এবারের মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধান দুই আলোচ্য বিষয় হওয়ার কথা রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয়। কিন্তু সেখানে আমেরিকার পক্ষ থেকে উপস্থিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এই দুই বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনাই করেননি। বরং তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ব্রিটেনসহ ইউরোপের অন্য দেশগুলোর তীব্র সমালোচনা করেন।
ইউরোপীয় নেতারা গতকাল শুক্রবারের এই সম্মেলনে কীভাবে রাশিয়াকে ছাড় না দিয়ে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটানো যায় এবং ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় কীভাবে বাড়ানো যায়—সে বিষয়গুলোতে আলোচনা করে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চেয়েছিলেন। তবে জেডি ভ্যান্সের বক্তব্য তাঁদের নির্বাক করে দেয়।
ভ্যান্স ভুয়া তথ্য, বিভ্রান্তিমূলক প্রচার এবং বাকস্বাধীনতার অধিকার নিয়ে ইউরোপের দেশগুলোকে দোষারোপ করেন। তিনি ইউরোপীয় সরকারগুলোর বিরুদ্ধে তাঁদের নিজস্ব মূল্যবোধ থেকে সরে আসার অভিযোগ তোলেন। অভিবাসন ও বাকস্বাধীনতা নিয়ে ভোটারদের উদ্বেগ উপেক্ষা করার জন্য তিরস্কার করেন।
সম্মেলনে ভ্যান্সের বক্তব্য খুবই বাজেভাবে গ্রহণ করা হয়—স্পষ্টতই খারাপভাবে। ভ্যান্সের ৩০ মিনিটের বক্তব্যের সময় পিনপতন নিরবতা লক্ষ্য করা যায়। এমনটি ‘যদি আমেরিকান গণতন্ত্র (জলবায়ু কর্মী) গ্রেটা থুনবার্গের ১০ বছরের তিরস্কার সহ্য করতে পারে, তাহলে তোমরা কয়েক মাস ইলন মাস্কের কথা সহ্য করতে পারবে’, এমন কৌতুকে একটি হাসির শব্দও পাওয়া যায়নি!
মার্কিন বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এই পুরো বক্তব্যই ছিল মার্কিন অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট সম্মেলনের পরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
জেলেনস্কি দাবি করেন, তাঁদের মধ্যে ‘ভালো আলোচনা’ হয়েছে। তিনি বলেন, এটি ছিল ‘আমাদের প্রথম সাক্ষাৎ, শেষ নয়, আমি নিশ্চিত।’
ইউক্রেনীয় নেতা জোর দিয়ে বলেন, কীভাবে পুতিনকে থামানো যায় এবং যুদ্ধের সমাপ্তি টানা যায়—এ নিয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে ওয়াশিংটন ও কিয়েভের আরও ঘনিষ্ঠভাবে কথা বলা ও কাজ করা দরকার।
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘আমরা সত্যিই শান্তি চাই, কিন্তু আমাদের বাস্তব নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দরকার।’
মিউনিখ সম্মেলনের ঠিক আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের সৌহার্দ্যপূর্ণ ৯০ মিনিটের ফোনালাপে বিস্মিত হয় ইউরোপ। এর ফলে ২০২২ সালে ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর থেকে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত ছিল, তা পুনরায় শুরু হয়ে যায়।
ট্রাম্প বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও শান্তি চান, তবে তা তাঁর নিজের শর্তে। যদি সেই শর্তগুলো গোপনে পরিবর্তন না হয়ে থাকে, তবে এর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার দাবি মেনে নেওয়া এবং স্থায়ীভাবে মস্কোর কাছে ভূখণ্ড হস্তান্তর করা।
ভ্যান্সের বক্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কার্যত ইউক্রেন সংকট নিয়ে আলোচনার অবস্থান দুর্বল করে দেন। প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথের মাধ্যমে তিনি স্বীকার করেন, ২০১৪ সালের প্রথম রুশ আগ্রাসনের আগের সীমান্ত পুনরুদ্ধার করা বাস্তবসম্মত নয়।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির অন্যতম লক্ষ্য—কিয়েভের ন্যাটোতে যোগদান। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সে আশা পূরণ হতে দেবে না। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে রাশিয়া আবার আক্রমণ চালালে ইউক্রেনের ভূখণ্ড রক্ষায় মার্কিন সেনা পাঠানোর সম্ভাবনাও নাকচ করে দিয়েছেন ট্রাম্প।
তবে আজ শনিবার মিউনিখে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ইউরোপীয় নেতাদের ও তাঁদের প্রতিনিধিদের মধ্যে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, তা হলো—ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনো শান্তি চুক্তি করতে তাড়াহুড়ো করেন, তবে এতে পুতিন জয়ী হবেন, আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবেন এবং ইউরোপের আরও ভূখণ্ড দখলের পরিকল্পনা করবেন।
এবারের মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধান দুই আলোচ্য বিষয় হওয়ার কথা রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয়। কিন্তু সেখানে আমেরিকার পক্ষ থেকে উপস্থিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এই দুই বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনাই করেননি। বরং তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ব্রিটেনসহ ইউরোপের অন্য দেশগুলোর তীব্র সমালোচনা করেন।
ইউরোপীয় নেতারা গতকাল শুক্রবারের এই সম্মেলনে কীভাবে রাশিয়াকে ছাড় না দিয়ে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটানো যায় এবং ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় কীভাবে বাড়ানো যায়—সে বিষয়গুলোতে আলোচনা করে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চেয়েছিলেন। তবে জেডি ভ্যান্সের বক্তব্য তাঁদের নির্বাক করে দেয়।
ভ্যান্স ভুয়া তথ্য, বিভ্রান্তিমূলক প্রচার এবং বাকস্বাধীনতার অধিকার নিয়ে ইউরোপের দেশগুলোকে দোষারোপ করেন। তিনি ইউরোপীয় সরকারগুলোর বিরুদ্ধে তাঁদের নিজস্ব মূল্যবোধ থেকে সরে আসার অভিযোগ তোলেন। অভিবাসন ও বাকস্বাধীনতা নিয়ে ভোটারদের উদ্বেগ উপেক্ষা করার জন্য তিরস্কার করেন।
সম্মেলনে ভ্যান্সের বক্তব্য খুবই বাজেভাবে গ্রহণ করা হয়—স্পষ্টতই খারাপভাবে। ভ্যান্সের ৩০ মিনিটের বক্তব্যের সময় পিনপতন নিরবতা লক্ষ্য করা যায়। এমনটি ‘যদি আমেরিকান গণতন্ত্র (জলবায়ু কর্মী) গ্রেটা থুনবার্গের ১০ বছরের তিরস্কার সহ্য করতে পারে, তাহলে তোমরা কয়েক মাস ইলন মাস্কের কথা সহ্য করতে পারবে’, এমন কৌতুকে একটি হাসির শব্দও পাওয়া যায়নি!
মার্কিন বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এই পুরো বক্তব্যই ছিল মার্কিন অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট সম্মেলনের পরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
জেলেনস্কি দাবি করেন, তাঁদের মধ্যে ‘ভালো আলোচনা’ হয়েছে। তিনি বলেন, এটি ছিল ‘আমাদের প্রথম সাক্ষাৎ, শেষ নয়, আমি নিশ্চিত।’
ইউক্রেনীয় নেতা জোর দিয়ে বলেন, কীভাবে পুতিনকে থামানো যায় এবং যুদ্ধের সমাপ্তি টানা যায়—এ নিয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে ওয়াশিংটন ও কিয়েভের আরও ঘনিষ্ঠভাবে কথা বলা ও কাজ করা দরকার।
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘আমরা সত্যিই শান্তি চাই, কিন্তু আমাদের বাস্তব নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দরকার।’
মিউনিখ সম্মেলনের ঠিক আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের সৌহার্দ্যপূর্ণ ৯০ মিনিটের ফোনালাপে বিস্মিত হয় ইউরোপ। এর ফলে ২০২২ সালে ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর থেকে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত ছিল, তা পুনরায় শুরু হয়ে যায়।
ট্রাম্প বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও শান্তি চান, তবে তা তাঁর নিজের শর্তে। যদি সেই শর্তগুলো গোপনে পরিবর্তন না হয়ে থাকে, তবে এর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার দাবি মেনে নেওয়া এবং স্থায়ীভাবে মস্কোর কাছে ভূখণ্ড হস্তান্তর করা।
ভ্যান্সের বক্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কার্যত ইউক্রেন সংকট নিয়ে আলোচনার অবস্থান দুর্বল করে দেন। প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথের মাধ্যমে তিনি স্বীকার করেন, ২০১৪ সালের প্রথম রুশ আগ্রাসনের আগের সীমান্ত পুনরুদ্ধার করা বাস্তবসম্মত নয়।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির অন্যতম লক্ষ্য—কিয়েভের ন্যাটোতে যোগদান। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সে আশা পূরণ হতে দেবে না। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে রাশিয়া আবার আক্রমণ চালালে ইউক্রেনের ভূখণ্ড রক্ষায় মার্কিন সেনা পাঠানোর সম্ভাবনাও নাকচ করে দিয়েছেন ট্রাম্প।
তবে আজ শনিবার মিউনিখে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ইউরোপীয় নেতাদের ও তাঁদের প্রতিনিধিদের মধ্যে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, তা হলো—ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনো শান্তি চুক্তি করতে তাড়াহুড়ো করেন, তবে এতে পুতিন জয়ী হবেন, আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবেন এবং ইউরোপের আরও ভূখণ্ড দখলের পরিকল্পনা করবেন।
মিয়ানমারের আগামী জাতীয় নির্বাচন শুরু হবে আগামী ২৮ নভেম্বর। দেশটির জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার এই তারিখ ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘ প্রতিশ্রুত নির্বাচনের প্রথম ধাপ চলতি বছরের ২৮ ডিসেম্বর শুরু হবে।
১৭ মিনিট আগেপ্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভোর চারটার দিকে ফজরের নামাজ আদায় করছিলেন মুসল্লিরা। সেই সময় বন্দুকধারীরা মসজিদে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালায়। নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে এ ধরনের হামলা নতুন নয়।
১ ঘণ্টা আগেদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা আজ বুধবার সকালে নিজ বাসভবনে আয়োজিত গণশুনানিতে থাপ্পড় বা চপেটাঘাতের শিকার হয়েছেন। এরপর তিনি গুরুতর আহত হলে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় দিল্লি রাজনীতিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
১ ঘণ্টা আগেআফগানিস্তানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৭১ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছে ১৭ শিশুও। গতকাল মঙ্গলবার প্রাদেশিক সরকারের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। অতিরিক্ত গতি ও অবহেলার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে