোর তালিকায় ভারতীয়দের সংখ্যা সর্বোচ্চ—প্রায় ৬ হাজার ৮৩৭ জন। এরপর মেক্সিকোর ৫ হাজার ১৭০ জন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১ হাজার ৭৩৪ নাগরিক রয়েছেন।
মোট ৩০ হাজার ৭৩৩ জনের ফেরতপ্রক্রিয়া চলছে, যার মধ্যে প্রায় ২৭ হাজারই আশ্রয়প্রার্থী। আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যেও ভারতীয় নাগরিকেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।
২০১৯ সাল থেকে কানাডায় ভারতীয়দের অভিবাসনের সংখ্যা বাড়লেও আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যান ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ফেরত পাঠানোর ঘটনাও বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অভিবাসননীতিতে কঠোরতা ও রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল ‘বিদেশি অপরাধী’ ইস্যু এখন সরকারের নতুন অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

কানাডা থেকে রেকর্ডসংখ্যক ভারতীয় নাগরিককে ‘জোরপূর্বক ফেরত’ পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। দেশটির সীমান্তসেবা সংস্থা কানাডিয়ান বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির (সিবিএসএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে এ সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ২৮ জুলাই পর্যন্ত কানাডা থেকে ১ হাজার ৮৯১ জন ভারতীয়কে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ২০২৪ সালে পুরো বছর মিলিয়ে এ সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৯৯৭ জন। ২০১৯ সালে সংখ্যাটি ছিল মাত্র ৬২৫ জন। অর্থাৎ, গত কয়েক বছরে কানাডা থেকে ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর হার কয়েক গুণ বেড়েছে।
মেক্সিকানদের পর এবার ভারতীয়রাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক নাগরিক, যাঁরা কানাডা থেকে জোরপূর্বক দেশে ফিরছেন। ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত মেক্সিকান ফেরত পাঠানো হয়েছে ২ হাজার ৬৭৮ জনকে আর ভারতীয়দের পর তৃতীয় স্থানে আছে কলম্বিয়ার নাগরিকেরা, যাঁদের সংখ্যা ৯৮১।
কেন বাড়ছে ফেরত পাঠানো ভারতীয়দের সংখ্যা?
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি সম্প্রতি টরন্টোতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তাঁর সরকার বিদেশি অপরাধীদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শক্তিশালী করছে।
মার্ক কার্নি বলেন, ‘আমরা অভিবাসনব্যবস্থায় একাধিক সংস্কার আনছি। অপরাধী বিদেশিদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, কার্যকর ও নজরদারিমূলক করতে কাজ চলছে।’
এদিকে কার্নির এ মন্তব্য এমন সময়ে এল, যখন কানাডায় অভিবাসনবিরোধী মনোভাব ক্রমেই বাড়ছে।
১০ অক্টোবর পিল রিজিয়নাল পুলিশ (পিআরপি) এক বিবৃতিতে জানায়, তারা প্রথমবারের মতো পিল ক্রাউন অ্যাটর্নি অফিস ও কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির সঙ্গে মিলে বিদেশি অপরাধীদের কানাডা থেকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি বিচারপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিবেচনা করছে।
এ ঘোষণা আসে কানাডায় মেইল (ডাক চিঠি) চুরির অভিযোগে আট ভারতীয় নাগরিকের গ্রেপ্তারের পর। তাঁদের বিরুদ্ধে ৪৫০টি মেইল চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৪ লাখ কানাডীয় ডলার।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সুমনপ্রীত সিং, গুরদীপ চাঠা, জশানদীপ জাট্টানা, হারমান সিং, জাসানপ্রীত সিং, মানরূপ সিং, রাজবীর সিং ও উপিন্দরজিৎ সিং। তাঁদের বিরুদ্ধে ৩৪৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
ফেরত পাঠানোর অপেক্ষায় আরও হাজারো ভারতীয়
সিবিএসএর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে কানাডা থেকে ফেরত পাঠানোর তালিকায় ভারতীয়দের সংখ্যা সর্বোচ্চ—প্রায় ৬ হাজার ৮৩৭ জন। এরপর মেক্সিকোর ৫ হাজার ১৭০ জন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১ হাজার ৭৩৪ নাগরিক রয়েছেন।
মোট ৩০ হাজার ৭৩৩ জনের ফেরতপ্রক্রিয়া চলছে, যার মধ্যে প্রায় ২৭ হাজারই আশ্রয়প্রার্থী। আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যেও ভারতীয় নাগরিকেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।
২০১৯ সাল থেকে কানাডায় ভারতীয়দের অভিবাসনের সংখ্যা বাড়লেও আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যান ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ফেরত পাঠানোর ঘটনাও বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অভিবাসননীতিতে কঠোরতা ও রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল ‘বিদেশি অপরাধী’ ইস্যু এখন সরকারের নতুন অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে।

কানাডা থেকে রেকর্ডসংখ্যক ভারতীয় নাগরিককে ‘জোরপূর্বক ফেরত’ পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। দেশটির সীমান্তসেবা সংস্থা কানাডিয়ান বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির (সিবিএসএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে এ সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ২৮ জুলাই পর্যন্ত কানাডা থেকে ১ হাজার ৮৯১ জন ভারতীয়কে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ২০২৪ সালে পুরো বছর মিলিয়ে এ সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৯৯৭ জন। ২০১৯ সালে সংখ্যাটি ছিল মাত্র ৬২৫ জন। অর্থাৎ, গত কয়েক বছরে কানাডা থেকে ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর হার কয়েক গুণ বেড়েছে।
মেক্সিকানদের পর এবার ভারতীয়রাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক নাগরিক, যাঁরা কানাডা থেকে জোরপূর্বক দেশে ফিরছেন। ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত মেক্সিকান ফেরত পাঠানো হয়েছে ২ হাজার ৬৭৮ জনকে আর ভারতীয়দের পর তৃতীয় স্থানে আছে কলম্বিয়ার নাগরিকেরা, যাঁদের সংখ্যা ৯৮১।
কেন বাড়ছে ফেরত পাঠানো ভারতীয়দের সংখ্যা?
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি সম্প্রতি টরন্টোতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তাঁর সরকার বিদেশি অপরাধীদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শক্তিশালী করছে।
মার্ক কার্নি বলেন, ‘আমরা অভিবাসনব্যবস্থায় একাধিক সংস্কার আনছি। অপরাধী বিদেশিদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, কার্যকর ও নজরদারিমূলক করতে কাজ চলছে।’
এদিকে কার্নির এ মন্তব্য এমন সময়ে এল, যখন কানাডায় অভিবাসনবিরোধী মনোভাব ক্রমেই বাড়ছে।
১০ অক্টোবর পিল রিজিয়নাল পুলিশ (পিআরপি) এক বিবৃতিতে জানায়, তারা প্রথমবারের মতো পিল ক্রাউন অ্যাটর্নি অফিস ও কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির সঙ্গে মিলে বিদেশি অপরাধীদের কানাডা থেকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি বিচারপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিবেচনা করছে।
এ ঘোষণা আসে কানাডায় মেইল (ডাক চিঠি) চুরির অভিযোগে আট ভারতীয় নাগরিকের গ্রেপ্তারের পর। তাঁদের বিরুদ্ধে ৪৫০টি মেইল চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৪ লাখ কানাডীয় ডলার।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সুমনপ্রীত সিং, গুরদীপ চাঠা, জশানদীপ জাট্টানা, হারমান সিং, জাসানপ্রীত সিং, মানরূপ সিং, রাজবীর সিং ও উপিন্দরজিৎ সিং। তাঁদের বিরুদ্ধে ৩৪৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
ফেরত পাঠানোর অপেক্ষায় আরও হাজারো ভারতীয়
সিবিএসএর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে কানাডা থেকে ফেরত পাঠানোর তালিকায় ভারতীয়দের সংখ্যা সর্বোচ্চ—প্রায় ৬ হাজার ৮৩৭ জন। এরপর মেক্সিকোর ৫ হাজার ১৭০ জন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১ হাজার ৭৩৪ নাগরিক রয়েছেন।
মোট ৩০ হাজার ৭৩৩ জনের ফেরতপ্রক্রিয়া চলছে, যার মধ্যে প্রায় ২৭ হাজারই আশ্রয়প্রার্থী। আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যেও ভারতীয় নাগরিকেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।
২০১৯ সাল থেকে কানাডায় ভারতীয়দের অভিবাসনের সংখ্যা বাড়লেও আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যান ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ফেরত পাঠানোর ঘটনাও বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অভিবাসননীতিতে কঠোরতা ও রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল ‘বিদেশি অপরাধী’ ইস্যু এখন সরকারের নতুন অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে।

ঘূর্ণিঝড় কালমেগির প্রভাবে থাইল্যান্ডজুড়ে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে থাইল্যান্ডের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবারই সারা দেশের বিভিন্ন অংশে বন্যা সৃষ্টি হতে পারে। থাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, মধ্য এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কাজাখস্তান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। আর এই লক্ষ্যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য গঠিত ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডে’ যোগ দিচ্ছে কাজাখস্তান।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার ইরানে ইসরায়েলি হামলার প্রথম ধাপের দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি ইসরায়েল একাই হামলা চালিয়েছিল—যুক্তরাষ্ট্রের আগের এই দাবি অস্বীকার করলেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানে ইসরায়েলি হামলার পুরো বিষয়টির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত মধ্যস্থতাকারী জোট ‘কোয়াড’ প্রস্তাবিত মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আরএসএফের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তারা শুধু যুদ্ধবিরতিতে নয়, বরং সুদানে শত্রুতার অবসান...
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় কালমেগির প্রভাবে থাইল্যান্ডজুড়ে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে থাইল্যান্ডের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবারই সারা দেশের বিভিন্ন অংশে বন্যা সৃষ্টি হতে পারে। থাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আসন্ন ঝড় কালমেগির প্রভাবে আজ শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত ব্যাংককসহ থাইল্যান্ডের ৬৫টি প্রদেশে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে সতর্কবার্তা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। সতর্কবার্তায় রাজধানী ব্যাংকক ছাড়াও দ্রুত বয়ে চলা চাও ফ্রায়া নদীর তীরবর্তী মধ্যাঞ্চলের ১০টি প্রদেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
থাইল্যান্ডের দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রশমন বিভাগ (ডিডিপিএম) বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, চাই নাট প্রদেশের চাও ফ্রায়া ব্যারেজের উজানে নদী দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৩ হাজার ৫০ থেকে ৩ হাজার ২৫০ ঘনমিটার পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এ পরিস্থিতি সামলাতে রয়্যাল ইরিগেশন ডিপার্টমেন্ট ব্যারেজের পানি নিঃসরণের হার ২ হাজার ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৭০০ ঘনমিটার প্রতি সেকেন্ডে করেছে। তুলনামূলকভাবে, ২০১১ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় চাও ফ্রায়া নদীতে প্রবাহের হার ছিল প্রতি সেকেন্ডে ৩ হাজার ৭০৩ ঘনমিটার।
ফলে ব্যারেজের ভাটিতে অবস্থিত নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোর পানি ৬০ থেকে ৯০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে যেসব এলাকায় বাঁধ নেই—সেসব স্থানে প্লাবনের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছে ডিডিপিএম।
ব্যাংককের পাশাপাশি যেসব প্রদেশে বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে, সেগুলো হলো—উথাই থানি, চাই নাট, সিং বুড়ি, আং থং, সুফান বুড়ি, আয়ুত্থয়া, লপ বুড়ি, পাঠুম থানি, সামুত প্রাকান ও ননথাবুরি। সতর্কতার মূল লক্ষ্য হচ্ছে নিচু এলাকাগুলো, যেগুলো বাঁধবিহীন।
তবে শুধু রাজধানী ও মধ্যাঞ্চল নয়—পুরো দেশের ৬৫টি প্রদেশেই শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, দুর্বল হয়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় কালমেগি আজ শুক্রবার উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডে প্রবেশ করবে। এই সতর্কতা দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব, মধ্যাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিম (আন্দামান উপকূল) অঞ্চলের কয়েকটি প্রদেশকে অন্তর্ভুক্ত করছে।
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ভিয়েতনাম সরকার জানিয়েছে, কালমেগি উপকূলে আছড়ে পড়ার আগে দেশটির মধ্যাঞ্চলে ছয়টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ বিমানবন্দরগুলো হলো—বুয়ন মা থুয়ত, প্লেইকু, তুই হোয়া, চি লাই ফু ক্যাট এবং লিয়েন খুয়ং। এসব বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় শত শত ফ্লাইট বাতিল বা স্থগিত হবে বলে জানায় সরকার।

ঘূর্ণিঝড় কালমেগির প্রভাবে থাইল্যান্ডজুড়ে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে থাইল্যান্ডের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবারই সারা দেশের বিভিন্ন অংশে বন্যা সৃষ্টি হতে পারে। থাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আসন্ন ঝড় কালমেগির প্রভাবে আজ শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত ব্যাংককসহ থাইল্যান্ডের ৬৫টি প্রদেশে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে সতর্কবার্তা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। সতর্কবার্তায় রাজধানী ব্যাংকক ছাড়াও দ্রুত বয়ে চলা চাও ফ্রায়া নদীর তীরবর্তী মধ্যাঞ্চলের ১০টি প্রদেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
থাইল্যান্ডের দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রশমন বিভাগ (ডিডিপিএম) বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, চাই নাট প্রদেশের চাও ফ্রায়া ব্যারেজের উজানে নদী দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৩ হাজার ৫০ থেকে ৩ হাজার ২৫০ ঘনমিটার পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এ পরিস্থিতি সামলাতে রয়্যাল ইরিগেশন ডিপার্টমেন্ট ব্যারেজের পানি নিঃসরণের হার ২ হাজার ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৭০০ ঘনমিটার প্রতি সেকেন্ডে করেছে। তুলনামূলকভাবে, ২০১১ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় চাও ফ্রায়া নদীতে প্রবাহের হার ছিল প্রতি সেকেন্ডে ৩ হাজার ৭০৩ ঘনমিটার।
ফলে ব্যারেজের ভাটিতে অবস্থিত নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোর পানি ৬০ থেকে ৯০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে যেসব এলাকায় বাঁধ নেই—সেসব স্থানে প্লাবনের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছে ডিডিপিএম।
ব্যাংককের পাশাপাশি যেসব প্রদেশে বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে, সেগুলো হলো—উথাই থানি, চাই নাট, সিং বুড়ি, আং থং, সুফান বুড়ি, আয়ুত্থয়া, লপ বুড়ি, পাঠুম থানি, সামুত প্রাকান ও ননথাবুরি। সতর্কতার মূল লক্ষ্য হচ্ছে নিচু এলাকাগুলো, যেগুলো বাঁধবিহীন।
তবে শুধু রাজধানী ও মধ্যাঞ্চল নয়—পুরো দেশের ৬৫টি প্রদেশেই শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, দুর্বল হয়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় কালমেগি আজ শুক্রবার উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডে প্রবেশ করবে। এই সতর্কতা দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব, মধ্যাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিম (আন্দামান উপকূল) অঞ্চলের কয়েকটি প্রদেশকে অন্তর্ভুক্ত করছে।
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ভিয়েতনাম সরকার জানিয়েছে, কালমেগি উপকূলে আছড়ে পড়ার আগে দেশটির মধ্যাঞ্চলে ছয়টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ বিমানবন্দরগুলো হলো—বুয়ন মা থুয়ত, প্লেইকু, তুই হোয়া, চি লাই ফু ক্যাট এবং লিয়েন খুয়ং। এসব বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় শত শত ফ্লাইট বাতিল বা স্থগিত হবে বলে জানায় সরকার।

কানাডা থেকে রেকর্ডসংখ্যক ভারতীয় নাগরিককে ‘জোরপূর্বক ফেরত’ পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। দেশটির সীমান্তসেবা সংস্থা কানাডিয়ান বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির (সিবিএসএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে এ সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৯ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, মধ্য এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কাজাখস্তান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। আর এই লক্ষ্যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য গঠিত ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডে’ যোগ দিচ্ছে কাজাখস্তান।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার ইরানে ইসরায়েলি হামলার প্রথম ধাপের দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি ইসরায়েল একাই হামলা চালিয়েছিল—যুক্তরাষ্ট্রের আগের এই দাবি অস্বীকার করলেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানে ইসরায়েলি হামলার পুরো বিষয়টির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত মধ্যস্থতাকারী জোট ‘কোয়াড’ প্রস্তাবিত মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আরএসএফের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তারা শুধু যুদ্ধবিরতিতে নয়, বরং সুদানে শত্রুতার অবসান...
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, মধ্য এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কাজাখস্তান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। আর এই লক্ষ্যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য গঠিত ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডে’ যোগ দিচ্ছে কাজাখস্তান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমারত তোকায়েভের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘শিগগির আমরা একটি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেব। এই শক্তিশালী জোটে আরও অনেক দেশ যোগ দিতে চাচ্ছে।’
কাজাখ সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, বিষয়টি আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আব্রাহাম চুক্তিতে আমাদের যোগদান কাজাখস্তানের বৈদেশিক নীতির স্বাভাবিক ও যৌক্তিক ধারাবাহিকতা—যা সংলাপ, পারস্পরিক সম্মান ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর ভিত্তি করে।’
কাজাখস্তান ইতিমধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ বজায় রাখছে। ফলে এ উদ্যোগটি মূলত প্রতীকী পদক্ষেপ হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বৃহস্পতিবার বলেন, বিষয়টি শুধু কূটনৈতিক সম্পর্কের সীমায় আটকে নেই। তিনি বলেন, ‘এটা আরও উন্নত ধরনের সম্পর্ক, যা চুক্তিতে থাকা সব দেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব তৈরি করে। এর মাধ্যমে তারা নানা অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে পারবে।’
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প কাজাখ প্রেসিডেন্ট তোকায়েভসহ মধ্য এশিয়ার আরও চার দেশের নেতা—কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক করেন। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন রাশিয়ার প্রভাবাধীন ও বর্তমানে চীনের প্রভাব বাড়তে থাকা এই অঞ্চলে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে চাইছে। ট্রাম্প বলেন, ‘এখানে উপস্থিত কিছু দেশও আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেবে...আগামী কিছু সময়ের মধ্যে এসব ঘোষণা দেওয়া হবে।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ফ্লোরিডায় এক ব্যবসায়ী ফোরামে বলেন, তিনি ওয়াশিংটনে ফিরছেন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দেওয়ার জন্য। যদিও তিনি তখন কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস প্রথম জানায়, দেশটি হলো কাজাখস্তান।
বিষয়টি নিয়ে অবগত আরেক সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে কাজাখস্তানের যোগদান আব্রাহাম চুক্তিকে নতুন গতি দেবে, যা গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে স্থবির হয়ে আছে। ট্রাম্প এর আগেও একাধিকবার বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে যেভাবে চুক্তিটি মধ্যস্থ করেছিলেন, সেটিকে আরও সম্প্রসারণ করতে চান।
এর আগে ২০২০ সালে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। একই বছরের শেষে মরক্কোও চুক্তিতে যোগ দেয়। গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ট্রাম্প বলেছেন, সৌদি আরবও অবশেষে এই চুক্তিতে যোগ দেবে বলে তিনি আশাবাদী। তবে রিয়াদ এখনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অন্তত কোনো রূপরেখা ছাড়া এগোতে রাজি হয়নি।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ১৮ নভেম্বর হোয়াইট হাউস সফর করবেন বলে জানা গেছে। মধ্য এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশ, যেমন আজারবাইজান ও উজবেকিস্তান, যাদের সঙ্গে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, তাদেরও আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাব্য দেশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই চুক্তিটিকেই ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের অন্যতম প্রধান বৈদেশিক নীতি সাফল্য হিসেবে ধরা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কাজাখস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলিম (৬৯ দশমিক ৩), তারপরে খ্রিষ্টান (১৭ দশমিক ২ শতাংশ)। জনসংখ্যার প্রায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ কোনো ধর্ম মানে না বলে জানিয়েছে এবং ১১ শতাংশ মানুষ এই প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। অল্পসংখ্যক মানুষ অন্যান্য ধর্ম অনুসরণ করে এবং একটি ছোট অংশ (২ দশমিক ২৫ শতাংশ) নাস্তিক হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, মধ্য এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কাজাখস্তান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। আর এই লক্ষ্যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য গঠিত ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডে’ যোগ দিচ্ছে কাজাখস্তান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমারত তোকায়েভের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘শিগগির আমরা একটি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেব। এই শক্তিশালী জোটে আরও অনেক দেশ যোগ দিতে চাচ্ছে।’
কাজাখ সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, বিষয়টি আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আব্রাহাম চুক্তিতে আমাদের যোগদান কাজাখস্তানের বৈদেশিক নীতির স্বাভাবিক ও যৌক্তিক ধারাবাহিকতা—যা সংলাপ, পারস্পরিক সম্মান ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর ভিত্তি করে।’
কাজাখস্তান ইতিমধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ বজায় রাখছে। ফলে এ উদ্যোগটি মূলত প্রতীকী পদক্ষেপ হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বৃহস্পতিবার বলেন, বিষয়টি শুধু কূটনৈতিক সম্পর্কের সীমায় আটকে নেই। তিনি বলেন, ‘এটা আরও উন্নত ধরনের সম্পর্ক, যা চুক্তিতে থাকা সব দেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব তৈরি করে। এর মাধ্যমে তারা নানা অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে পারবে।’
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প কাজাখ প্রেসিডেন্ট তোকায়েভসহ মধ্য এশিয়ার আরও চার দেশের নেতা—কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক করেন। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন রাশিয়ার প্রভাবাধীন ও বর্তমানে চীনের প্রভাব বাড়তে থাকা এই অঞ্চলে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে চাইছে। ট্রাম্প বলেন, ‘এখানে উপস্থিত কিছু দেশও আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেবে...আগামী কিছু সময়ের মধ্যে এসব ঘোষণা দেওয়া হবে।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ফ্লোরিডায় এক ব্যবসায়ী ফোরামে বলেন, তিনি ওয়াশিংটনে ফিরছেন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দেওয়ার জন্য। যদিও তিনি তখন কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস প্রথম জানায়, দেশটি হলো কাজাখস্তান।
বিষয়টি নিয়ে অবগত আরেক সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে কাজাখস্তানের যোগদান আব্রাহাম চুক্তিকে নতুন গতি দেবে, যা গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে স্থবির হয়ে আছে। ট্রাম্প এর আগেও একাধিকবার বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে যেভাবে চুক্তিটি মধ্যস্থ করেছিলেন, সেটিকে আরও সম্প্রসারণ করতে চান।
এর আগে ২০২০ সালে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। একই বছরের শেষে মরক্কোও চুক্তিতে যোগ দেয়। গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ট্রাম্প বলেছেন, সৌদি আরবও অবশেষে এই চুক্তিতে যোগ দেবে বলে তিনি আশাবাদী। তবে রিয়াদ এখনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অন্তত কোনো রূপরেখা ছাড়া এগোতে রাজি হয়নি।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ১৮ নভেম্বর হোয়াইট হাউস সফর করবেন বলে জানা গেছে। মধ্য এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশ, যেমন আজারবাইজান ও উজবেকিস্তান, যাদের সঙ্গে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, তাদেরও আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাব্য দেশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই চুক্তিটিকেই ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের অন্যতম প্রধান বৈদেশিক নীতি সাফল্য হিসেবে ধরা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কাজাখস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলিম (৬৯ দশমিক ৩), তারপরে খ্রিষ্টান (১৭ দশমিক ২ শতাংশ)। জনসংখ্যার প্রায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ কোনো ধর্ম মানে না বলে জানিয়েছে এবং ১১ শতাংশ মানুষ এই প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। অল্পসংখ্যক মানুষ অন্যান্য ধর্ম অনুসরণ করে এবং একটি ছোট অংশ (২ দশমিক ২৫ শতাংশ) নাস্তিক হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেয়।

কানাডা থেকে রেকর্ডসংখ্যক ভারতীয় নাগরিককে ‘জোরপূর্বক ফেরত’ পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। দেশটির সীমান্তসেবা সংস্থা কানাডিয়ান বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির (সিবিএসএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে এ সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৯ দিন আগে
ঘূর্ণিঝড় কালমেগির প্রভাবে থাইল্যান্ডজুড়ে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে থাইল্যান্ডের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবারই সারা দেশের বিভিন্ন অংশে বন্যা সৃষ্টি হতে পারে। থাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার ইরানে ইসরায়েলি হামলার প্রথম ধাপের দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি ইসরায়েল একাই হামলা চালিয়েছিল—যুক্তরাষ্ট্রের আগের এই দাবি অস্বীকার করলেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানে ইসরায়েলি হামলার পুরো বিষয়টির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত মধ্যস্থতাকারী জোট ‘কোয়াড’ প্রস্তাবিত মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আরএসএফের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তারা শুধু যুদ্ধবিরতিতে নয়, বরং সুদানে শত্রুতার অবসান...
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার ইরানে ইসরায়েলি হামলার প্রথম ধাপের দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি ইসরায়েল একাই হামলা চালিয়েছিল—যুক্তরাষ্ট্রের আগের এই দাবি অস্বীকার করলেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানে ইসরায়েলি হামলার পুরো বিষয়টির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। খবর আল জাজিরার
স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘ইসরায়েল প্রথমে হামলা করেছিল। সেই হামলা ছিল ভীষণ শক্তিশালী। আমি পুরোপুরি বিষয়টির দায়িত্বে ছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেদিন ইসরায়েল প্রথম ইরানে হামলা চালায়, সেটি ছিল ইসরায়েলের জন্য দারুণ এক দিন। ওই হামলায় যত ক্ষতি হয়েছে, বাকি সব হামলা মিলেও তত হয়নি।’
এই মন্তব্যের সময় ট্রাম্প রিপাবলিকানদের আহ্বান জানান, সিনেটে আইন পাসের নিয়ম পরিবর্তন করে যেন সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে আইন পাস করা যায়, এমন পরিবর্তন আনা হয়। তিনি যুক্তি দেন, দলকে এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ঠিক যেভাবে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিল।
গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের ওপর ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। এই হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ জেনারেল, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও বহু সাধারণ মানুষ নিহত হন। জবাবে ইরান শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইসরায়েলের দিকে। পরে যুক্তরাষ্ট্রও ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে যুক্ত হয় এবং ইরানের তিনটি বড় পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা বর্ষণ করে।
যুদ্ধের প্রথম দিকেই ওয়াশিংটন জানায়, ইসরায়েল একাই এই হামলা চালিয়েছে। সেই সঙ্গে তেহরানকে সতর্ক করা হয় যেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ও আঞ্চলিক স্বার্থের ওপর পাল্টা হামলা না চালায়। সে সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘আজ রাতে ইসরায়েল একতরফা পদক্ষেপ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ইরানে কোনো হামলায় অংশ নেয়নি। আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার হচ্ছে অঞ্চলে মার্কিন সেনাদের সুরক্ষা।’
পরে ইরান কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের এক সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়। এরপর থেকে ট্রাম্প যুদ্ধের ফলাফল নিয়ে গর্ব করতে থাকেন। তিনি বারবার দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছে।’
তবে বৃহস্পতিবার তিনি আরও এগিয়ে বললেন, যুদ্ধের শুরু থেকেই তিনিই পুরো বিষয়টি পরিচালনা করেছেন। অন্যদিকে তেহরান এখনো প্রকাশ্যে তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ক্ষতির বিস্তারিত দেয়নি। তবে ইরানি কর্মকর্তারা বলছেন, বহু বছরের অর্জিত জ্ঞানের কারণে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি এখনো টিকে আছে। ইরানের মজুত উচ্চমাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কেও কিছু জানা যায়নি।
ট্রাম্প সব সময় নিজেক ‘শান্তির দূত’ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন এবং নতুন যুদ্ধ শুরু না করার অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু যুদ্ধ চলাকালে তার নিজ দলের ভেতরের অনেকেই চাপ দিচ্ছিলেন, যেন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সংঘাতে না জড়ায়। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প আবারও বলেছেন, তিনি ইরানের সঙ্গে এমন একটি চুক্তি করতে চান, যার মাধ্যমে তেহরান আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে।
দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুর দিকে ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা শুরু করেন এবং বারবার বলেন, তিনি তেহরানের সঙ্গে সমঝোতা চান। তবে বর্তমানে সেই আলোচনায় কোনো গতি নেই। বিশ্লেষকদের মতে, ওয়াশিংটনে এখন ইরান ইস্যুতে তেমন কোনো তাগিদ দেখা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে ইরানও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রস্তাব নিয়ে সন্দিহান। জুন মাসে দুই দেশের কর্মকর্তাদের এক দফা আলোচনায় বসার কথা ছিল, কিন্তু তার কয়েক দিন আগেই ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান তেহরানে হামলা চালায়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার ইরানে ইসরায়েলি হামলার প্রথম ধাপের দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি ইসরায়েল একাই হামলা চালিয়েছিল—যুক্তরাষ্ট্রের আগের এই দাবি অস্বীকার করলেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানে ইসরায়েলি হামলার পুরো বিষয়টির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। খবর আল জাজিরার
স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘ইসরায়েল প্রথমে হামলা করেছিল। সেই হামলা ছিল ভীষণ শক্তিশালী। আমি পুরোপুরি বিষয়টির দায়িত্বে ছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেদিন ইসরায়েল প্রথম ইরানে হামলা চালায়, সেটি ছিল ইসরায়েলের জন্য দারুণ এক দিন। ওই হামলায় যত ক্ষতি হয়েছে, বাকি সব হামলা মিলেও তত হয়নি।’
এই মন্তব্যের সময় ট্রাম্প রিপাবলিকানদের আহ্বান জানান, সিনেটে আইন পাসের নিয়ম পরিবর্তন করে যেন সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে আইন পাস করা যায়, এমন পরিবর্তন আনা হয়। তিনি যুক্তি দেন, দলকে এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ঠিক যেভাবে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিল।
গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের ওপর ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। এই হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ জেনারেল, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও বহু সাধারণ মানুষ নিহত হন। জবাবে ইরান শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইসরায়েলের দিকে। পরে যুক্তরাষ্ট্রও ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে যুক্ত হয় এবং ইরানের তিনটি বড় পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা বর্ষণ করে।
যুদ্ধের প্রথম দিকেই ওয়াশিংটন জানায়, ইসরায়েল একাই এই হামলা চালিয়েছে। সেই সঙ্গে তেহরানকে সতর্ক করা হয় যেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ও আঞ্চলিক স্বার্থের ওপর পাল্টা হামলা না চালায়। সে সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘আজ রাতে ইসরায়েল একতরফা পদক্ষেপ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ইরানে কোনো হামলায় অংশ নেয়নি। আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার হচ্ছে অঞ্চলে মার্কিন সেনাদের সুরক্ষা।’
পরে ইরান কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের এক সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়। এরপর থেকে ট্রাম্প যুদ্ধের ফলাফল নিয়ে গর্ব করতে থাকেন। তিনি বারবার দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছে।’
তবে বৃহস্পতিবার তিনি আরও এগিয়ে বললেন, যুদ্ধের শুরু থেকেই তিনিই পুরো বিষয়টি পরিচালনা করেছেন। অন্যদিকে তেহরান এখনো প্রকাশ্যে তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ক্ষতির বিস্তারিত দেয়নি। তবে ইরানি কর্মকর্তারা বলছেন, বহু বছরের অর্জিত জ্ঞানের কারণে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি এখনো টিকে আছে। ইরানের মজুত উচ্চমাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কেও কিছু জানা যায়নি।
ট্রাম্প সব সময় নিজেক ‘শান্তির দূত’ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন এবং নতুন যুদ্ধ শুরু না করার অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু যুদ্ধ চলাকালে তার নিজ দলের ভেতরের অনেকেই চাপ দিচ্ছিলেন, যেন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সংঘাতে না জড়ায়। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প আবারও বলেছেন, তিনি ইরানের সঙ্গে এমন একটি চুক্তি করতে চান, যার মাধ্যমে তেহরান আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে।
দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুর দিকে ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা শুরু করেন এবং বারবার বলেন, তিনি তেহরানের সঙ্গে সমঝোতা চান। তবে বর্তমানে সেই আলোচনায় কোনো গতি নেই। বিশ্লেষকদের মতে, ওয়াশিংটনে এখন ইরান ইস্যুতে তেমন কোনো তাগিদ দেখা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে ইরানও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রস্তাব নিয়ে সন্দিহান। জুন মাসে দুই দেশের কর্মকর্তাদের এক দফা আলোচনায় বসার কথা ছিল, কিন্তু তার কয়েক দিন আগেই ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান তেহরানে হামলা চালায়।

কানাডা থেকে রেকর্ডসংখ্যক ভারতীয় নাগরিককে ‘জোরপূর্বক ফেরত’ পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। দেশটির সীমান্তসেবা সংস্থা কানাডিয়ান বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির (সিবিএসএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে এ সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৯ দিন আগে
ঘূর্ণিঝড় কালমেগির প্রভাবে থাইল্যান্ডজুড়ে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে থাইল্যান্ডের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবারই সারা দেশের বিভিন্ন অংশে বন্যা সৃষ্টি হতে পারে। থাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, মধ্য এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কাজাখস্তান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। আর এই লক্ষ্যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য গঠিত ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডে’ যোগ দিচ্ছে কাজাখস্তান।
২ ঘণ্টা আগে
সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত মধ্যস্থতাকারী জোট ‘কোয়াড’ প্রস্তাবিত মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আরএসএফের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তারা শুধু যুদ্ধবিরতিতে নয়, বরং সুদানে শত্রুতার অবসান...
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত মধ্যস্থতাকারী জোট ‘কোয়াড’ প্রস্তাবিত মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আরএসএফের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তারা শুধু যুদ্ধবিরতিতে নয়, বরং সুদানে শত্রুতার অবসান ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মৌলিক নীতিমালা নিয়ে আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত।
আরএসএফের বিবৃতিতে বলা হয়, র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস এই চুক্তি বাস্তবায়ন ও অবিলম্বে আলোচনায় বসার অপেক্ষায় আছে, যাতে সুদানের সংঘাতের মূল কারণগুলো সমাধান হয় এবং জনগণের দুর্ভোগের ইতি ঘটে। এ ঘোষণা এমন এক সময় এসেছে, যখন আরএসএফ সম্প্রতি দখল নিয়েছে এল-ফাশের শহরের, যা গত দেড় বছর ধরে অবরুদ্ধ ছিল এবং পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে সুদানি সেনাবাহিনীর শেষ ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল।
তবে সুদানি সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী তখনই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবে, যদি আরএসএফ সম্পূর্ণভাবে বেসামরিক এলাকা থেকে সরে যায় এবং পূর্ববর্তী শান্তিচুক্তি অনুযায়ী অস্ত্র সমর্পণ করে। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আফ্রিকাবিষয়ক উপদেষ্টা মাসাদ বোলস জানান, যুক্তরাষ্ট্র সুদানি সেনাবাহিনী ও আরএসএফ—উভয় পক্ষের সঙ্গে কাজ করছে, যাতে দ্রুত একটি মানবিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা গত প্রায় ১০ দিন ধরে দুই পক্ষের সঙ্গে কাজ করছি, বিস্তারিত চূড়ান্ত করার আশায়।’ বোলসের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমে তিন মাসের মানবিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে, এরপর নয় মাসের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এই উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি সৌদি আরব, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও যুক্ত আছে। এই চার দেশকে সম্মিলিতভাবে ‘কোয়াড’ বলা হয়।
দেশটিতে নতুন করে বাস্তুচ্যুত মানুষের ঢল নামায় আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। স্থানীয় চিকিৎসক ও ত্রাণ সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে, অতিরিক্ত মানুষের আগমনে আশ্রয়শিবিরগুলো ভয়াবহ চাপের মুখে পড়েছে।
আজ আন্তর্জাতিক সংস্থা ইসলামিক রিলিফ এক বিবৃতিতে জানায়, যেসব কমিউনিটি রান্নাঘর ক্ষুধার্ত পরিবারগুলোর শেষ ভরসা, সেগুলো এখন ধসে পড়ার পথে। সংস্থাটির এক জরিপে দেখা গেছে, সুদানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের ৮৩ শতাংশ পরিবার এখন পর্যাপ্ত খাদ্য পাচ্ছে না।
এদিকে গতকাল বুধবার সুদানের ডাক্তার্স নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, এল-ফাশেরের পশ্চিমের বাস্তুচ্যুত শিবিরগুলো—বিশেষত তাওইলা, কুরমা ও গলো এলাকায় পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রায় ৩৬ হাজার মানুষ এসব এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, এল-ফাশের দখলের পর আরএসএফ ওই অঞ্চলের একটি হাসপাতালে হামলা চালায়, যাতে ৪৫০ জনের বেশি নিহত হয়। এ ছাড়া আরএসএফ বাহিনী ঘরে ঘরে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ড ও যৌন সহিংসতার ঘটনাও ঘটিয়েছে।
সুদানি সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে সংঘাত শুরু হয় ২০২৩ সালে। দুপক্ষই মূলত একসময় মিত্র ছিল, যারা ২০১৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশটির গণতান্ত্রিক রূপান্তরপ্রক্রিয়া তদারকির দায়িত্বে ছিল। কিন্তু ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে শুরু হয় ভয়াবহ যুদ্ধ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, এ পর্যন্ত অন্তত ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। তবে ত্রাণ সংস্থাগুলোর দাবি, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা এরচেয়ে বহুগুণ বেশি হতে পারে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) তথ্যমতে, বর্তমানে ২ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ চরম খাদ্যসংকটে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, শুধু এক সপ্তাহেই এল-ফাশের থেকে ৭০ হাজার মানুষ পালিয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে পৌঁছেছে নর্দান স্টেটের আল-আফফাদ বাস্তুচ্যুত শিবিরে, যা রাজধানী খার্তুম থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে।
পালিয়ে আসা শিক্ষক ও প্রত্যক্ষদর্শী ওসমান মোহাম্মদ বলেন, ‘এল-ফাশের ছাড়ার পথে রাস্তায় লাশ পড়ে থাকতে দেখেছি। অনেকে ক্লান্তিতে ও নির্যাতনে মারা গেছেন।’
আরও একজন বাস্তুচ্যুত নারী রাওদা মোহাম্মদ বলেন, এল-ফাশেরে আকাশে সারাক্ষণ ড্রোন ঘোরে। কখন যে হামলা হয়, বুঝতেই পারা যায় না। খাবার বলতে কিছুই ছিল না—মানুষ শুধু বাদাম তেলের অবশিষ্ট অংশ খেয়ে বেঁচে ছিল।

সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত মধ্যস্থতাকারী জোট ‘কোয়াড’ প্রস্তাবিত মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আরএসএফের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তারা শুধু যুদ্ধবিরতিতে নয়, বরং সুদানে শত্রুতার অবসান ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মৌলিক নীতিমালা নিয়ে আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত।
আরএসএফের বিবৃতিতে বলা হয়, র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস এই চুক্তি বাস্তবায়ন ও অবিলম্বে আলোচনায় বসার অপেক্ষায় আছে, যাতে সুদানের সংঘাতের মূল কারণগুলো সমাধান হয় এবং জনগণের দুর্ভোগের ইতি ঘটে। এ ঘোষণা এমন এক সময় এসেছে, যখন আরএসএফ সম্প্রতি দখল নিয়েছে এল-ফাশের শহরের, যা গত দেড় বছর ধরে অবরুদ্ধ ছিল এবং পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে সুদানি সেনাবাহিনীর শেষ ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল।
তবে সুদানি সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী তখনই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবে, যদি আরএসএফ সম্পূর্ণভাবে বেসামরিক এলাকা থেকে সরে যায় এবং পূর্ববর্তী শান্তিচুক্তি অনুযায়ী অস্ত্র সমর্পণ করে। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আফ্রিকাবিষয়ক উপদেষ্টা মাসাদ বোলস জানান, যুক্তরাষ্ট্র সুদানি সেনাবাহিনী ও আরএসএফ—উভয় পক্ষের সঙ্গে কাজ করছে, যাতে দ্রুত একটি মানবিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা গত প্রায় ১০ দিন ধরে দুই পক্ষের সঙ্গে কাজ করছি, বিস্তারিত চূড়ান্ত করার আশায়।’ বোলসের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমে তিন মাসের মানবিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে, এরপর নয় মাসের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এই উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি সৌদি আরব, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও যুক্ত আছে। এই চার দেশকে সম্মিলিতভাবে ‘কোয়াড’ বলা হয়।
দেশটিতে নতুন করে বাস্তুচ্যুত মানুষের ঢল নামায় আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। স্থানীয় চিকিৎসক ও ত্রাণ সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে, অতিরিক্ত মানুষের আগমনে আশ্রয়শিবিরগুলো ভয়াবহ চাপের মুখে পড়েছে।
আজ আন্তর্জাতিক সংস্থা ইসলামিক রিলিফ এক বিবৃতিতে জানায়, যেসব কমিউনিটি রান্নাঘর ক্ষুধার্ত পরিবারগুলোর শেষ ভরসা, সেগুলো এখন ধসে পড়ার পথে। সংস্থাটির এক জরিপে দেখা গেছে, সুদানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের ৮৩ শতাংশ পরিবার এখন পর্যাপ্ত খাদ্য পাচ্ছে না।
এদিকে গতকাল বুধবার সুদানের ডাক্তার্স নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, এল-ফাশেরের পশ্চিমের বাস্তুচ্যুত শিবিরগুলো—বিশেষত তাওইলা, কুরমা ও গলো এলাকায় পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রায় ৩৬ হাজার মানুষ এসব এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, এল-ফাশের দখলের পর আরএসএফ ওই অঞ্চলের একটি হাসপাতালে হামলা চালায়, যাতে ৪৫০ জনের বেশি নিহত হয়। এ ছাড়া আরএসএফ বাহিনী ঘরে ঘরে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ড ও যৌন সহিংসতার ঘটনাও ঘটিয়েছে।
সুদানি সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে সংঘাত শুরু হয় ২০২৩ সালে। দুপক্ষই মূলত একসময় মিত্র ছিল, যারা ২০১৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশটির গণতান্ত্রিক রূপান্তরপ্রক্রিয়া তদারকির দায়িত্বে ছিল। কিন্তু ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে শুরু হয় ভয়াবহ যুদ্ধ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, এ পর্যন্ত অন্তত ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। তবে ত্রাণ সংস্থাগুলোর দাবি, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা এরচেয়ে বহুগুণ বেশি হতে পারে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) তথ্যমতে, বর্তমানে ২ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ চরম খাদ্যসংকটে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, শুধু এক সপ্তাহেই এল-ফাশের থেকে ৭০ হাজার মানুষ পালিয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে পৌঁছেছে নর্দান স্টেটের আল-আফফাদ বাস্তুচ্যুত শিবিরে, যা রাজধানী খার্তুম থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে।
পালিয়ে আসা শিক্ষক ও প্রত্যক্ষদর্শী ওসমান মোহাম্মদ বলেন, ‘এল-ফাশের ছাড়ার পথে রাস্তায় লাশ পড়ে থাকতে দেখেছি। অনেকে ক্লান্তিতে ও নির্যাতনে মারা গেছেন।’
আরও একজন বাস্তুচ্যুত নারী রাওদা মোহাম্মদ বলেন, এল-ফাশেরে আকাশে সারাক্ষণ ড্রোন ঘোরে। কখন যে হামলা হয়, বুঝতেই পারা যায় না। খাবার বলতে কিছুই ছিল না—মানুষ শুধু বাদাম তেলের অবশিষ্ট অংশ খেয়ে বেঁচে ছিল।

কানাডা থেকে রেকর্ডসংখ্যক ভারতীয় নাগরিককে ‘জোরপূর্বক ফেরত’ পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। দেশটির সীমান্তসেবা সংস্থা কানাডিয়ান বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির (সিবিএসএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে এ সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৯ দিন আগে
ঘূর্ণিঝড় কালমেগির প্রভাবে থাইল্যান্ডজুড়ে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে থাইল্যান্ডের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবারই সারা দেশের বিভিন্ন অংশে বন্যা সৃষ্টি হতে পারে। থাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, মধ্য এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কাজাখস্তান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। আর এই লক্ষ্যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য গঠিত ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডে’ যোগ দিচ্ছে কাজাখস্তান।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার ইরানে ইসরায়েলি হামলার প্রথম ধাপের দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি ইসরায়েল একাই হামলা চালিয়েছিল—যুক্তরাষ্ট্রের আগের এই দাবি অস্বীকার করলেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানে ইসরায়েলি হামলার পুরো বিষয়টির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে